খুঁজুন
রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ৭ বৈশাখ, ১৪৩২

যোগ্য ব্যক্তির যোগ্য সম্মান

সচিব হিসেবে পদোন্নতি পেলেন বিআরটিসির চেয়ারম্যান জনাব তাজুল ইসলাম

মোঃ হাসানুজ্জামান, বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৪:৪৫ অপরাহ্ণ
সচিব হিসেবে পদোন্নতি পেলেন বিআরটিসির চেয়ারম্যান জনাব তাজুল ইসলাম

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন’র (বিআরটিসি) বর্তমান সুযোগ্য চেয়ারম্যান জনাব মোঃ তাজুল ইসলাম জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক সচিব পদে পদোন্নতি পেয়েছেন। তার প্রস্তাবিত পদ: সচিব- বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মুল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি)। সততা ও দায়িত্বশীলতার সাথে বর্ণাঢ্য দীর্ঘ কর্মজীবনে এই পদমর্যাদা তার জন্য একটি বড় অর্জন।

সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো; একটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান পদোন্নতি পাওয়ায় সেখানকার স্টাফরা যে এতোটা আনন্দিত ও উদ্বেলিত হয়, তা আগে কখনো অবলোকন হয়নি। কারণ মোঃ তাজুল ইসলাম সচিব হিসেবে পদোন্নতি পাওয়ায় বিআরটিসির সকল স্টাফরাই যেনো বেশি খুশি। সত্যি বলতে কর্তাব্যক্তির সাথে স্টাফদের এমন সুসম্পর্ক খুব একটা চোখে পড়ে না।

আজ মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে পদোন্নতি সংক্রান্ত দুটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

এই নিয়োগে ৭ জন অতিরিক্ত সচিবকে পদোন্নতি দিয়ে সচিব পদে উন্নীত করে এসব মন্ত্রণালয় ও বিভাগে পদায়ন করা হয়েছে। এছাড়া দু’জন সচিবের দপ্তর বদল করা হয়েছে।

তাজুল ইসলামের বর্ণাঢ্য কর্মজীবন:

সবশেষ ২০২১ সালে বিআরটিসির চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদান করেন জনাব তাজুল ইসলাম। অত্যন্ত সৎ, দক্ষ্য, দেশপ্রেমিক ও চৌকস এই কর্মকর্তা একসময় কুমিল্লার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা পরিষদের সচিব, এডিএম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন।

সম্পূর্ণ নিজ যোগ্যতায় পরবর্তীতে প্রবাসী কল্যান মন্ত্রণালয়ের পরিচালক, অতিরিক্ত মহাপরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অতিরিক্ত সচিব হিসেবে পুরো প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নকে ব্যাপক তরান্বিত করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন। যা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য ছিলো অন্যতম পরিবর্তনের নিদর্শন।

সর্বশেষ তিনি বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি) এর চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পান। নানাবিধ অনিয়ম, দুর্নীতিতে ডুবতে থাকা বিআরটিসির হাল ধরেন এই কান্ডারি। এক সময় লোকসানের কারনে কর্মীদের বেতন দিতে না পারা বিআরটিসি জনাব তাজুল ইসলামের হাত ধরে অল্প সময়ের মধ্যে ঘুড়ে দাঁড়িয়েছে। হয়েছে উন্নয়নের মডেল। সততা, পরিশ্রম ও যাদুকরি নেতৃত্বে বিআরটিসি সমৃদ্ধি লাভ করছে দিনের পর দিন। দীর্ঘবছরের লুটপাটের সিন্ডিকেট ভেঙ্গে সৃষ্টি করেছেন এক অনন্য ইতিহাস। এমনকি বিআরটিসি এখন নিজস্ব সক্ষমতায় বাস তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে।

