খুঁজুন
সোমবার, ১৯ মে, ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

শিবপুরে জোরপূর্বক জমি দখলের চেষ্টা

মোঃ আলম মৃধা, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৮:৫৮ অপরাহ্ণ
শিবপুরে জোরপূর্বক জমি দখলের চেষ্টা

নরসিংদীর শিবপুরে গত (১৬ সেপ্টেম্বর) আইয়ূবপুর ইউনিয়নের আলীয়াবাদ পূর্ব পাড়ার মৃত কলিম উদ্দিন ভূঁইয়ার ছেলে মোঃ রোকন উদ্দিন ভূঁইয়ার জমি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করেন মাউন আহমেদ ও মাহাবুব এবং তাদের লোকজন। এই জমিতে দুইটি মামলা চলমান, মামলা নং-৮৬৯/২৩ এবং মামলা নং-১০১/২৩।

সরে জমিনে গিয়ে জানা যায়, আলীয়াবাদ পূর্বপাড়ার শাহাবুদ্দিন ভূঁইয়ার ছেলে মাউন আহমেদ ও মাহাবুব ভূঁইয়া দীর্ঘদিন যাবত জোরপূর্বক রোকন উদ্দিন ভূঁইয়া জমি দখলের পাঁয়তারা করে যাচ্ছে ও মাহবুব বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে প্রতারণা করে হাতিয়ে নিয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা।
রোকন উদ্দিন ভুইয়া বলেন, আমি আমার ফুপুর কাছ থেকে জমি ক্রয় করেছি। আমার ক্রয় করা সম্পত্তি সঠিক আছে বলে সরকার আমার কাছ থেকে খাজনা নিয়ে আমাকে নামজারি করে দিয়েছে। এই জমিতে আমি দীর্ঘদিন যাবত বসবাস করিতেছি। আমাকে উচ্ছেদ করার জন্য বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন এনে হুমকি- ধমকি দিয়ে যাচ্ছে‌। আমাকে মেরে ফেলারও হুমকি দিচ্ছে মাউন আহমেদ ও মাহাবুব।

এলাকাবাসী জানায়, মাহাবুব বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে কৌশলে টাকা হাতিয়ে নেওয়া এবং তা মেরে দেওয়াই তার পেশা। পাওনাদারা আমাদের গ্রামে এসে ঝামেলা সৃষ্টি করতেছে এবং আমরা নিরীহ গ্রামবাসী মাহবুবের অত্যাচারে অতিষ্ঠ।

নোয়াদিয়া গ্রামের পিয়াস মিয়া বলেন, ২০২০ সালে আমার ছোট ভাইকে ছয় মাসের ভিতরে বিদেশ পাঠাবেন বলে মাহাবুব তিন লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা নেয় আজ প্রায় চার বছরের বেশি হয়ে যায় আমার টাকা ফেরত দিচ্ছে না। আমি এলাকাবাসীকে জানাইলে এলাকাবাসী আমাকে আশ্বাস দেয় মাহবুবের সাথে কথা বলে আমাকে আমার পাওনা টাকার ব্যবস্থা করে দিবে। আমি এখনো আমার টাকা ফেরত পাইনি। আমি এখানে এসে শুনি আরেক পাওনাদার টাকা চাইতে আসলে তাকে মার দর করে ও উল্টো পাওনাদার কে হুমকি-ধমকি দিয়ে যাচ্ছে।

মিরপুরের সুলতানা আক্তার রিতা বলেন, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান আমার কাছ থেকে জানুয়ারিতে পঞ্চাশ হাজার টাকা নেয় মাহাবুব। আমাকে বলে তার ছেলেকে স্কুলের বেতন দিতে পারছেনা স্কুল থেকে বের করে দিয়েছে। মেয়ের পরীক্ষার ফ্রি দিতে পারছেনা। মাহাবুবের পা ভেঙ্গে গেছে বলে আমার কাছ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা দার নেয়। পরে আমি জানতে পারি পাওনাদাররা তাকে মেরে পা ভেঙ্গে দিয়েছে। আমি আমার পাওনা টাকা চাইতে আসলে আমাকে মেরে রক্তাক্ত জখম করে। আমি থানায় অভিযোগ করেছি আমি তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের মামলা করব।

বন্যা শিবপুরের সুফিয়া বেগম বলেন, মাহাবুবের পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে আমাদের বাড়িতে আসছিল আমি তাদেরকে চা নাস্তা দেই। আমার বাড়িতে একটি আইফোন চার্জে লাগিয়ে রেখেছিলাম তারা বাড়ি থেকে যাওয়ার পরে ফোনটি পাওয়া যাচ্ছিলো না। পরে আমি শিবপুর থানায় ও নরসিংদী ডিবি অফিসে অভিযোগ করেছিলাম। ছয় মাস পরে ডিবির কর্মকর্তাদের কাছে জানতে পারি মাহাবুব ফোনটি চুরি করেছে। খবর পেয়ে মাহাবুব এলাকা থেকে পালিয়ে যায়। আমার এক ভাই মারা গিয়েছে তারা গরিব মানুষ তাদের অবস্থা তেমন একটা ভালো না। তার ছেলে আকরাম হোসেনকে ইতালি নেওয়ার কথা বলে তিন লক্ষ টাকা এনেছে মাহাবুব। আজকে প্রায় পাঁচ বছর হয় এখন পর্যন্ত টাকা ফেরত দেয়নি বিদেশও নেয়নি। মাহবুবের কাছে টাকা চাইতে আসলে হুমকি দিচ্ছে। মাহাবুবের বয়ে আমার ভাতিজারা টাকা চাইতে তার বাড়িতে আসতে পারছে না।

