খুঁজুন
সোমবার, ১৭ মার্চ, ২০২৫, ৩ চৈত্র, ১৪৩১

বেলকুচিতে নারী নির্যাতন বন্ধে ন্যায় বিচারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন

রেজাউল করিম স্টাফ রিপোর্টার,,সিরাজগঞ্জঃ
প্রকাশিত: রবিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৫, ১০:৩৮ অপরাহ্ণ
বেলকুচিতে নারী নির্যাতন বন্ধে ন্যায় বিচারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে নারী নির্যাতন বন্ধে ন্যায় বিচারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের ভুক্তভোগী নারী খুশী খাতুন।

রবিবার (১৬ মার্চ) সকালে বেলকুচি প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ এক সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী নারী খুশী খাতুন ও তার ভাই স্বামী নাজিম আকন্দসহ অপর আসামীগনের বিরুদ্ধে লিখিত বক্তব্য নির্যাতনের কথা উল্লেখ করে বলেন, প্রায় সাতাশ বছর পূর্বে বিবাহ হয়, বিভিন্ন সময় আমার স্বামী যৌতুকের জন্য চাপ প্রয়োগ মারধর করে এবং অনেক সময় টাকা পয়সা দেয়ার পরেও বারবার একইভাবে টাকার দাবি করে মারধর করে। এনিয়ে বিভিন্ন সময় গ্রাম্য সালিশি মাধ্যমে মীমাংসা করলেও বার বার একইভাবে টাকা পয়সার চাপ দিয়ে মারধর করে আসছে। নানা অত্যাচারের মধ্যদিয়ে সংসার করে আসছি। আমার ৩ ছেলে-মেয়ে, এক মেয়ে এবং ছেলের বিয়ে হয়েছে। মেয়ের বিয়ে হওয়ার পর থেকে আরও বেশী নির্যাতন চালায়।

ইতিপূর্বে সার্কেল  এসপি অফিসে নির্যাতনের বিষয়ে অভিযোগ করলে সেখানে এসে নির্যাতন করবেনা বলে স্বাক্ষর করে বাড়ি নিয়ে যায়। আমি নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে এ ব্যপারে বেলকুচি থানাধীন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-০১, আইনের আওতায় একটি মামলা (মামলা নং ১৯৯/২৪) নারী (১১) দায়ের করি ন্যায়বিচারের আশায়। কিন্তু মামলার ধীরগতি সাক্ষ্য-প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও মামলার অগ্রগতি হচ্ছে না। সর্বশেষ  ভুক্তভোগী খুশী খাতুন আরও বলেন, ৫ লাখ টাকা আরও না দেওয়া হয় এবং কথিত ২য় বউকে না মেনে নিই। এরপর আমরা শুনতে পারি সে নাকি ২য় বিয়ে করে অন্য যায়গা কিনে সেখানে অবস্থান করছে। 

আরও জানলাম ঐ বউ আরেক জনের বিবাহিত স্ত্রী এবং ঐ স্বামী একটা মামলাও করছে। তিনি বর্তমানে আটক আছে। তারা প্রভাবশালী হওয়ায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে হুমকি, ধামকি দিচ্ছে। ছেলে মেয়েদের সবাইকে ভিটেমাটি ছাড়া করবে বলে প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে বলেও তার লিখিত বক্তব্য উল্লেখ করেন। সমস্যা নিরসনে ভুক্তভোগী নারী ন্যায় বিচারের দাবীতে কর্তৃপক্ষের কাছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন ভুক্তভোগীর ভাই আলামিনসহ তার পরিবারবর্গ।

পুলিশকে অবহেলা করে দেশ গড়া যাবে না: প্রধান উপদেষ্টা

নিউজ ডেস্ক: জুলকার নাইন
প্রকাশিত: সোমবার, ১৭ মার্চ, ২০২৫, ৫:৩১ অপরাহ্ণ
পুলিশকে অবহেলা করে দেশ গড়া যাবে না: প্রধান উপদেষ্টা

পুলিশকে অবহেলা করে দেশ গড়া যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা.মুহাম্মদ ইউনূস।

আজ সোমবার (১৭-মার্চ) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে বৈঠকের তথ্য জানানো হয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে পুলিশের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন ডা. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আইন না থাকলে সরকার, গণতন্ত্র, নাগরিক অধিকার কিছুই থাকবে না। আর পুলিশকে অবহেলা করে দেশ গড়া যাবে না।

আইন যদি সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে পারি, শৃঙ্খলা যদি প্রতিষ্ঠিত করতে পারি, তাহলে সব যুদ্ধে জয়ী হওয়া সম্ভব।
অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে বেশি সময় নেই জানিয়ে অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আমরা এরইমধ্যে সাত মাস পার করে এসেছি।

আমরা বলেছি, ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে। কাজেই এর মধ্যেই আমাদের যে সামর্থ্য রয়েছে, যা যা সংস্কারের প্রয়োজন সেগুলো করতে হবে। কারো জন্য অপেক্ষায় থাকলে আমাদের কোনো লাভ হবে না। সংস্কার করতে হবে এবং সেটি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। নির্বাচনের সময়ে অনেক চাপ আসবে, সে সময়ে পুলিশ বাহিনীকে শক্ত থাকতে হবে বলে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।

বৈঠকে আরও বক্তব্য দেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, স্বরাষ্ট্রসচিব নাসিমুল গনি ও পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আহসান হাবিব পলাশ ও রাজশাহীর পুলিশ সুপার ফারজানা ইসলাম।

গণহারে পদত্যাগ করলেন জাতীয় পার্টির শতাধিক নেতাকর্মী

নিউজ ডেস্ক: জুলকার নাইন
প্রকাশিত: সোমবার, ১৭ মার্চ, ২০২৫, ৫:১৬ অপরাহ্ণ
গণহারে পদত্যাগ করলেন জাতীয় পার্টির শতাধিক নেতাকর্মী

চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদকসহ শতাধিক নেতাকর্মী পদত্যাগ করেছেন। রোজ সোমবার (১৭-মার্চ) দুপুরে উপজেলার একটি কমিউনিটি সেন্টারে উপজেলা জাতীয় পার্টির উদ্যোগে গণহারে পদত্যাগ করে নেতাকর্মীরা।

প্রথমে গণহারে পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর করেন মতলব দক্ষিণ উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডি এম আলাউদ্দিন, পৌর শাখার সভাপতি মহসিন সরকার, যুব সমিতির সভাপতি বাবুল ফরাজি, নায়েরগাঁও ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি আব্দুল কাদেরসহ উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা। পরে পদত্যাগের বিষয় তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডি এম আলাউদ্দিন।

তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি থেকে পদত্যাগ করার কারণ একটাই, ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে এই দল ফ্যাসিস্ট সরকারকে সমর্থন দিয়েছে। যার কারণে মনে করি আমরাও অপরাধী। এজন্য জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ করছি। উপজেলায় ১৫১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি।

তিনি আরও বলেন, আমরা এই সরকারকে সমর্থন করি। ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে সমর্থন করি। ফ্যাসিস্ট সরকার থাকাকালীন উপজেলা জাতীয় পার্টি কখনো গুম-খুন ও রাহাজানির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল না। তবুও জাতীয় পার্টি ফ্যাসিস্ট সরকারকে সমর্থন করেছে। সেই বিবেক থেকে আমরা উপলব্ধি করছি আমরা অপরাধী। যার কারণে জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে আমরা পদত্যাগ করছি।

করোনা টিকার ২২ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে

নিউজ ডেস্ক: জুলকার নাইন
প্রকাশিত: সোমবার, ১৭ মার্চ, ২০২৫, ৪:৫৫ অপরাহ্ণ
করোনা টিকার ২২ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে

করোনা ভাইরাসের টিকা কেনার নামে ২২ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে বেক্সিমকো ফার্মার ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানসহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

(১৭-মার্চ) রোজ সোমবার সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুদক মহাপরিচালক মোঃ আক্তার হোসেন।

তিনি বলেন, ভারত থেকে আমদানি করা অক্সফোর্ড–অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড-১৯ টিকা বিতরণের খরচ দেখানো হয়েছে ৪০ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে খরচ হয়েছে ১৮ হাজার কোটি টাকা।

বাকি ২২ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সালমান এফ রহমান ও তার সিন্ডিকেটের সদস্যরা। এই অভিযোগটি আমলে নিয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।

দুদক জানায়, করোনাভাইরাসের টিকাকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেকের নেতৃত্বে গড়ে উঠেছিল একটি সিন্ডিকেট।

সিন্ডিকেটে আরও ছিলেন তৎকালীন স্বাস্থ্য সচিব লোকমান হোসেন, বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের (বিএসআরসি) চেয়ারম্যান মোদাচ্ছের আলী ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্যসচিব আহমদ কায়কাউস।

এই সিন্ডিকেটের শক্তির বলয়েই আটকে যায় বাংলাদেশি টিকা বঙ্গভ্যাক্স। তৎকালীন স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছিলেন, কোভিড-১৯ টিকা ক্রয় এবং বিতরণের ক্ষেত্রে ৪০ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু টিআইবির গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই খরচ সর্বোচ্চ ১৮ হাজার কোটি টাকার বেশি হওয়ার কথা নয়।

চক্রটি তাদের পকেট ভারী করতেই মূলত বাংলাদেশ আবিষ্কৃত করোনা ভাইরাস টিকার অনুমোদন দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রভাব খাটিয়ে গড়িমসি করে। সিরাম থেকে সালমান এফ রহমান আলাদা কমিশন নিয়েছেন, যা আর কোনো দেশে ঘটেনি।