খুঁজুন
শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৬ বৈশাখ, ১৪৩২

যোগ্য ব্যক্তির যোগ্য সম্মান

সচিব হিসেবে পদোন্নতি পেলেন বিআরটিসির চেয়ারম্যান জনাব তাজুল ইসলাম

মোঃ হাসানুজ্জামান, বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৪:৪৫ অপরাহ্ণ
সচিব হিসেবে পদোন্নতি পেলেন বিআরটিসির চেয়ারম্যান জনাব তাজুল ইসলাম

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন’র (বিআরটিসি) বর্তমান সুযোগ্য চেয়ারম্যান জনাব মোঃ তাজুল ইসলাম জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক সচিব পদে পদোন্নতি পেয়েছেন। তার প্রস্তাবিত পদ: সচিব- বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মুল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি)। সততা ও দায়িত্বশীলতার সাথে বর্ণাঢ্য দীর্ঘ কর্মজীবনে এই পদমর্যাদা তার জন্য একটি বড় অর্জন।

সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো; একটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান পদোন্নতি পাওয়ায় সেখানকার স্টাফরা যে এতোটা আনন্দিত ও উদ্বেলিত হয়, তা আগে কখনো অবলোকন হয়নি। কারণ মোঃ তাজুল ইসলাম সচিব হিসেবে পদোন্নতি পাওয়ায় বিআরটিসির সকল স্টাফরাই যেনো বেশি খুশি। সত্যি বলতে কর্তাব্যক্তির সাথে স্টাফদের এমন সুসম্পর্ক খুব একটা চোখে পড়ে না।

আজ মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে পদোন্নতি সংক্রান্ত দুটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

এই নিয়োগে ৭ জন অতিরিক্ত সচিবকে পদোন্নতি দিয়ে সচিব পদে উন্নীত করে এসব মন্ত্রণালয় ও বিভাগে পদায়ন করা হয়েছে। এছাড়া দু’জন সচিবের দপ্তর বদল করা হয়েছে।

তাজুল ইসলামের বর্ণাঢ্য কর্মজীবন:

সবশেষ ২০২১ সালে বিআরটিসির চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদান করেন জনাব তাজুল ইসলাম। অত্যন্ত সৎ, দক্ষ্য, দেশপ্রেমিক ও চৌকস এই কর্মকর্তা একসময় কুমিল্লার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা পরিষদের সচিব, এডিএম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন।

সম্পূর্ণ নিজ যোগ্যতায় পরবর্তীতে প্রবাসী কল্যান মন্ত্রণালয়ের পরিচালক, অতিরিক্ত মহাপরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অতিরিক্ত সচিব হিসেবে পুরো প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নকে ব্যাপক তরান্বিত করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন। যা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য ছিলো অন্যতম পরিবর্তনের নিদর্শন।

সর্বশেষ তিনি বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি) এর চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পান। নানাবিধ অনিয়ম, দুর্নীতিতে ডুবতে থাকা বিআরটিসির হাল ধরেন এই কান্ডারি। এক সময় লোকসানের কারনে কর্মীদের বেতন দিতে না পারা বিআরটিসি জনাব তাজুল ইসলামের হাত ধরে অল্প সময়ের মধ্যে ঘুড়ে দাঁড়িয়েছে। হয়েছে উন্নয়নের মডেল। সততা, পরিশ্রম ও যাদুকরি নেতৃত্বে বিআরটিসি সমৃদ্ধি লাভ করছে দিনের পর দিন। দীর্ঘবছরের লুটপাটের সিন্ডিকেট ভেঙ্গে সৃষ্টি করেছেন এক অনন্য ইতিহাস। এমনকি বিআরটিসি এখন নিজস্ব সক্ষমতায় বাস তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে।

