খুঁজুন
রবিবার, ৮ জুন, ২০২৫, ২৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

হিন্দু সেনা নেতার উদ্ভট দাবি

আজমির শরিফে শিব মন্দির ছিল বলে বিতর্কিত মন্তব্য

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৩:৩০ অপরাহ্ণ
আজমির শরিফে শিব মন্দির ছিল বলে বিতর্কিত মন্তব্য

ভারতের রাজস্থানের আজমিরের বিখ্যাত খওয়াজা মৈনুদ্দিন চিশতির দরগাহ আসলে একটি শিব মন্দিরের ওপরে বানানো হয়েছিল বলে সেখানকার আদালতে মামলা দায়ের করেছেন এক হিন্দু নেতা। মামলাটি শুনানির জন্য গ্রহণ করে সব পক্ষকে নোটিশ জারি করেছে আদালত।

হিন্দু সেনা নামের একটি সংগঠনের সভাপতি বিষ্ণু গুপ্তা সম্প্রতি মামলাটি দায়ের করেছেন। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি হরবিলাস সারদার লেখা একটি বইয়সহ দরগাহ-তে যে মন্দির ছিল, তার পক্ষে তিনটি যুক্তি আদালতের সামনে পেশ করেছেন।

আজমির দরগাহ-র প্রধান উত্তরাধিকারী এবং খওয়াজা মৈনুদ্দিন চিশতির বংশধর সৈয়দ নাসিরুদ্দিন চিশতি এই মামলাটিকে সস্তায় জনপ্রিয়তা পাওয়ার কৌশল বলে বর্ণনা করেছেন।

তার কথায়, এরা সমাজ এবং দেশটাকে ভুল দিশায় নিয়ে যাচ্ছে। আগামী ২০ ডিসেম্বর মামলাটির পরবর্তী শুনানি হবে।

কিসের ভিত্তিতে মামলা দায়ের?

দরগাহ-তে যে একটি মন্দির ছিল, তার সেই দাবির স্বপক্ষে মামলাকারী বিষ্ণু গুপ্তা তিনটি যুক্তি দেখিয়েছেন। প্রথমত, ব্রিটিশ শাসনামলে আজমির পৌরসভার কমিশনার ছিলেন যে হরবিলাস সারদা, তিনি ১৯১১ সালে এক বইতে লিখেছিলেন যে দরগাহ-তে একটি মন্দির ছিল। সেই বইটিই আমার দাবির ভিত্তি।

তিনি বলছিলেন, এ ছাড়াও, বইটি থেকে পাওয়া তথ্য আমি নিজে সেখানে গিয়ে যাচাই করে দেখেছি। হিন্দু মন্দির ভেঙ্গেই দরগাহ নির্মাণ করা হয়েছিল। দরগাহ-র প্রাচীর ও দরজার ওপরে যেসব নকশা আছে, সেগুলো মন্দিরের।

আজমিরের প্রত্যেক বাসিন্দা তাদের পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে শুনে এসেছেন যে ওখানে একটা শিবলিঙ্গ ছিল। বাসিন্দারা বলেন যে ওখানে একটি শিবমন্দির ছিল, জানাচ্ছিলেন গুপ্তা।

বিষ্ণু গুপ্তার কথায়, দরগাহ-টিতে আসলে সঙ্কটমোচন মহাদেবের মন্দির ছিল এবং আমি দাবি করেছি যে দরগাহ-র যদি কোনও রেজিস্ট্রেশন থাকে সেটাও বাতিল করে সেটিকে সঙ্কটমোচন মহাদেবের মন্দির হিসাবে ঘোষণা করা হোক।

দরগাহ-র ভূগর্ভস্থ ঘরটি বন্ধ করে রাখা হয়েছে। যদি সার্ভে করা হয় তাহলে সত্যটা সামনে এসে যাবে, দাবি গুপ্তার। বিষ্ণু গুপ্তা ২০১১ সালে হিন্দু সেনা নামে একটি সংগঠন শুরু করেন, যেটি হিন্দুদের ইস্যুগুলি তুলে ধরার জন্য মাঝে মাঝেই আলোচনায় উঠে আসে।

কী বলছে দরগাহ কমিটি?

