খুঁজুন
মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

‘জুনের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৭-৮ শতাংশে নেমে আসবে’

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৫, ২:৩০ অপরাহ্ণ
‘জুনের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৭-৮ শতাংশে নেমে আসবে’

চলতি অর্থবছরের শেষ মাস জুনের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৭ থেকে ৮ শতাংশে নেমে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।

শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের চট্টগ্রাম কার্যালয়ে অর্থপাচার প্রতিরোধ ও সমসাময়িক ব্যাংকিং ইস্যু নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ আশা প্রকাশ করেন তিনি।

বিগত সময়ে মূল্যস্ফীতির তথ্য কমিয়ে দেখানো হতো উল্লেখ করে গভর্নর বলেন, মূল্যস্ফীতির বিষয়ে আমরা বলবো- আমাদের প্রচেষ্টা আংশিক সফল হয়েছে। আগে তথ্যটাকে কমিয়ে দেখানো হতো। ফলে মূল্যস্ফীতি ৯, সাড়ে ৯ এর উপরে উঠতো না। গত আগস্ট মাসে যখন নতুন তথ্য আসলো, খাদ্যে মূল্যস্ফীতি তখন সাড়ে ১৪ শতাংশ। গত মাসে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি ছিল সাড়ে ৮ শতাংশের মতো। খাদ্যের মূল্যস্ফীতি আমরা ৫-৬ শতাংশ কমিয়ে ফেলেছি, যা সন্তোষজনক।

তিনি বলেন, খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ততটা কমেনি, তবে কিছুটা কমেছে। যেটা আগে সাড়ে ১২ শতাংশ ছিল, সেটা এখন ৯ শতাংশের কিছুটা উপরে আছে। এতে ৩ শতাংশ কমেছে। আমি আশাবাদী, সামনে এটা আরও কমবে। কারণ আমাদের মতো দেশে খাদ্যমূল্যটা যখন বাড়ে, তখন খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি দুই-তিন শতাংশ বাড়ে। কমার ক্ষেত্রেও একই চিত্র দেখা যায়। সামগ্রিকভাগে আমরা একটি স্বস্তির জায়গায় যেতে চাই।

আহসান এইচ মনসুর বলেন, আশা করছি মূল্যস্ফীতি ৭ থেকে ৮ শতাংশের মতো পাবো জুনের শেষে। জুলাই মাসে যে ডেটা পাবো, তখন হয়তো সে চিত্রটা আমরা পাবো। ইনশাল্লাহ আগামী বছরের দিকে ৫ শতাংশ কিংবা তারও নিচে নামিয়ে আনার চেষ্টা করবো। মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনা গেলে ইন্টারেস্ট রেটও আমরা কমিয়ে আনতে পারবো। ইন্টারেস্ট রেট আমরা ১০ শতাংশ রেখেছি।

মূল্যস্ফীতি কমাতে গেলে পলিসি রেট পজিটিভ রাখতে হবে জানিয়ে গভর্নর বলেন, পৃথিবীর সবদেশেই মূল্যস্ফীতির পলিসি রেট বেশি, অর্থাৎ পজিটিভ। কিন্তু আমাদের দেশে এটা ছিল না। আমাদের দেশে মূল্যস্ফীতি ছিল ১৪, পলিসি রেট ছিল সাড়ে ৮। বিশাল একটা গ্যাপ ছিল। আমি আসার পরে এটাকে বাড়িয়ে ১০ করা হয়েছে। ইনশাআল্লাহ ১০ থেকে কমবে। যখন মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশের নিচে আসবে, তখন আমরা ইন্টারেস্ট রেট কমিয়ে আনবো। আমাদের পলিসি এখন সঠিকভাবে কাজ করছে।

অর্থপাচারে বাংলাদেশ একটি বড় ভিকটিম দাবি করে তিনি বলেন, কতিপয় পরিবার বা গোষ্ঠী ব্যাংকিং খাতের বড় একটি অংশ অর্থপাচারের মাধ্যমে দেশের সম্পদ বাইরে নিয়ে গেছে। সেই সম্পদ ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক কাজ করছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর সঙ্গে কাজ করছি।

রোগ সারানোর চেয়ে রোগ প্রতিরোধকে অগ্রাধিকার দেওয়া প্রয়োজন উল্লেখ করে আহসান এইচ মনসুর বলেন, চুরি (অর্থপাচার) হওয়ার পরেই বুদ্ধি বাড়িয়ে লাভ নেই, চুরি হওয়ার আগেই ঠেকানোর ব্যবস্থা করতে হবে। যা গেছে তা ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা আমরা নেবো। ভবিষ্যতে যাতে অর্থপাচার না হয়, অর্থপাচার রোধ করা যায়, সে ব্যবস্থাও আমরা নেবো।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে আমার মূল দায়িত্ব হলো দেশের অর্থনীতিতে সামগ্রিক ভারসাম্য ফিরিয়ে আনা। এরই মধ্যে আমরা বেশ কিছু সাফল্য অর্জন করেছি, পুরোপুরিভাবে হয়নি, আরও হবে আশা করি। আমাদের ব্যালেন্স অব পেমেন্টের ঘাটতি এখন আর নেই, একসময়ে বিশাল অংকের ঘাটতি ছিল, সেটা আমরা মিটিয়ে ফেলেছি। এখন স্থিতিশীল অবস্থায় আছে। আমাদের রিজার্ভটাও স্থিতিশীল অবস্থায় আছে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে আছে।

