খুঁজুন
রবিবার, ৮ জুন, ২০২৫, ২৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

নেপালকে উড়িয়ে সেমিতে বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮:২৫ অপরাহ্ণ
নেপালকে উড়িয়ে সেমিতে বাংলাদেশ

টানা দুই জয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করল বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের পর আজ রবিবার নেপালকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে আজিজুল হাকিম তামিমের দল। শুরুতে ব্যাট করা নেপাল গুটিয়ে যায় ১৪১ রানে। জবাবে ১২৮ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।

এই জয়ে গ্রুপ ‘বি’তে দুই ম্যাচে বাংলাদেশের পয়েন্ট ৪। শ্রীলঙ্কারাও পয়েন্ট ৪। রবিবার অপর ম্যাচে লঙ্কানরা ১৩১ রানের বড় ব্যবধানে বিধ্বস্ত করেছে আফগানিস্তানকে। নেট রান রেটে এগিয়ে থাকায় শ্রীলঙ্কা আছে গ্রুপের শীর্ষে। তবে ৩ ডিসেম্বর শেষ ম্যাচে লঙ্কানদের হারাতে পারলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হবে বাংলাদেশ।

দুবাইয়ে নেপালের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন ওপেনার আকাশ ত্রিপাঠি। শেষ দিকে অভিষেক তিওয়ারি করেন ২৯। বাংলাদেশের আল ফাহাদ, ইকবাল হোসেন ইমন ও রিজান হোসেন নেন ২টি করে উইকেট।

জবাবে প্রথম ওভারেই আউট হয়েছিলেন কালাম সিদ্দিকি। তবে জাওয়াদ আবরার ও আজিজুল হাকিম তামিমের দ্বিতীয় উইকেটে ৯০ রানের জুটিতে ম্যাচ মুঠোয় চলে আসে বাংলাদেশের।

আবরার ৬৫ বলে ৫ বাউন্ডারি ৪ ছক্কায় ৫৯ রানে আউট হলেও তামিম অপরাজিত ছিলেন ৭২ বলে ২ বাউন্ডারি ৩ ছক্কায় ৫২ রানে।

ঈদের দিন কারাগারে গলা ছেড়ে গাইলেন নোবেল

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৮ জুন, ২০২৫, ১১:৪৬ পূর্বাহ্ণ
ঈদের দিন কারাগারে গলা ছেড়ে গাইলেন নোবেল

বাংলাদশের সংগীতাঙ্গনের সবচেয়ে বিতর্কিত নাম মাইনুল আহসান নোবেল। দেশের সংগীত পরিমণ্ডলে রাজসিক আবির্ভাবের পর একের পর এক বিতর্কিত কাণ্ডে নিজের জায়গা খুইয়েছেন তিনি। এখন নারী নির্যাতনের এক মামলায় তার ঠাঁই হয়েছে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে।

শনিবার (৭ জুন) ঈদুল আজহা উপলক্ষে কেরানীগঞ্জের এই কারাগারে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সেখানে কারাবন্দি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী মইনুল আহসান নোবেল। তিনি মঞ্চে উঠে গেয়েছেন নগর বাউল জেমসের গান; মাতিয়েছেন বন্দিদের।

ঈদের দিনে জেলের বন্দিদের জন্য গান গেয়ে হয়তো ‘আশা’ দেখিয়েছেন নোবেল। বন্দি মানুষগুলোর জন্যও হয়তো ঈদ হতে পারে আনন্দের। তবে, গায়ক নোবেল নিজেকে পরিশুদ্ধ করে ফিরে আসবে গানের জগতে, এমনটাই হয়তো চাইবেন তার ভক্তরা।

ঈদের দিন বিকাল সাড়ে তিনটায় কারা কর্তৃপক্ষের আয়োজনে বন্দিশালার মাঠে আয়োজিত হয় এই বিশেষ অনুষ্ঠান।

