খুঁজুন
শনিবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০২৫, ৪ মাঘ, ১৪৩১

যানজট নিরসনে সর্বদা তৎপর

গণপরিবহনে শৃঙ্খলায় টিকিট কাউন্টার স্থাপনের পরিকল্পনা মালিক সমিতির

মোঃ হাসানুজ্জামান, বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শনিবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০২৫, ৭:১৩ অপরাহ্ণ
গণপরিবহনে শৃঙ্খলায় টিকিট কাউন্টার স্থাপনের পরিকল্পনা মালিক সমিতির

সড়ক পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা আনয়ন ও ঢাকা মহানগরীর যানজট নিরসনে বৃহত্তর মিরপুর অঞ্চলের পরিবহনের মালিক, চালক ও চালকের সহকারীদের সঙ্গে সচেতনতামূলক আলোচনা সভা করেছে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। আজ শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর মিরপুর ১ এর ৮ নম্বর ওয়ার্ড কমিউনিটি সেন্টারে এই সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জনাব সাইফুল আলম বলেন, ‘যুগের পর যুগ ঢাকার গণপরিবহন বিশৃংখল পরিস্থিতিতে চলছে। আমরা এই নৈরাজ্যের পরিবর্তন চাই। এ জন্য ঢাকার গণপরিবহন আধুনিকায়নে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করবো। যে পরিকল্পনা আমরাদের সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।’

তিনি বলেন, ‘সড়কে যত্রতত্র পার্কিং করার দায়ে পুলিশ গণপরিবহনের বিরুদ্ধে মামলা দেয়। কিন্তু শহরে বাস রাখার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা নেই। যাত্রী ওঠানামা করার জন্য পর্যাপ্ত স্ট্যান্ড নেই। আমরা চাই গাড়ি স্ট্যান্ড করার জন্য একটি নির্দিষ্ট জায়গা থাকবে এবং সেই জায়গাটিতে গাড়ি থামবে এবং সে জায়গাগুলো পুলিশ এবং আমাদের লোকজন দেখাশোনা করবে।’

কাউন্টার সিস্টেম না থাকায় যত্রতত্র যাত্রী গণপরিবহনে ওঠানামা করায় নগরে যানজট সৃষ্টি হয় জানিয়ে সাইফুল আলম বলেন, ‘কাউন্টার সিস্টেম থাকলে একটা নির্দিষ্ট জায়গা থেকে যাত্রী ওঠানামা করতে পারবেন। ফলে যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামা এবং গাড়ি পার্কিং বন্ধ হবে। আর সড়কের ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলতে দেওয়া হবে না। এর নিয়মগুলো মানলে আমাদের গণপরিবহনের শৃঙ্খলা আসবে।’

অনুষ্ঠানে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক উত্তর) আবু সুফিয়ান বলেন, ‘পরিবহণে শৃঙ্খলা ফেরাতে এমন সচেতনতামূলক আলোচনা সভা জরুরি ভূমিকা রাখতে পারে। কেননা সড়কে শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে চালকদের মধ্যে আইন মেনে চলার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। এই ধরণের সভা তাদের সচেতন করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে।’

মালিক-শ্রমিকদের সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘সড়কে সৃঙ্খলা ফেরাতে মালিক শ্রমিকদের সঙ্গে কাজ করতে সব সময় ট্রাফিক বিভাগ প্রস্তুত। কারণ ছাড়া পরিবহণের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া আমাদের কখনোই উদ্দেশ্য নয়। মামলা দেয়া হয় যাতে পরবর্তীতে একই ভুল না করে। কিন্তু আমাদের অবস্থা হচ্ছে-একই ভুল আমরা বার বার করছি। এতে করে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমি মনে করি সবাই মিলে কাজ করলে যানজট নিরসন ও সড়ক দুর্ঘটনা কমানো সম্ভব।’

ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি এম এ বাতেনের সভাপতিত্ব ও সংগঠনটির দপ্তর সম্পাদক কাজী মো. জোবায়ের মাসুদের সঞ্চালনায় সচেতনতামূলক সভায় ডিএমপির যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-উত্তর) আবু সুফিয়ান, উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-মিরপুর ও মোহাম্মদপুর) রফিকুল ইসলাম প্রমূখ বক্তব্য দেন।

