খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০২৫, ১৬ মাঘ, ১৪৩১

বিএনপির লোকজন আ.লীগের আমলে বঞ্চিত হয়েছে, এখনও হচ্ছে: রিজভী

মহানগর প্রতিনিধি, ঢাকা
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারি, ২০২৫, ৭:৫৩ অপরাহ্ণ
বিএনপির লোকজন আ.লীগের আমলে বঞ্চিত হয়েছে, এখনও হচ্ছে: রিজভী

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও বিশেষ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিশেষ দল দখল করে নিয়েছে। সমস্ত বড় বড় ইউনিভার্সিটিগুলো জামাতিকরণ করা হয়েছে। পত্রিকায় নিউজ হয়েছে। এটা অত্যন্ত ভয়ংকর বিষয়। বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বে জামাত চেতনার লোকজনকে বসানো হয়েছে। আমাদের সমর্থিত লোকজন যেমনিভাবে আওয়ামী লীগের আমলে বঞ্চিত হয়েছে, তেমনিভাবে এখনও হচ্ছে।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের অডিটোরিয়ামে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিইএব) আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

রিজভী বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) বলেছে, রাষ্ট্র এবং সরকারের বিরুদ্ধে কিছু বলা যাবে না। এগুলো তো হাসিনার কথার প্রতিধ্বনি। হাসিনা সরকার এবং রাষ্ট্রকে এক করে দিয়েছে। এই সরকার তো গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ফসল। আর গণতন্ত্র মানেই হচ্ছে, আলোচনা-সমালোচনা, তীব্র সমালোচনা হবে এবং সরকার সব শ্রবণ করবে। এরপরে জনকল্যাণের পক্ষে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার, সে সিদ্ধান্ত দৃঢ়তার সঙ্গে বাস্তবায়ন করবে, এটাই তো সরকার। এরপর হচ্ছে রাষ্ট্র। রাষ্ট্রের বিরোধিতা অপরাধমূলক। কিন্তু, সরকারের বিরোধিতা তো অপরাধমূলক নয়। সরকারের বিরুদ্ধে যত সমালোচনা হবে, সেই সরকার যদি সৎ এবং জনগণের মুখাপেক্ষীর সরকার হয়, তাহলে সেই সরকার তো সমালোচনাকে আমন্ত্রণ করবে। অথচ মাউশি বলে দিলো সরকার এবং রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কিছু বলা যাবে না।

বিএনপির এই সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, একটি রাজনৈতিক দল নানাভাবে মনে করছেন, জুলাই-আগস্টের বিজয় শুধু তাদের। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, তাদের সরকার। আমাদের মনে হয়, কোনো করণীয় ছিল না। কোনো অবদান নেই। আমরা ১/১১ সরকারকে বলতাম সেনা সমর্থিত সরকার। আর এখন অনেকেই বলছেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সেই বিশেষ দল সমর্থিত সরকার। বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে সেটা প্রমাণিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, জনপ্রশাসনের সচিবের নামে কোটি টাকার দুর্নীতির ঘটনা এসেছে। তারপরও সে কি করে সেখানে বহাল থাকে? এ ধরনের একটা ঘটনা জানার পরেও, উনি কি করে জনপ্রশাসনের সচিব হিসেবে রয়েছেন?

সচিবালয়ে পুরোনো দোসররা বহাল রয়েছে উল্লেখ করে তিনি রিজভী বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে বিপ্লবী সরকার হওয়ার কথা ছিল। সমস্ত দোসরদেরকে উৎপাটন করে জনগণের পক্ষে যারা দাঁড়িয়েছিল তাদেরকে দিয়েই তো প্রশাসন চলার কথা। কিন্তু সেই দোসররা আবার সচিবালয়ের ভেতর মিছিল করে, দাবিদাওয়া পেশ করে। তারা মনে করছে এটা তাদের ন্যায্য পাওনা। পৃথিবীর বহুদেশে বিপ্লবের পর থেকে নতুন কাঠামো তৈরি করে সেখানে নতুন প্রশাসনিক ব্যবস্থা হয়েছে। আজ কি করে সচিবালয়ের ভেতরে সেই পুরোনো দোসরদের লোকেরা আন্দোলন করে এবং ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয়? এটাতো জনগণ প্রত্যাশা করেনি।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, এই সরকার ভ্যাট-ট্যাক্স আরোপ করলেন। গণবিরোধী আমলাদের পরামর্শে এটা হয়েছে।

শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, রাষ্ট্র সমাজ থেকে নীতি নৈতিকতা একেবারে উপড়ে ফেলে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর এত জায়গা জমি লাগবে কে? ২৮ লক্ষ কোটি টাকা পাচার করতে হবে কেন? কিন্তু তিনি করেছেন। এগুলো যদি না করতেন, তাহলে টিকে থাকতে পারতেন। তাকে পালাতে হতো না। কারণ, ওনার মনের মধ্যে তো ভয় আছে। তিনি আয়নাঘর করেছেন, ক্রস ফায়ার করেছেন। শুধুমাত্র তার পথের কাঁটা সরানোর জন্য এগুলো করেছেন। ছেলের জন্য, আত্মীয় স্বজনদের জন্য কাঠার পর কাঠা সরকারি প্লট আত্মসাৎ করেছেন। সরকারি প্লট যাদের আছে, তারা বাড়ি-ঘর নিতে পারে না। ওদের প্রত্যেকেরই বাড়ি-ঘর আছে। পূর্বাচলে নাকি টিউলিপেরও জমি আছে। যে কিনা ব্রিটেনের এমপি এবং মন্ত্রী ছিলেন। উন্নত দেশে থেকে, উন্নত নৈতিকতার মানুষ হয়েও রক্তের যে জেনিটিক্যাল ধারা রয়েছে, সেখানে থেকে বেরিয়ে আসতে পারেননি।

তিনি আরও বলেন, জুলাই-আগস্টে যে জনস্রোতের তারল্য সৃষ্টি হয়েছে, এর ভিত্তি রচনা করেছেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং দেশ নায়ক তারেক রহমান। বেগম খালেদা জিয়া শেখ হাসিনার সঙ্গে কখনোই আপোষ করেননি।

অনুষ্ঠানের ডিইএবর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি প্রকৌশলী মো. হানিফ সভাপতিত্ব করেন। এ সময় আরও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়াপারসনের উপদেষ্টা মো. হাবিবুর রহমান হাবিব, বিএনপির সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. পারভেজ রেজা কাকনসহ অন্যান্যরা।

ধেয়ে আসছে বিশাল গ্রহাণু, আঘাত হানতে পারে শীঘ্রই

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০২৫, ১১:৩৪ পূর্বাহ্ণ
ধেয়ে আসছে বিশাল গ্রহাণু, আঘাত হানতে পারে শীঘ্রই

পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে বিশাল এক বিপদ। সম্প্রতি আবিষ্কৃত হয়েছে একটি গ্রহাণু, যার নাম ২০২৪ ওয়াইআর৪। ব্যাস প্রায় ৬০ মিটার (১৯৬ ফুট)। এই গ্রহাণু আগামী ২০৩২ সাল নাগাদ পৃথিবীর খুব কাছে চলে আসবে বলে শঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা।

বিষয়টি জানিয়েছে নাসার সেন্টার ফর নিয়ার আর্থ অবজেক্ট স্টাডিজ (সিএনইওএস)। তাদের তথ্য অনুযায়ী, ২০৩২ সালের ২২ ডিসেম্বর এটি পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে আসবে, সম্ভাব্য দূরত্ব ধরা হচ্ছে মাত্র ১,০৬,২০০ কিমি। তবে এর কক্ষপথের হিসাব-নিকাশে কিছুটা অনিশ্চয়তা থাকায় এটি সরাসরি পৃথিবীতে আঘাত হানার শঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই গ্রহাণুর পৃথিবীতে আঘাত হানার সম্ভাবনা ১/৮৩। যা ২০০৪ সালের পর থেকে আবিষ্কৃত গ্রহাণুগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এমনকি ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (ইএসএ) এবং নাসার সেনট্রি রিস্ক টেবিলে এটি ঝুঁকিপূর্ণ গ্রহাণুর তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে।

নাসার অ্যাটলাস প্রোজেক্টের টেলিস্কোপ প্রথম এটি শনাক্ত করে। পরে ক্যাটালিনা স্কাই সার্ভের পর্যবেক্ষণে নিশ্চিত করা হয়।

পৃথিবীবাসীর কি ভয় পাওয়া উচিত ?
এই গ্রহাণু নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই— জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এখনো পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এটি সম্ভবত পৃথিবীকে অতিক্রম করে চলে যাবে। নাসার গবেষক ডেভিড র‍্যাঙ্কিন বলেছেন, ‘মানুষকে এখনই ভয় পাওয়ার কিছু নেই। সম্ভাব্য প্রভাব খুবই কম, এবং সর্বোচ্চ সম্ভাবনা হলো এটি আমাদের পাশ কাটিয়ে চলে যাবে।’

