খুঁজুন
বুধবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৫, ১০ বৈশাখ, ১৪৩২

বিএনপির লোকজন আ.লীগের আমলে বঞ্চিত হয়েছে, এখনও হচ্ছে: রিজভী

মহানগর প্রতিনিধি, ঢাকা
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারি, ২০২৫, ৭:৫৩ অপরাহ্ণ
বিএনপির লোকজন আ.লীগের আমলে বঞ্চিত হয়েছে, এখনও হচ্ছে: রিজভী

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও বিশেষ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিশেষ দল দখল করে নিয়েছে। সমস্ত বড় বড় ইউনিভার্সিটিগুলো জামাতিকরণ করা হয়েছে। পত্রিকায় নিউজ হয়েছে। এটা অত্যন্ত ভয়ংকর বিষয়। বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বে জামাত চেতনার লোকজনকে বসানো হয়েছে। আমাদের সমর্থিত লোকজন যেমনিভাবে আওয়ামী লীগের আমলে বঞ্চিত হয়েছে, তেমনিভাবে এখনও হচ্ছে।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের অডিটোরিয়ামে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিইএব) আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

রিজভী বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) বলেছে, রাষ্ট্র এবং সরকারের বিরুদ্ধে কিছু বলা যাবে না। এগুলো তো হাসিনার কথার প্রতিধ্বনি। হাসিনা সরকার এবং রাষ্ট্রকে এক করে দিয়েছে। এই সরকার তো গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ফসল। আর গণতন্ত্র মানেই হচ্ছে, আলোচনা-সমালোচনা, তীব্র সমালোচনা হবে এবং সরকার সব শ্রবণ করবে। এরপরে জনকল্যাণের পক্ষে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার, সে সিদ্ধান্ত দৃঢ়তার সঙ্গে বাস্তবায়ন করবে, এটাই তো সরকার। এরপর হচ্ছে রাষ্ট্র। রাষ্ট্রের বিরোধিতা অপরাধমূলক। কিন্তু, সরকারের বিরোধিতা তো অপরাধমূলক নয়। সরকারের বিরুদ্ধে যত সমালোচনা হবে, সেই সরকার যদি সৎ এবং জনগণের মুখাপেক্ষীর সরকার হয়, তাহলে সেই সরকার তো সমালোচনাকে আমন্ত্রণ করবে। অথচ মাউশি বলে দিলো সরকার এবং রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কিছু বলা যাবে না।

বিএনপির এই সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, একটি রাজনৈতিক দল নানাভাবে মনে করছেন, জুলাই-আগস্টের বিজয় শুধু তাদের। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, তাদের সরকার। আমাদের মনে হয়, কোনো করণীয় ছিল না। কোনো অবদান নেই। আমরা ১/১১ সরকারকে বলতাম সেনা সমর্থিত সরকার। আর এখন অনেকেই বলছেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সেই বিশেষ দল সমর্থিত সরকার। বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে সেটা প্রমাণিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, জনপ্রশাসনের সচিবের নামে কোটি টাকার দুর্নীতির ঘটনা এসেছে। তারপরও সে কি করে সেখানে বহাল থাকে? এ ধরনের একটা ঘটনা জানার পরেও, উনি কি করে জনপ্রশাসনের সচিব হিসেবে রয়েছেন?

সচিবালয়ে পুরোনো দোসররা বহাল রয়েছে উল্লেখ করে তিনি রিজভী বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে বিপ্লবী সরকার হওয়ার কথা ছিল। সমস্ত দোসরদেরকে উৎপাটন করে জনগণের পক্ষে যারা দাঁড়িয়েছিল তাদেরকে দিয়েই তো প্রশাসন চলার কথা। কিন্তু সেই দোসররা আবার সচিবালয়ের ভেতর মিছিল করে, দাবিদাওয়া পেশ করে। তারা মনে করছে এটা তাদের ন্যায্য পাওনা। পৃথিবীর বহুদেশে বিপ্লবের পর থেকে নতুন কাঠামো তৈরি করে সেখানে নতুন প্রশাসনিক ব্যবস্থা হয়েছে। আজ কি করে সচিবালয়ের ভেতরে সেই পুরোনো দোসরদের লোকেরা আন্দোলন করে এবং ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয়? এটাতো জনগণ প্রত্যাশা করেনি।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, এই সরকার ভ্যাট-ট্যাক্স আরোপ করলেন। গণবিরোধী আমলাদের পরামর্শে এটা হয়েছে।

শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, রাষ্ট্র সমাজ থেকে নীতি নৈতিকতা একেবারে উপড়ে ফেলে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর এত জায়গা জমি লাগবে কে? ২৮ লক্ষ কোটি টাকা পাচার করতে হবে কেন? কিন্তু তিনি করেছেন। এগুলো যদি না করতেন, তাহলে টিকে থাকতে পারতেন। তাকে পালাতে হতো না। কারণ, ওনার মনের মধ্যে তো ভয় আছে। তিনি আয়নাঘর করেছেন, ক্রস ফায়ার করেছেন। শুধুমাত্র তার পথের কাঁটা সরানোর জন্য এগুলো করেছেন। ছেলের জন্য, আত্মীয় স্বজনদের জন্য কাঠার পর কাঠা সরকারি প্লট আত্মসাৎ করেছেন। সরকারি প্লট যাদের আছে, তারা বাড়ি-ঘর নিতে পারে না। ওদের প্রত্যেকেরই বাড়ি-ঘর আছে। পূর্বাচলে নাকি টিউলিপেরও জমি আছে। যে কিনা ব্রিটেনের এমপি এবং মন্ত্রী ছিলেন। উন্নত দেশে থেকে, উন্নত নৈতিকতার মানুষ হয়েও রক্তের যে জেনিটিক্যাল ধারা রয়েছে, সেখানে থেকে বেরিয়ে আসতে পারেননি।

তিনি আরও বলেন, জুলাই-আগস্টে যে জনস্রোতের তারল্য সৃষ্টি হয়েছে, এর ভিত্তি রচনা করেছেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং দেশ নায়ক তারেক রহমান। বেগম খালেদা জিয়া শেখ হাসিনার সঙ্গে কখনোই আপোষ করেননি।

অনুষ্ঠানের ডিইএবর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি প্রকৌশলী মো. হানিফ সভাপতিত্ব করেন। এ সময় আরও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়াপারসনের উপদেষ্টা মো. হাবিবুর রহমান হাবিব, বিএনপির সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. পারভেজ রেজা কাকনসহ অন্যান্যরা।

বেলকুচিতে ছাত্রদলের উদ্যোগে বিশুদ্ধ পানি ও স্যালাইন বিতরণ

রেজাউল করিম স্টাফ রিপোর্টার,সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: বুধবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৫, ২:১২ পূর্বাহ্ণ
বেলকুচিতে ছাত্রদলের উদ্যোগে বিশুদ্ধ পানি ও স্যালাইন বিতরণ

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে ছাত্রদলের উদ্যোগে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের মাঝে বিশুদ্ধ পানি ও স্যালাইন বিতরণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সকালে বেলকুচি উপজেলা ছাত্রদলের উদ্যোগে প্রচন্ড গরমের কারণে বেলকুচির আলহাজ্ব সিদ্দিক উচ্চ বিদ্যালয় ও সোহাগপুর শ্যামকিশোর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষার কেন্দ্রের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মাঝে বিশুদ্ধ পানি ও স্যালাইন বিতরণ করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি তারেক আরফান, জেলা ছাত্রদলের
সহ-সভাপতি আতিকুর রহমান, বেলকুচি উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ন আহ্বায়ক এস,এম রানা, পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাহরিয়ার আহমেদ, সিনিয়র যুগ্ন আহ্বায়ক শাহীন রেজা, বেলকুচি সরকারি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ন আহ্বায়ক রোমান রিয়াদ, পৌর ছাত্রনেতা মাসুদ,,নাজমুল, শাহেদ,নাইম,বরকত উল্লাহ সহ বেলকুচি উপজেলা ও পৌর ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ।