গত কয়েক বছর ধরে দরগাহ কমিটি ‘দরগাহ নাজিম’ বা দরগাহ-র ব্যবস্থাপক নিয়োগ করেনি। তাই ‘দরগাহ নাজিম’এর অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন সংখ্যালঘু দফতরের উপ-সচিব মুহম্মদ নাদিম।

নাদিম বিবিসিকে বলছিলেন, আমরা এখনও কোর্টের নোটিশ পাইনি। আদালতের নোটিশ এলে, সেটা খতিয়ে দেখে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

আজমির দরগাহ-র প্রধান উত্তরাধিকারী সৈয়দ নাসিরুদ্দিন চিশতি বিবিসিকে জানিয়েছেন, আমাদের উকিলের সঙ্গে পরামর্শ করছি যে কী করণীয় আমাদের। আইন অনুযায়ী আমরা নিজেদের বক্তব্য পেশ করব।

তবে তিনি এই মামলার বিষয়টিকে সস্তায় জনপ্রিয়তা পাওয়ার কৌশল বলে বর্ণনা করেছেন। তার কথায়, কোনও মসজিদ বা দরগাহ-তে মন্দির আছে, সেই দাবি করে রোজই কেউ না কেউ মামলা ঠুকে দিচ্ছে। এটা ঠিক হচ্ছে না।

চিশতি বলছিলেন, ১৯১১ সালে লেখা যে বইটির কথা বলা হচ্ছে, সেটার কোনও বিশ্বাসযোগ্যতাই নেই। একটা একশো বছরের পুরনো বইয়ের ভিত্তিতে সাড়ে আটশো সালের ইতিহাসকে মিথ্যা প্রমাণ করা যায় না কি!

তথ্যসূত্র: বিবিসি।

সহকারী অধ্যাপক নিয়োগ দেবে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৮ জুন, ২০২৫, ১২:০১ অপরাহ্ণ
সহকারী অধ্যাপক নিয়োগ দেবে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি

বেসরকারি ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি সহকারী অধ্যাপক পদে জনবল নিয়োগ দেবে। আগ্রহীরা যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে আগামী ২৮ জুন পর্যন্ত অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

প্রতিষ্ঠানের নাম: ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি

বিভাগের নাম: ব্র্যাক বিজনেস স্কুল

পদের নাম: সহকারী অধ্যাপক

পদসংখ্যা: নির্ধারিত নয়

শিক্ষাগত যোগ্যতা: পিএইচডি/সমমান

অভিজ্ঞতা: সংশ্লিষ্ট কাজে অবশ্যই অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে

প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ

বয়স: নির্ধারিত নয়

কর্মস্থল: ঢাকা

আবেদনের নিয়ম: আগ্রহীরা ব্রাক ইউনিভার্সিটির ওয়েবসাইটে ঢুকে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ সময়: ২৮ জুন ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।

দেড় লাখ টাকা বেতনে সংস্থায় চাকরি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৮ জুন, ২০২৫, ১১:৫৮ পূর্বাহ্ণ
দেড় লাখ টাকা বেতনে সংস্থায় চাকরি

ম্যানেজার পদে জনবল নেবে যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান অ্যাকশনএইড বাংলাদেশ (এএবি)। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা আগামী ১৭ জুন পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।

প্রতিষ্ঠানের নাম: অ্যাকশনএইড বাংলাদেশ

বিভাগের নাম: ক্যাম্প ম্যানেজমেন্ট

পদের নাম: ম্যানেজার

পদসংখ্যা: একজন

শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক অথবা সমমান

অভিজ্ঞতা: ০৫ বছর

বেতন: ১৫৫,৬৫১ টাকা

চাকরির ধরন: ফুল টাইম

প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ

বয়স: নির্ধারিত নয়

কর্মস্থল: কক্সবাজার (টেকনাফ)

আবেদনের নিয়ম: আগ্রহীরা এখানে (ActionAid Bangladesh) ক্লিক করে আবেদন সম্পন্ন করতে হবে।