গভর্নর আরও বলেন, আমাদের রপ্তানি বাড়ছে। বিগত সময়ে বিভিন্ন রকমের আন্দোলন সত্ত্বেও রপ্তানি কিন্তু মুখ থুবড়ে পড়েনি। গত ৮-৯ মাসের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখতে পেয়েছি ডাবল ডিজিট গ্রোফ আমরা এখন দেখতে পারছি না। তবে রেমিট্যান্সের অবস্থা খুবই উৎসাহব্যঞ্জক, ২৬-২৭ শতাংশে রয়েছে। সবমিলিয়ে ম্যাক্রো ইকোনোমিক্সে আমরা একটি স্বস্তির জায়গা চলে আসছি। কোনো ধরনের ক্রাইসিস আছে এবং হবে বলে আমরা মনে করি না। আমরা একটি সুদৃঢ় অবস্থানে আছি।

পাচার হওয়া অর্থ ফেরতের বিষয়ে তিনি বলেন, অর্থ ফেরত আনার বিষয়টি বাংলাদেশের জন্য একেবারেই নতুন। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সংযোগ তৈরি করছি। যে দেশে পাচার হয়েছে, সে দেশের আইনের সঙ্গে সংগতি রেখে পাচার হওয়ার টাকা ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে হবে। বিভিন্ন দেশের ল’ ফার্মের সহযোগিতা নেওয়া হচ্ছে। বিদেশ থেকে পাচার হওয়ার সম্পদের বিষয়ে সঠিক তথ্য নিয়ে আসতে হবে। আমরা বিদেশিদের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছি। তারপরও বিষয়টি সহজ নয়, সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। আমাদের লক্ষ্য হলো আগামী ছয় মাসের মধ্যে বেশ কয়েকটি দেশে পাচার হওয়া সম্পদ যদি ফ্রিজ করতে পারি, তাহলে এটি হবে আমাদের প্রাথমিক অর্জন।

গভর্নর বলেন, চট্টগ্রামেরই বড় গ্রুপ সোয়া লাখ কোটি টাকা পাচার করেছে, এসব নিয়েছে ব্যাংকিং খাত থেকে। আরও কিছু আছে, বেক্সিমকো ৫০ হাজার, আরও অনেকগুলো ৩০ হাজার, ৪০ হাজার, ৫০ হাজার, ২০ হাজার কোটি টাকা নিয়েছে। সবমিলিয়ে বড় প্রতিষ্ঠানগুলোতে আড়াই থেকে তিন লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। ছোটগুলো আমরা ধরছি না।

মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. জামাল উদ্দিন, বিএফআইইউয়ের পরিচালক মো. আনিসুর রহমান, চট্টগ্রাম অফিসের পরিচালক মো. সালাহ উদ্দীন, মো. আরিফুজ্জামান, মো. আশিকুর রহমান, স্বরুপ কুমার চৌধুরী প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের উপ-পরিচালক মো. জোবাইর হোসেন।

ব্যবসায়ীর সঙ্গে পরকীয়া; গুঞ্জন নিয়ে যা বললেন সারিকা

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২ জুন, ২০২৫, ১১:৫৯ অপরাহ্ণ
ব্যবসায়ীর সঙ্গে পরকীয়া; গুঞ্জন নিয়ে যা বললেন সারিকা

ব্যবসায়ী মাহিম করিম খানের সঙ্গে প্রথম বিয়ে ভাঙার পর জি এস বদরুদ্দিন আহমেদ (রাহী) কে দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও মডেল সারিকা সাবরিন। কিন্তু বিয়ের তিন বছর পেরোতেই আবারও বিবাহবিচ্ছেদের গুঞ্জন উঠেছে তার জীবনে। আর এজন্য দায়ী করা হয়েছে পরকীয়াকে। গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ায় বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমে খোলামেলা কথা বলেন অভিনেত্রী।

শোবিজ পাড়ায় গুঞ্জন উঠেছে, গুলশানের এক কেমিক্যাল ব্যবসায়ীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়েছেন সারিকা। স্বামীর সঙ্গে দাম্পত্য কলহ বেড়ে যাওয়ায় নতুন এক ব্যবসায়ীকে মন দিয়েছেন।

