খুঁজুন
শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫, ১ চৈত্র, ১৪৩১

মা ও নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় ৫০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে রুল জারি

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫, ১১:৪৯ অপরাহ্ণ
মা ও নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় ৫০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে রুল জারি

নোয়াখালীর সাউথবাংলা হাসপাতালে ডাক্তারদের অবহেলা ও অপচিকিৎসার কারণে মা ও নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় কেন ৫০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

হাইকোর্টের বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও মুবিনা আসাফের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার এই রুল জারি করেন। চার সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোঃ সোলায়মান (তুষার)। তাকে সহযোগিতা করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট বায়োজিদ হোসাইন ও অ্যাডভোকেট নাঈম সরদার (অয়ন)।

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শফিকুর রহমান। তাকে সহযোগিতা করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মাহফুজ বিন ইউসুফ, অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট একরামুল কবির ও অ্যাডভোকেট মো. ঈসা।

গত ৫ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় নোয়াখালীর সেনবাগ প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক এমএ আউয়ালের পক্ষে রিটটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. সোলায়মান (তুষার)।

রিটে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিলের রেজিস্টার, বাংলাদেশ নার্সিং মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের রেজিস্টার, নোয়াখালী জোলার সিভিল সার্জন, নোয়াখালীর সাউথবাংলা হাসপাতাল, হাসপাতালের পরিচালক মহিউদ্দিন, নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জুনিয়র কনসালটেন্ট (অ্যানেস্থেসিয়া) ডাক্তার মো. আক্তার হোসেন অভি, তার স্ত্রী ও নোয়াখালী মেডিক্যাল অ্যাসিসট্যান্ট ট্রেনিং স্কুলের (ম্যাটস), জুনিয়র লেকচারার ডাক্তার ফৌজিয়া ফরিদ, সাউথ বাংলা হাসপাতালের মেডিকেল সহকারী জাহিদ হোসেন ও সাউথ বাংলা হাসপাতালের ওটি ইনচার্জ সজিব উদ্দিন হৃদয়কে বিবাদী করা হয়েছে।

এর আগে, ২০২৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. সোলায়মান (তুষার) ডাকযোগে সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিশ প্রেরণ করেন।

নোটিশে বলা হয়, ২০২৩ সালের ১৬ অক্টোবর রাতে সেনবাগ প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক এমএ আউয়াল তার অন্তঃসত্ত্বা মেয়ে উম্মে সালমা নিশির চিকিৎসার জন্য সাউথ বাংলা হাসপাতালে আসেন। এ সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, কর্মরত মেডিক্যাল সহকারী জাহিদ হোসেনের সহায়তায় ডা. আক্তার হোসেন অভি ও তার স্ত্রী ডা. ফৌজিয়া ফরিদ রোগীকে হাসপাতালে আনুষ্ঠানিকভাবে ভর্তি না করে, রোগীর কোনও রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করে এবং অভিভাবকের সম্মতি না নিয়েই তাড়াহুড়া করে সিজার করেন। এসময় ঘটনাস্থলেই মা ও সন্তানের মৃত্যু হয়। ঘটনা ধামাচাপা দিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসক ডা. অভি ও তার স্ত্রী ফৌজিয়া ফরিদ প্রসূতির অবস্থা সংকটাপন্ন জানিয়ে আইসিইউ সাপোর্টের কথা বলে কুমিল্লায় রেফার করে। ভিকটিমের অভিভাবকরা তাকে কুমিল্লার টাওয়ার হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার জানান অনেক আগেই রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

নোটিশে আরও বলা হয়, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও ডাক্তারদের ভুল ও অপচিকিৎসার কারণেই ভিকটিম ও নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। যা সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৮ ও ৩২ এর লঙ্ঘন। তারা এর দায় কোনোমতেই এড়াতে পারেন না।

আইনি নােটিশে ভিকটিম উম্মে সালমা নিশি ও তার নবজাতক মৃত্যুর ঘটনায় ৫ দিনের মধ্যে ভিকটিমের পরিবারকে ৫০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ ও ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়।

এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. সােলায়মান (তুষার) বলেন, নোয়াখালীর সাউথ বাংলা হাসপাতালে আমার মক্কেলের মেয়ের সাথে যা ঘটেছে তা খুবই হৃদয় বিদারক। একজন গর্ভবর্তী নারীকে কোনোরকম পরীক্ষা না করেই সিজার করা কোনোক্রমেই মেনে না যায় না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও ডাক্তারদের অর্থের লোভেই এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। ডাক্তার ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দুটি মৃত্যুর দায় এড়াতে পারে না। তিনি আরো বলেন, শুনানি শেষে আদালত আজ রুল জারি করেছেন। আশা করছি সংশ্লিষ্টরা রুলের জবাব দিবেন।