আবেদনের শেষ সময়: ১৭ জুন ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।

সূত্র: বিডিজবস ডটকম।

দেউলিয়া হয়ে বিলুপ্তির পথে গার্দিওলার সাবেক ক্লাব

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৮ জুন, ২০২৫, ১১:৫৫ পূর্বাহ্ণ
দেউলিয়া হয়ে বিলুপ্তির পথে গার্দিওলার সাবেক ক্লাব

পেপ গার্দিওলা ক্যারিয়ারের শেষ দিকে এই ক্লাবে খেলেছেন বেশ কিছু দিন। তিনি ছাড়াও এই দলে বেশ কিছু কিংবদন্তি খেলে গেছেন। ১৯৯৪ সালে ইতালিকে বিশ্বকাপের খুব কাছে নিয়ে যাওয়া রবার্তো বাজ্জিও, কিংবা আন্দ্রেয়া পিরলো, এই দলে খেলে গেছেন বিভিন্ন সময়ে। সেই ক্লাবটা ইতালির ঐতিহাসিক ফুটবল ক্লাব ব্রেশিয়া। তবে এই দলের আর অস্তিত্বই থাকছে না। মালিক মাস্সিমো চেলিনোর দেনা না মেটানোর কারণে ১১৪ বছরের পুরনো ক্লাবটি এবার বিলুপ্ত হতে যাচ্ছে।

চেলিনো ২০১৭ সাল থেকে ক্লাবটির মালিক। এর আগে ইংলিশ ক্লাব লিডস ইউনাইটেডের মালিক ছিলেন তিনি। লিডসে তিনি ঘন ঘন কোচ বদলানো ও নানা আইনি ঝামেলার জন্য বেশি পরিচিত ছিলেন।

ব্রেশিয়ার ৮ মিলিয়ন ইউরো কর বকেয়া পড়ে গেছে। তার একটা অংশ ৩ মিলিয়ন ইউরো গেল শুক্রবার তাকে শোধ করতে হতো। কিন্তু তিনি তা করেননি।

ফলে ব্রেশিয়া আর ইতালির কোনো পেশাদার লিগে খেলতে পারবে না। ইতালিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের ট্রাইব্যুনাল ব্রেশিয়ার চার পয়েন্ট কেটে দিয়েছে আর্থিক অনিয়মের কারণে।

সিরি বি’র শেষ মৌসুমে ব্রেশিয়ার অর্জন ছিল ৪৩ পয়েন্ট, তাতে তারা ছিল ১৫ নম্বরে। কিন্তু চার পয়েন্ট কাটার পর তারা নেমে গেছে ১৮তম স্থানে, অর্থাৎ অবনমন হয়ে গেছে তৃতীয় স্তরের সিরি সি-তে। তবে সেই লিগে খেলার সুযোগও তারা আর পাচ্ছে না, কারণ লিগ খেলার অধিকারই তারা হারিয়েছে।

ইতালির শীর্ষ লিগ সিরি আ-তে ব্রেশিয়া খেলেছে ২৩ মৌসুম। সর্বশেষ খেলেছিল ২০১৯-২০ মৌসুমে। ক্লাবটির সেরা সাফল্য ছিল ২০০০-২০০১ মৌসুমে, তখন তারা অষ্টম হয়েছিল।

এই ক্লাবেই খেলেছেন রবার্তো বাজ্জিও, আন্দ্রেয়া পিরলো, লুকা তোনির মতো ইতালিয়ান কিংবদন্তিরা। ক্লাবটির হয়ে খেলেছেন পেপ গার্দিওলাও। ২০০১-০২ ও ২০০২-০৩ মৌসুমে এখানে খেলেছিলেন তিনি। ব্রেশিয়ার ইতিহাসটা বেশ সমৃদ্ধই ছিল বৈকি। তবে সেই দলটা এখন থেকে থাকবে স্রেফ ইতিহাসের পাতাতে। পুরো ফুটবল বিশ্বের এক অনন্য অধ্যায় শেষ হয়ে গেল তাতে।