মো: আলীমুজ্জামান অর্জন করলেন Leadership Excellence Award 2024

মোঃ হাসানুজ্জামান ,বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শনিবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০২৫, ১১:২৭ অপরাহ্ণ
মো: আলীমুজ্জামান অর্জন করলেন Leadership Excellence Award 2024

দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও ব্যবসায়িক স্বচ্ছতা বৃদ্ধিতে অসামান্য অবদান রাখার স্বীকৃতি স্বরুপ “Leadership Excellence Award 2024” অর্জন করেছেন দ্যা রিয়েল কনসালটেন্ট-এর লিড কনসালটেন্ট মো: আলীমুজ্জামান।

Global Star Communication আয়োজিত এই পুরস্কার তার নেতৃত্বে ভ্যাট সচেতনতা বৃদ্ধির নিরলস প্রচেষ্টার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। মো: আলীমুজ্জামান দীর্ঘদিন ধরে ভ্যাট প্রদানের প্রক্রিয়া সহজতর করতে বিভিন্ন সেমিনার, প্রশিক্ষণ ও পরামর্শমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন।

এছাড়া তার উদ্যোগে চালু হওয়া অনলাইন পোর্টাল “ভ্যাটবন্ধু নিউজ” ভ্যাট সংক্রান্ত তথ্যের নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।

ভবিষ্যতে “মিশন ২০৩০” বাস্তবায়নের মাধ্যমে ভ্যাট ব্যবস্থাকে আরও আধুনিক ও কার্যকর করতে তার পরিকল্পনায় রয়েছে কাস্টমাইজড প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা এবং সেক্টরভিত্তিক গাইডলাইন প্রণয়ন।

এই অর্জনের মাধ্যমে তিনি দেশের ভ্যাট ব্যবস্থার উন্নয়নে আরও বড় ভূমিকা রাখবেন বলে প্রত্যাশা।

১৭ জানুয়ারি ২০২৫ হোটেল হলিডে ইন এ উক্ত Leadership Excellence Award 2024-এর অনুষ্ঠানে দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। এদের মধ্যে ছিলেন সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান, ই-ক্যাব সভাপতি শমী কায়সার এবং জেসিআই বাংলাদেশের ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট তানভীর আরাফাত।

অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন Global Star Communication-এর সিইও শামীম রেজা। এ সময় মো: আলীমুজ্জামানের অর্জনকে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

সিরাজগঞ্জে “তারুণ্যের উৎসব” উপলক্ষ্যে আন্তঃ উপজেলা ভলিবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন

রেজাউল করিম স্টাফ রিপোর্টার,, সিরাজগঞ্জঃ
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২৫, ১০:৩৩ অপরাহ্ণ
সিরাজগঞ্জে “তারুণ্যের উৎসব” উপলক্ষ্যে আন্তঃ উপজেলা ভলিবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে, যুব ও ক্রীড়া  মন্ত্রণালয় আয়োজিত জেলা প্রশাসনের বাস্তবায়নে, “এসো দেশ বদলাই,পৃথিবী বদলাই”, এই শ্লোগান নিয়ে তারুণ্যের উৎসব-২০২৫ উপলক্ষ্যে সিরাজগঞ্জে আন্তঃউপজেলা ভলিবল টুর্নামেন্টের খেলার শুভ উদ্বোধন করা হয়।

জেলার সিরাজগঞ্জ সদর, কামারখন্দ, কাজিপুর, রায়গঞ্জ, উল্লাপাড়া, তাড়াশ, শাহজাদপুর, বেলকুচি,  চৌহালী এই নয় উপজেলা আন্তঃ উপজেলা ভলিবল টূর্নামেন্টে অংশ গ্রহণ করে।

নকআউট পদ্ধতিতে এ ভলিবল টুর্নামেন্ট শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল ৯ টার দিকে সিরাজগঞ্জ পৌরশহরের শহীদ শামসুদ্দিন স্টেডিয়াম মাঠে উক্ত ভলিবল টুর্নামেন্টের শুভ উদ্বোধন করেন, সুযোগ্য জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম। 

