খুঁজুন
বুধবার, ২ এপ্রিল, ২০২৫, ১৯ চৈত্র, ১৪৩১

শিবপুরে জোরপূর্বক জমি দখলের চেষ্টা

মোঃ আলম মৃধা, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৮:৫৮ অপরাহ্ণ
শিবপুরে জোরপূর্বক জমি দখলের চেষ্টা

নরসিংদীর শিবপুরে গত (১৬ সেপ্টেম্বর) আইয়ূবপুর ইউনিয়নের আলীয়াবাদ পূর্ব পাড়ার মৃত কলিম উদ্দিন ভূঁইয়ার ছেলে মোঃ রোকন উদ্দিন ভূঁইয়ার জমি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করেন মাউন আহমেদ ও মাহাবুব এবং তাদের লোকজন। এই জমিতে দুইটি মামলা চলমান, মামলা নং-৮৬৯/২৩ এবং মামলা নং-১০১/২৩।

সরে জমিনে গিয়ে জানা যায়, আলীয়াবাদ পূর্বপাড়ার শাহাবুদ্দিন ভূঁইয়ার ছেলে মাউন আহমেদ ও মাহাবুব ভূঁইয়া দীর্ঘদিন যাবত জোরপূর্বক রোকন উদ্দিন ভূঁইয়া জমি দখলের পাঁয়তারা করে যাচ্ছে ও মাহবুব বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে প্রতারণা করে হাতিয়ে নিয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা।
রোকন উদ্দিন ভুইয়া বলেন, আমি আমার ফুপুর কাছ থেকে জমি ক্রয় করেছি। আমার ক্রয় করা সম্পত্তি সঠিক আছে বলে সরকার আমার কাছ থেকে খাজনা নিয়ে আমাকে নামজারি করে দিয়েছে। এই জমিতে আমি দীর্ঘদিন যাবত বসবাস করিতেছি। আমাকে উচ্ছেদ করার জন্য বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন এনে হুমকি- ধমকি দিয়ে যাচ্ছে‌। আমাকে মেরে ফেলারও হুমকি দিচ্ছে মাউন আহমেদ ও মাহাবুব।

এলাকাবাসী জানায়, মাহাবুব বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে কৌশলে টাকা হাতিয়ে নেওয়া এবং তা মেরে দেওয়াই তার পেশা। পাওনাদারা আমাদের গ্রামে এসে ঝামেলা সৃষ্টি করতেছে এবং আমরা নিরীহ গ্রামবাসী মাহবুবের অত্যাচারে অতিষ্ঠ।

নোয়াদিয়া গ্রামের পিয়াস মিয়া বলেন, ২০২০ সালে আমার ছোট ভাইকে ছয় মাসের ভিতরে বিদেশ পাঠাবেন বলে মাহাবুব তিন লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা নেয় আজ প্রায় চার বছরের বেশি হয়ে যায় আমার টাকা ফেরত দিচ্ছে না। আমি এলাকাবাসীকে জানাইলে এলাকাবাসী আমাকে আশ্বাস দেয় মাহবুবের সাথে কথা বলে আমাকে আমার পাওনা টাকার ব্যবস্থা করে দিবে। আমি এখনো আমার টাকা ফেরত পাইনি। আমি এখানে এসে শুনি আরেক পাওনাদার টাকা চাইতে আসলে তাকে মার দর করে ও উল্টো পাওনাদার কে হুমকি-ধমকি দিয়ে যাচ্ছে।

মিরপুরের সুলতানা আক্তার রিতা বলেন, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান আমার কাছ থেকে জানুয়ারিতে পঞ্চাশ হাজার টাকা নেয় মাহাবুব। আমাকে বলে তার ছেলেকে স্কুলের বেতন দিতে পারছেনা স্কুল থেকে বের করে দিয়েছে। মেয়ের পরীক্ষার ফ্রি দিতে পারছেনা। মাহাবুবের পা ভেঙ্গে গেছে বলে আমার কাছ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা দার নেয়। পরে আমি জানতে পারি পাওনাদাররা তাকে মেরে পা ভেঙ্গে দিয়েছে। আমি আমার পাওনা টাকা চাইতে আসলে আমাকে মেরে রক্তাক্ত জখম করে। আমি থানায় অভিযোগ করেছি আমি তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের মামলা করব।