মাসুম সাহেব বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে মাউন আহমেদ ও মাহাবুব মিথ্যা, বানোয়াট ও কাল্পনিক একটি ভিডিও প্রচার করিয়েছে আমি তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। মাসুম সাহেব আরো বলেন, মূলত এই জায়গাটা নিয়ে আয়ূবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মজিবর রহমান সরকার, ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার বুলবুল, ৭ নং ওয়ার্ডের বিএনপির নেতাকর্মী, আমিসহ এলাকার বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ তিন দিন দরবার পরিচালনার পর সিদ্ধান্ত হয় যে রোকন উদ্দিনের খরিদা সম্পত্তিটি সঠিক ও তার কাগজপত্র সঠিক। মাউন আহমেদ ও মাহাবুব তাদের পক্ষ থেকে শিবপুর আমলীগের সেক্রেটারি রাখিল সাহেবসহ মাহবুবের পক্ষে অনেকে দরবারে উপস্থিত রেখেছিলেন। সমাজে আমাদের সামাজিক মর্যাদা নষ্ট করার জন্য মাউন আহমেদ ও মাহাবুব একটি ভিডিও অপপ্রচার চালিয়েছে আমি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেছি সঠিক তদন্ত করে তাকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বার বুলবুল বলেন, আমরা বড় ভাই ওবাইদুল মাউন আহমেদ ও মাহবুবের কাছ থেকে চাঁদা নিয়েছে ভিডিওতে অভিযোগ করেছে অভিযোগটি সম্পন্ন মিথ্যা বানোয়াট। সমাজে আমাদের সামাজিক মর্যাদা নষ্ট করার জন্য মাহাবুব একটি ভিডিও অপপ্রচার চালিয়েছে আমি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেছি সঠিক তদন্ত করে তাকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। তিনি আরো বলেন, ভিডিওতে অপপ্রচার যে এই জমিতে মাদক, ইয়াবা সেবন ও ব্যবসা পরিচালনা করিতেছে। আমি প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি সঠিক তদন্ত করে আপনারা দেখুন।

এ বিষয়ে জানতে, আইয়ুপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মজিবর রহমান সরকারের মোবাইলে ফোন দিলে তিনি বলেন আমি মিটিং-এ আছি পরে কথা বলবো।

এ বিষয়ে জানতে, মাহাবুবের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

ঢাবি ক্যাম্পাস থেকে ভাসমান ও ভবঘুরে উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫, ১১:৩২ অপরাহ্ণ
ঢাবি ক্যাম্পাস থেকে ভাসমান ও ভবঘুরে উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে নানা আলোচনার মধ্যেই ক্যাম্পাস থেকে ভাসমান ও ভবঘুরে লোকদের উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

আজ রবিবার (১৮ মে) বিকেলে ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে উপাচার্যের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান সভায় সভাপতিত্ব করেন।

এসময়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মো. জিল্লুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী কাজী মো. আক্রাম হোসেন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. মেরাজ উদ্দিন (সার্কেল-১), মো. আহসান হাবিব (বিদ্যুৎ, জোন-১/ক), রমনা কালী মন্দির পূজা উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অপর্না রায় দাসসহ কালী মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে কালী মন্দির ও সংলগ্ন এলাকায় পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা স্থাপন এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ভাসমান ও ভবঘুরে লোকদের উচ্ছেদে তল্লাশি জোরদার করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। একইসঙ্গে কবি সুফিয়া কামাল হল সংলগ্ন ফুট ওভারব্রীজে ওঠা-নামার সিঁড়ি রাস্তা থেকে সরিয়ে এক প্রান্ত হলের অভ্যন্তরে এবং অপর প্রান্ত কার্জন হলের অভ্যন্তরে স্থাপনের বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে অনুরোধ জানানো হয়। শিগগিরই এ বিষয়টি বাস্তবায়ন করা হবে বলে নিশ্চিত করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন।

এর আগে, দুপুরে শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার দ্রুত সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বকস চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. হোসনে আরা বেগম, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ, নিহত সাম্যের বন্ধু ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আশরাফুল আলম রাফি ও সাম্যের আরেক বন্ধু এস এম নাহিয়ান ইসলাম।

এবিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, সাম্য হত্যার সুষ্ঠু বিচার আমরা চাই। এই বিচার ত্বরান্বিত করার জন্য আমাদের ধারাবাহিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে আজ (রবিবার) স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। সাম্য হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচার দ্রুত শেষ করতে উপদেষ্টার সহায়তা চেয়েছি।

