খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারি, ২০২৫, ২৫ পৌষ, ১৪৩১

একনেকে ৪ হাজার কোটি টাকার ১০ প্রকল্প অনুমোদন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারি, ২০২৫, ১:০১ পূর্বাহ্ণ
একনেকে ৪ হাজার কোটি টাকার ১০ প্রকল্প অনুমোদন

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ১০টি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে সরকারের খরচ হবে ৪ হাজার ২৪৬ কোটি টাকা।

বুধবার (৮ জানুয়ারি) একনেক সভায় প্রকল্পগুলো উত্থাপনের পর তাতে অনুমোদন দেন প্রধান উপদেষ্টা ও একনেক চেয়ারপারসন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

চট্টগ্রাম কর ভবন নির্মাণ প্রকল্পের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে এদিনের সভায়, যার মেয়াদকাল ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৮ সালের জুন পর্যন্ত নির্ধারিত। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ৪৩৭.০৭ কোটি টাকা এবং এটি সরকারি অর্থায়নে বাস্তবায়ন করবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।

মোংলা বন্দরে পশুর চ্যানেলে সংরক্ষণ ড্রেজিং প্রকল্পও পরিকল্পনায় রয়েছে, যা ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাস্তবায়িত হবে। প্রকল্পটির মোট ব্যয় ১৫৩৮.১৯ কোটি টাকা, যার মধ্যে ১৩৮৪.৩৭ কোটি টাকা সরকারি তহবিল থেকে এবং ১৫৩.৮২ কোটি টাকা মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের নিজস্ব অর্থায়নে হবে।

এছাড়া মোংলা বন্দরের জন্য সহায়ক জলযান সংগ্রহ (১ম সংশোধিত) প্রকল্পটির ব্যয় ৭৬৭.২৫ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯৩৬.৫৬ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এটি বাস্তবায়ন করছে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং মেয়াদকাল জুলাই ২০১৯ থেকে জুন ২০২৫ পর্যন্ত।

সেইসঙ্গে ‘Establishment of Global Maritime Distress and Safety System & Integrated Maritime Navigation System (EGIMNS)’ প্রকল্পটির ব্যয় ১১৩.৮৫ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯৩২.৬০ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা নৌপরিবহণ অধিদপ্তর বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পটির মেয়াদ ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত।

নারায়ণগঞ্জের খানপুরে অভ্যন্তরীণ কনটেইনার এবং বাল্ক টার্মিনাল নির্মাণ (১ম সংশোধিত) প্রকল্পটির ব্যয় ২২৩.৭৫ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬১৫.৭৫ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এবং এর মেয়াদকাল জানুয়ারি ২০২০ থেকে জুন ২০২৭ পর্যন্ত।

এছাড়া, ডাল ও তেলবীজ উৎপাদনের মাধ্যমে টেকসই পুষ্টি নিরাপত্তা জোরদারকরণ প্রকল্প (২য় পর্যায়) বাস্তবায়িত হবে ২৬৫.৭৮ কোটি টাকায়, যা বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) পরিচালনা করবে। প্রকল্পটির মেয়াদকাল ২০২৪ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৯ সালের জুন পর্যন্ত।

সিলেট বিভাগে ৪৯৯.৯৯ কোটি টাকায় ‘ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবস্থাপনা ও ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি’ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বিএডিসি। এর মেয়াদকাল ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত।

দেশের দক্ষিণাঞ্চলের আয়রন ব্রিজ পুনঃনির্মাণ/পুনর্বাসন (২য় সংশোধিত) প্রকল্পটির ব্যয় বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ২৭৭৩.৪০ কোটি টাকা, যা বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। প্রকল্পটির মেয়াদকাল ২০১৮ সালের জুলাই থেকে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত।

‘ডুপিটিলা-১ ও কৈলাশটিলা-৯নং কূপ (অনুসন্ধান কূপ) খনন’ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড (এসজিএফএল) এবং এতে ব্যয় হবে ৬৪৬.৪৮ কোটি টাকা। প্রকল্পটির মেয়াদকাল ২০২৪ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