বন্যা শিবপুরের সুফিয়া বেগম বলেন, মাহাবুবের পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে আমাদের বাড়িতে আসছিল আমি তাদেরকে চা নাস্তা দেই। আমার বাড়িতে একটি আইফোন চার্জে লাগিয়ে রেখেছিলাম তারা বাড়ি থেকে যাওয়ার পরে ফোনটি পাওয়া যাচ্ছিলো না। পরে আমি শিবপুর থানায় ও নরসিংদী ডিবি অফিসে অভিযোগ করেছিলাম। ছয় মাস পরে ডিবির কর্মকর্তাদের কাছে জানতে পারি মাহাবুব ফোনটি চুরি করেছে। খবর পেয়ে মাহাবুব এলাকা থেকে পালিয়ে যায়। আমার এক ভাই মারা গিয়েছে তারা গরিব মানুষ তাদের অবস্থা তেমন একটা ভালো না। তার ছেলে আকরাম হোসেনকে ইতালি নেওয়ার কথা বলে তিন লক্ষ টাকা এনেছে মাহাবুব। আজকে প্রায় পাঁচ বছর হয় এখন পর্যন্ত টাকা ফেরত দেয়নি বিদেশও নেয়নি। মাহবুবের কাছে টাকা চাইতে আসলে হুমকি দিচ্ছে। মাহাবুবের বয়ে আমার ভাতিজারা টাকা চাইতে তার বাড়িতে আসতে পারছে না।

মাসুম সাহেব বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে মাউন আহমেদ ও মাহাবুব মিথ্যা, বানোয়াট ও কাল্পনিক একটি ভিডিও প্রচার করিয়েছে আমি তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। মাসুম সাহেব আরো বলেন, মূলত এই জায়গাটা নিয়ে আয়ূবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মজিবর রহমান সরকার, ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার বুলবুল, ৭ নং ওয়ার্ডের বিএনপির নেতাকর্মী, আমিসহ এলাকার বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ তিন দিন দরবার পরিচালনার পর সিদ্ধান্ত হয় যে রোকন উদ্দিনের খরিদা সম্পত্তিটি সঠিক ও তার কাগজপত্র সঠিক। মাউন আহমেদ ও মাহাবুব তাদের পক্ষ থেকে শিবপুর আমলীগের সেক্রেটারি রাখিল সাহেবসহ মাহবুবের পক্ষে অনেকে দরবারে উপস্থিত রেখেছিলেন। সমাজে আমাদের সামাজিক মর্যাদা নষ্ট করার জন্য মাউন আহমেদ ও মাহাবুব একটি ভিডিও অপপ্রচার চালিয়েছে আমি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেছি সঠিক তদন্ত করে তাকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বার বুলবুল বলেন, আমরা বড় ভাই ওবাইদুল মাউন আহমেদ ও মাহবুবের কাছ থেকে চাঁদা নিয়েছে ভিডিওতে অভিযোগ করেছে অভিযোগটি সম্পন্ন মিথ্যা বানোয়াট। সমাজে আমাদের সামাজিক মর্যাদা নষ্ট করার জন্য মাহাবুব একটি ভিডিও অপপ্রচার চালিয়েছে আমি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেছি সঠিক তদন্ত করে তাকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। তিনি আরো বলেন, ভিডিওতে অপপ্রচার যে এই জমিতে মাদক, ইয়াবা সেবন ও ব্যবসা পরিচালনা করিতেছে। আমি প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি সঠিক তদন্ত করে আপনারা দেখুন।

