খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ১ মে, ২০২৫, ১৮ বৈশাখ, ১৪৩২

২৯তম বাণিজ্য মেলা উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা

মোঃ হাসানুজ্জামান, বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বুধবার, ১ জানুয়ারি, ২০২৫, ১:১৬ অপরাহ্ণ
২৯তম বাণিজ্য মেলা উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা

২৯তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার (১ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর পূর্বাচলে বাংলাদেশ চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে এ মেলার উদ্বোধন করেন তিনি। এ সময় তিনি তরুণ উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার প্রস্তুতি সারা বছর ধরে চলবে।

প্রতি বছরের মতো এবারও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) যৌথভাবে এ মেলার আয়োজন করছে। এবারের বাণিজ্য মেলায় প্রথমবারের মতো অনলাইনে বিভিন্ন ক্যাটাগরির স্টল ও প্যাভিলিয়ন স্পেস বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

প্রথমবারের মতো ই-টিকিটিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া ক্রেতা-দর্শনার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে বিআরটিসির ডেডিকেটেড বাস সার্ভিসের পাশাপাশি যুক্ত হচ্ছে বিশেষ ছাড়ে উবার সার্ভিস।

মেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের সম্মানার্থে তৈরি করা হয়েছে ‘জুলাই চত্বর’ ও ‘ছত্রিশ চত্বর’। এছাড়া দেশের তরুণ সমাজকে রপ্তানি বাণিজ্যে উদ্বুদ্ধ করতে তৈরি করা হয়েছে ইয়ুথ প্যাভিলিয়ন।

মেলার লে-আউট প্ল্যান অনুযায়ী বিভিন্ন ক্যাটাগরির ৩৬১টি প্যাভিলিয়ন, স্টল, রেস্টুরেন্ট দেশীয় উৎপাদক-রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানসহ সাধারণ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান এবং বিদেশি প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে শতভাগ স্বচ্ছতায় বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যতীত সাতটি দেশের ১১টি প্রতিষ্ঠান এবারের মেলায় অংশ নিচ্ছে।

মাসব্যাপী এ বাণিজ্য মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে। তবে সাপ্তাহিক ছুটির দিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা চলবে।

বেলকুচিতে মহান মে দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

বেলকুচি প্রতিনিধি, সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১ মে, ২০২৫, ১০:২৯ অপরাহ্ণ
বেলকুচিতে মহান মে দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

মহান মে দিবস উদযাপন উপলক্ষে বেলকুচি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

১মে বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা পরিষদ সভা কক্ষে উক্ত  অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফিয়া সুলতানা কেয়া।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার( ভূমি) প্রতীক মন্ডল, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ  আবু হেলাল, প্রেসক্লাবের সেক্রেটারি রেজাউল করিম, বণিক সমিতির সেক্রেটারি হাজী মোহাম্মদ আলী ভূইয়া, একাডেমিক সুপারভাইজার মোঃ নাজির উদ্দিন এবং বিভিন্ন স্তরের শ্রমিক প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

শেখ হাসিনাকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের

‘২২৬ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়েছি’

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১ মে, ২০২৫, ৭:২২ অপরাহ্ণ
‘২২৬ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়েছি’

অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ‘২২৬টি মামলা হয়েছে, ২২৬ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’ মর্মে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যসংবলিত অডিওর ফরেনসিক রিপোর্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হয়েছে। রিপোর্টে বক্তব্যটি শেখ হাসিনার বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। বিষয়টি আদালত অবমাননা বলে উল্লেখ করে শেখ হাসিনাসহ ছাত্রলীগ নেতা শাকিল আহমেদকে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়েছে। তাদের আগামী ১৫ মে’র মধ্যে জবাব দিতে বলেছেন ট্রাইব্যুনাল।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) ফরেনসিক রিপোর্ট দাখিলের পর প্রসিকিউশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল ওই নোটিশ জারি করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার পক্ষ থেকে আমাদের কাছে একটা আবেদন পাঠানো হয়। তারা তদন্তকালে সোশ্যাল মিডিয়া ও সাধারণ গণমাধ্যমে তথ্য পান যে, এই ট্রাইব্যুনালের একজন আসামি- অভিযুক্ত শেখ হাসিনা এবং আরও একজন গাইবান্ধার আওয়ামী লীগ নেতা শাকিল আহমেদের মধ্যে টেলিফোনে একটা কনভারসেশন হয়, যা সামাজিকমাধ্যমে প্রথমে ভাইরাল হয় এবং পরে প্রিন্ট মিডিয়ায় অনেক নিউজ হয়। সেই কনভারসেশনে দেখা গেছে, আসামি শেখ হাসিনা শাকিল আহমেদকে বলছেন, ‘আমার বিরুদ্ধে সারা দেশে যে ২২৬টা মামলা হয়েছে, যারা এই মামলাগুলো করেছে, তাদের মারার আমি লাইসেন্স পেয়ে গেছি।’ এদের বাড়িঘর ভাঙচুর করার জন্য তিনি নির্দেশ দেন। তাদের কারও বাড়িঘর যেন অক্ষত না থাকে। একই সঙ্গে তিনি পুলিশ কর্মকর্তাদের হুমকি দেন যে, তারা যেন মনে রাখে, ভবিষ্যতেও চাকরি করতে হবে।”

