খুঁজুন
বুধবার, ৮ জানুয়ারি, ২০২৫, ২৪ পৌষ, ১৪৩১

এইচএমপিভি ভাইরাস, দেশে দুই যুগ ধরে আছে, আতঙ্ক নেই

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি, ২০২৫, ৩:২৪ অপরাহ্ণ
এইচএমপিভি ভাইরাস, দেশে দুই যুগ ধরে আছে, আতঙ্ক নেই

দ্য হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাসের (এইচএমপিভি) প্রাদুর্ভাব বেড়েছে চীন আর জাপানে। ইনফ্লুয়েঞ্জা ধাঁচের এই ভাইরাসে এরই মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন অনেকে।

ভাইরাসটি করোনার মতোই ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলে সতর্ক করেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

বিশেষজ্ঞদের শঙ্কা, ২০২৫ সালে আবার করোনার মতো নতুন কোনো মহামারির উদ্ভব হতে পারে। যদিও কোন রোগটি মহামারি আকার ধারণ করবে, সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো বার্তা এখনই তারা দিতে পারেননি। তবে এইচএমভির প্রাদুর্ভাব ভাবাচ্ছে তাঁদের।

জ্বর, নাক বন্ধ, কাশি বা শ্বাসকষ্টের মতো সাধারণ ঠান্ডাজনিত সমস্যা দিয়ে শুরু হলেও পরবর্তী সময় এই ভাইরাসের সংক্রমণে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।

চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা কয়েকটি ভিডিওতে দেখা যায়, করোনার সময়ে হাসপাতালে যেভাবে ভিড় তৈরি হয়েছিল, একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এইচএমপিভির প্রাদুর্ভাবেও।

একই অবস্থা দেখা যাচ্ছে জাপানেও। দেশটির সংবাদমাধ্যম বলছে, চলতি মৌসুমে দেশটিতে ঠান্ডাজনিত সংক্রমণ ছাড়িয়েছে সাত লাখেরও বেশি মানুষ।

চীনে প্রতিনিয়ত এইচএমপিভি প্রকট হয়ে উঠলেও এখন পর্যন্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা দেশটির সরকার সতর্কতা জারি করেনি। যেভাবে ভাইরাসটি ছড়াচ্ছে, তাতে করে যেকোনো সময়ে দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি হতে পারে বলেও দাবি করছে বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম।

বাংলাদেশে এইচএমপিভি ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কের বিষয়ে জনস্বাস্থ্যবিদ এবং চিকিৎসকের বলছেন, বাংলাদেশে প্রায় দুই যুগ আগে থেকেই সদ্য আলোচিত এইচএমপিভি ভাইরাস রয়েছে। এইচএমপিভি ভাইরাস একটি সাধারণ নৈমিত্তিক রোগ। তাই এটা নিয়ে আমাদের আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে সংক্রমণ যেন ব্যাপক হারে বাড়তে না পারে, সেজন্য সচেতন থাকতে হবে।

এইচএমপিভি ভাইরাস প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জনস্বাস্থ্যবিদ ডা. লেলিন চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, এইচএমপিভি ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কের কোনো কারণ নেই। বাংলাদেশে ২০০০-২০০১ সালে প্রথম এইচএমপিভি ভাইরাস শনাক্ত হয়। আমেরিকার জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. ডব্লিউ এ ব্রুক্সের নেতৃত্বে ইউএসএর ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব হেলথের অর্থায়নে আইসিডিডিআরবির সহযোগিতায় ঢাকার কমলাপুরে একটি গবেষণা পরিচালিত হয়। সেখানে ১৩ বছরের কম শ্বাসতন্ত্রীয় রোগীর দেহে ৩৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ এইচএমপিভি ভাইরাস পাওয়া যায়। ২০১৪-২০১৬ সালে আরেকটি গবেষণায় ঢাকায় এই ভাইরাস শনাক্ত হয়। আমাদের ধারণা প্রতি বছরই শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণে বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে এই ভাইরাসটির ভূমিকা রয়েছে। এই দেশে এইচএমপিভি ভাইরাস একটি সাধারণ নৈমিত্তিক রোগ। এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ে আতঙ্ক ছড়ানোর ন্যূনতম কোনো কারণ নেই।

এইচএমপিভি ভাইরাস বিষয়ে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআরের উপদেষ্টা ড. মুশতাক হোসেন বলেন, এইচএমপিভি ভাইরাস প্রথম ২০০১ সালে শনাক্ত হয়। তখন বিজ্ঞানীরা স্যাম্পল পরীক্ষা করে দেখে আমাদের দেশেও এই ভাইরাস আছে। এই ভাইরাসে জ্বর সর্দি কাশি হয়। কিন্তু এটা যে কোভিডের মতো, সেটা ঠিক না। কোভিড একেবারে নতুন একটি ভাইরাস ছিল। এটা মেটা নিউমো ভাইরাস, এটা নিউমোনিয়ার মতো হতে পারে কিন্তু নিউমোনিয়া না। রোগীর অবস্থা খারাপ হলে নিউমোনিয়া হতে পারে। এটা আমাদের দেশে আগে থেকেই আছে।