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মোঃ জিয়াউর রহমান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) গনপতি রায় প্রমুখ।

এ সময়ে সন্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মনোয়ার হোসেন, সহকারী কমিশনার ফজলে রাব্বি, জেলা ক্রীড়া অফিসার নুরে এলাহী, শাহজাদপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহাদাৎ হোসেন, তাড়াশ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আব্দুস ছালাম, সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি সিরাজগঞ্জ-১ কাজিপুর আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী সংগ্রামী জননেতা নাজমুল হাসান তালুকদার রানা, সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ হারুন অর রশিদ খান হাসান, ভলিবল সংগঠক রাশেদ কবীর চান্দু, ক্রীড়া সংগঠক আলামিন।

খেলা পরিচালনা করেন, রেফারি আব্দুল্লাহ আল মামুন ও ক্রীড়াবিদ হাফিজুর রহমান হাফিজ এবং খেলার ধারাবর্ণনায় উল্লাপাড়া উপজেলার গজাইল অনার্স কলেজের প্রভাষক মোঃ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ও মোঃ হামিদুল হক খোকন।

এ আন্তঃ উপজেলা ভলিবল প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী দিনে খেলায় কাজিপুর উপজেলা প্রথম খেলায় রায়গঞ্জ উপজেলাকে ২-০ সেটে পরাজিত করে এবং অপর খেলায় সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা ২-১সেটে শাহজাদপুর উপজেলাকে পরাজিত করেছে।

বাছুর দেওয়ার কথা বলে ফটোসেশন, খিচুড়ি খাইয়ে বিদায় দিল এনজিও

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২৫, ৭:০৩ অপরাহ্ণ
বাছুর দেওয়ার কথা বলে ফটোসেশন, খিচুড়ি খাইয়ে বিদায় দিল এনজিও

পাবনায় হতদরিদ্রদের মাঝে উন্নত জাতের বাছুর বিতরণ প্রকল্পের নামে বরাদ্দ ৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। প্রকল্প অনুযায়ী সুফলভোগী ১০ জন নারীকে একটি করে গরুর বাছুর দেওয়ার কথা থাকলেও শুধু ফটোসেশন করার ভয়ংকর প্রতারণার তথ্য পাওয়া গেছে।

গরুর বাছুর দেওয়ার কথা বলে ডেকে এনে শুধু ফটোসেশন করায় হতাশ ওই সকল দুঃস্থ নারীরা। ফটোসেশনের দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও তাদের গরুর বাছুর বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। যা নিয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ সবাই।

এ ঘটনায় প্রকল্পের টাকা পুরোটাই কৌশলে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠান প্রধানের বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি পাবনার চাটমোহর উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের রেলবাজার এলাকার “মানবসেবা উন্নয়ন সংস্থা” নামের বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক এম এস আলম বাবলুর বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়রা ব্যাপক সমালোচনা করছেন।

ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী জানান, গত ৩০ ডিসেম্বর সকালে বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশনের (বিএনএফ) আর্থিক সহায়তায় মানবসেবা উন্নয়ন সংস্থা এনজিও’র উদ্যোগে দশজন দুস্থ নারীকে বাছুর দেওয়ার কথা বলে রেলবাজারে নিয়ে আসা হয়।

নিজের পরিচিত একটি খামার থেকে দশটি বাছুর গাড়িতে করে নিয়ে আসেন এনজিওটির নির্বাহী পরিচালক এম এস আলম বাবলু। এরপর এলাকার কিছু ব্যক্তিকে তার বাসভবন সংলগ্ন এনজিও’র সামনে ডেকে এনে দশজন নারীকে দাঁড় করিয়ে গরু দেওয়ার ফটোসেশন করেন।
পরে ওই দুস্থ নারীদের বাছুর না দিয়ে খিচুড়ি-ডিম খাইয়ে বিদায় করা হয়। এরপর বাছুরগুলো আবার একই গাড়িতে করে একই খামারে ফেরত দিয়ে আসা হয়।সেখানে উপস্থিত অনেকেই গরু প্রদানের বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাহী পরিচালক বাবলু জানান পরে দেওয়া হবে।

