খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ২২ মে, ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

নারায়ণগঞ্জে ডিসি কার্যালয়ের সভায় ‘জয় বাংলা স্লোগান’ নিয়ে উত্তেজনা

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০২৫, ২:২৯ অপরাহ্ণ
নারায়ণগঞ্জে ডিসি কার্যালয়ের সভায় ‘জয় বাংলা স্লোগান’ নিয়ে উত্তেজনা

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের এক অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসকের সামনে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে বক্তব্য শেষ করেছেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের সাবেক কমান্ডার ও বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী।

এ ঘটনা নিয়ে সভা শেষে বিভক্তি দেখা দেয় দুই পক্ষের মধ্যে। শুধু তাই নয়, ঘটনাটির নিন্দা জানিয়ে মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করা হয়েছে। মানববন্ধন থেকে বুধবারের স্বাধীনতা দিবসের সভায় মোহাম্মদ আলীকে প্রতিরোধের ঘোষণা দেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু। তিনি মোহাম্মদ আলীকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা ও ফ্যাসিস্ট শামীম ওসমান, সেলিম ওসমানের দালাল হিসেবে উল্লেখ করেন।

জানা গেছে, সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে অনুদানের চেক বিতরণের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞার সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ আলী।

সে সময় তিনি বলেন, ‘জেলা প্রশাসক একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। কাজেই আমাদের জেলার মুক্তিযোদ্ধাদের কোনো অসম্মান হবে না। এবং কোনো অসুবিধা হবে না। আগামী দিনে আমরা সবাই মিলে থাকবো, আমাদের যেন সমস্যা না হয়। এবার যতটুকু অনুদান দিয়েছে এটাতে আমরা খুশি। আগামীতে যেন বেশি পাই এজন্য জেলা প্রশাসকের কাছে অনুরোধ করছি, এবার ১৪০ জনকে অনুদান দেয়া হয়েছে, আগামীতে যেন ২৪০ জনকে দেয়া হয়।’ শেষাংশে তিনি উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে বক্তব্য শেষ করেন।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো: আলমগীর হুসাইনের সঞ্চলনায় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো: মনিরুজ্জামান, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হোসনে আরা বেগম প্রমুখ।

এ সময় ১৪০ জন মুক্তিযোদ্ধার মাঝে ১০ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়েছে। অনুষ্ঠান শেষে অনুদানের তালিকা নিয়ে তর্কের জেরে মুক্তিযোদ্ধাদের দুইপক্ষের মধ্যে হট্টগোল ও হৈ-চৈ হয়।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, ‘২৬ মার্চে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেয়া হবে। সেখানে সাধারণ মুক্তিযোদ্ধারা আসবেন। কিন্তু এই ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা, ফ্যাসিস্ট ডেভিল মোহাম্মদ আলী যদি এখানে আসে তাহলে আমরা নারায়ণগঞ্জের জনগণ তাকে প্রতিরোধ করবো।’

মঙ্গলবার এক প্রস্তুতি সভা শেষে জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের সামনে একথা বলেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, ‘ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানকে জিম্মি করে যিনি সবসময় বিতর্কিত কর্মকাণ্ড চালিয়েছেন, তিনি হলেন মোহাম্মদ আলী। এই মোহাম্মদ আলী নারায়ণগঞ্জের কোনো রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে অংশ নিক আমরা তা চাই না।’

তিনি বলেন, ‘আগামীকাল ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা ও ফ্যাসিস্ট, শামীম ওসমান, সেলিম ওসমানের দালাল মোহাম্মদ আলী যদি শিল্পকলা একাডেমিতে আসে তাহলে তাকে সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধ করবো।’

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সাথে সাক্ষাৎ করে তথাকথিত বিতর্কিত নামধারী মুক্তিযোদ্ধা এবং বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকার ও নারায়ণগঞ্জের গডফাদার শামীম ও সেলিম ওসমানের সকল অপকর্মের পৃষ্ঠপোষক এবং দোসর ডেভিল দাবি করে মোহাম্মদ আলীর তথাকথিত জয় বাংলার স্লোগানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে সরকার ও প্রশাসনের সকল কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রাখার দাবি জানিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কাছে দাবি জানান মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মো: আবু আল ইউসুফ খান টিপু।

