খুঁজুন
শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১২ পৌষ, ১৪৩১

‘পালিয়ে যাওয়া স্বৈরাচার আর দেশে ফিরে আসতে পারবে না’

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:১৭ অপরাহ্ণ
‘পালিয়ে যাওয়া স্বৈরাচার আর দেশে ফিরে আসতে পারবে না’

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন ৭১ সালে মানুষ তিনটি জিনিসের স্বাধীনতা চেয়েছিল। তাহলো কথা বলার স্বাধীনতা, ভোটের স্বাধীনতা ও ভাতের নিশ্চয়তা। কিন্তু পতিত আওয়ামী লীগ সরকার ও খুনি হাসিনা মানুষের মৌলিক সে তিনটি অধিকার কেড়ে নিয়েছিল।

মানুষের অধিকার কেড়ে নেওয়ায় মানুষ রাস্তায় নেমেছিল। তখন তারা হাজার হাজার মানুষকে গুম-খুন ও হত্যা করেছে। শেষে ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে খুনি হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে। যে স্বৈরাচার একবার পালিয়ে গেছে সে স্বৈরাচার আর বাংলাদেশে ফিরে আসতে পারবে না। এখন বাংলাদেশে শান্তি ফেরাতে হলে আল্লার আইন চালু করতে হবে।

একমাত্র আল্লার আইন মেনে চললেই দেশে শান্তি ফিরে আসবে। রাজনৈতিক দল গুলোর মধ্যে জামায়াতে ইসলামী আল্লার আইন মেনে চলে, জামায়াতে ইসলামীকে ভোট দিলে তারা সংসদে আল্লার আইন বাস্তবায়ন করবে। তাই আল্লার আইন বাস্তবায়নে আগামী নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীকে ভোট দিতে বলেন তিনি।

বুধবার বিকেলে লক্ষ্মীপুর জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন আয়োজিত শহরের লিল্লাহ মসজিদ মাঠে শ্রমিক গণজমায়াতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, (৫ আগস্ট) ছাত-জনতার আন্দোলনে যে বিপ্লব হয়ে হয়েছে, তাতে এই দেশের শ্রমিকদের অবদান কম নয়। শ্রমিকরাও আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়ায় বিপ্লব তরান্বিত হয়েছে। আমাদের দেশে বিগত স্বৈরাচার সরকারের সময় শ্রমিকদের শ্রমের মূল্যায়ল করা হয়নি। এতে করে শ্রমিকদের আন্দোলনের মুখে অনেক কলকারখানা বন্ধ হয়ে গেছ।

শ্রমিকদের যদি আমরা সঠিক মর্যাদা দিতে পারি তাহলে দেশের চেহেরা পরিবর্তন হয়ে যাবে। তিনি শ্রমিকদের যথাযথ সম্মান দেওয়ার জন্য বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিকট জোর দাবি জানান। অধ্যাপক মুজিবুর রহমান আরও বলেন, স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। বিগত সাড়ে পনেরো বছর আওয়ামী লীগ ভোট ডাকাতি, টাকা পাচার, গুম-খুন ও উন্নয়নের নামে লুটপাটের ইতিহাস দৃষ্টি করেছে।

দেশের মানুষ আওয়ামী ফ্যাসিস্টকে যেমনি চায় না, তেমনি নতুন কেউ ফ্যাসিবাদী কায়দায় দেশ পরিচালনায় আসুক এটাও চায় না। দেশের মানুষ সত্যিকারের একটি পরিবর্তন চায়। যেখানে আত্মমর্যাদা ও নিরাপত্তা নিয়ে বসবাস করতে পারবে। জামায়াতে ইসলামী এ ধরনের একটি দেশ গড়ার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সর্বক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

তিনি দেশবাসীকে ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও বৈষম্য মুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণে জামায়াতে ইসলামীর পাশে থাকার জন্য আহবান জানান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর উত্তরে সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, স্বৈরাচার পালিয়ে গেছে, কিন্তু দেশে এখনো চাঁদাবাজি চলছে। অবিলম্বে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। যারা চাঁদাবাজি করে তাদের চরিত্র শিয়াল-কুকুরে মতো। যারা শ্রমিকদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করছেন। তারা চাঁদাবাজি ছেড়ে দেন। না হলে চাঁদাবাজদের হাত ভেঙে দেওয়া হবে।

জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মমিম উল্যাহ পাটওয়ারীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাষ্টার মমিনুল হকের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আতিকুর রহমান, জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর এস ইউ এম রুহুল আমিন ভূঁইয়া, নায়েবে আমীর এডভোকেট নজির আহম্মদ, এ আর হাফিজ উল্লাহ, সেক্রেটারি মাওলানা ফারুক হোসাইন নুরনবী প্রমুখ।

নববর্ষে আতশবাজি ও পটকা ফোটানো থেকে বিরত থাকার নির্দেশ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২:০৩ অপরাহ্ণ
নববর্ষে আতশবাজি ও পটকা ফোটানো থেকে বিরত থাকার নির্দেশ

ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে থার্টি ফার্স্ট নাইটে জনস্বাস্থ্য ও জীববৈচিত্র্যের জন্য ক্ষতিকর এ ধরনের বিধিবহির্ভূত কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।

শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, থার্টি ফার্স্ট নাইটে দেশব্যাপী আতশবাজি ও পটকা ফোটানো হয়ে থাকে, যা বিদ্যমান শব্দদূষণ ও বায়ুদূষণে ভিন্ন মাত্রা যোগ করে। ইতোপূর্বে থার্টি ফার্স্ট নাইটে আতশবাজির শব্দে ভয় পেয়ে হৃদরোগে ভুগতে থাকা এক শিশুর মৃত্যু হয় বলে খবরে প্রকাশিত হয়েছে।

এছাড়াও অতিরিক্ত শব্দের কারণে শ্রবণশক্তি ও স্মরণশক্তি হ্রাস, ঘুমের ব্যাঘাত, দুশ্চিন্তা, উগ্রতা, উচ্চ রক্তচাপ, কান ভোঁ ভোঁ করা, মাথা ঘোরা, হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়া, মানসিক অস্থিরতা, স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়াসহ মানুষের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে বলে জানানো হয়।

শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০০৬-এর ৭ বিধি লঙ্ঘন করে অননুমোদিতভাবে ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনের সময় আতশবাজি ও পটকা ফোটালে তা বিধিমালার ১৮ বিধি অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।

এ আইনের ব্যত্যয় হলে বা ভঙ্গ করলে প্রথম অপরাধের জন্য অনধিক এক মাস কারাদণ্ড বা অনধিক পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ড এবং পরবর্তী অপরাধের জন্য অনধিক ছয় মাস কারাদণ্ড বা অনধিক ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ড প্রদানের বিধান রয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

মারা গেছেন ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১:৩২ পূর্বাহ্ণ
মারা গেছেন ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং

ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং মারা গেছেন। দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস হাসপাতালে (এআইআইএমএস) চিকিৎসাধীন রাত ৯ টা ৫১মিনিটে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।

এক বিবৃতিতে এআইআইএমএস বলেছে, কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা মনমোহন সিংকে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেসে ভর্তি করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার হঠাৎ করেই নিজ বাড়িতে চেতনা হারিয়ে ফেলেছিলেন তিনি। হাসপাতালে আনার পর চিকিৎসকদের সকল প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তার চেতনা ফেরানো যায়নি। হাসপাতালের চিকিৎসকরা রাত ৯ টা ৫১মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এর আগে দিল্লির একাধিক সূত্র বলেছে, শারীরিক অবস্থার আকস্মিক অবনতি হওয়ায় ৯২ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়।

কিন্তু যখন হাসপাতালে আনা হয়, তখনই শ্বাসকষ্ট গুরুতর সমস্যা হয়ে উঠেছিল বলে জানা যায়। তড়িঘড়ি আইসিইউতে ভর্তি করা হয় তাকে। কিন্তু শেষরক্ষা হল না।

১৯৩২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর অবিভক্ত পঞ্জাবের গাহ্-তে শিখ পরিবারে জন্ম মনমোহনের, যা বর্তমানে পাকিস্তানের অংশ। ছোট বয়সে মাকে হারান। ঠাকুমার কাছেই মানুষ মনমোহন। প্রথমে উর্দু মিডিয়াম স্কুলে শিক্ষা। গুরুমুখী, পাঞ্জাবিও জানতেন। দেশভাগের পর ভারতের অমৃতসরে চলে আসে মনমোহনের পরিবার।

মনমোহন সিং ১৯৭১ সালে ভারত সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অর্থনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবে প্রথম যোগদান করেন। পরে তিনি ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত ভারতের অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালে তিনি ভারতের ১৪তম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন।

চলতি বছরের শুরুর দিক পর্যন্ত রাজ্যসভার সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। গত এপ্রিলে রাজ্যসভা থেকে অবসরে যান তিনি।

৭ জানুয়ারি লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:২৪ অপরাহ্ণ
৭ জানুয়ারি লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন ও যাত্রার তারিখ চূড়ান্ত হয়েছে। আগামী ৭ জানুয়ারি যুক্তরাজ্যের লন্ডন যাচ্ছেন তিনি। বুধবার দুপুরে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সযোগে রওনা হবেন বেগম খালেদা জিয়া। তার সফরসঙ্গী হিসেবে যাবেন ১৬ সদস্যের টিম।

জানা গেছে তার সফরসঙ্গী হবেন:
বেগম জিয়ার প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান, বিএনপির চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ডা. মো. এনামুল হক চৌধুরী, তাবিদ মোহাম্মদ আওয়াল, ফখরুদ্দীন মোহাম্মদ সিদ্দিক, মো. শাহাবুদ্দীন তালুকদার, নুরুদ্দীন আহমাদ, মো. জাকির ইকবাল, মোহাম্মদ আল মামুন, শরিফা করিম স্বর্ণা, চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা এবিএম আব্দুস সাত্তার, মো. মাসুদুর রহমান, এসএম পারভেজ, ফাতেমা বেগম এবং রুপা শিকদার।