মঞ্চে নোবেল ‘অভিনয়’, ‘ভিগি ভিগি’, ‘সেই তুমি কেন এত অচেনা হয়ে গেলে’সহ তার জনপ্রিয় কয়েকটি গান পরিবেশন করেন। নোবেলের কণ্ঠে গাওয়া এসব গান শুনে অন্য বন্দিরাও আবেগ-উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন। গানে গানে তৈরি হয় এক ভিন্নরকম উৎসবমুখর পরিবেশ।

উল্লেখ্য, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নোবেলের মারধরের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। পরে ভুক্তভোগীর পরিবার তাকে চিনতে পেরে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল করে। এরপর গত ১৯ মে রাত সাড়ে ৯টার দিকে ডেমরা থানা পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ভিকটিমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডেমরা থানায় একটি নারী নির্যাতন মামলা রুজু করা হয়।

থানা সূত্র জানায়, মামলাটির তদন্তের সময় ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ ও প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার সাথে জড়িত কণ্ঠশিল্পী নোবেলকে গ্রেফতার করা হয়।

অর্থনীতিতে স্বস্তির বার্তা

৩ দিনে দেশে আসে সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৮ জুন, ২০২৫, ১১:৪৪ পূর্বাহ্ণ
৩ দিনে দেশে আসে সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা

ঈদ-উল-আজহার আগে মাত্র তিনদিনে ৬০ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২৩ টাকা ধরে) যার পরিমাণ দাঁড়ায় ৭ হাজার ৪২৯ কোটি টাকার বেশি। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, চলতি জুন মাসের প্রথম তিন দিনে (১-৩ জুন) রেমিট্যান্স এসেছে ৬০ কোটি ৪০ লাখ ডলার। কোরবানির ঈদ সামনে থাকায় প্রবাসীরা পশু কেনা, পোশাক, উপহার এবং পারিবারিক খরচের জন্য স্বজনদের কাছে অতিরিক্ত অর্থ পাঠাচ্ছেন। ফলে জুনের শুরুতেই প্রবাসী আয়ের জোয়ার দেখা যাচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, এই প্রবাহ কেবল ঈদকেন্দ্রিক নয়; বরং সরকারের প্রণোদনা, বৈধ পথে অর্থ পাঠাতে উৎসাহ এবং হুন্ডি প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের ফলেই ধারাবাহিকভাবে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ছে।

এ বছরের মে মাসে দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বাধিক রেমিট্যান্স এসেছে। যার পরিমাণ ২৯৭ কোটি মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে) যার পরিমাণ ৩৬ হাজার ২৩৪ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে টানা প্রতি মাসেই দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স আসছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে মে পর্যন্ত (১১ মাসে) দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২৭ হাজার ৫০৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (২৭.৫০৭ বিলিয়ন), যেখানে আগের অর্থবছরের একই সময়ে এ অঙ্ক ছিল ২১ হাজার ৩৭৪ মিলিয়ন (২১.৩৭৪ বিলিয়ন) ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও গ্যারান্টিতে ঋণের টাকা শোধ করতে হবে ১৫ অক্টোবরের মধ্যে

ধারের টাকা ফেরত দিতে ব্যর্থ হলে একীভূতকরণ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৮ জুন, ২০২৫, ১১:৩৯ পূর্বাহ্ণ
ধারের টাকা ফেরত দিতে ব্যর্থ হলে একীভূতকরণ

