খুঁজুন
শুক্রবার, ৬ জুন, ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

১৪ দিনের রিমান্ডে ‘পুষ্পা’ খ্যাত অভিনেতা আল্লু অর্জুন

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৫:১৩ অপরাহ্ণ
১৪ দিনের রিমান্ডে ‘পুষ্পা’ খ্যাত অভিনেতা আল্লু অর্জুন

হায়দরাবাদে গ্রেপ্তার আল্লু অর্জুন! দিন কয়েক আগে, হায়দরাবাদে ‘পুষ্পা ২’ ছবির প্রিমিয়ারে (Pushpa 2 Premier) এক মহিলা অনুরাগীর মৃত্যু হওয়ায় দক্ষিণী অভিনেতা আল্লু অর্জুনের নামে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। সেই মামলাতেই এবার দক্ষিণী এই সুপারস্টার গ্রেপ্তার (Allu Arjun Arrested)। শুক্রবার এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই দেশের তোলপাড় সিনেদুনিয়া!

ডিসেম্বর মাসের ৪ তারিখ হায়দরাবাদের সন্ধ্যা থিয়েটারে ‘পুষ্পা ২’র প্রিমিয়ারে আল্লু অর্জুনকে দেখতে গিয়ে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় এক মহিলা অনুরাগীর। সেই মর্মান্তিক খবর কানে পৌঁছতেই অনুরাগীর পরিবারকে ২৫ লক্ষ টাকা অর্থ সাহায্য করেছেন অভিনেতা।

শুধু তাই নয়, মৃত মহিলার ৯ বছরের সন্তান, যে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিল, তারও চিকিৎসার দায়ভার নিয়েছেন দক্ষিণী সুপারস্টার। তবে শুক্রবার এই ঘটনার জেরে গ্রেপ্তার হলেন আল্লু অর্জুন। দক্ষিণী সুপারস্টার গ্রেপ্তার হওয়ার পর হায়দরাবাদের পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, “তদন্ত চলছে। সংশ্লিষ্ট ঘটনার সঙ্গে যুক্ত সকলের বিরুদ্ধেই কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

ঠিক কী ঘটেছিল?

হায়দরাবাদে ‘পুষ্পা ২’র প্রিমিয়ারে সন্ধ্যা থিয়েটারের বাইরে অনুরাগীদের ভিড় উপচে পড়েছিল। এমনকী, ভিড় সামলাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়েছে স্থানীয় পুলিশকেও। পরিস্থিতি সবচেয়ে বিশৃঙ্খল হয়ে ওঠে যখন থিয়েটারে প্রবেশ করেন দক্ষিণী তারকা আল্লু অর্জুন। তাঁকে সামনে থেকে দেখতে গিয়েই অনুরাগীদের মধ্যে প্রবল উত্তেজনা শুরু হয়।

এই পরিস্থিতিতেই পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ৩৯ বছর বয়সি এক মহিলার। তাঁর ৯ বছরের ছেলেও গুরুতর জখম। অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে। সেই ঘটনাতেই শুক্রবার গ্রেপ্তার আল্লু অর্জুন।

অন্যদিকে মাত্র এক সপ্তাহেই ভারতীয় সিনেদুনিয়ার সমস্ত রেকর্ড ভেঙেচুরে নতুন মাইলস্টোন গড়েছে ‘পুষ্পা ২’। বলিউড তো বটেই বহুল ব্যবসা করা চর্চিত দক্ষিণী ছবিগুলিকেও দৌড়ে পিছনে ফেলে দিল আল্লু অর্জুনের সিনেমা। আট দিনে বিশ্বের বক্স অফিসে ১১০৫ কোটি টাকার ব্যবসা করেছেন ‘পুষ্পা ২’। আর ১০০ কোটি পেরলেই ‘কেজিএফ’ এবং ‘RRR’ সিনেমার রেকর্ড ভেঙে চুরমার করে দেবে এই ছবি।

‘ভাগে’ গরু কোরবানি দিচ্ছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা !

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৬ জুন, ২০২৫, ৫:৩৫ অপরাহ্ণ
‘ভাগে’ গরু কোরবানি দিচ্ছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা !

রাত পেরোলেই কোরবানির ঈদ; জমজমাট পশুর হাটে চলছে শেষ মুহূর্তের বেচাকেনা। সামর্থ্য অনুযায়ী পছন্দের পশু কেনার জন্য হাটে ছুটছেন ক্রেতারা; অনেকেই কিনে ফেলেছেন ইতোমধ্যে।এর মধ্যেই জানা গেছে, অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী কোরবানি দিচ্ছেন কত টাকায়; জানিয়েছেন তিনি নিজেই।

আজ শুক্রবার জাতীয় ঈদগাহ মাঠের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় হাস্যোজ্জ্বল এক মুহূর্তে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, এবারের ঈদুল আজহায় গরু কোরবানি দিচ্ছেন তিনি, তাও ভাগে। তার কোরবানি দিতে যাওয়া গরুটির দাম পড়েছে ৯৭ হাজার টাকা।

