খুঁজুন
সোমবার, ২ জুন, ২০২৫, ১৯ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

রাজধানীতে বৃহত্তর কাশিনাথপুর সোসাইটি’র পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ

আব্দুল্লাহ আল মোত্তালিব
প্রকাশিত: শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫, ৯:৪৭ অপরাহ্ণ
রাজধানীতে বৃহত্তর কাশিনাথপুর সোসাইটি’র পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ

শুক্রবার(১০ জানুয়ারি)সামাজিকদ্বায়বদ্ধতা থেকে সেবামূলক কার্যক্রমে ধারাবাহিকতায় ঢাকাস্থ বৃহত্তর কাশিনাথপুর সোসাইটি এর পক্ষ থেকে বৃহত্তর কাশিনাথপুর এলাকার ৮টি এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিং মাদ্রাসায় শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।

পাবনা জেলার আমিনপুর থানার নান্দিয়ারা দারুল উলুম কাওমিয়া হাফিজিয়া বাতেনিয়া মাদ্রাসা, নগরবাড়ি শ্রীনিবাশদিয়া ইউসুফিয়া নূরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা,সৈয়দপুর মালেক মিয়া এতিমখানা,নয়াবাড়ি জামিয়া মাদানিয়া আকমালুল উলুম ক্বওমী মাদ্রাসা, আহাম্মদপুর উত্তরপাড়া মদিনাতুল উলুম হাফিজিয়া মাদ্রাসা।

সাথিয়া থানার সমাসনারী জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম হাফিজিয়া কাওমিয়া মাদ্রাসা লিল্লাহ বোর্ডিং ও এতিমখানা,পাইকরহাটি এতিমখানা ও মাদ্রাসা, কাশিনাথপুর কারিমিয়া বহুমুখী মাদ্রাসার কয়েকশত এতিম ও শিক্ষার্থীর মাঝে শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ করা হয়।

উক্ত প্রোগ্রাম এ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর প্রধানগন উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও ঢাকাস্থ বৃহত্তর কাশিনাথপুর সোসাইটি এর পক্ষে উপস্থিত থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন কবি ও গীতিকার জনাব হুমায়ন কবির,মোঃ আসাদুজ্জামান সুজন,মোঃজাহাঙ্গীর হোসেন,মোঃতোফায়েল আহমেদ সিন্টু,মোঃ মাসুদুর রহমান রিপন,মোঃ সোহেল আহমেদ জিন্নাহ,এএনএম শফিকুল করিম তনু, মোঃ সাব্বির আহমেদ সবুজ,সজীব মৃধা,শাকিল হোসেন তনু,মোঃ আব্দুল্লাহ, মোঃ সাকিব হোসেন সাকিল,মোঃসাদ মাহমুদ।প্রোগ্রামটি সার্বিকভাবে পরিচালনা করেন মোঃশাহীদুল ইসলাম।

উল্লেখ্যঃ-ঢাকায় অবস্থানকারী পাবনা জেলার বৃহত্তর কাশিনাথপুর (আংশিক সাথিয়া,বেড়া আমিনপুর ও সুজানগর উপজেলা) অধিবাসীদের পারস্পরিক যোগাযোগ, সহযোগিতা ও প্রয়োজনীয় তথ্য আদান প্রদান,এলাকার সকলের সাথে মেলবন্ধন তৈরি এনং বিভিন্ন ধরনের সামাজিক সেবামূলক সহযোগিতা মূলক কার্যক্রমের উদ্দেশ্যে ঢাকাস্থ বৃহত্তর কাশিনাথপুর সোসাইটি নামে একটি অরাজনৈতিক সংগঠন গঠন করে।

তারই ধারাবাহিকতা বেশ কয়েকবার প্রোগ্রাম করে ঢাকায় ইফতার মাহফিল,দেশের গতবছরের বন্যায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর কাছে ঢাকাস্থ বৃহত্তর কাশিনাথপুর সোসাইটি এর পক্ষ থেকে খাবার প্রদান,বৃহত্তর কাশিনাথপুর এলাকায় ঈদে দূস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ উল্লেখযোগ্য।

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২ জুন, ২০২৫, ৮:০৬ অপরাহ্ণ
১

গাজায় ক্ষুধার্ত মানুষের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর গুলি, নিহত ৫০

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২ জুন, ২০২৫, ৯:১৫ পূর্বাহ্ণ
গাজায় ক্ষুধার্ত মানুষের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর গুলি, নিহত ৫০

গাজার দক্ষিণাঞ্চলের রাফাহ শহরের পশ্চিমে আল-মাওয়াসি এলাকায় মানবিক সহায়তা নিতে আসা বেসামরিক মানুষের ওপর ইসরায়েলি বাহিনী গুলি চালালে অন্তত ৫০ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ২০০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। রোববার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, নিহতদের মধ্যে ২৮ জনের মরদেহ খান ইউনুস শহরের নাসের হাসপাতালে ও ২১ জনকে রেডক্রসের ফিল্ড হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে আরও দুই শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।

Walton

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল থেকেই গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন পরিচালিত একটি ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রের সামনে প্রচুর মানুষ জড়ো হন। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এই সংস্থাটিকে ইসরায়েলের সমর্থন রয়েছে বলে জানানো হয়।

মানুষ যখন ত্রাণ নিতে এগিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন ইসরায়েলি সামরিক যান থেকে গুলি চালানো হয় এবং ড্রোন থেকে বিস্ফোরক ফেলা হয়। এতে ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটে।