এ বিষয়ে জানতে, আইয়ুপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মজিবর রহমান সরকারের মোবাইলে ফোন দিলে তিনি বলেন আমি মিটিং-এ আছি পরে কথা বলবো।

এ বিষয়ে জানতে, মাহাবুবের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

৪০ দিনের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব, হামাসকে যে শর্ত দিল ইসরাইল

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১ এপ্রিল, ২০২৫, ৭:৩৩ অপরাহ্ণ
৪০ দিনের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব, হামাসকে যে শর্ত দিল ইসরাইল

৫০ দিনের নয়, দখলদার ইসরাইল গাজায় ৪০ দিনের যুদ্ধবিরতির একটি নতুন প্রস্তাব দিয়েছে। যার মাধ্যমে ১১ জন জীবিত ইসরাইলি বন্দিকে মুক্ত করার পাশাপাশি ১৬টি মরদেহও ফেরত পাওয়ার চেষ্টা করছে নেতানিয়াহুর সরকার।

Advertisement

বিপরীতে ইসরাইলের কারাগার থেকে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তি দেওয়া হবে।

সোমবার ইসরাইলি প্রভাবশালী দৈনিক হারেৎজ এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতায় ইসরাইল ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের কাছে এই প্রস্তাব পাঠিয়েছে।

প্রস্তাবের প্রধান শর্তগুলো হলো:

৪০ দিনের যুদ্ধবিরতি;
হামাসের কাছ থেকে ১১ জন জীবিত বন্দির মুক্তি ও ১৬টি মরদেহ ফেরত;
ইসরাইলের কারাগার থেকে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তি;
যুদ্ধবিরতির ৫ম দিনে হামাসের কাছে বাকি বন্দিদের তথ্য চাওয়া;
১০ম দিনে ১৬ জনের মরদেহ হস্তান্তরের অনুরোধ।
পক্ষগুলোর প্রতিক্রিয়া

যদিও এই প্রতিবেদনের বিষয়ে ইসরাইল, হামাস বা মধ্যস্থতাকারীদের কেউই এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি।

বর্তমান পরিস্থিতি

নেতানিয়াহুর সরকার মনে করে যে, গাজায় হামাসের হাতে এখনো ৫৯ জন ইসরাইলি বন্দি রয়েছে। যাদের মধ্যে অন্তত ২৪ জন জীবিত।

অন্যদিকে, ইসরাইলি কারাগারে ৯,৫০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি বন্দি রয়েছেন। যাদের ওপর চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন, নির্যাতন ও চিকিৎসা অবহেলার অভিযোগ রয়েছে।

ইসরাইল চলতি বছরের জানুয়ারিতে হওয়া একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গাজায় গত ১৮ মার্চ থেকে নতুন বিমান হামলা চালিয়েছে। গত ১৫ দিন ধরে অব্যাহতভাবে চালানো এই হামলায় ১,০০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং ২,৫০০-এর বেশি মানুষ আহত হয়েছে।

এ নিয়ে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরাইলের হামলায় সবমিলিয়ে ৬৩,০০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া

আইসিসি (International Criminal Court) গত বছর ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে।

অন্যদিকে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (ICJ) ইসরাইলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলা চলমান।সূত্র: আনাদোলু

নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনটি ‘উদ্বেগজনক ও বিভ্রান্তিকর’

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১ এপ্রিল, ২০২৫, ৭:৩১ অপরাহ্ণ
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনটি ‘উদ্বেগজনক ও বিভ্রান্তিকর’

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, বাংলাদেশে ইসলামিস্টদের উত্থান নিয়ে নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনটি উদ্বেগজনক এবং বিভ্রান্তিকর।

মঙ্গলবার সিএ প্রেস উইং থেকে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিউইয়র্ক টাইমসের নিবন্ধটি ইঙ্গিত দেয় যে বাংলাদেশে ধর্মীয় চরমপন্থা উত্থানের দ্বারপ্রান্তে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এটি বাংলাদেশের ভুল চিত্র তুলে ধরেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিভ্রান্তিকর এ চিত্রায়ন কেবল দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক গতিশীলতাকে অতি সরলীকৃত করে না বরং ১৮ কোটি মানুষের একটি সমগ্র জাতিকে অন্যায়ভাবে কলঙ্কিত করার ঝুঁকিও তৈরি করে।

