খুঁজুন
শনিবার, ১৪ জুন, ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

এবার শ্রীলঙ্কায় ওয়ালটন টিভির ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণ

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বুধবার, ২৯ জানুয়ারি, ২০২৫, ৮:৩৪ অপরাহ্ণ
এবার শ্রীলঙ্কায় ওয়ালটন টিভির ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণ

শীর্ষস্থানীয় গ্লোবাল ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড হয়ে উঠার লক্ষ্যে বিশ্ব বাজারে নিজস্ব ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণ করছে ওয়ালটন টিভি। ইতোমধ্যে জার্মানি, ডেনমার্ক, আয়ারল্যান্ড, পোল্যান্ড, গ্রিস, স্পেন, ক্রোয়েশিয়াসহ ইউরোপ, মধ্য প্রাচ্য, আফ্রিকা ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশে নিজস্ব ব্র্যান্ড লোগোতে টিভি রপ্তানি করছে ওয়ালটন। এরই ধারাবাহিকতায় এবার সার্কভূক্ত দেশ শ্রীলঙ্কায় ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণ করেছে বাংলাদেশের সেরা ব্র্যান্ড ওয়ালটন টিভি।

সম্প্রতি গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র হেডকোয়ার্টার্সে আয়োজিত ‘ইনাগুরেশন সেরেমনি: এক্সপোর্টিং ওয়ালটন টিভি টু শ্রীলঙ্কা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এই তথ্য জানানো হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুরের জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফিন।

অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এএমডি) ইউসুফ আলী, ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের এএমডি লিয়াকত আলী, ওয়ালটন টিভির চিফ বিজনেস অফিসার (সিবিও) হাবিব ইফতিখার, ওয়ালটন হাই-টেকের লজিস্টিকস অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন বিভাগের প্রধান শাহীনুর সুলতানা, ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সের প্রশাসন বিভাগের প্রধান মেজর (অব.) জাহিদুল হাসান, ওয়ালটন গ্লোবাল বিজনেস শাখার প্রধান আব্দুর রউফ, ডেপুটি অপারেটিভ ডিরেক্টর আরমান ইবনে শাহজাহান প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে ওয়ালটন হাই-টেকের এএমডি ইউসুফ আলী বলেন, শ্রীলঙ্কায় ইলেকট্রনিক্স ও অন্যান্য প্রযুক্তি পণ্যের বিশাল বাজার রয়েছে। এর মধ্যে টেলিভিশনের বাৎসরিক বাজার প্রায় ৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। সম্ভাবনাময় এই বাজারে ওয়ালটনের ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণের লক্ষ্যে গত বছরের নভেম্বরে শ্রীলঙ্কার খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠান ‘মনিক ট্রেডিং প্রাইভেট লিমিটেড’কে পরিবেশক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তাঁরা শ্রীলঙ্কার বাজারে ওয়ালটন টিভিসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রিক্যাল ও প্রযুক্তিপণ্য বিপণন ও বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালনা করবে। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি মাসে মনিক ট্রেডিং এর কাছে ওয়ালটন টিভির প্রথম শিপমেন্ট পাঠানো হয়েছে। আরেকটি শিপমেন্ট পাঠানোর কাজ প্রক্রিয়াধীন।

ওয়ালটন টিভির চিফ বিজনেস অফিসার হাবিব ইফতিখার জানান, ওয়ালটনের রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন টিমের প্রকৌশলীরা প্রযুক্তির উৎকর্ষতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে সর্বাধুনিক ফিচার সমৃদ্ধ এলইডি ও স্মার্ট টিভি তৈরি করছে। উচ্চ গুণগতমান নিশ্চিত করতে অনুসরণ করা হচ্ছে ইউরোপিয়ান স্ট্যান্ডার্ড। ফলে মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অর্ধেকেরও বেশি দেশে ওয়ালটন টিভির ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণ করতে সক্ষম হয়েছি আমরা। এরই ধারাবাহিকতায় এবার শ্রীলঙ্কায় বাজার সম্প্রসারণ করা হয়েছে। তার প্রত্যাশা- বাংলাদেশের মত শ্রীলঙ্কাতেও ওয়ালটন টিভি অতি দ্রুত শীর্ষস্থান অর্জন করে নিতে সক্ষম হবে।

সূত্রমতে, ৩৫ টিরও বেশি দেশে শতাধিক বিজনেস পার্টনারের মাধ্যমে ওয়ালটন টিভির ব্র্যান্ড বিজনেস পরিচালনা করা হচ্ছে। ওয়ালটন টিভি রপ্তানি তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ইউরোপ। টিভি রপ্তানি আয়ের প্রায় ৯৫ শতাংশই ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে আসছে।

ড. ইউনূসকে যে উপহার দিলেন তারেক রহমান

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১৪ জুন, ২০২৫, ১০:৪৭ পূর্বাহ্ণ
ড. ইউনূসকে যে উপহার দিলেন তারেক রহমান

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ১ ঘন্টা ৩৫ মিনিট বৈঠক করেছেন। এ সময় ড. ইউনূসকে একটি কলম ও দুইটি বই উপহার দিয়েছেন জনাব তারেক রহমান।

শুক্রবার (১৩ জুন) নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক আইডিতে উপহারের ছবি প্রকাশ করে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

এর আগে, যুক্তরাজ্যের লন্ডনের ডরচেস্টার হোটেলে আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় (বাংলাদেশ সময় বেলা ২টা) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে বৈঠকটি শুরু হয়।

সকাল সাড়ে ১০টায় (বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে ৩টা) বৈঠক শেষ হয়। বৈঠক শেষে তারেক রহমান ডরচেস্টার হোটেল ত্যাগ করেন।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, তাদের মধ্যে একান্তে এই বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে উভয় পক্ষের প্রতিনিধিরা যৌথ সংবাদ সম্মেলন করবেন বলেও জানিয়েছেন শফিকুল আলম।

ক্লাসের অন্ধকার কোনায় নিয়ে স্যার জড়িয়ে ধরতেন, চু’মুও খেতেন

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১৪ জুন, ২০২৫, ১০:৩২ পূর্বাহ্ণ
ক্লাসের অন্ধকার কোনায় নিয়ে স্যার জড়িয়ে ধরতেন, চু’মুও খেতেন

মাত্র ১২ বছর বয়সে বাবার হাত ধরে নাটক শিখতে কলকাতার বিখ্যাত নাট্য ব্যক্তিত্ব রাজা ভট্টাচার্যের কাছে ভর্তি হয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মঞ্জুরী কর নামে এক ছাত্রী। কিন্তু যে স্বপ্ন নিয়ে নাটকের ক্লাসে ভর্তি হয়েছিলেন সে স্বপ্ন তার অচিরেই ভেঙে যায়। সরলতার সুযোগ নিয়ে ভট্টাচার্য নিয়মিত যৌ*ন হেনস্থা করতেন বলে অভিযোগ করেন মঞ্জুরী কর। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।

২০১৭ সালে ‘ব্ল্যাক ভার্স’ নামে এক নাটকের দলে অভিনয় শেখার জন্য ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। বর্তমানে মঞ্জুরী করের বয়স ১৮। ৬ বছর আগে যে হেনস্থার শিকার হয়েছিলেন তিনি এবার সেই বিষয়ে মুখ খুলেন ফেসবুকে।

গত রোববার ফেসবুকে তিনি জানান ২০১৭ সালে ১২ বছর বয়সে ‘ব্ল্যাঙ্ক ভার্স’ নামক নাটকের দলে ভর্তি হন রাজা ভট্টাচার্যের কাজে নাটক শিখবেন বলে। কিন্তু গিয়ে মুখোমুখি হন সম্পূর্ণ অন্য ঘটনার। এই যুবতীর কথায়, ‘ক্লাসের অন্ধকার কোনায় নিয়ে গিয়ে আমায় নিয়মিত জড়িয়ে ধরতেন, চুমু খেতেন। বাবা মায়েদের সামনে আমাদের বলতেন ওর মাথা টিপে দিতে। মাথা টিপতে গেলে আমাদের বুকে পেটে ওর মাথা ঘষতেন। তখন বুঝতাম না। আর বাড়ির লোকের সামনে এমন ভান করতেন যেন আমাদের কত স্নেহ করেন।’

এরপর তিনি আরও বড় এবং বিস্ফোরক অভিযোগ করে বলেন, ‘প্রতি শনিবার ক্লাসের আধাঘণ্টা আগে আমাকে ক্লাসে ডাকতেন। এরপর আমার সারা গায়ে বিশ্রীভাবে হাত দিতেন। কখনও কখনও নিজের ঠোঁট আমার মুখে …। পুরো বিষয় নিয়ে কখনও তার মুখে কোনও অপরাধবোধ দেখিনি। এমন ভাব করতেন যেন আমি সম্মতি জানিয়েছি এসবের জন্য।’