ঢাবিতে শিবিরের ইফতারির পাশাপাশি ৫০০ টাকা করে পেলেন শিক্ষার্থীরা

মহানগর প্রতিনিধি, ঢাকা
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫, ৯:৩৫ অপরাহ্ণ
ঢাবিতে শিবিরের ইফতারির পাশাপাশি ৫০০ টাকা করে পেলেন শিক্ষার্থীরা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে ছাত্রশিবিরের আয়োজনে প্রতিদিনই ইফতার বিতরণ করা হয়। তবে বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) ইফতার বিতরণের সময় দেখা গেল ভিন্ন এক চিত্র।

ইফতারের বক্সে তুরস্কের এক ভদ্রলোক শিক্ষার্থীদের দিচ্ছেন ৫০০ টাকার নোট। বিকেলে ৪টার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্যসেন হল সংলগ্ন এলাকায় এই দৃশ্য দেখা গেছে। 

জানা যায়, তুরস্কের সংস্থা টিকা’র সহযোগিতায় এ আয়োজন করা হয়। অন্যান্য দিনের চেয়ে আজ ইফতারের আয়োজনেও ভিন্নতা লক্ষ্য করা যায়। প্রায় ১৫০০ শিক্ষার্থীদের জন্য এই আয়োজন করা হয় বলে জানা গেছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের এক ভিডিওতে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন এবং ইফতার ও টাকা সংগ্রহ করছেন। এতে বেশ আনন্দিত দেখা যায় তাদের।

একজন মন্তব্য করেন, শিবিরের ইফতার প্রোগ্রামে আজকে ইফতারির পাশাপাশি তুর্কি মেহমান লাইনে দাঁড়ানো সবাইকে ৫০০ টাকা করে দিয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য নিঃসন্দেহে এবার সেরা রমজান অতিবাহিত হচ্ছে। ছাত্রলীগ যাওয়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যেন বরকত নেমে এসেছে।

সুলতান আরেফিন নামে একজন লিখেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের আজকের ইফতারে তুরস্কের একটা সংস্থা টিকার সহযোগিতা ছিল। আজকের ইফতারের আইটেমও স্পেশাল। সাথে ছবির এই তুর্কি ভদ্রলোকটি ঈদের শুভেচ্ছা হিসেবে ৫০০ টাকা দিয়েছেন শিক্ষার্থীদেরকে।

পাইকগাছায় সিরাতুল হুদা ট্রাস্ট এর উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

মোঃ রেজাউল ইসলাম, পাইকগাছা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫, ৮:৫২ অপরাহ্ণ
পাইকগাছায় সিরাতুল হুদা ট্রাস্ট এর উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

আজ (১৪ মার্চ)খুলনার পাইকগাছায় পবিত্র মাহে রমাদান উপলক্ষে স্থানীয় সিরাতুল হুদা ট্রাস্ট এর উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের কর্ম পরিষদ সদস্য এ্যাড: লিয়াকত আলী (প্রধান উপদেষ্টা, শামছুর রহমান ফাউন্ডেশন)।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাওঃ আমিনুল ইসলাম (জেলা কর্ম পরিষদ সদস্য), উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওঃ সাইদুর রহমান, মাওঃ আব্দুল খালেক,পৌর আমীর ডাঃ আসাদুল হক,অধ্যক্ষ আব্দুর রহিম, আবু জার গিফারী।

এ সময় বক্তব্য রাখেন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি নূরে আলম সিদ্দিকী, ছাত্রশিবির দক্ষিণের সভাপতি আবু জার গিফারী,এ্যাডঃ রুহুল আমিন,আসাদ আল হাফিজ, জেড এইচ শাহীন, মোঃ হারুন অর রশিদ,মোঃ শরিফুল ইসলাম।

যৌথ অভিযানে ৭ দিনে ৩৮৩ অপরাধী গ্রেপ্তার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫, ৮:৩৭ অপরাহ্ণ
যৌথ অভিযানে ৭ দিনে ৩৮৩ অপরাধী গ্রেপ্তার

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩৮৩ অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। এ সময় তাদের কাছ থেকে অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদকসহ বিভিন্ন মালামাল উদ্ধার করা হয়। আজ শুক্রবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, দেশের চলমান পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে দেশব্যাপী পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করে চলেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৬ থেকে ১৩ মার্চ পর্যন্ত সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের অধীনস্থ ইউনিট কর্তৃক অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বেশকিছু যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এ সকল যৌথ অভিযানে তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, ডাকাত দলের সদস্য, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী, কিশোর গ্যাং সদস্য এবং মাদক ব্যবসায়ীসহ মোট ৩৮৩ জন অপরাধীকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে তিনটি পিস্তল, একটি রিভলবার, দুটি শুটার গান, গোলাবারুদ, ককটেল বোমা, মাদকদ্রব্য, সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রকার দেশীয় অস্ত্র, পাসপোর্ট, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পোশাক, এনআইডি, মোবাইল ফোন, সিমকার্ড ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়।

আটককৃতদের প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ এবং আইনি কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে দুর্ঘটনাবশত অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যগণ জনসাধারণের জানমাল রক্ষায় নিরাপত্তা প্রদান, উদ্ধার কার্যক্রম ও অগ্নি নির্বাপনে অংশ নেয়।

দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সাধারণ জনগণকে যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য প্রদান করার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে।