খুঁজুন
বুধবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২৫, ৮ মাঘ, ১৪৩১

বাসাইলে সাংবাদিকদের সাথে নবাগত ইউএনও’র মতবিনিময়

মোঃ লিটন মিয়া,স্টাফ রিপোর্টার,টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২৫, ৯:১৭ অপরাহ্ণ
বাসাইলে সাংবাদিকদের সাথে নবাগত ইউএনও’র মতবিনিময়

টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে নবযোগদানকৃত উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. আকলিমা বেগম মতবিনিময় সভা করেছেন।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে তিনি উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার আকলিমা বেগমকে প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।

মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন বাসাইল উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ নেয়ামত উল্ল্যা, বাসাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কাশেম মিয়া, প্রেসক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা মুসলিম উদ্দিন আহমেদ, উপদেষ্টা আশিকুর রহমান পলাশ, সাধারণ সম্পাদক এনায়েত করিম বিজয়, সাবেক সভাপতি এম শহিদুল ইসলাম, সহ-সভাপতি খাইরুল ইসলাম তালহা, সদস্য রাশেদা সুলতানা রুবি, সাহিত্য ও সাংস্কৃতি সম্পাদক সাইদুল ইসলাম দিপু, সদস্য জাহাঙ্গীর বিন জাফর, শরিফুজ্জামান প্রমুখ। এসময় প্রেসক্লাবের সদস্য রুবেল মিয়া, মিলন ইসলাম, ক্রীড়া সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, সদস্য জিয়ারত জুয়েল, আরিফুল ইসলাম, তাহের রাজা খান, শহিদুর রহমান সিদ্দিকী, কামরুল ইসলাম, কামাল খান প্রমুখ। এছাড়াও বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে সাংবাদিকরা উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়ন, সমস্যা ও সম্ভাবনাসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে আলোচনা করেন। নবাগত ইউএনও উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়নের ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।

প্রসঙ্গত, আকলিমা বেগম ৩৫তম বিসিএস (প্রশাসন)-ক্যাডারে উত্তীর্ণ হন। তিনি লালমনিরহাট জেলার বাসিন্দা। তিনি সোমবার (২০ জানুয়ারি) বাসাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন।

হঠাৎ বাঙলা কলেজের সামনে গাড়িতে আগুন

এস কে হিমেল খন্দকার
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২৫, ১০:৫৫ অপরাহ্ণ
হঠাৎ বাঙলা কলেজের সামনে গাড়িতে আগুন

রাজধানীর সরকারি বাঙলা কলেজের সামনে চলন্ত মাইক্রোবাসে হঠাৎ আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। তবে কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

মঙ্গলবার রাত ৮ টার দিকে সরকারি বাঙলা কলেজ, মিরপুর ১ এর সামনে এ আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে কল্যাণপুর ফায়ার স্টেশনের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

চট্টগ্রাম মেট্রো-গ১১-৭৩৯৮ মাইক্রোবাসটির ইঞ্জিনে ত্রুটির কারণে আগুনের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক ধারনা করা হচ্ছে। এসময় ফায়ার সার্ভিস আসার আগ মুহুর্ত পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করে পাশেই থাকা ওয়াসার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

এসময় মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্টের একজন কর্মকর্তা জনাব আরিফ জানান “আমরা ওয়াসার ভিতরেই অবস্থান করছিলাম। বাহিরে আওয়াজ শুনে বের হলে দেখি দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। এসময় আমি সহ কয়েকজন গাড়ি নিয়ে ঘটনা স্থলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করি কিন্তু ব্যার্থ হই পরে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।”

ঘটনাস্থলে উপস্থিত আরেকজন শিক্ষার্থী জাহিদ হাসান জানান “আমরা ক্যাম্পাসের সামনে চায়ের দোকানে আড্ডা দিচ্ছিলাম। এসময় পিছনে ফিরে দেখি আগুন জ্বলছে পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিভানোর কিছু না পেয়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করি। তখন আমাদের কলেজের সাথের ওয়াসা থেকে একটি গাড়ি এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করে ব্যার্থ হলে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিভিয়ে দেন।”

এসময় দায়িত্বরত মিরপুর জোনের সার্জেন্ট জাফর হোসেনকে ঘটনা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আমি দায়িত্ব পালন করছি এসময় দেখি ওভার ব্রিজের সামনে একটি মাইক্রোবাসে আগুন জ্বালছে। তখন আমি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করি এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসকে কল দেই।”

আগুন লাগার ঘটনা পরিকল্পিত কি না জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, “এটা আমি বলতে পারবো না তদন্ত হলেই বলা যাবে। গাড়িতে যাত্রী ছিল না, চালক বেরিয়ে যাওয়ায় কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। চালক নিখোঁজ বলে ধারনা করা হচ্ছে।”