জনাব তাজুল ইসলাম সচিব হিসেবে পদোন্নতি পাওয়ায় বেজায় খুশি বিআরটিসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তারা বলেন, “এই চেয়ারম্যান স্যার যোগদানের পরই প্রথম নিয়মিত বেতন, বোনাস সহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা ডিজিটাল ব্যাংকিং পদ্ধতিতে পেয়ে যাচ্ছি। তাছাড়া সারা বাংলাদেশের বাস ডিপোগুলোকে অবকাঠামোগত উন্নয়ন সহ নতুন রুপে সাজিয়ে তুলেছেন তিনি। চেয়ারম্যান মহোদয়ের সাহস, দুরদর্শিতা, সততা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার সক্ষমতার কারনে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বিআরটিসি আজ সাফল্যের গৌরব অর্জন করেছে। তিনি এ পর্যন্ত যত প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালন করেছেন, প্রতিটি ক্ষেত্রেই উনার দক্ষতা ফুটিয়ে তুলেছেন। ইনশাআল্লাহ সচিব হিসেবে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে যে দায়িত্ব তিনি পেয়েছেন- ইনশাআল্লাহ সেখানেও তিনি তার যোগ্যতা ও দক্ষতার প্রমাণ দিবেন। তবে আমরা স্যারকে অনেক মিস করবো।”

সচিব হিসেবে পদোন্নতি পাওয়ার অনুভূতি সম্পর্কে জানতে চাইলে জনাব তাজুল ইসলাম বলেন, “মূলত কিছু পাওয়ার আশায় আমি কখনোই কাজ করিনি। দেশকে ভালোবেসে সততার সাথে জনগণের কল্যাণে কাজ করাই আমার লক্ষ্য। আমি আমার দায়িত্বকে দেশের সেবা করার জন্য একটি সুযোগ বলে মনে করি। আর সচিব হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে আমি অবশ্যই আনন্দিত। তবে আমার দায়িত্ব আগের তুলনায় বেড়ে গেলো। আল্লাহর রহমতে আমি যাতে আমার দায়িত্ব সফলভাবে পালন করতে পারি, সেজন্য সকলের নিকট দোয়া চাই।”

জনাব তাজুল ইসলামের হাত ধরে জরাজীর্ণ বিআরটিসির নজিরবিহীন উন্নয়ন কারোরই অজানা নয়। তাই জনাব তাজুল ইসলামের হাতে প্রতিটি খাতই নিরাপদ বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষ। বিশ্লেষকদের মত- দেশের প্রতিটি সেক্টরে মোঃ তাজুল ইসলামের মতো দক্ষ ব্যক্তি দায়িত্ব পালন করলে দুর্নীতি দূর করে নিঃসন্দেহে উন্নয়ন হবে।

এছাড়া সচিব হিসেবে পদোন্নতি পাওয়ায় জনাব তাজুল ইসলামকে বিশেষভাবে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিডিনিউজ ট্রিপল নাইনের সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ শাহ আলম খান। তিনি মাননীয় সচিব মহোদের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করেন।

মো: তাজুল ইসলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার সৈয়দাবাদ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। এলাকায় একজন সামাজিক, নিরহংকার, পরোপকারী, সদালাপী মানুষ হিসেবে পরিচিতি তিনি।

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৮:২৭ অপরাহ্ণ
১

শ্রমিক কল্যান ফেডারেশন ক্যান্টনমেন্ট থানায় ফ্রী মেডিক্যাল সেবা অনুষ্ঠিত

মহানগর প্রতিনিধি, ঢাকা
প্রকাশিত: শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৭:৪৪ অপরাহ্ণ
শ্রমিক কল্যান ফেডারেশন ক্যান্টনমেন্ট থানায় ফ্রী মেডিক্যাল সেবা অনুষ্ঠিত