বেসরকারি খাতের দুর্বল পাঁচটি ইসলামী ব্যাংক একীভূত করে একটি ইসলামী ধারার ব্যাংক করার সিন্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আগামী জুলাই থেকে একীভূতকরণের পদক্ষেপ শুরু করে ১৫ অক্টোবর এই সাড়ে তিন মাসের মধ্যে প্রাথমিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। এ বিষয়ে একটি রোডম্যাপ তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এই সময়ের মধ্যে ব্যাংকগুলোকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। পাশাপাশি ব্যাংকগুলোর আর্থিক তথ্য যাচাই করা হবে। এর মধ্যে কোন ব্যাংক যদি কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গ্যারান্টিতে ধার করা টাকা ফেরৎ দিতে পারে তবে সেই ব্যাংককে আর একীভূত করা হবে না। সেটিকে তার স্বকীয়ভাবে চলতে দেওয়া হবে। আর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ধারের টাকা ফেলৎ দিতে ব্যর্থ হলে একীভূতকরণ করা হবে। এ বিষয়গুলো তদারকি করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পাঁচটি টিম গঠণ করবে। টিমে ব্যাংকগুলো থেকেও লোক নেওয়া হবে।

গত বুধবার আলোচ্য পাঁচ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের সঙ্গে বৈঠক করে এ সিন্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। বৈঠকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সংশ্লিস্ট ব্যাংকগুলোর শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

এবার একীভূত করার ব্যাংকগুলোর যে তালিকা করা হয়েছে সেগুলো হচ্ছে, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক ও এক্সিম ব্যাংক। এসব ব্যাংকের মধ্যে আগামী ১৫ অক্টোবরের মধ্যে যেসব ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ছাপানো টাকায় দেওয়া ঋণ ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গ্যারান্টিতে বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে দেওয়া ঋণ পরিশোধ করতে পারবে এবং আর্থিক দুর্বল সূচকগুলোতে উন্নতি করতে পারবে সেগুলোকে একীভূত করার আওতায় থেকে বের করে দেওয়া হবে। ওইসব ব্যাংক স্বকীয় মর্যার্দা নিয়ে চলতে পারবে।

এর আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর জানিয়েছিলেন দুর্বল ৬টি ব্যাংককে আগামী জুলাইয়ের মধ্যে একীভূত করা হবে। এর মধ্যে ন্যাশনাল ব্যাংকের নামও ছিল। পরবর্তীতে ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।

তারা বলেছে, ন্যাশনাল ব্যাংক ইসলামী ধারার ব্যাংক নয়, সে কারণে ওইসব ইসলামী ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে পারে না। এছাড়া ব্যাংকটি নতুন ব্যবস্থাপনায় আর্থিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। এসব কারণে তারা একীভ’ত হতে চাচ্ছে না। ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকও একীভূতকরনের তালিকা থেকে ন্যাশনাল ব্যাংকের নাম বাদ দেয়।

বিদেশি মালিকানায় পরিচালিত আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকও একীভূতকরণের আলোচনায় ছিল। তবে ব্যাংকটিতে বিদেশি মালিকানা থাকায় এ তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। মালিকপক্ষ ব্যাংকটিতে নতুন করে তহবিল জোগান দিতে চায়। কিন্তু সাবেক মালিক ওরিয়ন গ্রুপের পক্ষে একটি মামলা করায় বিদেশি মালিক পক্ষ ব্যাংকে মূলধন জোগান দিতে পারছে না। এর আগে ওরিয়ন গ্রুপ ব্যাংকটি ব্যাপক লুটপাট করেছে। ফলে তাদের শেয়ার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

বৈঠকে বলা হয়, একীভূতকরণের প্রথম ধাপ শেষে ব্যাংকগুলোকে সাময়িকভাবে সরকারি মালিকানায় নেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে প্রথমেই ব্যাংকগুলোর এমডিদের চুক্তি বাতিল হবে। আর বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের বাছাই করা সদস্যসহ বিভিন্ন খাতের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে পর্ষদ গঠন করা হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্বিক দিক নির্দেশনায় ব্যাংকগুলো পরিচালিত হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক গত জানুয়ারিতে এসব ব্যাংকের সম্পদের প্রকৃত অবস্থা যাচাইয়ের (একিউআর) জন্য দুটি আন্তর্জাতিক অডিটর নিয়োগ দেয়। সেই কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এটি হলে ব্যাংকগুলোর প্রকৃত অবস্থা জানা যাবে।