এর আগে, ঈদুল আজহায় রাজধানীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে কথা বলেন তিনি। লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, এবার ঢাকার নিরাপত্তা নিয়ে আমার ১০০ ভাগ কনফিডেন্ট আছি। রাজধানীর নিরাপত্তায় ৫০০ পেট্রোল টিম কাজ করবে। তারা অলিগলিতেও কাজ কাজ করবেন। এই ক্ষেত্রে আমি আপনাদের (গণমাধ্যম কর্মী) সহযোগিতা চাই। কোনো তথ্য থাকলে সঙ্গে সঙ্গে থানায় জানাবেন। অনেক সময় ছোটখাটো কিছু ঘটনা ঘটে যায়, সেটিও যেন না ঘটে, এ জন্য আমরা কাজ করছি।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, প্রতি বছর যেভাবে ভালোভাবে হয় এবারও একইভাবে ঈদের নামাজ হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সারাদেশে নিরাপত্তায় কাজ করছে। যারা জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে নামাজ পড়বেন তাদের জায়নামাজও আনতে হবে না। সবাই আল্লাহর কাছে দোয়া করবেন যেন বৃষ্টি না হয়। বৃষ্টি হলে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রধান জামাত হবে। আমাদের প্রস্তুতির কোনো অভাব নেই। সারাদেশে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছেন। তারাও ছুটিতে যাননি সবার নিরাপত্তা দিতে।

ঈদের দিন যেমন থাকবে আবহাওয়া

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৬ জুন, ২০২৫, ৫:৩০ অপরাহ্ণ
ঈদের দিন যেমন থাকবে আবহাওয়া

পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে ৭ জুন (শনিবার)। ওইদিন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনার পাশাপাশি গরম বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার (৫ জুন) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে এ তথ্য।

আবহাওয়াবিদ ড. মো. ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ঈদের দিন সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অঞ্চলের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এদিন দেশের অন্যান্য এলাকায় আকাশ আংশিক মেঘলা থাকলেও আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে।

পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, ঈদের দিন সারাদেশে দিনের এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। ফলে, ভোর বা সকালে কিছুটা আরামদায়ক পরিবেশ থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গরম অনুভূত হতে পারে।

ঈদের পরদিন রোববার (৮ জুন) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

এ ছাড়া ঈদের তৃতীয় দিন সোমবার (৯ জুন) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রাও সামান্য বাড়তে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আইসিসির ৪ বিচারকের ওপর ট্রাম্প প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৬ জুন, ২০২৫, ৫:২৭ অপরাহ্ণ
আইসিসির ৪ বিচারকের ওপর ট্রাম্প প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) চার বিচারকের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন।গাজায় গণহত্যার অভিযোগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি এবং এর আগে আফগানিস্তানে মার্কিন সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের তদন্ত শুরুর সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় ওই চার বিচারকের বিরুদ্ধে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। খবর রয়টার্সের।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর বিবৃতি অনুসারে, ওই চার বিচারক হলেন উগান্ডার সোলোমি বালুঙ্গি বোসা, পেরুর লুজ দেল কারমেন ইবানেজ কারানজা, বেনিনের রেইনে এদিলেইদে সোফি আলাপিনি গ্যানসো এবং স্লোভেনিয়ার বেটি হোহলার।

রুবিও বলেন, আইসিসির বিচারক হিসেবে এই চার ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্র বা আমাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আইসিসির অবৈধ ও ভিত্তিহীন কর্মকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। আইসিসি একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং আমাদের মিত্রদের বিরুদ্ধে তদন্ত, অভিযোগ গঠন এবং বিচারকাজ চালানোর ব্যাপারে পূর্ণ স্বাধীনতার যে দাবি তারা করে, তা পুরোপুরি মিথ্যা।’

এদিকে ট্রাম্প প্রশাসনে এ পদক্ষেপকে আন্তর্জাতিক বিচারিক প্রতিষ্ঠানের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা বলে উল্লেখ করেছেন আইসিসি। আদালতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আইসিসি হলো এমন একটি প্রতিষ্ঠান, যা ‘অকল্পনীয় নৃশংসতার’ শিকার কোটি কোটি ভুক্তভোগীর কাছে ন্যায়বিচার ও আশার প্রতীক হয়ে উঠেছে।

বিচারপতি বোসা এবং ইবানেজ কারানজা দুজনই ২০১৮ সাল থেকে আইসিসির বেঞ্চে আছেন। ২০২০ সালে তারা আপিল চেম্বারের একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। ওই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আইসিসির কৌঁসুলিকে আফগানিস্তানে মার্কিন সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করার অনুমতি দেওয়া হয়।

অবশ্য, ২০২১ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত আফগানিস্তানে মার্কিন সেনাদের বিরুদ্ধে তদন্তকে অগ্রাধিকার দেওয়া থেকে সরে আসে। এর পরিবর্তে তারা আফগান সরকার ও তালেবান বাহিনীর বিরুদ্ধে ওঠা অপরাধের অভিযোগগুলোর ওপর গুরুত্ব দিতে শুরু করে।

গত নভেম্বরে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, সাবেক ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা প্রধান ইয়োভ গ্যালান্ট এবং ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের নেতা ইব্রাহিম আল মাসরির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন আইসিসির বিচারপতিরা। মার্কো রুবিও বলেন, নেতানিয়াহু ও গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা অনুমোদনের পক্ষে রায় দিয়েছিলেন বিচারক আলাপিনি গ্যানসৌ এবং হোহলার।

আইসিসির চার বিচারকের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার এ পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে আদালতের প্রতি ট্রাম্প প্রশাসনের বিদ্বেষ আরও গভীরভাবে প্রকাশ পেয়েছে। ২০২০ সালে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদেও তৎকালীন প্রধান কৌঁসুলি ফাতু বেনসৌদা এবং তার একজন শীর্ষ সহযোগীর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল ওয়াশিংটন। আফগানিস্তানে মার্কিন সেনাদের বিরুদ্ধে তদন্তকে কেন্দ্র করে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল।

এছাড়া, নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে চলতি বছরের জানুয়ারিতে আইসিসিকে শাস্তি দেওয়ার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদে ভোটাভুটিও হয়েছিল। ইসরায়েল সরকারের প্রতি রিপাবলিকানদের জোরালো সমর্থন স্পষ্ট হয়েছিল এ পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে।