খুঁজুন
সোমবার, ৯ জুন, ২০২৫, ২৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

গণমামলায় গণ-আসামি থাকবে না: ডিএমপি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৫ অপরাহ্ণ
গণমামলায় গণ-আসামি থাকবে না: ডিএমপি

ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, গণ মামলায় গণ আসামি থাকবে না। অযথা কাউকে হয়রানি করা হবে না। যারা অপরাধে জড়িত না তাদের ধরা হবে না, হয়রানিও করা হবে না।

আজ রবিবার ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) কার্যনির্বাহী কমিটির সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব বলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, জুলাই-আগস্টের ঘটনায় করা অনেক মামলার বাদী বাণিজ্য করছেন। তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা হবে। মামলা অপকর্মে জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, অনেক বাদী উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মামলা করেছেন পরিকল্পিতভাবে বাণিজ্য করতে। এ জন্য ১৫০ থেকে ২০০ বা আরও বেশি আসামি করা হয়েছে। প্রথমে আওয়ামী লীগ নেতা বা বিগত সরকারের শীর্ষ নেতাদের নাম দিয়ে পরে ঢালাওভাবে ইচ্ছেমতো নাম মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পুলিশকে মামলা নিতে বাধ্য করা হয়েছে।

যেসব মামলা হয়েছে সেসব মামলায় অন্য কায়দায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, বাদী মামলা থেকে নাম বাদ দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন না। তদন্ত কর্মকর্তা তদন্তে প্রমাণ না পেলে নাম বাদ দেবেন।

তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টে পুলিশের ভূমিকা সঠিক ছিল না। ভূমিকা সঠিক হলে এত লোকের মৃত্যু হওয়ার কথা না। মরণাস্ত্র অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে।

মামলা এবং গ্রেপ্তার বাণিজ্যে কিছু পুলিশ সদস্য জড়িত বলে স্বীকার করে শেখ সাজ্জাত আলী বলেন, গত ৫ আগস্টের পর পুলিশ নেতৃত্বশূন্য হয়ে যায়। ওই সময় রাজারবাগের পরিস্থিতি ছিল ভয়াবহ। আত্মরক্ষার্থে খিলগাঁও থানা থেকে গুলি ছুড়তে ছুড়তে পুলিশ রাজারবাগে যায়। ট্রমার মধ্যে পড়ে যায় পুলিশ সদস্যরা, যা এখনও কাটেনি।

এমন বীভৎস পরিস্থিতির সম্মুখীন পুলিশ কখনও হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, পুলিশের অনুপস্থিতিতে দেশে নৈরাজ্য পরিস্থিতি তৈরি হয়। খুন, লুটপাট, ছিনতাই, ডাকাতি বেড়ে যায়।

ডিএমপি কমিশনার ছাড়াও হেডকোয়াটার্সে কর্মরত অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন) ফারুক আহমেদ, অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম ও অপারেশন) ইসরায়েল হাওলাদার, অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) রেজাউল করিম মল্লিক, নজরুল ইসলামসহ পদস্থ কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও ক্র্যাব সভাপতি কামরুজ্জামান খান, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, সহ-সভাপতি শাহীন আবদুল বারী, অর্থ সম্পাদক হরলাল রায় সাগর, সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম রাজী, দপ্তর সম্পাদক কামাল হোসেন তালুকদার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নেহাল হাসনাইন, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক রাকিব মানিক, প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইসমাঈল হুসাইন ইমু, কল্যাণ ও আইন সম্পাদক ওয়াসিম সিদ্দিকী, কার্যনির্বাহী সদস্য আলী আজম ও শেখ কালিম উল্যাহ নয়ন উপস্থিত ছিলেন।

বেলকুচিতে এসএসসি ২০১০ ব্যাচের ঈদ পূর্নমিলনী অনুষ্ঠিত

রেজাউল করিম স্টাফ রিপোর্টার,সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: রবিবার, ৮ জুন, ২০২৫, ১১:৩৭ অপরাহ্ণ
বেলকুচিতে এসএসসি ২০১০ ব্যাচের ঈদ পূর্নমিলনী অনুষ্ঠিত

এ যেন এক অভূতপূর্ব দৃশ্য, সুদীর্ঘ ১৫ বছর পর একে অপরের সাথে দেখা। বন্ধু কেমন আছো? কোলাকুলি মোলাকাত। ১৫ বছর আগের স্মৃতিতে ফিরে গেল সবাই। সে এক অভূতপূর্ব দৃশ্য। কেউ সরকারি বেসরকারি উচ্চ স্থানে কর্মরত আবার ছোট খাটো চাকরি করে কেউবা ব্যবসা করে।

সবাই এক কাতারে একটি দিনের জন্য মিলেমিশে গিয়েছিল সেই ১৫ বছর আগের স্মৃতিতে। এটি সোহাগপুর সরকারি শ্যাম কিশোর পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় এর ২০১০ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার ঐতিহ্যবাহী সোহাগপুর সরকারী শ্যাম কিশোর পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ২০১০ ব্যাচের ১৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে সহপাঠীদের পূর্ন মিলনী অনুষ্ঠিত হয়। রবিবার (৮ জুন ) সকালে সোহাগপুর সরকারী শ্যাম কিশোর পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এ পূর্ন মিলনী অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় একটি র‌্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে বিদ্যালয়ে এসে শেষ হয়। এ সময় স্কুল জীবনের সহপাঠীদের পেয়ে একে অপরের প্রতি আবেগ আপ্লুত হয়ে কুশল বিনিময় করেন। পরে দিনভর চলে আনন্দ উল্লাস এবং নানারকম মুখরোচক খাবারদাবার পরিবেশন।