জনাব তাজুল ইসলাম সচিব হিসেবে পদোন্নতি পাওয়ায় বেজায় খুশি বিআরটিসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তারা বলেন, “এই চেয়ারম্যান স্যার যোগদানের পরই প্রথম নিয়মিত বেতন, বোনাস সহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা ডিজিটাল ব্যাংকিং পদ্ধতিতে পেয়ে যাচ্ছি। তাছাড়া সারা বাংলাদেশের বাস ডিপোগুলোকে অবকাঠামোগত উন্নয়ন সহ নতুন রুপে সাজিয়ে তুলেছেন তিনি। চেয়ারম্যান মহোদয়ের সাহস, দুরদর্শিতা, সততা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার সক্ষমতার কারনে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বিআরটিসি আজ সাফল্যের গৌরব অর্জন করেছে। তিনি এ পর্যন্ত যত প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালন করেছেন, প্রতিটি ক্ষেত্রেই উনার দক্ষতা ফুটিয়ে তুলেছেন। ইনশাআল্লাহ সচিব হিসেবে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে যে দায়িত্ব তিনি পেয়েছেন- ইনশাআল্লাহ সেখানেও তিনি তার যোগ্যতা ও দক্ষতার প্রমাণ দিবেন। তবে আমরা স্যারকে অনেক মিস করবো।”

সচিব হিসেবে পদোন্নতি পাওয়ার অনুভূতি সম্পর্কে জানতে চাইলে জনাব তাজুল ইসলাম বলেন, “মূলত কিছু পাওয়ার আশায় আমি কখনোই কাজ করিনি। দেশকে ভালোবেসে সততার সাথে জনগণের কল্যাণে কাজ করাই আমার লক্ষ্য। আমি আমার দায়িত্বকে দেশের সেবা করার জন্য একটি সুযোগ বলে মনে করি। আর সচিব হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে আমি অবশ্যই আনন্দিত। তবে আমার দায়িত্ব আগের তুলনায় বেড়ে গেলো। আল্লাহর রহমতে আমি যাতে আমার দায়িত্ব সফলভাবে পালন করতে পারি, সেজন্য সকলের নিকট দোয়া চাই।”

জনাব তাজুল ইসলামের হাত ধরে জরাজীর্ণ বিআরটিসির নজিরবিহীন উন্নয়ন কারোরই অজানা নয়। তাই জনাব তাজুল ইসলামের হাতে প্রতিটি খাতই নিরাপদ বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষ। বিশ্লেষকদের মত- দেশের প্রতিটি সেক্টরে মোঃ তাজুল ইসলামের মতো দক্ষ ব্যক্তি দায়িত্ব পালন করলে দুর্নীতি দূর করে নিঃসন্দেহে উন্নয়ন হবে।

এছাড়া সচিব হিসেবে পদোন্নতি পাওয়ায় জনাব তাজুল ইসলামকে বিশেষভাবে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিডিনিউজ ট্রিপল নাইনের সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ শাহ আলম খান। তিনি মাননীয় সচিব মহোদের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করেন।

মো: তাজুল ইসলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার সৈয়দাবাদ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। এলাকায় একজন সামাজিক, নিরহংকার, পরোপকারী, সদালাপী মানুষ হিসেবে পরিচিতি তিনি।

রায়গঞ্জে সাংবাদিকের ওপর হামলা একমাসেও অপরাধী গ্রেফতার হয়নি

রেজাউল করিম স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ১:০৫ পূর্বাহ্ণ
রায়গঞ্জে সাংবাদিকের ওপর হামলা একমাসেও অপরাধী গ্রেফতার হয়নি

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে সাংবাদিক শাহীন খানের ওপর হামলার ঘটনায় দীর্ঘ এক মাস পার হলেও কোনো হামলাকারীকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় সচেতন মহলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। একইসঙ্গে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সমাজের সচেতন মহল ও গণমাধ্যমকর্মীরা।

শাহীন খান রায়গঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি একই উপজেলার চান্দাইকোনা ইউনিয়নের সরাই হাজীপুর গ্রামের আব্দুল বারিক খানের ছেলে। 

শনিবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে আহত সাংবাদিকের ভাই শামীম উদ্দিন খান তার ভাইয়ের উপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা  মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন। 