তিনি একইসঙ্গে তার পোস্টে লিখেন, ‘প্রথমদিন বাবা আমায় ক্লাসে দিতে গিয়েছিল। তারপর থেকে উনি আমায় বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেন। আমি প্রথম না বুঝেই রাজি হই। রাস্তার অন্ধকার জায়গায় বাইক দাঁড় করিয়ে অসভ্যতা করতেন। পরে বুঝতে শুরু করি যখন বিরক্ত লাগত। ঘেন্না করতে শুরু করি তাকে। কিন্তু কখনও সাহস করে বলতে পারিনি। ওর কলকাতায় অনেক জানা শোনা। ভেবেছিলাম কেউ বিশ্বাস করবে না। কিন্তু আর নয়। টানা ৪ বছর তারপর থেকে অনেক অত্যাচার সয়েছি। ২০২০ সালে আমি ক্লাস ছেড়ে দিই। এবার মুখ খুললাম।’

ওই ছাত্রী জানান তারা প্রথম ক্লাসে গিয়ে রাজা ভট্টাচার্যের মুখোমুখি হন। জানান এবার তার আসল মুখ সবার সামনে নিয়ে আসবেন মুখোশ খুলে। তখন তিনি হাতে পায়ে ধরেন যাতে এই ঘটনা না ঘটান সেই যুবতী। যদিও তাতে বিশেষ পাত্তা দেননি তিনি। নিজে যে আতঙ্ক, বিভীষিকার মধ্যে দিয়ে গেছেন যাতে আর কাউকে সেটার শিকার না হতে হয় তার জন্য সমস্ত স্ক্রিনশট সহ ফেসবুকে পোস্ট করেন।

ডরচেস্টার হোটেলে ড. ইউনূসের ৩৭ রুম, খরচ নিয়ে তোলপাড়

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১৪ জুন, ২০২৫, ৮:৩৯ পূর্বাহ্ণ
ডরচেস্টার হোটেলে ড. ইউনূসের ৩৭ রুম, খরচ নিয়ে তোলপাড়

লন্ডনের বিলাসবহুল ডরচেস্টার হোটেলে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তার সফরসঙ্গীদের জন্য ৩৭টি রুম রিজার্ভ করা হয়েছে- এমন তথ্য প্রকাশের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার জন্ম নিয়েছে।

বিশিষ্ট অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের ওরফে সামি এক ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. ইউনূস সাহেব ও তাঁর সফরসঙ্গীদের জন্যে লন্ডনের অন্যতম লাক্সারি হোটেল ডরচেস্টারে ৪ রাতের জন্যে যে ৩৭টি রুম রিজার্ভ করা হয়েছে, তার সর্বমোট ভাড়া কত হতে পারে বলে আপনি মনে করেন?’

এই পোস্টটি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) মারুফ কামাল খান কমেন্টে পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন, ‘ভাড়া কতো এবং ভাড়ার অর্থ কারা পরিশোধ করছে- এই দুটো তথ্যই গুরুত্বপূর্ণ এবং জানা দরকার। লন্ডনে উপস্থিত একজন অনুসন্ধানী সাংবাদিক হিসেবে এ দুটি তথ্য জানাবেন কি?’


এ ঘটনায় নেটিজেনদের মধ্যে দেখা গেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। আসছে নানারকম মন্তব্য।

কেউ কেউ ব্যয়বহুল এই রুম রিজার্ভের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, আবার কেউ বিষয়টিকে অপ্রাসঙ্গিক এবং অহেতুক বিতর্ক বলেও মন্তব্য করেছেন।

ব্লগার মাহমুদুল হাসান বিস্ময় প্রকাশ করে লেখেন, ‘৩৭ রুম?’ আরিফুল ইসলাম শান্ত ব্যঙ্গ করে বলেন, ‘তোহ, ইউনুস গিয়ে রাস্তায় ঘুমাবে?’ কেউবা সফরসঙ্গী সকল সদস্যদের জন্য নির্বিঘ্নে অবস্থান ও মিটিংয়ের জন্য আলাদা রুমের যৌক্তিকতা দেখছেন।


এছাড়াও মামুনুর রাশেদ নামে একজন মন্তব্য করেন, ‘তো ওরা কি ওইখানে গিয়ে আত্মীয়ের বাসায় থাকবে রুম রিজার্ভ না করে! এসব আজাইরা টপিক তুলে হুজুগে বাঙালির মনোযোগ আকর্ষণ আপ্নার দ্বারা-ই হয়।’

তবে সত্য মিথ্যা যা-ই হোক, এটা অনুমেয় যে মোহাম্মদ ইউনুস দেশে ফিরলে নিশ্চিতভাবেই সাংবাদিকদেরকে তিনি বিষয়টি স্পষ্ট করবেন। তাই তিলকে তাল না বানিয়ে বস্তুনিষ্ঠ টপিক নিয়ে চিন্তা করতেই বিশ্লেষকদের পরামর্শ।