এ সময় উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেলকুচি প্রেসক্লাবের সভাপতি গাজী সাইদুর রহমান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেলকুচি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, যমুনা টিভির সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার গোলাম মোস্তফা রুবেল, সোহাগপুর সরকারী শ্যাম কিশোর পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শরীর চর্চা শিক্ষক হাজী মোজাফফর হোসেন, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অজিত সুত্রধর, প্রধান শিক্ষক এসএম শহিদুর রেজা, গনিত শিক্ষক শহিদুল ইসলাম।

এ সময় শিক্ষকদের কাছে পেয়ে তৎকালীন শিক্ষার্থীরা আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। পরে তারা প্রাক্তন শিক্ষকের বর্তমান পরিস্থিতি সহ পরিবারের সদস্যদের খোঁজ খবর নেন।

এ সময় হাজী মোজাফফর হোসেন বলেন, আজ এ আয়োজনটি করার কারনে শিক্ষার্থীদের সাথে আবারো দেখা হলো। যদি এটি করা না হতো তাহলে কর্মব্যস্ততার কারনে হয়তো একসাথে এত শিক্ষার্থীদের সাথে দেখা হতো না। আজ সবাইকে একসাথে কাছে পেয়ে অনেক ভালো লাগছে।

ঈদে ফিরতি যাত্রায় সবাইকে মাস্ক পরার অনুরোধ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৮ জুন, ২০২৫, ৭:৪৯ অপরাহ্ণ
ঈদে ফিরতি যাত্রায় সবাইকে মাস্ক পরার অনুরোধ

পবিত্র ঈদুল আজহার পর ঘরমুখো মানুষের ফেরার যাত্রায় ট্রেন ব্যবহারের সময় যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরার অনুরোধ জানিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণের হার আবারও বাড়তে থাকায় এই আহ্বান জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

আজ রবিবার রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা রেজাউল করিম সিদ্দিকীর সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি বিবেচনায় জনসমাগমপূর্ণ এলাকায় মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে নির্দেশনা জারি করেছে। বিশেষ করে বয়স্ক ও অসুস্থ ব্যক্তিদের ভিড় এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

রেলপথ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এই নির্দেশনার আলোকে ঈদের ছুটির পর ঘরমুখো যাত্রীদের নিরাপদে ফেরার যাত্রা নিশ্চিত করতে ট্রেনযাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ এবং অবশ্যই মাস্ক পরার অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত ৬ জুন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, “কোভিড-১৯ সংক্রমণ হারের ঊর্ধ্বগতি বিবেচনায় জনসমাগমপূর্ণ এলাকায় মাস্ক পরার জন্য সবাইকে অনুরোধ করা হচ্ছে। বিশেষত বয়স্ক ও অসুস্থ ব্যক্তিদের এ ধরনের স্থান এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।” তার আগের দিন, ৫ জুন দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু এবং নতুন করে তিনজনের শরীরে সংক্রমণ শনাক্তের তথ্যও জানানো হয়।

রেলপথ মন্ত্রণালয় মনে করিয়ে দিয়েছে, ঈদের পর ফিরতি যাত্রার সময় ট্রেনের প্রতিটি যাত্রী যেন স্বাস্থ্যবিধি মানার পাশাপাশি নিজ ও অন্যদের নিরাপত্তার জন্য সচেতন থাকেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে জনমনে সন্দেহের উদ্রেক হয়েছে: আমীর খসরু

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৮ জুন, ২০২৫, ৫:৩৫ অপরাহ্ণ
অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে জনমনে সন্দেহের উদ্রেক হয়েছে: আমীর খসরু

জাতীয় সংসদ নির্বাচন এপ্রিলে করার ঘোষণা সময়োপযোগী নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, নির্বাচন ইস্যুতে নিরপেক্ষতা হারাচ্ছে সরকার। অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে জনমনে সন্দেহের উদ্রেক হয়েছে বলেও জানান তিনি। সোমবার (৮ জুন) এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ‘রমজান সংযমের মাস, এ মাসে মানুষ নামাজ কালাম করে, এছাড়া ওই সময় ঘূর্ণিঝডের সময়।

আবার সেই সময়ে পরীক্ষা শুরু হবে। সেই সময়টায় নির্বাচন করাটা তো একেবারেই অসম্ভব ব্যাপার। বাংলাদেশের সিংহভাগ রাজনৈতিক দল ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চায়। ডিসেম্বরের পরে যাওয়ার কোনো যুক্তি নেই।

সেপ্টেম্বর বা আগস্টের দিকেও করা যেতে পারে।’
আমীর খসরু বলেন, ‘এপ্রিলে নির্বাচনের সময়টা একেবারেই অযৌক্তিক এবং এটা কাদের স্বার্থে- সেই প্রশ্নও এসে গেছে। আর এই লোকগুলোর স্বার্থ যদি অক্ষুণ্ন থেকে যায়, তবে আগামী নির্বাচন এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু হবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়।’