শেষে, Construction of Bangladesh Buddhist Monastery Complex at Lumbini Conservation Area, Nepal প্রকল্পের ব্যয় হবে ৬৮.০৮ কোটি টাকা, যা বৌদ্ধধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট বাস্তবায়ন করবে। প্রকল্পটির মেয়াদকাল ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৭ সালের জুন পর্যন্ত।

প্রধান আসামি শেখ হাসিনা

২২৭৬ নেতাকর্মীকে গুম-খুনের অভিযোগ নিয়ে ট্রাইব্যুনালে বিএনপি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারি, ২০২৫, ৩:৩৯ অপরাহ্ণ
২২৭৬ নেতাকর্মীকে গুম-খুনের অভিযোগ নিয়ে ট্রাইব্যুনালে বিএনপি

বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের ২ হাজার ২৭৬ নেতাকর্মীকে ক্রসফায়ারে হত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সকালে চিফ প্রসিকিউটরের কাছে বিএনপির মানবসম্পদ, তথ্য এবং গুম বিষয়ক সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন খান ও আইনজীবীসহ তিন সদস্যের একটি টিম এ অভিযোগ করেন।

পরে মোহাম্মদ সালাউদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলীসহ ২০০৮ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনের ২ হাজার ২৭৬ জনকে ক্রসফায়ারে হত্যা ও ১৫৩ জনকে গুমের অভিযোগ দায়ের করেছে বিএনপি।

এতে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান এবং অজ্ঞাতপরিচয়ে আরও প্রায় শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।

অভিযোগে বলা হয়, বিএনপির মতো বড় একটি রাজনৈতিক দলকে নিশ্চিহ্ন করার উদ্দেশ্যেই ২০০৮ সাল থেকে গত ৫ আগস্ট সারা দেশের ক্রসফায়ারের ঘটনা ঘটানো হয়েছে।

এছাড়া ১৫৩ জনকে গুমের অভিযোগে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত একটি চিঠিও চিফ প্রসিকিউটরের কাছে জমা দেয় দলটি।

বকশী বাজারে এজলাস পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা, বিচারকাজ বন্ধ

মহানগর প্রতিনিধি, ঢাকা
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারি, ২০২৫, ২:০৯ অপরাহ্ণ
বকশী বাজারে এজলাস পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা, বিচারকাজ বন্ধ

রাজধানীর বকশী বাজারে ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতের এজলাস পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার গভীর রাতে এই ঘটনা ঘটে। এজলাসের সবকিছু পুড়ে যাওয়ায় বিচারকাজ সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ওই মাঠে অস্থায়ী আদালতে বিডিআর বিদ্রোহের বিচার কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা ছিল।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এজলাস কক্ষ সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে গেছে। বিচারকের বসার টেবিল-চেয়ারসহ সবকিছুই পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে সেখানে বিচারকাজ পরিচালনার উপযোগী কোনো পরিস্থিতি নেই।

সকালে বিচারপতি ইব্রাহিম মিয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। বিচারকাজ চালানোর জন্য পরবর্তী দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে পরবর্তী বিচারকাজ কোথায় অনুষ্ঠিত হবে, তা এখনো নিশ্চিত করা যায়নি।

আদালত প্রাঙ্গণে এসে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ চিফ প্রসিকিউটর মো. বোরহান উদ্দিন বলেন, ‘বিচারকাজ চালানোর মতো স্বাভাবিক অবস্থা নেই। বিচারক এখানে উপস্থিত হয়েছেন। এখন ওনার পক্ষ থেকে কী নির্দেশনা আসে সেটার অপেক্ষায় আছি।’

এদিকে অস্থায়ী আদালত বসানোর প্রতিবাদে আজ সকাল থেকে মাদ্রাসার সামনের সড়কে অবস্থান নেয় আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সামনের সড়ক, বকশী বাজার মোড় এবং আশপাশের গলির প্রবেশমুখ বাঁশ দিয়ে আটকে রাখে শিক্ষার্থীরা। এতে বকশীবাজার মোড় থেকে শিক্ষা বোর্ড এবং চকবাজারের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। এই ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। হত্যা মামলায় খালাস বা সাজাভোগ শেষে বিস্ফোরক মামলার কারণে ৪৬৮ জনের মুক্তি আটকে আছে। হত্যা মামলায় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর ৮৫০ জনের বিচার শেষ হয়। এতে ১৫২ জনের ফাঁসি, ১৬০ জনের যাবজ্জীবন ও ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়। খালাস পান ২৭৮ জন।

আদালত থেকে গায়েব হওয়া ৯ বস্তা নথি মিলল ভাঙারির দোকানে

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারি, ২০২৫, ২:০২ অপরাহ্ণ
আদালত থেকে গায়েব হওয়া ৯ বস্তা নথি মিলল ভাঙারির দোকানে

চট্টগ্রাম আদালতের ১ হাজার ৯১১টি মামলার নথির (কেস ডকেট বা সিডি) খোঁজ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম আদালত থেকে চুরি হয়ে যাওয়া ৯ বস্তা নথি ভাঙরি দোকানের গোডাউন থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় একজনকে আটক করা হয়েছে।

গত ৫ জানুয়ারি চট্টগ্রাম আদালত ভবনের তৃতীয় তলার বারান্দায় প্রায় দুই বছর ধরে রক্ষিত ১৯১১টি কেস ডকেট চুরি হয়ে যায়। এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই চট্টগ্রাম মহানগর পিপি অ্যাডভোকেট মফিজুল হক ভুঁইয়া কোতোয়ালি থানায় একটি জিডি করেন।

জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে, হত্যা, মাদক, চোরাচালান, অস্ত্র ও বিস্ফোরকসহ প্রায় ১৯১১টি মামলার নথি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। মহানগর পিপির এখতিয়ারে থাকা অন্তত ৩০টি আদালতে চলমান মামলার নথি এগুলো। হত্যা, মাদক, চোরাচালান, বিস্ফোরণসহ বিভিন্ন মামলার এসব নথি বিচারিক কাজের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলছেন আইনজীবীরা।

নথিগুলোর খোঁজ না পাওয়ায় গত রোববার নগরের কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মফিজুল হক ভুঁইয়া।

জিডিতে উল্লেখ করা হয়, চট্টগ্রাম মহানগর পিপি কার্যালয়ে ২৮ থেকে ৩০টি আদালতের কেস ডকেট রক্ষিত ছিল। পিপি কার্যালয়ে জায়গা-স্বল্পতার কারণে ২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল থেকে পিপি কার্যালয়ের সামনের বারান্দায় প্লাস্টিকের বস্তায় এক হাজার ৯১১টি মামলার কেস ডকেট পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় রাখা ছিল।

আদালতের অবকাশকালীন ছুটির সময় অফিস বন্ধ থাকায় গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নথিগুলো হারিয়ে গেছে। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি। বিষয়টি থানায় ডায়েরিভুক্ত করে রাখার জন্য আবেদন করা হলো।

সরকারি কৌঁসুলি মফিজুল হক ভুঁইয়া বলেন, নথিগুলো রাখার জন্য কক্ষ পাওয়া যাচ্ছে না। কক্ষ চাওয়া হয়েছিল। তাই নথিগুলে সেখানে রাখা হয়। তা ছাড়া আমার কক্ষটি নথিতে ঠাসা হয়ে আছে বলে জানান তিনি।

কোতোয়ালি থানার ওসি আবদুল করিম বলেন, মহানগর পিপির কার্যালয়ের সামনে রাখা এক হাজার ৯১১ মামলার নথি হারানোর ঘটনায় করা জিডির বিষয়ে তদন্ত করছে পুলিশ।