এই কথোপকথনের মাধ্যমে তদন্ত সংস্থার কাছে সুস্পষ্ট হয়েছে যে, আসামি শেখ হাসিনা ও শাকিল আহমেদ তাদের কথোপকথনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চলমান বিচার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছেন এবং সাক্ষীদের ভয়ভীতি দেখিয়েছেন।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তকারী কর্মকর্তা মনে করেছেন, ‘এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা না নেওয়া হলে সাক্ষীরা সাক্ষ্য দিতে ভয় পাবেন। তদন্ত ও বিচার-প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হবে। এই কনভারসেশন সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করা হয়েছে এবং ফরেনসিক প্রতিবেদন অনুযায়ী শেখ হাসিনা ও শাকিল আহমেদরই কনভারসেশন এটি। বানানো কোনো কিছু নয়। এ জন্য আমরা আদালতের কাছে আবেদন করেছিলাম শেখ হাসিনা ও শাকিলের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননা মামলা প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য। শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল ওই দুজনের বিরুদ্ধে নোটিশ ইস্যু করেছেন। আগামী ১৫ মে অথবা তার আগে ট্রাইব্যুনালে সশরীরে হাজির হয়ে কিংবা আইনজীবীর মাধ্যমে তাদের কথোপকথনের বিষয়ে ব্যাখ্যা উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে।’

জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে গত বছরের ৫ ডিসেম্বর আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। গণমাধ্যম ও সামাজিকমাধ্যমে বিশেষ করে ফেসবুক, ইউটিউব ও এক্স হ্যান্ডেলে প্রকাশিত শেখ হাসিনার বক্তব্য সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়।

ট্রাইব্যুনালের ওই আদেশের কয়েক দিন আগে শেখ হাসিনার কিছু কিছু বক্তব্য ও ফোনালাপ সোশ্যাল মিডিয়া, প্রিন্ট মিডিয়া ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ফাঁস হয়েছে। সেখানে একটি কনভারসেশনে শেখ হাসিনা বলেছেন ২২৬টি মামলা হয়েছে। অতএব তিনি ২২৬ জনকে হত্যার সার্টিফিকেট পেয়ে গেছেন, লাইসেন্স পেয়ে গেছেন। তিনি আরও বলেছেন, ‘তোমাদের বাড়িঘর পোড়াচ্ছে, তাদের বাড়িঘর নেই।’

আন্দোলনের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে যান।

রাত হলেই বেলকুচি পৌরসভায় মাদকের আসর: সব জেনেও প্রশাসন নিরব

রেজাউল করিম, স্টাফ রিপোর্টার সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১ মে, ২০২৫, ৪:৩২ অপরাহ্ণ
রাত হলেই বেলকুচি পৌরসভায় মাদকের আসর: সব জেনেও প্রশাসন নিরব

সিরাজগঞ্জের বেলকুচি পৌরসভায় রাত হলেই বসে মাদকের আসর। সেই সাথে চলে নানা অনৈতিক কর্মকান্ড। দির্ঘদিন যাবৎ পৌরসভার হিসাব রক্ষক কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম রফিক স্থানীয় মাদক সেবীদের সাথে নিয়ে পৌরসভায় তার নিজ কক্ষ্যে বসে এমন কর্মকান্ড করে যাচ্ছেন। রফিক স্থানীয় প্রভাবশালী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে পারেনা পৌরসভার উদ্ধতন কর্মকর্তারা ও প্রশাসন। তার এই মাদক সেবনের বিষয়ে কোন কর্মচারী কথা বললেই সেই কর্মচারীর উপরে নেমে আছে রফিকের হয়রানীর খর্গ। বিধায় তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহসও পায়না কেউ।