ওই সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে গত ১৫ মার্চ বেলা ১১ টার দিকে গভীর নলকূপ দেখাশোনা কালে পাশ্ববর্তী শ্যামগোপ গ্রামের শাহ পরান (২৫), রফিকুল ইসলাম (৪০), সজিব হোসেন (২০), শের আলী (৪৩), ইউসুফ আলী (৩৫) ও সুজন হোসেনসহ (২০) আরও ৭-৮ জন শাহীন খানকে লাঠিসোঁটা নিয়ে এলোপাথাড়িভাবে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে ধান ক্ষেতে ফেলে রাখে। পরবর্তীতে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। এরপর চিকিৎসকের পরামশ্রে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে প্রায় এক মাস চিকিৎসা নেয়ার পর গত শুক্রবার তাকে বাড়িতে আনা হয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, এই হামলার ঘটনায় ১৬ মার্চ জড়িত বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করেনি। উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে হামলাকারীরা ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ এনে মিথ্যা একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন। তারা তদন্তপূর্বক এই মামলা প্রত্যাহার ও হামলার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান। এদিকে অভিযুক্ত শাহ পরান গংদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

রায়গঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ওই হামলার ঘটনায় আসামিরা জামিনে রয়েছে। এ জন্য তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। ওই ঘটনায় একই দিনে উভয়পক্ষের দুটি মামলা হয়েছে। যার তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে তিনি জানান।

নাটোরের সিংড়ায় হাজী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে

মোঃ কুরবান আলী, সিনিয়র রিপোর্টার
প্রকাশিত: রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ১:০৩ পূর্বাহ্ণ
নাটোরের সিংড়ায় হাজী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে

শনিবার (১৯ এপ্রিল) বেলা ১১টায় সিংড়া উপজেলা মডেল মসজিদে সিংড়া আরাফাতি হাজী কল্যাণ পরিষদের আয়োজনে সিংড়া উপজেলা থেকে হজ্ব গমন ইচ্ছুক হাজী সাহেবদের সংবর্ধনা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা: মহিবুল হাসান।

সিংড়া আরাফাতি হাজী কল্যাণ পরিষদের বিদায়ী সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব অধ্যাপক মো. মকবুল হোসেনের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মহসিন আলমের সঞ্চালনায় আলোচনা রাখেন সিংড়া জামিয়া ইসলামিয়া হামিদিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম শাইখুল হাদিস মুফতী আব্দুল্লাহ আল মাদানী।

এসময় বক্তব্য দেন সিংড়া আরাফাতি হাজী কল্যাণ পরিষদের নবনির্বাচিত সভাপতি আলহাজ্ব মাওলানা আলী আকবর, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আনোয়ার সাদাত।

উল্লেখ্য, এ বছর সিংড়া উপজেলা থেকে ২১৬ জন পবিত্র হজ্জ পালন করবেন।

হাজী সমাবেশ শেষে মাওলানা আলী আকবরকে সভাপতি, আলহাজ্ব আনোয়ার সাদাতকে সাধারণ সম্পাদক ও আলহাজ্ব মহসিন আলমকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করে সিংড়া আরাফাতি হাজী কল্যাণ পরিষদের কমিটি গঠন করা হয়। এছাড়া আলহাজ্ব মাওলানা সাদরুল উলাকে সভাপতি ও আলহাজ্ব আব্দুস সোবহানকে সাধারণ সম্পাদক করে সংগঠনের পৌর কমিটি গঠন করা হয়।

বিএনপি নেতা হারেছ গাজীর প্রতিবাদ মিছিল

আ’লীগের অপতৎপরতা রুখতে সজাগ বিএনপি

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৮:২৭ অপরাহ্ণ
আ’লীগের অপতৎপরতা রুখতে সজাগ বিএনপি

