খুঁজুন
শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫, ১ চৈত্র, ১৪৩১

মাগুরার সেই শিশুটির বোনের ভিডিও অপসারণ করতে নোটিশ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫, ২:৩৮ অপরাহ্ণ
মাগুরার সেই শিশুটির বোনের ভিডিও অপসারণ করতে নোটিশ

প্রচলিত আইন ও হাইকোর্টের নির্দেশনা অমান্য করে ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে মাগুরায় নির্যাতনের শিকার শিশুটির বোন, পরিবারের সদস্যদের সাক্ষাৎকারের সব ভিডিও অপসারণ চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) ই-মেইলে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. বাহাউদ্দিন আল ইমরান এ নোটিশ পাঠিয়েছেন।

নোটিশে দেশের কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য নীতিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় সচিব, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান এবং পুলিশের মহাপরিদর্শককে এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

নোটিশে বলা হয়, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৪ ধারায় বলা আছে, (১) এই আইনে বর্ণিত অপরাধের শিকার হয়েছে এরূপ নারী বা শিশুর ব্যাপারে সংঘটিত অপরাধ বা তদ্‌সম্পর্কিত আইনগত কার্যধারার সংবাদ বা তথ্য বা নাম-ঠিকানা বা অন্যবিধ তথ্য কোনো সংবাদপত্রে বা অন্য কোনো সংবাদমাধ্যমে এমনভাবে প্রকাশ বা পরিবেশন করা যাবে যাতে ওই নারী বা শিশুর পরিচয় প্রকাশ না পায়। (২) উপধারা (১) এর বিধান লঙ্ঘন করা হলে ওই লঙ্ঘনের জন্য দায়ী ব্যক্তি বা ব্যক্তিদের প্রত্যেকে অনধিক দুই বৎসর কারাদণ্ডে বা অনূর্ধ্ব এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয়দণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন।

‘কিন্তু আইনে স্পষ্ট বিধান সত্ত্বেও স্পর্শকাতর এই ঘটনায় মাগুররা ভিকটিম শিশুর ছবি, ভিডিও ও তার পরিচয় শনাক্তকরণের তথ্য বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। বিগত ৯ মার্চ এ বিষয়ে দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ বেশকিছু আদেশ দেন। সেসব আদেশে শিশুটির ছবি, ভিডিও ও পরিচয় শনাক্তকরণ সব বিষয়াদি দৈনিক পত্রিকা, অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের নির্দেশ দেন।

এছাড়াও ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৪ ধারা মোতাবেক সংবাদমাধ্যমে নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুর পরিচয় প্রকাশের ব্যাপারে বাধা নিষেধ সত্ত্বেও তা (১৪ ধারা) ভঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে তিন কার্যদিবসের মধ্যে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্ট নির্দেশ দেন।

আদালত এ সময় মন্তব্য করেন, শিশুটির বোনও একজন শিশু। তাই তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ১৪ ধারা অমান্যে যে শাস্তি হতে পারে, সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক করতে হবে। তাই আদালত তার অপর আদেশে, ভুক্তভোগী শিশু ও তার ১৪ বছর বয়সী বড় বোনের স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও কল্যাণ নিশ্চিতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। এজন্য ঢাকা ও মাগুর জেলা সমাজকল্যাণ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিতে আদেশ দেওয়া হয়। ’

‘অথচ আইনের বিধি-নিষেধ এবং হাইকোর্টের কঠোর নির্দেশনা সত্ত্বেও যশোরের এক নারী বাইকার কর্তৃক পরিচালিত ‘আমরাও মানুষ’ নামক ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেল থেকে ভিডিওধারণের মাধ্যমে শিশুটির বড় বোনের কাছে ঘটনার বর্ণনা জানতে চাওয়া ও ঘটনার সত্য-মিথ্যা বিষয়ে জবাবদিহিতামূলক ভিডিওধারণ করা হয়। ওই নারী কনটেন্ট ক্রিয়েটর একই ঘটনায় একাধিক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপলোড করেন। যা মুহূর্তে ভাইরাল হয় এবং তা দেখে উৎসুক জনতাও ভিডিওধারণে উৎসাহী হয়ে পড়ে। যার মাধ্যমে ভিকটিম পরিবারটিকে নতুন করে ভিকটিমাইজ করার অপচেষ্টা করা হয়েছে। ’

তাই ওই নোটিশ প্রাপ্তির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেসব ভিডিওসহ শিশুটির পরিচয় শনাক্ত করা যায়, এমন সব ভিডিও-পোস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে অপসারণের অনুরোধ করা হয়। একইসঙ্গে ‘আমরাও মানুষ’ পেজে-চ্যানেল থেকে প্রচারিত কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত বিচার ও শিশুটির পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ নিশ্চিতের অনুরোধ করা হয়। পাশাপাশি ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা এড়ানোর জন্য দেশে কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য একটি সুস্পষ্ট নীতিমালা প্রণয়নে অনুরোধ করা হয়। অন্যথায় এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে দেশের প্রচলিত আইন অনুসারে নোটিশদাতা উপযুক্ত আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়।