পৃথিবীতে আঘাত হানলে কী ঘটতে পারে?
বিজ্ঞানীদের মতে, এটি হয় বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে একটি বিশাল ‘এয়ারবার্স্ট’ সৃষ্টি করবে, যা ভয়ংকর বিস্ফোরণের মাধ্যমে বিশাল এলাকার ক্ষতি করতে পারে। না হলে এটি সরাসরি ভূমিতে আঘাত হানার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। ১৯০৮ সালে সাইবেরিয়ায় সংঘটিত টুঙ্গুস্কা বিস্ফোরণের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। যেখানে প্রায় ৮০ মিলিয়ন গাছপালা ধ্বংস হয়েছিল এবং বিস্ফোরণের শক্তি ছিল প্রায় ৫০ মিলিয়ন টন টিএনটি’র সমান। আতঙ্কের বিষয় হচ্ছে, সেখানে একটি ১০ মিটার ব্যাসের গ্রহাণু আঘাত করেছিল বলে ধরা হয়। আর ২০২৪ ওয়াইআর৪ তার চেয়েও ৬ গুণ বড়।

এটি কোথায় আঘাত হানতে পারে?
বর্তমান কক্ষপথের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সম্ভাব্য ‘ইম্প্যাক্ট করিডর’ দক্ষিণ আমেরিকা থেকে আটলান্টিক মহাসাগর পেরিয়ে সাব-সাহারান আফ্রিকা পর্যন্ত বিস্তৃত। তবে বিজ্ঞানীরা এখনো নিশ্চিত নন, কেননা এই গ্রহাণুর কক্ষপথ সম্পর্কে আরও তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। ২০২৮ সালে এটি আরও একবার পৃথিবীর কাছ দিয়ে যাবে, তখন আরও নিখুঁত পর্যবেক্ষণের সুযোগ পাওয়া যাবে।

আমরা কি তাহলে নিরাপদ?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০২৪ ওয়াইআর৪ আমাদের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে, তবে এখনই নিশ্চিতভাবে কিছু বলা সম্ভব নয়। গ্রহাণুর আকার ও গঠনও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এটি যদি আয়রন-সমৃদ্ধ হয়ে থাকে, তাহলে সরাসরি ভূ-পৃষ্ঠে আঘাত হানতে পারে, কিন্তু যদি এটি পাথুরে হয়, তাহলে বায়ুমণ্ডলেই ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।

এখন বিজ্ঞানীরা গ্রহাণুটির গতিপথ আরও সুস্পষ্ট করার জন্য কাজ করছেন। ২০২৮ সালের পর্যবেক্ষণে এটি আসলেই পৃথিবীতে আঘাত হানবে কিনা, তা বোঝা যাবে আরও ভালোভাবে।

ক্যারিবীয় ব্যাটিং ঝড়ে উড়ে গেল বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০২৫, ১১:২৪ পূর্বাহ্ণ
ক্যারিবীয় ব্যাটিং ঝড়ে উড়ে গেল বাংলাদেশ

প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে আগ্রাসী ক্রিকেটের বার্তাটা দিয়ে রেখেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। নিগার সুলতানা জ্যোতিদের ১৪৪ রানের টার্গেট ১৯ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখে টপকে গিয়েছিল ক্যারিবীয় মেয়েরা। এবার দ্বিতীয় ম্যাচে এসে ক্যারিবীয় ব্যাটিং তাণ্ডবের মুখে পড়ে বাংলাদেশ।

প্রথমে ব্যাট করে স্বাগতিকরা স্কোরবোর্ডে জমা করে ৬ উইকেটে ২০১ রান। যার জবাবে ৯ উইকেট খরচ করে ৯৫ রান তুলতে পেরেছে বাংলাদেশ। ফলে ১০৬ রানের হারের সঙ্গে সিরিজটাও হেরেছে বাংলাদেশ।

টি-টোয়েন্টিতে রানের হিসেবে যা বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যবধানের হার। এর আগে ২০২২ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে কিউইদের মাঠে সিরিজের ১৩২ রানে হেরেছিল টাইগ্রেসরা। যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রানে হারের রেকর্ড নারী দলের। এদিন অবশ্য আরও একটি রেকর্ড হয়েছে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম দল হিসেবে ২০০ রানের বেশি করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এর আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ১৮৯ রান করেছিল অস্ট্রেলিয়া।

সেন্ট কিটসে এদিন ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই বাংলাদেশি বোলারদের ওপর চড়াও হয় ক্যারিবীয় মেয়েরা। কুইয়ানা জোসেফ ৩৬ বলে ৬৩ রানের ইনিংস খেলে দলকে বড় রানের পথে রেখে যান। পরে ডিয়ান্ড্রা ডটিনও ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালান। ২০ বলে ৫ ছক্কা ও ৩ চারে খেলেন বিস্ফোরক ৪৯ রানের ইনিংস। যার সুবাদে ৬ উইকেটে ২০১ রানের বিশাল পুঁজি পায় ক্যাবিরীয়রা।