উপাচার্য আরও বলেন, এই হত্যা মামলা ডিবিতে হস্তান্তর করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। এছাড়া, অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতারে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

মিছিলের সময় আওয়ামী লীগের ১১ নেতাকর্মী আটক

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫, ১১:২৮ অপরাহ্ণ
মিছিলের সময় আওয়ামী লীগের ১১ নেতাকর্মী আটক

রাজধানীর গুলিস্তান থেকে মিছিলের সময় আওয়ামী লীগের ১১ নেতাকর্মীকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।

রোববার (১৮ মে) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ডিসি জানান, রাজধানীর গুলিস্তান থেকে মিছিলের সময় আওয়ামী লীগের ১১ নেতাকর্মীকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি।

উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার নয় মাসের মাথায় গত ১২ মে দলটি, এর সব অঙ্গ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে গত ১২ মে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের যে কোনো ধরনের প্রকাশনা, গণমাধ্যম, অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে কোনো ধরনের প্রচারণা, মিছিল, সভা-সমাবেশ, সম্মেলন আয়োজনসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো।

মিথ্যা মামলা দিয়ে সম্পত্তি দখলের অভিযোগ

মহানগর প্রতিনিধি, ঢাকা
প্রকাশিত: রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫, ১০:৩২ অপরাহ্ণ
মিথ্যা মামলা দিয়ে সম্পত্তি দখলের অভিযোগ

মিথ্যা মামলা দিয়ে সম্পত্তি দখলের অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী এক নারী। তার পৈতৃক সম্পদ দখল নিতে চাচা, স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাদের একটি অংশ ঐ নারীকে হয়রানি করছে, এমনটাই অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী।

রোববার সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা আকরম খাঁ হলে নিশাত জাহান নামে ঐ নারী এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি নিশাত জাহান ও আমার স্বামী বিপ্লব হোসেন, তেজগাঁও থানাধীন পশ্চিম নাখালপাড়ার আমি স্থায়ী বাসিন্দা। ২০১৮ সাল হতে এই পর্যন্ত আমি আওয়ামী দোসরদের হাতে অত্যাচারিত এবং নিপীড়িত। পশ্চিম নাখালপাড়ায় আমার একটি ফ্ল্যাট আছে সেখানে আমি পরিবারসহ বসবাস করছি। আমার ফ্ল্যাটটি দখলের জন্য আওয়ামী দোসররা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে আসছে। বিগত স্বৈরাচারী আওয়ামী শাসন আমলে তারা দিনের পর দিন জুলুম-নির্যাতন করেছে।

নিশাত জাহান বলেন, তারা ৮-৯ জন মিলে আমাদের উপরে ২০১৮ সাল থেকে ১৬-১৭ বার হত্যার উদ্দেশ্যে আমাদের উপর আক্রমন করে। আমরা প্রশাসন বা স্থানীয় পর্যায়ে কারো কোন সহায়তা পায়নি কারণ সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান এবং তার সহকারী শফিক তাদের দলের লোক বিধায় তাদের জন্য থানা পর্যায়ে এবং স্থানীয় পর্যায়ে আমাদের কোন সহায়তা পেতে দেয়নি। স্বৈরাচারীদের পক্ষ হয়ে আমাদেরকে দখলচ্যুত করতে চেয়েছে।

তিনি বলেন, আমি স্বৈরাচারী শাসন আমল থাকার কারণে কারও সহায়তা পাইনি। বর্তমানে সময়ে সেই স্বৈরাচারীর, জুলুমকারী শ্রমিক লীগ নেতা সামিউন বাছির (শফিকের বন্ধু, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পিও), হুমায়ুন সবির, মজিবুর ঢালী, কাজল, আসলাম এবং বিএনপির কিছু অর্থলোভী, পদ-ব্যবসায়ী বর্তমান তেজগাঁও থানা বিএনপির আহ্বায়ক-ইঞ্জিনিয়ার মিরাজ উদ্দিন হায়দার আরজু, হাফিজুর রহমান কবির (১ নং যুগ্ম আহ্বায়ক) এবং তপন গাজী। বর্তমানে এদের পৃষ্ঠপোষকতায় উপরোল্লোখিত এবং নাম না জানা আওয়ামী সন্ত্রাসীরা তেজগাঁও এলাকায় তাদের চাঁদাবাজী, লুটতরাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তার প্রতিবাদ করতে গেলে মিথ্যা মামলা ও হয়রানির স্বীকার হতে হয়।

তার অন্যতম উদাহরণ- আমি এবং আমার স্বামী  যারা বর্তমানে বৈষম্যবিরোধী এবং মিথ্যা হত্যা মামলার স্বীকার। যা তেজগাঁও এলাকায় সুষ্ঠ তদন্ত সৎ ব্যক্তি দ্বারা পরিচালিত করলে উঠে আসবে। আমি বিনীতভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করতেছি, যেন প্রধান উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মহোদয়গণের, তাঁরা যেন আমার এবং আমার স্বামীর উপর আরোপকৃত মিথ্যা মামলা নিষ্পত্তি করার ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।