সভাপতি মেহেদী-সম্পাদক ইমন

রামকৃষ্ণপুর ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের কমিটি গঠন

রাসেল আহমেদ, হোমনা প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: বুধবার, ২১ মে, ২০২৫, ৮:১৭ অপরাহ্ণ
রামকৃষ্ণপুর ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের কমিটি গঠন

কুমিল্লার হোমনার রামকৃষ্ণপুর ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের আংশিক পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে মোঃ মুশফিকুর রহমান মেহেদী কে সভাপতি ও বাদশা ফাহাদ ইমন কে সাধারন সম্পাদক এবং মোঃ শামিম সরকার কে সাংগঠনিক সম্পাদক করে এ কমিটির অনুমোদন করা হয়।

গত ১৯ মে কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক আসিফ কবির ও সদস্য সচিব মাহমুদুল হাসান তামিম স্বাক্ষরিত পেডে ৩৪ সদস্য বিশিষ্ট রামকৃষ্ণপুর ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের আংশিক পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেন।

এছাড়াও কমিটিতে সহ সভাপতি হিসেবে আছেন, মোঃ জাকারিয়া ইসলাম, রাশেদ খান, আবু সাঈদ, মোঃ বরকত উল্লাহ সরকার, ওমর মিয়া।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আছেন, রহমত উল্লাহ, মোঃ সিনহা, আশরাফুল ইসলাম ইমন, মোঃ মেহেদী ইসলাম মিরাজ, রিয়াজ উদ্দিন শুভ, আল আমিন পাপ্পু, নিহান সরকার।

সহ সাংগঠনিক পদে আছেন, মোঃ শ্রাবণ, সজিব মিয়া, মোঃ সিয়াম। কমিটির দপ্তর সম্পাদক দূর্জয় সূত্রধর, প্রচার সম্পাদক মোঃ রিমন মিয়া, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম রিফাত, সাংস্কৃতিক সম্পাদক রবিউল ইসলাম, ক্রীড়া সম্পাদক মোঃ কালাম।

এছাড়াও কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, সিফাত আলম, মোঃ শামীম, তন্ময় ঘোষ, মোঃ শাওন খান, নাবিল সরকার, সাখাওয়াত হোসেন, সারওয়ার মমিন রাফী, জাহিদুল ইসলাম, নিয়াজ মাহমুদ, সাবিকুল হাসান ধ্রুব, মোঃ সোহেল।

নবগঠিত কমিটির সভাপতি মুশফিকুর রহমান মেহেদী বলেন, রামকৃষ্ণপুর ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি হতে পেরে আমি ধন্য। আমাকে এ গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব প্রদানের জন্য সকল কে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। আমার মেধা ও কাজ কর্মের মাধ্যমে এ কলেজের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে চাই। শিক্ষার্থীদের পাশে থেকে সর্বদা তাদের পড়াশোনার মানোন্নয়নে কাজ করতে চাই।

৩ জুন থেকে ‘ঈদ স্পেশাল সার্ভিস’ চালু করবে বিআরটিসি

অনলাইন নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ২১ মে, ২০২৫, ২:০৬ অপরাহ্ণ
৩ জুন থেকে ‘ঈদ স্পেশাল সার্ভিস’ চালু করবে বিআরটিসি

আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি) এবারও ঈদ স্পেশাল সার্ভিস চালু করতে যাচ্ছে। বিআরটিসি ঘরমুখো যাত্রীদের সুবিধা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আগামী ৩ জুন তারিখ থেকে এই সার্ভিস চালু হবে।