তিনি আরও বলেন, ভাইরাসটি যদি খুব দ্রুত ছড়ায়, তাহলে নিজেকে পরিবর্তন করে খারাপ রূপ ধারণ করতেও পারে, আবার দুর্বল হয়ে চলে যেতে পারে। এই জন্যেই সংক্রমণ যত কমানো যায় তত ভালো। সংক্রামক ব্যাধি যত লিমিটেড রাখা যায়, ততই ঝুঁকি কম। এই ভাইরাস আমাদের জন্য তেমন কোনো উদ্বেগের বিষয় না।

প্রতিরোধে করণীয়:
বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসকেরা বলছেন, করোনা মোকাবিলায় যেসব সতর্কতা নেওয়া হয়েছিল, একই পদক্ষেপে এই ভাইরাসও প্রতিরোধ করা সম্ভব। মাস্ক পড়া, সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধোয়া, অপরিষ্কার হাত দিয়ে নাক-মুখ স্পর্শ না করা এবং আক্রান্ত ব্যক্তিদের থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার মধ্য দিয়ে এই ভাইরাস থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব।

বেলকুচিতে দুস্হ ও প্রতিবন্ধীদের মাঝে কম্বল বিতরণ

রেজাউল করিম, স্টাফ রিপোর্টার,সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: বুধবার, ৮ জানুয়ারি, ২০২৫, ৯:৫১ অপরাহ্ণ
বেলকুচিতে দুস্হ ও প্রতিবন্ধীদের মাঝে কম্বল বিতরণ

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে দুস্হ, অসহায় ও প্রতিবন্ধীদের মাঝে শীত বস্ত্র হিসাবে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।

৮ জানুয়ারি বুধবার বিকালে বেলকুচি উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে, রুপালি প্রতিবন্ধী উন্নয়ন  সংস্থার সহযোগিতায় ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের দুর্যোগ ব্যবস্থপনা মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে উপজেলার ২০০ শত দুস্হ অসহায় ও প্রতিবন্ধীদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়।

উক্ত কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফিয়া সুলতানা কেয়া, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আবু হেলাল, প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক রেজাউল করিম, রুপালি প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি মোছাঃ সুলতানা খাতুন প্রমুখ।

সতর্ক অবস্থানে বিজিবি, চৌকা সীমান্তে আতঙ্ক কমেছে স্থানীয়দের

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বুধবার, ৮ জানুয়ারি, ২০২৫, ৫:৫১ অপরাহ্ণ
সতর্ক অবস্থানে বিজিবি, চৌকা সীমান্তে আতঙ্ক কমেছে স্থানীয়দের

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার চৌকা সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় আতঙ্ক কমেছে স্থানীয়দের।

আজ বুধবার (৮ জানুয়ারি) সীমান্ত এলাকায় গিয়ে জানা যায়, গত সোম ও মঙ্গলবার দুই দিন সীমান্তের কাছের আবাদি জমিতে কৃষকরা কাজ বন্ধ রেখেছিলেন। তবে, বুধবার কৃষকদের মাঠে কাজ করতে দেখা গেছে।

স্থানীয় এক কৃষক বলেন, “গত দুদিন মাঠে কাজ বন্ধ রেখেছিলাম। তবে, আজ থেকে কাজ শুরু করেছি। অনেকেই আবাদি জমিতে সেচ দেওয়ার পাশাপাশি কৃষি কাজ করছেন। তবে, এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। ফলে আতঙ্ক কমেছে।”

৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে কর্নেল গোলাম কিবরিয়া বলেন, “সীমান্তের পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে। কোনো আতঙ্ক নেই। সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।”

এর আগে, গত রোববার সন্ধ্যায় সীমান্ত ঘেঁষে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ শুরু করেন ভারতীয় বিএসএফ সদস্যরা। সেদিনই বিজিবির তরফ থেকে মৌখিকভাবে বেড়া নির্মাণে নিষেধ করা হলেও শোনেনি তারা। সোমবার সকালে ফের শূন্যরেখায় কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ কাজ শুরু করেন বিএসএফ সদস্যরা।

উল্লেখ্য, বিজিবির পক্ষ থেকে বাধায় কর্ণপাত না করায় সেদিনই বিকেলে বিষয়টি মীমাংসায় পতাকা বৈঠক হয়। তবে, কোনো সমাধান হয়নি। মঙ্গলবার সকালে বিএসএফের পক্ষ থেকে আবার কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ কাজ শুরু করে। তখন সোজাসাপ্টা প্রতিবাদ জানায় বিজিবি। ফলে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এ সময় সতর্ক অবস্থান নেয় বিজিবি।

পাইকগাছার সোনাদানা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বই বিতরণ অনুষ্ঠান

মোঃ রেজাউল ইসলাম, পাইকগাছা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বুধবার, ৮ জানুয়ারি, ২০২৫, ২:১৪ অপরাহ্ণ
পাইকগাছার সোনাদানা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বই বিতরণ অনুষ্ঠান

গত (৬ ডিসেম্বর),সকাল ১০ টায় সোলাদানা মাধ্যমিক বিদ্যালয় বই বিতান অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিনুর রহমান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সোনাদানা ইউনিয়ন সেক্রেটারি আজিবর রহমান ও সোনাদানা ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইস্রাফিল মোড়ল।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষক মন্ডলী ও ছাত্র-ছাত্রী।