অর্থ আত্মসাৎ
বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৭ কর্মকর্তাকে দুদকের তলব
ইসলামী ব্যাংক থেকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৭ কর্মকর্তাকে দ্বিতীয় দফায় তলব করে তাগাদাপত্র দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বাংলাদেশ ব্যাংকের এসব কর্মকর্তাকে ৮ ও ৯ ডিসেম্বর দুদকে হাজির হয়ে তাদের বক্তব্য উপস্থাপন ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দুদকের উপপরিচালক (অনুসন্ধান টিমের লিডার) মো. ইয়াছির আরাফাতের স্বাক্ষর করা এক চিঠিতে এ তলব করেন।
এতে বলা হয়, গত ১১ নভেম্বর হাজির হয়ে বক্তব্য দেওয়ার জন্য চিঠি পাঠানো হলেও বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৭ কর্মকর্তা হাজির হননি। তাই দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হয়ে বক্তব্য বা লিখিত বক্তব্য দেওয়ার জন্য পুনরায় বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো। নির্ধারিত সময় ও তারিখে হাজিরে ব্যর্থ হলে অভিযোগ-সংক্রান্তে ঐ কর্মকর্তাদের কোনো বক্তব্য নেই মর্মে পরিগণিত হবে এবং আইন ও বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে গত ৬ নভেম্বর ইসলামী ব্যাংকের ৩ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ইসলামী ব্যাংকের ২৩ কর্মকর্তা ও তিন জন ব্যবসায়ীকে দুদকে তলব করা হয়।
বৃহস্পতিবার দুদকের উপপরিচালক ও এ বিষয়ের অনুসন্ধান টিমের লিডার মো. ইয়াছির আরাফাত স্বাক্ষরিত তলবনামায় মেসার্স মুরাদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী গোলাম সারওয়ার চৌধুরীসহ অন্যদের বিরুদ্ধে ৩ হাজার কোটি টাকা ঋণের নামে ইসলামী ব্যাংকের টাকা আত্মসাত করার অভিযোগ করা হয়। এই অভিযোগ অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য মো. ইয়াছির আরাফাতকে টিম লিডার করে তিন সদস্যের টিম গঠন করা হয়।
যাদের তলব করা হয়েছে:
বাংলাদেশ ব্যাংকের উপ-পরিচালক মো. জুবাইর হোসেন, যুগ্ম পরিচালক সুনির্বাণ বড়ুয়া, উপ-পরিচালক খোরশেদুল আলম, উপ-পরিচালক দেবাশীষ বিশ্বাস, উপ-পরিচালক জিয়াউদ্দিন বাবলু, উপ- পরিচালক রুবেল চৌধুরী, যুগ্ম পরিচালক অনিক তালুকদার, অতিরিক্ত পরিচালক ছলিমা বেগম, যুগ্ম পরিচালক বেলাল হোসেন, যুগ্ম পরিচালক সৈয়দ মু আরিফ উন নবী, অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত পরিচালক মো. শোয়াইব চৌধুরী, উপ-পরিচালক লেনিন আজাদ পলাশ, অতিরিক্ত পরিচালক মো. আব্দুর রউফ, অতিরিক্ত পরিচালক মো. মঞ্জুর হোসেন খান ও পরিচালক মো. সরোয়ার হোসাইন।
আপনার মতামত লিখুন