কুসুম গরম পানি খাওয়ার উপকারিতা
স্বাস্থ্য সচেতন ব্যক্তিরা শীতকালে নিয়মিত কুসুম গরম পানি খাওয়ায় প্রাধান্য দেন। কারণ নানা উপকারিতা রয়েছে নিয়মিত কুসুম গরম পানি খাওয়ার অভ্যাসে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, কুসুম গরম পানি পান করলে পেট পরিষ্কারসহ শরীরের অতিরিক্ত চর্বি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ত্বক থাকে প্রাণবন্ত ও উজ্জ্বল। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ১-২ গ্লাস, দিনের যেকোনো সময় খাবারের ৩০ মিনিট আগে বা পরে এক গ্লাস হালকা গরম পানি পান করা উচিত। আরও বলেন, বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্যর মতো একাধিক সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব, শরীর দ্রুত ডিটক্স হয়ে যায়।
নিয়মিত হালকা গরম পানি খেলে তারুণ্যকে ধরে রাখা যায়। এছাড়াও ত্বকে জমাট বাধা তেল, ধুলোবালি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। যেসব শারীরিক সমস্যায় গরম পানি খেলে উপকার পাওয়া যায় সেগুলো, মাইগ্রেন, উচ্চ রক্তচাপ, নিম্ন রক্তচাপ, হাঁটু, গোড়ালিতে ব্যথা, বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যথা, হুটহাট হৃৎস্পন্দন বাড়া-কমা, কাশি, পেটের সমস্যাসহ আরও অনেক জটিল রোগে গরম পানি বেশ কার্যকর।
শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমে গেলে সবাই অস্বস্তি বোধ করে। মেদ ঝরাতে নিয়মিত ব্যায়াম করতে হয়। এর পাশপাশি প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস হালকা গরম পানি পান করবেন। পানিতে লেবুর রস ও মধু দিতে পারেন। এক সপ্তাহেই দেখবেন মেদ কমবে ঝটপট।
পিরিয়ডের সময়ে মেনস্ট্রয়াল ক্র্যাম্পের প্রকোপ কমাতে গরম পানির কোনো বিকল্প নেই। এই সময় গরম পানি পান করা শুরু করলে অ্যাবডোমিনাল মাসলের কর্মক্ষমতা বাড়তে শুরু করে। ফলে ব্যথা খুব কম সময়ে কমে যায়।
যারা ব্রণের সমস্যায় ভুগছেন তারা নিয়মিত হালকা গরম পানি পান করতে পারেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে হালকা গরম পানি পান করলে ব্রণ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়া গরম পানি স্কিন সেলের ক্ষত সারিয়ে ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়।
আপনার মতামত লিখুন