এসময় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এতে সড়কে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। পরে ট্রাফিক পুলিশ ও বাঙলা কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা যানজট নিয়ন্ত্রণে আনে।

রাজধানীতে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে প্রাইভেট কার চালকের মৃত্যু

আব্দুল্লাহ আল মোত্তালিব
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২৫, ৯:১৫ অপরাহ্ণ
রাজধানীতে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে প্রাইভেট কার চালকের মৃত্যু

রাজধানীর পল্টন থানার বিজয়নগর পানির টাংকি এলাকায় ছিনতাইকারী ছুরিকাঘাতে মোহাম্মদ সাজু (২২) নামে এক যুবক নিহত। নিহত পেশায় প্রাইভেট কার চালক।

সোমবার(২০ জানুঃ) রাত ৩টার দিকে এই ঘটনাটি ঘটে।পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভোর রাত চারটার দিকে মৃত ঘোষণা করে।

নিহতের বন্ধু বাইজিদ বলেন,
নিহত সাজু একটি প্রাইভেট কার চালক ছিলেন আমি একজন ব্যাটারি চালিত অটো রিক্সা চালক রাতে আমার গ্যারেজে গিয়ে আমাকে বলে আমার স্যার ফোন দিছে তুই একটু আমাকে নামিয়ে দে,পরে আমি বিজয়নগর পানির টাংকি এলাকায় নামিয়ে আমি চলে যাওয়ার সময় চিৎকারের শব্দ শুনি পরে দেখতে পাই ছিনতাইকারীদের সঙ্গে সাজুর ধস্তাধস্তি হচ্ছে।পরে ছিনতাইকারীরা ছুরিকাঘাত করে তার কাছে থেকে একটি টাচ্ মোবাইল ও কিছু টাকা নিয়ে যায়। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় দ্রুত উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।

তিনি আরো বলেনন,
নিয়তের গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ সদর থানার আটবাড়ীয়া গ্রামে মোতালেব হোসেনের সন্তান।বর্তমানে মুগদা মান্ডা ঝিলপাড় এলাকায় পরিবার নিয়ে থাকতেন। নিহত এক ছেলের জনক ছিলেন তিন ভাই এক বোন সে ছিল বড়।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ(পরিদর্শক) মোঃ ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।

স্বামীর উপর অভিমান অতঃপর গলাইফাঁস দিয়ে মৃত্য

আব্দুল্লাহ আল মোত্তালিব
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২৫, ৮:০৫ অপরাহ্ণ
স্বামীর উপর অভিমান অতঃপর গলাইফাঁস দিয়ে মৃত্য

রাজধানীর ডেমরা থানা শুকুরশী এলাকায় পারিবারিক কলহের জেরে স্বামীর উপর অভিমানে মোছাঃ জান্নাতি (১৮) নামে এক গৃহবধূর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা।

সোমবার(২০ জানুঃ)সন্ধ্যার দিকে এই ঘটনাটি ঘটে। পরে অচেতন অবস্থায় দ্রুত তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসা রাত ৭:৩০ এর দিকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত জান্নাতের শশুর মোঃ কামাল বলেন,
আমার ছেলে নাজমুল গত পাঁচ মাস আগে জান্নাতিকে প্রেম করে বিয়ে করেন।আজকে সিম্পল বিষয় নিয়ে স্বামী স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া হয়।পরে আমার ছেলে বাসা থেকে তার দোকানে চলে যায় ও আমিও বাসা থেকে বের হই।পরে জানতে পারি আমার ছেলে কম্পিউটার ছেড়ে রেখে বাহিরে যায় ও পরে আমার বৌমা কম্পিউটারটা বন্ধ করে দিলে এই নিয়ে কথা কাটাকাটি এক পর্যায়ে বৌমা ছেলের উপর অভিমান করে নিজ রুমে গিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেচিয়ে ঝুলে পড়ে।পরে আমরা দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশের সহযোগিতায় ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত করে।

তিনি আরো বলেন,
জান্নাতির গ্রামের বাড়ি বরগুনা জেলার আমতলী থানা এলাকার বাঁচার আকন্দের মেয়ে। বর্তমানে ডেমরার শুকুরশী এলাকায় স্বামী নাজমিনের সঙ্গে থাকতো।আমার ছেলে পেশায় মোবাইল সার্ভিসিং এর কাজ করে ও ও আমি নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করি।

ডেমরা থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই)মোঃ সোহেল বলেন,
আমরা খবর পেয়ে ডেমরা থানার শুকরশী মোবারক হোসেনের ভাড়া বাসা থেকে জান্নাত নামে গৃহবধূকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করি।পরে তাকে অচেতন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরো বলে,
আমরা জানতে পারি স্বামী স্ত্রীর কোলের জেরে গলায় ফাঁস দিয়ে মারা গেছেন। বিষয়টি বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে।ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।