কুবিরদিয়ার মাঠপাড়া গ্রামের আলম হোসেনের মেয়ে খুশি খাতুন স্বামী পরিত্যক্তা হওয়ার পর বাবার বাড়িতে এক ছেলে এক মেয়ে নিয়ে বসবাস করেন। অন্যের বাড়িতে ও মাঠে দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালাতেন। তিনি বলেন, ’প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা বলে আমাকে ডেকে নিয়ে যায় ওই এনজিওর লোকজন। বাছুর হাতে ধরিয়ে ছবি তোলেন তারা, কিন্তু আমাকে বাছুর দেয় নাই।

বলছে, এবার অন্য এলাকার লোকদের দেব, পরেরবার তোমাকে দেব। পরে খিচুরি খাওয়ার পর বাড়িতে চলে আসি। তবে এর আগে একবার আমাকে একটা ছাগল দিয়েছিল বাবলু কাকা। তবে সেজন্য আমার কাছ থেকে নগদ ১৩০০ টাকাও নিয়েছিল।’

অন্যের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালানো অপর এক নারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমাদের গাভী দেবার কথা বলে ট্রেনিংয়ে ডেকে নিয়ে যান এনজিওর লোকজন। ট্রেনিং শেষে আমাদের বাছুর হাতে দিয়ে ছবি তুলে বাড়িতে ফেরত পাঠিয়েছেন। তারা বলছেন, এখন না, পরে বাছুর দেব। সেখানে আমরা দশজন ছিলাম, এখন পর্যন্ত বাছুর পাইনি।’

যে গাড়িতে বাছুরগুলো বহন করা হয়, সেই গাড়ি চালক শুভ দাস বলেন, ‘ওইদিন আমার গাড়ি নিয়ে মথুরাপুর এলাকার একটি গরুর খামার থেকে ১০টা বাছুর নিয়ে রেলবাজার বাবলু সাহেবের বাসার সামনে নিয়ে যাই, পরে অনুষ্ঠান শেষে ওখান থেকে ওই বাছুরগুলো আবার মথুরাপুরের ওই খামারে ফেরত নিয়ে যাই। কেন নিল আবার কেনইবা ফেরত পাঠালো আমি জানি না।’

এ বিষয়ে চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুসা নাসের চৌধুরী বলেন, ‘আমাকে ওই অনুষ্ঠানে অতিথি করা হয়েছিল। কিন্তু ব্যস্ততার কারণে যেতে পারিনি। প্রকল্পটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানা নেই। যদি শুধু ফটোসেশন করা হয় তদন্তসাপেক্ষে প্রত্যয়নপত্র দেওয়া হবে।’

বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশনের (বিএনএফ) উপ-মহাব্যবস্থাপক (কর্মসূচি) মোস্তফা কামাল ভূঞা বলেন, ‘বিশেষ প্রকল্পের আওতায় মানবসেবা উন্নয়ন সংস্থা নামের এনজিওকে আমরা ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছি। তার মধ্যে প্রাথমিকভাবে ৩ লাখ টাকা দিয়েছি। কার্যক্রমে সন্তোষজনক হলে বাকি ২ লাখ টাকা দেওয়া হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নের রিপোর্টে ইউএনও’র প্রত্যয়ন লাগবে। কয়েক দিনের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়নের রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা রয়েছে। এখনও তার রিপোর্ট হাতে পাইনি। আমরা বিষয়টি পর্যক্ষেণ করছি। রিপোর্ট আসার পর যাচাই-বাছাই করে দেখব, ঘাপলা পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এ বিষয়ে বিতর্কিত মানবসেবা উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক এম এস আলম বাবলু বলেন, ‘স্থানীয় রাজনীতির স্বীকার আমি। আমি কোনো খামার থেকে গরু আনি নাই। আমি শরৎনগর হাট থেকে বাছুর কিনেছি। যার রশিদ আমার কাছে আছে।’

এখানে কোনো অনিয়ম হয়নি বলেও দাবি করেন তিনি।