গত ২৯ এপ্রিল মঙ্গলবারা রাত সারে ১০ টার দিকে পৌরসভার হিসাব রক্ষকের কক্ষ্যে হাউকাউ ও জোরে জোরে চিৎকার শুনতে পায় স্থানীয়রা। এতোরাতে পৌরসভায় এমন চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ঐ ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সেলর আলম প্রামানিককে ফোন করে ডেকে আনে। তখন সাবেক কাউন্সেলরকে সাথে নিয়ে স্থানীয়রা পৌরসভায় প্রবেশ করতে নিলে বাধা দেয় পিয়ন হাকিম। তিনি বলে স্যাররা বিশেষ কাজে ব্যাস্ত আছে এখন যাওয়া যাবেনা । কাউন্সেলর বাধা উপেক্ষা করে হিসাব রক্ষক রফিকের কক্ষ্যে গেলে চোখের সামনে উম্মেচিত হয়ে যায় হিসাব রক্ষক রফিকের মাদক সেবনের দৃশ্য। তিনি  তার চেয়ারে বসেই করছেন মাদক সেবন। পাশেই বসে আছেন পৌরসভার বর্তমানে ৪ ও ৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সেলরের দ্বায়িত্বে থাকা  উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা দেবাশীষ ঘোষসহ স্থানীয় কিছু চিহ্নিত মাদক সেবীরা। সাবেক কাউন্সেলর ও স্থানীয়দের দেখে দ্রুত সটকে পড়ে সমাজ সেবা কর্মকর্তা ও স্থানীয় মাদক সেবীরা। এসময় রফিক মাতাল অবস্থায় উঠে এসে কাউন্সেলরের কাছে বারবার ছবি তুলতে বারন করে। এরপর ছবিগুলো ছরিয়ে পরে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে। তাৎক্ষনিক বিষয়টি বর্তমানে দ্বায়ীত্বে থাকা পৌর প্রশাসক ও বেলকুচির উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফিয়া সুলতানা কেয়াকে জানানো হলেও তিনি কোন ব্যবস্থা নিতে পারেননি তখন।

বিষয়টি নিয়ে সাবেক কাউন্সেলর আলম প্রামানিক বলেন, মঙ্গলবার রাত সারে ১০ টা থেকে পোনে ১১ টার দিকে আমাকে কিছু লোক ফোন দিয়ে জানায় পৌরসভায় যেন কি হয়েছে , ভিতর থেকে কারা যেন চিৎকার করছে। শুনে আমি দৌড়ে যাই এবং স্থানীয়দের সাথে নিয়ে ভিতরে ঢুকতে গেলে পিয়ন হাকিম আমাকে বাধা দেয়। আমি পিয়ন হাকিমের বাধা উপেক্ষা করে হিসাব রক্ষক রফিকের রুমে যাই। গিয়ে দেখি সমাজ সেবা কর্মকর্তাসহ স্থানীয় মাদক সেবীদের সাথে নিয়ে রফিক তার চেয়ারে বসে মাদক সেবন করছে আর উন্মাদনায় চিৎকার করছে। তবে এসময় আকে দেখেই আমাকে দেখেই দৌড়ে সটকে পড়ে সমাজ সেবা কর্মকর্তা দেবাশীষ ঘোষ ও স্থানীয় মাদক সেবীরা। বিষয়টি তখনই আমি বর্তমান পৌর প্রশাসককে জানালে তিনি তাৎক্ষনিক কোন ব্যবস্থা না নিয়ে আমাকে লিখিত ভাবে জানাতে বলেন। আসলে দীর্ঘদিন যাবৎ এই পৌরসভায় এভাবে মাদকের আসর বসিয়ে আসছে রফিক। বিষয়টি সবাই জানার পরেও কোন ব্যবস্তা নেননা কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে পৌরসভার বর্তমানে ৪ ও ৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সেলরের দ্বায়িত্বে থাকা  উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা দেবাশীষ ঘোষ বলেন, প্রশাসক  সহ আমরা সবাই বিকেলে সভা শেষে পৌরসভার বর্জ ফেলানোর জন্য  জায়গা দেখতে যাই। এরপর প্রশাসক  চলে গেলেও আমি কিছু কাজের জন্য পৌরসভায় রয়ে যাই। রাতে আমি কাজ শেষে নামার সময় সাবেক কাউন্সেলর আলম প্রামানিককে উপরে যেতে দেখি। সেখানে কি হয়েছে তা আমি জানিনা। কারন তার আগে আমি আমার অফিস কক্ষ্যেই ছিলাম। ফলে হিসাব রক্ষকের রুমে কি হয়েছে আমি তা জানিনা। 

হিসাব রক্ষক রফিকুল ইসলাম রফিক সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে স্বরযন্ত্র করা হচ্ছে। আমি এমন কোন কর্মকান্ড পৌরসভায় করিনি। এ বিষয়ে আপনাদের সাথে আর কোন কথা বলতে পারবোনা।

বেলকুচি থানার অফিসার ইনচার্জ মো: জাকেরিয়া হোসেন বলেন, কোন সরকারী অফিস কেন কোন স্থানেই কেউ মাদক সেবন করতে পারবেনা। যদি পৌর সভায় এমন কর্মকান্ড হয়ে থাকে তাহলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 এ বিষয়ে বর্তমানে দ্বায়ীত্বে থাকা পৌর প্রশাসক ও বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফিয়া সুলতানা কেয়া বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি তবে কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। কি হয়েছে তা জেনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি অনেক দু:খজনক। আমি গত রাতে জানার পরেই স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালককে বিষয়টি তদন্ত করে দেখার জন্য বলেছি। তার তদন্তের পর ব্যবস্থা নেয়া হবে।