এছাড়াও, ২৪ মে থেকে বিআরটিসি’র সংশ্লিষ্ট ডিপো থেকে অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে। এই বিশেষ সেবা আগামী ১৪ জুন পর্যন্ত চলবে। ঢাকার মতিঝিল, জোয়ারসাহারা, কল্যাণপুর, গাবতলী, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, যাত্রাবাড়ি, গাজীপুর এবং নারায়ণগঞ্জ বাস ডিপো থেকে বিভিন্ন রুটের অগ্রিম টিকিট বিক্রির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

প্রতিটি ডিপো থেকে বিভিন্ন শহর ও জেলার জন্য ঈদ স্পেশাল সার্ভিস চলমান থাকবে। চলুন একনজরে দেখে নেয়া যাক:

কল্যাণপুর বাস ডিপো– আরিচা, পাটুরিয়া, ভাঙ্গা, গোপালগঞ্জ, বরিশাল।

গাবতলী ডিপো– রংপুর, বরিশাল, খুলনা, গোপালগঞ্জ, পাটুরিয়া, বগুড়া।

জোয়ারসাহারা বাস ডিপো– রংপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, নওগাঁ, বরিশাল, বগুড়া, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল।

মিরপুর বাস ডিপো– রংপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, মাওয়া, পাটুরিয়া, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, গোপালগঞ্জ, ভাটিয়াপাড়া, ময়মনসিংহ।

মোহাম্মদপুর বাস ডিপো– রংপুর, দিনাজপুর, গাইবান্ধা, নওগাঁ, বগুড়া, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, পাটুরিয়া, বরিশাল, গোপালগঞ্জ।

গাজীপুর বাস ডিপো– ময়মনসিংহ, রংপুর, পাবনা, বগুড়া, খুলনা, ঠাকুরগাঁও, কুড়িগ্রাম।

যাত্রাবাড়ি বাস ডিপো– রংপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, কুড়িগ্রাম, ভাঙ্গা, ফরিদপুর,বরিশাল। নারায়ণগঞ্জ বাস ডিপো– রংপুর, কুষ্টিয়া, জামালপুর, নওয়াগাঁ, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, রাজশাহী, ভাঙ্গা, নেত্রকোনা।

নরসিংদী বাস ডিপো– স্বরূপকাঠী, রংপুর, নওগাঁ, কিশোরগঞ্জ, গোপালগঞ্জ,বগুড়া।

কুমিল্লা বাস ডিপো– সিলেট, সুনামগঞ্জ।

সিলেট বাস ডিপো– ময়মনসিংহ, রংপুর, লক্ষীপুর, চট্টগ্রাম।

দিনাজপুর বাস ডিপো– ঢাকা-দিনাজপুর রুট।

সোনাপুর বাস ডিপো– চট্টগ্রাম রুট।

বগুড়া বাস ডিপো– যশোর, রংপুর, বরিশাল।

রংপুর বাস ডিপো– পঞ্চগড়, রংপুর, খুলনা, বরিশাল, ঢাকা।

খুলনা বাস ডিপো– রংপুর, কিশোরগঞ্জ, ঢাকা।

পাবনা বাস ডিপো– গাজীপুর, কুষ্টিয়া, ঢাকা।

ময়মনসিংহ বাস ডিপো– গাইবান্ধা (সুন্দরগঞ্জ), ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, শেরপুর, ঘাটাইল, সিলেট, ঢাকা।

চট্টগ্রাম বাস ডিপো– রংপুর, সিলেট, ভোলা।

টুঙ্গীপাড়া বাস ডিপো– ঢাকা, চিলমারী, পাটগাতী।

বরিশাল বাস ডিপো– ঢাকা, রংপুর, কুয়াকাটা।

বিআরটিসি কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের জন্য অগ্রিম টিকিট বিক্রির জন্য বিভিন্ন ডিপোতে ম্যানেজার (অপারেশন) মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করার পরামর্শ দিয়েছে।

টিকিট বুংকিংয়ের জন্য মোবাইল নম্বর:

মতিঝিল বাস ডিপো-মোবা: ০১৯১৬৭২১০৪৪, কল্যাণপুর বাস ডিপো-মোবা: ০১৭১৫৬৫২৬৮৩, গাবতলী বাস ডিপো-মোবা: ০১৭১২২৮১১২১, জোয়ারসাহারা বাস ডিপো-মোবা: ০১৭১৪২৪০৬৫৩, মিরপুর বাস ডিপো-মোবা: ০১৭৪০০৯৮৮৮৮, মোহাম্মদপুর বাস ডিপো-মোবা: ০১৭১০৮১৫৮৫৬, গাজীপুর বাস ডিপো-মোবা: ০১৫৫৩৩৪৯৫৬৭, যাত্রাবাড়ি বাস ডিপো-মোবা: ০১৭৩৪১৫৫৩২৪, নারায়ণগঞ্জ বাস ডিপো-মোবা: ০১৭৩৬৯৮৪৯৩৫, কুমিল্লা বাস ডিপো-মোবা: ০১৭১৭৭৬৩৮২০, নরসিংদী বাস ডিপো-মোবা: ০১৭২৯৩৩৯৫১৯, দিনাজপুর বাস ডিপো-মোবা: ০১৫৫২৪৪২৫৬৬, সোনাপুর বাস ডিপো-মোবা: ০১৭৩৭৭২২৮৮২, বগুড়া বাস ডিপো-মোবা: ০১৯১৩৭৪১২৩৪, রংপুর বাস ডিপো-মোবা: ০১৭১২৩৮২১৪৪, খুলনা বাস ডিপো-মোবা: ০১৭১১৭০৮০৮৯, পাবনা বাস ডিপো-মোবা: ০১৯১৯৪৬৫২৬৬, ময়মনসিংহ বাস ডিপো-মোবাঃ ০১৭৫৮৮৮০০১১, চট্টগ্রাম বাস ডিপো-মোবা: ০১৭৯৮১৩১৩১৩, টুঙ্গীপাড়া বাস ডিপো-মোবা: ০১৭১২৯০৪১২০, বরিশাল বাস ডিপো-মোবা: ০১৭১১৯৯৮৬৪২, সিলেট বাস ডিপো-মোবা: ০১৭১৯৪০৯৪০।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশনের এই উদ্যোগে ঈদুল আজহায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে রাজধানীতে আসা যাত্রীদের যাত্রা নিরাপদ ও সাশ্রয়ী হবে।

আন্তর্জাতিক স্পেস সেটেলমেন্ট প্রতিযোগিতায় বিশ্বসেরা বাংলাদেশের স্কুলশিক্ষার্থীরা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২০ মে, ২০২৫, ৯:৩১ অপরাহ্ণ
আন্তর্জাতিক স্পেস সেটেলমেন্ট প্রতিযোগিতায় বিশ্বসেরা বাংলাদেশের স্কুলশিক্ষার্থীরা

সম্প্রতি আন্তর্জাতিকভাবে সমাদৃত এনএসএস জেরার্ড কে. ও’নিল স্পেস সেটেলমেন্ট প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে গ্লেনরিচ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল উত্তরার নয় সদস্যের একটি দল। এই প্রতিযোগিতায় লার্জ গ্রুপ (গ্রেড ৯) ক্যাটাগরিতে প্রথম স্থান অর্জন করেছে এই দলটি। গ্লেনরিচের শিক্ষার্থীরা ‘চিরন্তন আশ্রয়’ শীর্ষক একটি প্রকল্প উপস্থাপন করে। গ্লেনরিচ উত্তরা টানা তিন বছর এই পুরষ্কার অর্জন করার গৌরব অর্জন করলো।

এছাড়া, আরেকটি দল তাদের ‘এক্সসার্টা’ প্রকল্পের জন্য স্মল গ্রুপ (গ্রেড ৯) ক্যাটাগরিতে দ্বিতীয় পুরষ্কার এবং গ্লেনরিচের তৃতীয় দলটি ‘অ্যাটলাস’ শীর্ষক প্রকল্পের জন্য লার্জ গ্রুপ (গ্রেড ১১) ক্যাটাগরিতে ‘অনারেবল মেনশন’ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে।