নিউইয়র্ক টাইমস প্রকাশিত নিবন্ধে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ যখন নিজেকে পুনরুজ্জীবিত করছে, তখন কট্টরপন্থি ইসলামিস্টরা একটি সুযোগ দেখতে পাচ্ছে। তবে এ বক্তব্যকে প্রত্যাখ্যান করে প্রেস উইং বলছে, নিউইয়র্ক টাইমসের নিবন্ধটি বাংলাদেশ সম্পর্কে একটি উদ্বেগজনক এবং একপেশে দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছে।

সিএ প্রেস উইংয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রকাশ করার জন্য সুনির্দিষ্টভাবে উসকানিমূলক নিবন্ধের ওপর নির্ভর করার পরিবর্তে বাংলাদেশের অগ্রগতিকে স্বীকৃতি দেওয়া বেশি গুরুত্বপূর্ণ। বছর ধরে বাংলাদেশ যে অগ্রগতি করেছে সেটাকে এবং পরিস্থিতির জটিলতাকে স্বীকার করা উচিত।

আরও বলছে, যদিও নিবন্ধটি ধর্মীয় উত্তেজনা এবং রক্ষণশীল আন্দোলনের কিছু ঘটনা তুলে ধরেছে, তবে এটি অগ্রগতির বৃহত্তর প্রেক্ষাপটকে উপেক্ষা করেছে। বাংলাদেশ নারীদের অবস্থার উন্নতিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তাদের সুরক্ষা এবং কল্যাণের জন্য বিশেষভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এটি এমন একটি সরকার যা নারীর অধিকার এবং সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। অথচ নিবন্ধে এর উলটোটা বলা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের মতো একটি দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং ধর্মীয় সহিংসতার মধ্যে পার্থক্য করা গুরুত্বপূর্ণ। শেখ হাসিনার বিদায়ের পর এবং তার পর থেকে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘটিত অনেক সংঘর্ষকে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা হিসেবে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যদিও বাস্তবে এসব ঘটনা ঘটেছিল রাজনৈতিক কারণে। রাজনৈতিক দলগুলি প্রায়শই সমর্থন জোগাড় করার জন্য ধর্মকে ব্যবহার করে। যা বিষয়টিকে জটিল করে তোলে এবং রাজনৈতিক অস্থিরতাকে ধর্মীয় নিপীড়নের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার ঝুঁকি তৈরি করে। সুতরাং পুরো পরিস্থিতিকে সাম্প্রদায়িক সংঘাত হিসেবে উপস্থাপন করা বিভ্রান্তিকর। এটি প্রকৃত রাজনৈতিক এবং আর্থ-সামাজিক বিষয়গুলিকে উপেক্ষা করে।

প্রেস উইং জানিয়েছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সমস্ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে রক্ষা করার জন্য তার প্রতিশ্রুতি স্পষ্ট করেছে এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও সন্ত্রাসবাদ দমন প্রচেষ্টার সাথে তার চলমান কাজ এই প্রতিশ্রুতিকে আরও জোরদার করে। সামাজিক সংস্কার এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে চরমপন্থা মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রচেষ্টা ভুল তথ্যের বিস্তারের দ্বারা ম্লান হওয়া উচিত নয়।

চলছে ষড়যন্ত্র, মূল মাস্টারমাইন্ড চিহ্নিত

জয় বাংলা ব্রিগেড প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশে গৃহযুদ্ধের পরিকল্পনা !

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: সোমবার, ৩১ মার্চ, ২০২৫, ১:০৮ পূর্বাহ্ণ
জয় বাংলা ব্রিগেড প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশে গৃহযুদ্ধের পরিকল্পনা !

গেল ৫ আগস্ট ছাত্রজনতার গণআন্দোলনের মুখে পতন হয় স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারের। তারপর থেকেই দলটির সভানেত্রী শেখ হাসিনাসহ অনেকেই ভারতে পলাতক রয়েছে। আর সেই ভারত থেকেই চলছে বাংলাদেশকে নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র। বিভিন্ন গণমাধ্যমেও উঠে আসছে বাংলাদেশে গৃহযুদ্ধের মহাষড়যন্ত্র চলছে। সম্প্রতি ফাঁস হয়েছে এমন এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের পলাতক নেতাদের বিরুদ্ধে গৃহযুদ্ধের পরিকল্পনা ও সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনেছে। এরই মধ্যে শেখ হাসিনাসহ ৭৩ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়ের করা হয়েছে।

অভিযোগ আরও ঘনীভূত হয়েছে কলকাতায় আয়োজিত এক ইফতার পার্টিতে সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার পরিকল্পনার তথ্য প্রকাশের পর।

একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি কলকাতার রাজারহাটে এক ইফতার পার্টিতে অংশ নেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, জাহাঙ্গীর কবির নানক, নাসিম, মেয়র জাহাঙ্গীর, সম্রাটসহ শতাধিক আওয়ামী ঘনিষ্ঠ পলাতক নেতা। উপস্থিত ছিলেন শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি ও তার স্ত্রী।

পরদিন একই স্থানে ছাত্রলীগের শতাধিক পলাতক নেতার আরেকটি ইফতার অনুষ্ঠিত হয়। ওই অনুষ্ঠানে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল স্পষ্টভাবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে যে কোনো মূল্যে উৎখাতের নির্দেশ দেন এবং তথ্যসূত্রের দাবি অনুযায়ী, তিনি নেতাকর্মীদের আশ্বস্ত করেন যে অস্ত্র ও অর্থের অভাব হবে না।

২০২৪ সালের ১৯ ডিসেম্বর “জয়বাংলা ব্রিগেড” নামে একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মের বৈঠকে বাংলাদেশে গৃহযুদ্ধের পরিকল্পনা এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্র করা হয় বলে সিআইডির তদন্তে উঠে এসেছে।

সেখানে শেখ হাসিনা পুনরায় ক্ষমতায় ফেরার লক্ষ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার উৎখাতের রূপরেখা ও প্রয়োজনে গৃহযুদ্ধের ডাক দেন বলে অভিযোগ। ওই বৈঠকে দেশ-বিদেশের ৫৭৭ জন অংশ নেন।

এর মধ্যে ৭৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে, এবং বাকি ৫০০ জনকে চিহ্নিত করার কাজ চলছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও দুবাইতে পালিয়ে থাকা আওয়ামী ঘনিষ্ঠ নেতারাও একই এজেন্ডা বাস্তবায়নে সক্রিয়। কলকাতা, দিল্লি, আগরতলা ও মেঘালয়ের মাটিও নির্বিঘ্নে ব্যবহার করছেন তারা।

গঠিত হয়েছে বিভিন্ন গ্রুপ। গঠিত হয়েছে কোর গ্রুপ। মধ্য রমজান থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত পাঁচটি বৈঠকের তথ্য গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে।

যদিও শেখ হাসিনা এখনও সরাসরি কোনো বিবৃতি দেননি, তবে সিআইডির দাবি অনুযায়ী, ষড়যন্ত্রের মাস্টারমাইন্ড হিসেবে তাকে মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ইতোমধ্যে জানিয়েছেন, রাষ্ট্রদ্রোহিতার বিরুদ্ধে “জিরো টলারেন্স” নীতি অনুসরণ করা হবে। দেশের ভেতর ও বাইরে সক্রিয় নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে অভিযুক্তদের।

সূত্র: https://www.facebook.com/watch/?v=625675083619141&rdid=ezVPoexOrUH9TrsP