একজন চিকিৎসা কর্মকর্তা জানান, ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রের আশপাশের পরিস্থিতি ছিল ‘চরমভাবে বিপজ্জনক’। গুলির কারণে অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়ে, অনেকে ঘোড়ার গাড়ি বা ঠেলাগাড়িতে আহতদের নিয়ে যান।

কিছু প্রত্যক্ষদর্শী জানান, একই সময়ে গাজার নেটজারিম করিডোরের কাছে আরেকটি মার্কিন সহায়তা কেন্দ্রে জড়ো হওয়া মানুষের ওপরও গুলি চালায় ইসরায়েলি বাহিনী।

নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের আল-আউদা হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বুরেইজ শরণার্থী শিবিরের কাছে সহায়তার জন্য জড়ো হওয়া মানুষদের লক্ষ্য করে গুলি চালালে অন্তত একজন নিহত ও ২০ জন আহত হন।

এদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র আভিচাই আদ্রে করেছেন, ত্রাণ সহায়তা বিতরণকেন্দ্রে সেনাবাহিনীর গুলিতে হতাহতের কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই। তিনি বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে।

গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস এক বিবৃতিতে জানায়, মানবিক সহায়তাকে ইসরায়েল একটি কৌশলগত অস্ত্রে পরিণত করেছে। যা দিয়ে তারা না খেয়ে থাকা মানুষদের ব্ল্যাকমেইল করছে। ক্ষুধার্তদের ইচ্ছাকৃতভাবে খোলা ময়দানে জমায়েত করে হত্যার নিশানায় পরিণত করছে।

ইসরায়েল দক্ষিণ ও মধ্য গাজায় চারটি ত্রাণ বিতরণকেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা করেছে, যেগুলোর মাধ্যমে তারা মূলত গাজার উত্তরের বাসিন্দাদের দক্ষিণে ঠেলে দিতে চাচ্ছে বলে ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে।

ইসরায়েলের আর্মি রেডিও এক প্রতিবেদনে বলেছে, এই সহায়তা বিতরণ পরিকল্পনার লক্ষ্য হলো গাজার উত্তরাঞ্চলকে সম্পূর্ণভাবে জনমানবহীন করে তোলা।

মার্কিন সমর্থিত এই সহায়তা পরিকল্পনা ফিলিস্তিনিদের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে।

ইসরায়েল গত ২ মার্চ থেকে গাজার সব সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ রেখেছে। যার ফলে খাদ্য, ওষুধ, জ্বালানি ও জরুরি পণ্য প্রবেশ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। এর ফলে ২৪ লাখ মানুষের বসবাসকারী এ ভূখণ্ডে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা ক্রমেই বাড়ছে।

২০২৩ সালের অক্টোবরে শুরু হওয়া ইসরায়েলি অভিযানে এ পর্যন্ত প্রায় ৫৪ হাজার ৪০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

গত নভেম্বরে গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

এছাড়া গাজায় বেসামরিক মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যার অভিযোগে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতেও একটি মামলা চলছে।

আজ থেকে ১১ ব্যাংকে মিলবে নতুন টাকা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২ জুন, ২০২৫, ৯:১৩ পূর্বাহ্ণ
আজ থেকে ১১ ব্যাংকে মিলবে নতুন টাকা

ঈদুল আজহা সামনে রেখে আজ সোমবার (২ জুন) থেকে রাজধানীর নির্দিষ্ট ১১টি ব্যাংকের শাখায় সীমিত পরিসরে শুরু হয়েছে নতুন টাকা বিনিময়ের কার্যক্রম।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, ‘বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপত্য’ থিমে তৈরি নতুন সিরিজের ১ হাজার, ৫০ ও ২০ টাকা মূল্যমানের নোট আজ থেকেই বাজারে ছাড়ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

প্রথমবারের মতো গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের স্বাক্ষরিত এসব নোট রাজধানীতে কিছু বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখা থেকে গ্রাহকদের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে। তবে পর্যাপ্ত মজুত না থাকায় ঈদের আগে রাজধানীর বাইরে নতুন নোট পাঠানো সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের যোগাযোগ ও প্রকাশনা বিভাগ (ডিসিপি) জানায়, নতুন এই নোট প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিস ছাড়াও সোনালী, জনতা, অগ্রণী, পূবালী, উত্তরা, রূপালী, ডাচ-বাংলা, ইসলামী, আল-আরাফাহ ইসলামী, ব্র্যাক এবং ইস্টার্ন ব্যাংকের নির্দিষ্ট শাখা থেকে সংগ্রহ করা যাবে। কোন শাখাগুলোতে নতুন টাকা দেওয়া হবে, তা সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলো নিজেরাই নির্ধারণ করবে।

এ ছাড়া নতুন ডিজাইন ও থিমে তৈরি অন্যান্য মূল্যমানের নোট—১০০, ২০০, ৫০০, ১০, ৫ ও ২ টাকার নোটও পর্যায়ক্রমে বাজারে ছাড়া হবে।

এদিকে মুদ্রা সংগ্রাহকদের জন্যও থাকছে বিশেষ সুযোগ। তাদের জন্য ছাপানো হয়েছে নমুনা (নন-এক্সচেঞ্জেবল) সংস্করণের ১০০০, ৫০ ও ২০ টাকার নোট। এগুলো নির্ধারিত মূল্যে মিরপুরের বাংলাদেশ ব্যাংক জাদুঘর থেকে সংগ্রহ করা যাবে।

চলমান সব ধরনের কাগুজে নোট ও ধাতব মুদ্রা আগের মতোই প্রচলনে থাকবে বলে নিশ্চিত করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।