দাওয়াতি পক্ষ উপলক্ষে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যান ফেডারেশন ক্যান্টনমেন্ট থানায় ফ্রী মেডিক্যাল সেবা ও রক্তদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রিদম ব্লাড সেন্টার ও ডিফেন্স হেলথ কেয়ারের পৃষ্ঠপোষকতায় আয়োজিত মেডিক্যাল সেবায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শ্রমিক কল্যান ফেডারেশন ঢাকা মহানগরী উত্তরের সম্মানিত সভাপতি মাওলানা মোঃ মহিব্বুল্লাহ, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর সহঃ সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ সাইফুল ইসলাম।

উপস্থিত ছিলেন থানা সভাপতি মোঃ নাজিবুর রহমান, সহঃ সভাপতি মোঃ ইলিয়াস মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামাল হোসেন এবং রিদম ব্লাড সেন্টার ও ডিফেন্স হেলথ কেয়ারের কর্মকর্তা বৃন্দ।

দিনব্যাপী এদিনের মেডিক্যাল সেবায় দরিদ্র ও মেহনতি মানুষকে বিনামূল্যে ডাক্তারী পরামর্শ, রক্তের গ্রুপ নির্ণয়, রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস পরীক্ষার সুবিধা প্রদান করা হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যান ফেডারেশন আপামর মেহনতি মানুষের সংগঠন। প্রতি সপ্তাহে একদিন এ মেডিক্যাল সেবা প্রদান করা হবে ইনশাআল্লাহ। দেশের ৮০ ভাগ মানুষ শ্রমজীবী। তাদের শ্রমে দেশের অর্থনীতি আজ বিশ্ববাজারে উন্নতির রোল মডেলে পরিনত হয়েছে। ৭১ এর স্বাধীনতা ও ২৪ এর গণ বিপ্লবে শ্রমিক জনতা অকাতরে প্রাণ দিয়েছে। কিন্তু তাদের প্রাপ্য অধিকার এখনো পায়নি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যান ফেডারেশন শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে। তিনি শ্রমিকদের সকল ন্যায্য দাবী পূরন, স্বাস্থ্য সেবা ও কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকরন, বার্ধক্য ও কর্মক্ষমতাহীন শ্রমিকদের তালিকা করে সরকারি সুবিধা প্রদানের দাবী জানান। আগামীতে শ্রমিক কল্যান ফেডারেশনের সাথে থাকতে উপস্থিত জনতাকে আহ্বান জানান।

আ’লীগের মিছিল প্রতিরোধে পুলিশ নিষ্ক্রিয় থাকলেই ব্যবস্থা: উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, ২:৩০ অপরাহ্ণ
আ’লীগের মিছিল প্রতিরোধে পুলিশ নিষ্ক্রিয় থাকলেই ব্যবস্থা: উপদেষ্টা

আওয়ামী লীগের মিছিল প্রতিরোধে পুলিশ নিষ্ক্রিয় থাকলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) রাজধানীতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নত করার লক্ষ্যে ধাপে ধাপে বিভিন্ন থানার কার্যক্রম পরিদর্শন করছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। এরই অংশ হিসেবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের আওতাধীন বিমানবন্দর থানা পরিদর্শনে যান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। বেলা ১১টা ১০মিনিট নাগাদ রাজধানীর বিমানবন্দর থানা পরিদর্শনে যান তিনি।
পরে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘যেহেতু মিছিল হয়েছে, এটার ভেতর কারো কোনো সন্দেহ নাই। মিছিলটা যাতে ভবিষ্যতে না হতে পারে সে জন্য পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যদি তারা এটা ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে তবে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘আপনাদের অরগানাইজ করতেই দেখেন কত কষ্ট হয়। সেখানে পুরা দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে যে কি পরিমান কষ্ট তা আপনারাও বুঝতে পারবেন। তবে আমরা চেষ্টা করতেছি যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও উন্নতির দিকে যায়।’

এদিকে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আজ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের আওতাধীন চারটি থানা পর্যায়ক্রমে পরিদর্শন করবেন বলে জানা গেছে। এগুলো হলো, বিমানবন্দর, উত্তরা পশ্চিম, তুরাগ ও উত্তরা পূর্ব থানা।