সিংড়ায় ২৭৬০ জন কৃষক পেল বিনামূল্যে সার ও বীজ

মোঃ কুরবান আলী, সিনিয়র রিপোর্টার
প্রকাশিত: বুধবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৫, ২:১১ পূর্বাহ্ণ
সিংড়ায় ২৭৬০ জন কৃষক পেল বিনামূল্যে সার ও বীজ

নাটোরের সিংড়ায় ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে খরিপ-১/ ২০২৫-২৬ মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ২ হাজার ৭৬০ জন কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে পাট, উফশী আউশ ধানের বীজ ও সার বিতরণ কাজের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।

সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপুর ১টায় উপজেলা কৃষি হলরুমে বিতরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম।

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা খন্দকার ফরিদ, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. শাহাদত হোসেন, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান প্রমুখ।

উল্লেখ্য, ২৬০ জন পাটচাষীকে ১ কেজি করে বীজ ও ১০ কেজি করে সার এবং ২৫০০ জন ধানচাষীকে ৫ কেজি করে আউশ ধানের বীজ ও ২০ কেজি করে সার দেওয়া হয়।

রাষ্ট্রপতিরা কতজনের দণ্ড মওকুফ করেছেন, জানতে চায় হাইকোর্ট

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫, ৭:০৪ অপরাহ্ণ
রাষ্ট্রপতিরা কতজনের দণ্ড মওকুফ করেছেন, জানতে চায় হাইকোর্ট

বিগত ৩৩ বছরে দায়িত্বে থাকা রাষ্ট্রপতিরা কতজনের দণ্ড মাফ করেছেন, তার তালিকা প্রকাশের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আজ সোমবার বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার যৌথ হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার ওমর ফারুক।

এর আগে, ১৯৯১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের জুলাই পর্যন্ত সাড়ে ৩৩ বছরে দায়িত্বে থাকা রাষ্ট্রপতিরা কতজনের দণ্ড মওকুফ করেছেন, তা জানতে চেয়ে গত ২৫ আগস্ট মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের জনবিভাগের সচিবের কাছে আইনি নোটিশ পাঠান তিনি।

ওই নোটিশে বলা হয়, ১৯৯১ সাল থেকে চলতি বছরের ৩১ জুলাই পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে কতজন দণ্ড পাওয়া আসামির কারাদণ্ড স্থগিত বা মওকুফ করেছেন, সেই তালিকা ১৫ দিনের মধ্যে দেওয়ার অনুরোধ জানানো হলো।

নোটিশে আরও বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি কীভাবে, কোন প্রক্রিয়ায়, কাদের সুপারিশ বা তদবিরে দাগী, ঘৃণিত, কুখ্যাত সাজাপ্রাপ্তদের ক্ষমা করেছেন, তা জানার অধিকার আছে। কয়েক বছর ধরে রাষ্ট্রপতি বহু অপরাধী, হত্যা মামলার দণ্ডপ্রাপ্তদের ক্ষমা করেছেন। রাষ্ট্রপতির ক্ষমা পেয়ে মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন দণ্ড পাওয়া অপরাধীরা জেল থেকে বেরিয়ে আবার মাফিয়া ডন হিসেবে সমাজে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। রাষ্ট্রপতি কোন প্রক্রিয়ায় সাজাপ্রাপ্তদের দণ্ড মওকুফ করেন, দণ্ড মওকুফের মানদণ্ড কী, সেটা মানুষের জানা দরকার।

কিন্তু, নোটিশের জবাব না পেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার ওমর ফারুক।