স্বৈরাচার দোসর আওয়ামী লীগ জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে ঝটিকা মিছিল করায় আওয়ামিলীগের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী মিছিল করেছে বিএনপি নেতা হারেছ গাজী। অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে রেখে নজিরবিহীন এক মিছিল করে তারা। যা নিয়ে রীতিমতো প্রশংসায় ভাসছেন ওয়ার্ডটির সকল নেতাকর্মী।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ১৪ নং ওয়ার্ডের একনিষ্ঠ ও ত্যাগী সহ সভাপতি মোঃ হারেছ গাজীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হয় এ প্রতিবাদী মিছিল। শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে ১৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির সর্বোস্তরের জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে উক্ত মিছিলে।

কাফরুল থানাধীন ১৪ নং ওয়ার্ডের শেওড়াপাড়া থেকে মিছিলটি শুরু হয়। প্রায় ৩ শতাধিক নেতাকর্মীর মিছিলটি এলাকার বিভিন্ন সড়ক, মহল্লা প্রদক্ষিণ করে স্থানীয়দের মাঝে সচেতন মূলক ক্যাম্পেইন করে।

মিছিল শেষে বিএনপি নেতা হারেছ গাজী বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি একটি সুশৃঙ্খল জনপ্রিয় দল। কিন্তু ফ্যাসিস্ট পলাতক খুনি হাসিনা ও তাদের দোসররা নানাভাবে বিএনপির বিভিন্ন নেতাকর্মীদের বিতর্কিত করার জন্য অপচেষ্টা করে যাচ্ছে। এমনকি তারা প্রকাশ্যে ঝটিকা মিছিল করার মতো দুঃসাহস দেখিয়েছে। আমরা এই খুনি হাসিনার দোসরদের যেকোনো মূল্যে প্রতিহত করবো। তবে আপনাদের প্রতি অনুরোধ, আপনারা কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিবেন না। আমরা আওয়ামী সন্ত্রাসীদের ধরে সরাসরি পুলিশকে হস্তান্তর করবো। এটাই আমাদের একনিষ্ঠ ও নৈতিকতার পরিচয় হবে।

শান্তিপূর্ণভাবে এই প্রতিবাদ মিছিল শেষ করায় হারেছ গাজী সহ সকলকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ১৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এম মামুন বিল্লাহ ও কাফরুল থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জনাব আকরানুল হক আকরাম।

মিছিল শেষে দোয়া চাইতে গেলে কাফরুল থানা বিএনপির জনপ্রিয় নেতা জনাব আকরানুল হক আকরাম উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, সারাদেশে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা নানাভাবে উৎপাত চালিয়ে যাচ্ছে। তারা দেশকে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে নিয়ে যেতে চাই। কিন্তু আমাদেরকে অবশ্যই সজাগ থাকতে হবে। দেশের বিরুদ্ধে যেকোনো ষড়যন্ত্র যেকোনো মূল্যে রুখে দিতে হবে। সেই লক্ষ্যে আপনারা অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে আজ যে প্রতিবাদ মিছিল করেছেন। তার জন্য আপনাদেরকে আমি ধন্যবাদ ও মোবারকবাদ জানাই। আশা করছি দেশের মানুষ, দল ও দেশের জন্য এভাবেই আপনারা সক্রিয় থাকবেন।

একদিনের প্রতিবাদী মিছিলে সহ-সভাপতি হারেস গাজী, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ ইউনুছ ছাড়াও যুগ্ম সম্পাদক রাতুল হাসান মহিন, প্রচার সম্পাদক ফজলে রাব্বি, ইউনিট সভাপতি মোঃ বাদল মিয়া, ইউনিট সাধারণ সম্পাদক মোঃ সালাম, ১৪ নং ওয়ার্ড কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আলম, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক, মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন জিয়া, স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক, আবু তাহের মুন্সি, সদস্য মোঃ সিরাজুল ইসলাম, সদস্য মোঃ বকুল মিয়া, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, ইউনিট সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শাহজাহান, ইউনিট সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সুমন মিয়া, সদস্য মোঃ আনোয়ার, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক তানিয়া মমতাজ, মহিলা নেত্রী তানিয়া ইয়াসমিন এবং অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের অসংখ্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।