ন্যাশনাল স্পেস সোসাইটি (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) দ্বারা আয়োজিত এনএসএস জেরার্ড কে. ও’নিল স্পেস সেটেলমেন্ট প্রতিযোগিতা একটি আন্তর্জাতিক আয়োজন, যেখানে শিক্ষার্থীরা মহাকাশে মানব সৃষ্ট বসতি কেমন হবে সে সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রকল্প ডিজাইন করে থাকে। এই প্রতিযোগিতাটি শিক্ষার্থীদের মাঝে সৃজনশীলতা, বৈজ্ঞানিক চিন্তাভাবনা এবং মহাকাশ অন্বেষণের আগ্রহকে উৎসাহিত করার জন্য আয়োজন করা হয়।

এ বছর রোমানিয়া, আয়ারল্যান্ড, বাংলাদেশ, ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ প্রায় ২৫টি দেশের ২৬ হাজারেও বেশি শিক্ষার্থী ৪,৯০০টিরও বেশি এন্ট্রিতে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। বাংলাদেশ থেকে গ্লেনরিচ উত্তরার একটি দল তাদের ‘চিরন্তন আশ্রয়’ প্রকল্প প্রতিযোগিতার জন্য জমা দেয়। এই প্রকল্পটি লার্জ গ্রুপ (গ্রেড ৯) ক্যাটাগরিতে প্রথম স্থান অর্জন করেছে।

বিজয়ী দলে সদস্য হিসেবে ছিলেন — অদ্বৈত ভাস্কর, আহমাদ আবদুল্লাহ, আয়শা আফসারা ইয়াসমিন, সিয়াম আহমেদ, ইব্রাহিম আমিন, মুহায়ের মনযুর, আহনাফ তাহমিদ আরিয়ান, সাফওয়ান চৌধুরী ও কাজী আফসান রওনাক আনান।

গ্লেনরিচ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল উত্তরার প্রিন্সিপাল ড. অম্লান কে সাহা বলেন, “এই অর্জন গ্লেনরিচ স্কুলের সকলের জন্য গর্বের বিষয়। বিজয়ী দল এই প্রকল্পটি বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য বেশ কয়েকদিন ধরে নিরলস কাজ করেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিদ্যমান সংকটগুলো মোকাবিলা করার সম্ভাবনা রয়েছে এমন একটি বিষয়ে শিক্ষার্থীরা গভীরভাবে অনুসন্ধান করেছে; শিক্ষার্থীদের এই প্রচেষ্টা প্রশংসনীয়। ভবিষ্যতেও আমরা গ্লেনরিচের শিক্ষার্থীদের প্রতিভা বিকাশে সহায়ক ভূমিকা রাখার ব্যাপারে আশাবাদী।”

বিজয়ী দলের অন্যতম সদস্য আহমেদ আবদুল্লাহ বলেন, “এই প্রকল্পটি জমা দেওয়ার জন্য আমরা প্রায় ৫৫ দিন ধরে কঠোর পরিশ্রম করেছি। আমরা অত্যন্ত আনন্দিত যে, আমাদের কঠোর পরিশ্রম বিফলে যায়নি। এই সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার মাধ্যমে আমরা মানব সৃষ্ট বিপর্যয় থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করতে এবং মানুষের জন্য একটি টেকসই বিকল্প তৈরি করতে চাই।”

‘চিরন্তন আশ্রয়’ প্রকল্পটি মানবজাতির জন্য বামন গ্রহ সেরেসে প্রথম স্বনির্ভর মহাকাশ বসতির ধারণার ওপর ভিত্তি করে ডিজাইন করা হয়েছে। এই প্রকল্প জলবায়ু পরিবর্তন, প্রাকৃতিক সম্পদের অবক্ষয় এবং মহাজাগতিক বিপদের প্রভাব এড়াতে সাহায্য করবে। এই বসতিতে এক লক্ষ মানুষের জন্য আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করা সম্ভব। এই পরিকল্পনায় মোবিয়াস স্ট্রিপ অনুপ্রাণিত সৌর প্যানেল দ্বারা পরিচালিত টেকসই জীবনযাত্রার ধারণা দেওয়া হয়েছে।