পাইকগাছায় সিরাতুল হুদা ট্রাস্ট এর উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

মোঃ রেজাউল ইসলাম, পাইকগাছা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫, ৮:৫২ অপরাহ্ণ
পাইকগাছায় সিরাতুল হুদা ট্রাস্ট এর উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

আজ (১৪ মার্চ)খুলনার পাইকগাছায় পবিত্র মাহে রমাদান উপলক্ষে স্থানীয় সিরাতুল হুদা ট্রাস্ট এর উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের কর্ম পরিষদ সদস্য এ্যাড: লিয়াকত আলী (প্রধান উপদেষ্টা, শামছুর রহমান ফাউন্ডেশন)।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাওঃ আমিনুল ইসলাম (জেলা কর্ম পরিষদ সদস্য), উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওঃ সাইদুর রহমান, মাওঃ আব্দুল খালেক,পৌর আমীর ডাঃ আসাদুল হক,অধ্যক্ষ আব্দুর রহিম, আবু জার গিফারী।

এ সময় বক্তব্য রাখেন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি নূরে আলম সিদ্দিকী, ছাত্রশিবির দক্ষিণের সভাপতি আবু জার গিফারী,এ্যাডঃ রুহুল আমিন,আসাদ আল হাফিজ, জেড এইচ শাহীন, মোঃ হারুন অর রশিদ,মোঃ শরিফুল ইসলাম।

যৌথ অভিযানে ৭ দিনে ৩৮৩ অপরাধী গ্রেপ্তার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫, ৮:৩৭ অপরাহ্ণ
যৌথ অভিযানে ৭ দিনে ৩৮৩ অপরাধী গ্রেপ্তার

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩৮৩ অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। এ সময় তাদের কাছ থেকে অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদকসহ বিভিন্ন মালামাল উদ্ধার করা হয়। আজ শুক্রবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, দেশের চলমান পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে দেশব্যাপী পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করে চলেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৬ থেকে ১৩ মার্চ পর্যন্ত সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের অধীনস্থ ইউনিট কর্তৃক অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বেশকিছু যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এ সকল যৌথ অভিযানে তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, ডাকাত দলের সদস্য, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী, কিশোর গ্যাং সদস্য এবং মাদক ব্যবসায়ীসহ মোট ৩৮৩ জন অপরাধীকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে তিনটি পিস্তল, একটি রিভলবার, দুটি শুটার গান, গোলাবারুদ, ককটেল বোমা, মাদকদ্রব্য, সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রকার দেশীয় অস্ত্র, পাসপোর্ট, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পোশাক, এনআইডি, মোবাইল ফোন, সিমকার্ড ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়।

আটককৃতদের প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ এবং আইনি কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে দুর্ঘটনাবশত অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যগণ জনসাধারণের জানমাল রক্ষায় নিরাপত্তা প্রদান, উদ্ধার কার্যক্রম ও অগ্নি নির্বাপনে অংশ নেয়।

দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সাধারণ জনগণকে যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য প্রদান করার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

‘সংস্কার সংক্ষিপ্ত হলে নির্বাচন ডিসেম্বরে, বৃহত্তর হলে জুনে’

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫, ৮:৩৩ অপরাহ্ণ
‘সংস্কার সংক্ষিপ্ত হলে নির্বাচন ডিসেম্বরে, বৃহত্তর হলে জুনে’

রাজনৈতিক দলগুলো যদি ‘সংক্ষিপ্ত সংস্কার প্যাকেজে’ সম্মত হয় তবে নির্বাচন ডিসেম্বরে আর যদি তা না হয়ে তারা ‘বৃহত্তর সংস্কার প্যাকেজ’ গ্রহণ করে সেক্ষেত্রে আগামী বছরের জুনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

আজ শুক্রবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে তার কার্যালয়ে ঢাকায় সফররত জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ কথা বলেন।

বাংলাদেশ সফরের জন্য জাতিসংঘ মহাসচিবকে ধন্যবাদ জানিয়ে এ সময় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আপনার আসার সময়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আপনার এ সফর শুধু রোহিঙ্গাদের জন্যই নয়, বাংলাদেশের জন্যও যথাসময়ে হয়েছে।

সংস্কার প্রক্রিয়ার অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করে ড. ইউনূস গুতেরেসকে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত ছয়টি সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের বিষয়ে এরই মধ্যে ১০টি রাজনৈতিক দল তাদের প্রতিক্রিয়া জমা দিয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো যদি সংস্কারের লক্ষ্য গঠিত ছয়টি কমিশনের সুপারিশ মেনে নেয়, তাহলে তারা জুলাই চার্টার বা জুলাই ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করবে। যা দেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের রূপরেখা হবে।

সাক্ষাৎকালে ড. ইউনূস গুতেরেসকে স্বচ্ছ, অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

এ সময় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, প্রধান উপদেষ্টার উচ্চ প্রতিনিধি ড. খলিলুর রহমান, সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ, জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল রবাব ফাতেমা এবং জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গুইন লুইস উপস্থিত ছিলেন।