বিশাল এই রান তাড়া করে বাংলাদেশের জয় পাওয়া প্রায় অসম্ভবই ছিল। তবে দেখার ছিল কতটা লড়াই করতে পারে বাংলাদেশ। এদিন সেটিও পারেনি জ্যোতির দল। রান পাহাড়ে চাপা পড়েছে বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডার। দলীয় সর্বোচ্চ ২২ রান এসেছে শারমিন আক্তারের ব্যাট থেকে। বাংলাদেশের ইনিংস থেমেছে ৯৫ রানে।

হেডম থাকলে দেশে আসেন, রাব্বানীকে হাসনাত

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০২৫, ১০:১০ পূর্বাহ্ণ
হেডম থাকলে দেশে আসেন, রাব্বানীকে হাসনাত

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চাঁদাবাজি ও নানাবিধ দুর্নীতির দায়ে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার হওয়া সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে দেশে আসার আহ্বান জানিয়ে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাতে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের অংশ হিসেবে দলটির নেতাকর্মীদের বিচার চেয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেন হাসনাত আবদুল্লাহ। ওই পোস্টে নিষিদ্ধ সংগঠনটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী হাসনাতদের বিচার করার জরুরি বলে কমেন্ট করেন। রাব্বানীর করা কমেন্টের জবাবও দেন হাসনাত।

হাসনাত আবদুল্লাহ তার মূল পোস্টে লেখেন, রন্ধ্রে রন্ধ্রে সুশীলতা দিনশেষে আমাদের কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিপ্লব পরবর্তী সময়ে সিরিয়ায় যে পরিস্থিতিতে মাত্র তিন দিনেই আসাদ সরকারের ৩৫ জন কর্মকর্তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে ঠিক সেই পরিস্থিতিতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান সফল হওয়ার পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও ফ্যাসিস্ট হাসিনার ঘনিষ্ঠ এবং ফ্যাসিবাদের মদদদাতা একজন নেতাকর্মীরও বিচার হয়নি। বর্তমান সরকারের এ ধরনের দয়াপরবশ হয়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিচার করতে স্বেচ্ছায় বিলম্ব করা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সঙ্গে অপমানের শামিল।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক আরও লেখেন, অথচ, ৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থান সফল না হলে ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও আওয়ামী লীগ বিপ্লবীদের হত্যাযজ্ঞে নেমে পড়ত। নির্বিচারে গুম, খুন ও আরেকটি গণহত্যা করতে তারা তখন বিন্দুমাত্র পিছপা হতো না। গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী শত শত মানুষের গলায় পড়তো ফাঁসির দড়ি, ক্রসফায়ারে মারা পড়ত অগণিত ফ্যাসিবাদ বিরোধী মানুষ, আয়না ঘরের অন্ধকারে ঠাঁই হতো হাজার হাজার ছাত্র-জনতার। সারা দেশে তখন নেমে আসত নিরপরাধ জনমানুষের শোকের কালছায়া।

তিনি আরও লেখেন, ঠিক এ কারণেই আওয়ামী লীগের প্রতি আমাদের এখনকার আচরণ ঠিক তেমন হওয়া উচিত যেমন আচরণ ৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থান সফল না হলে আওয়ামী লীগ আমাদের সঙ্গে করত। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত গণহত্যাকারী ও ফ্যাসিজম প্রতিষ্ঠাকারী দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে তাদের সব নেতাকর্মীর বিচার দ্রুতগতিতে কার্যকর করা এবং প্রশাসন থেকে শুরু করে দেশের সর্বস্তরে বিরাজ করা আওয়ামী লীগের ফ্যাসিজম কায়েমের সফট এনাবলারদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা। অন্যথায়, এই জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আমাদের সব শহিদের আত্মদান ও হাজারো আহত সহযোদ্ধার রক্ত বিসর্জন বৃথায় পর্যবসিত হবে।

অন্তবর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে হাসনাত আবদুল্লাহ আরও লেখেন, আওয়ামী লীগের প্রতি ন্যূনতম দয়া নেই। সুতরাং অতিদ্রুত দলটির নেতাকর্মীদের বিচার দৃশ্যমান করুন, কার্যকর করুন।

হাসনাতের পোস্টের কমেন্টে গোলাম রাব্বানী লিখেছেন, মেটিকুলাসলি ডিজাইনড ষড়যন্ত্রের অবিচ্ছেদী অংশ হিসেবে দেশকে পাকি বীর্যের উত্তরাধিকারদের হাতে তুলে দিয়ে চরম অরাজকতা, নিরাপত্তাহীনতায় ঠেলে দেওয়ার জন্য সবার আগে তোমাদের বিচার করা জরুরি।

জবাবে হাসনাত আবদুল্লাহ লেখেন, গোলাম রাব্বানী দেশে আসেন। দেশে এসে বিচার করেন। হেডম থাকলে আসেন।