ভক্তমহল ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরকীয়ার গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন সারিকা। সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে টুকটাক বনিবনা না হওয়া বা ন্যাচারাল ১৯-২০ যেমন ঝগড়া হয়, ওটাই হয়েছে। ৩ বছর পেরিয়ে ৪ বছরের সংসার জীবনে আছি। দীর্ঘ সময়ে আমরা এক রাতও আলাদা থাকিনি।’

পরকীয়া-বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে এ অভিনেত্রী বলেন, ‘এমন তথ্য একেবারেই ভিত্তিহীন। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি আমার স্বামী-সন্তানের সঙ্গে গাড়ি নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছিলাম। ঘুরতে যেয়েই ভুয়া খবরটি পেলাম। এমন খবর কে বা কারা ছড়ায় জানতে পারলে সমাধান বলতে পারতাম।’

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে ব্যবসায়ী মাহিম করিম খানকে ভালোবেসে বিয়ে করেন সারিকা। পরের বছরই তাদের ঘর আলো করে আসে একমাত্র কন্যাসন্তান। কন্যা সন্তানের বয়স ১ বছর হতেই ২০১৬ সালে বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন তারা। এরপর ৬ বছর একাই ছিলেন। ২০২২ সালে দুই পরিবারের সম্মতিতে জি এস বদরুদ্দিন আহমেদ (রাহী) কে দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন অভিনেত্রী।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার-আহতদের জন্য ৪০৫ কোটি বরাদ্দ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২ জুন, ২০২৫, ১১:৫৪ অপরাহ্ণ
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার-আহতদের জন্য ৪০৫ কোটি বরাদ্দ

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবার এবং আহতদের জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ৪০৫ কোটি ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। সোমবার বিকেলে বাজেট প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। সময় তিনি এই বরাদ্দ দেওয়ার কথা জানান।

সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাস ও চেতনাকে রাষ্ট্রীয় জীবনে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে নানা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। শহীদ পরিবার ও আহতদের ভাতা, চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের বিষয়টি এর গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

তিনি বলেন, শিগগির জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের পরিবার এবং আহতদের জন্য ভাতা প্রদানের লক্ষ্যে নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে। এছাড়া, তাদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে। ২০২৫-২৬ অর্থবছরে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবার এবং আহতদের জন্য ৪০৫ কোটি ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করছি।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা খাতের ব্যাপ্তি এবং গুরুত্ব বিবেচনায় ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ১ লাখ ১৬ হাজার ৭৩১ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করছি। এক্ষেত্রে পেনশন ব্যতীত সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বরাদ্দের পরিমাণ দাঁড়াবে ৯১ হাজার ২৯৭ কোটি টাকা।

তিনি আরও বলেন, সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় দরিদ্র, প্রান্তিক ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক বৈষম্য কমানোর বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব পেয়েছে।

বৈঠকে অনুমোদন পাওয়ার পর রাষ্ট্রপতি একটি অধ্যাদেশ জারি করে বাজেটটি কার্যকর করবেন, যা আগামী ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে।

ঈদযাত্রায় ফিটনেসবিহীন যানবাহন বন্ধের দাবি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ২ জুন, ২০২৫, ১১:৫২ অপরাহ্ণ
ঈদযাত্রায় ফিটনেসবিহীন যানবাহন বন্ধের দাবি

ঈদযাত্রায় যাত্রী দুর্ভোগ, দুর্ঘটনা, যানজট ও মানুষের ভোগান্তি কমাতে সব পথে মেয়াদোত্তীর্ণ ও ফিটনেসবিহীন যানবাহন বন্ধের দাবি জানিয়েছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। আজ সোমবার সকালে সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই দাবি জানান সমিতির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ জকরিয়া ও মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীর।

এতে বলা হয়, প্রতিবছর ঈদে ফিটনেসবিহীন, লক্কড়-ঝক্কড় বাস, ট্রাক, লেগুনা, টেম্পু, মাইক্রোবাস, কার, নছিমন-করিমন ও সিটি সার্ভিসের বাস-মিনিবাস দূরপাল্লার বহরে যাত্রীপরিবহনে নেমে পড়ে। মেয়াদ উত্তীর্ণ নৌযান দুর্ঘটনার ঝুঁকি তৈরি করে। রেলপথেও মেয়াদ উত্তীর্ণ কোচ, ইঞ্জিন, রেলপথের কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ও লাইনচ্যুতির ঘটনায় প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি যানজট ও ভোগান্তি তৈরি করে। এবারের ঈদে সকলপথে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণের পাশাপাশি সামাজিক সচেতনতা তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

সারাদেশে প্রায় ৫ লক্ষাধিক যানবাহনের ফিটনেস নেই। ৫ লাখ ইজিবাইক, ৬০ হাজার সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ৭ লাখ ব্যাটারিচালিত রিকশা, ১ লাখ নছিমন করিমন, ২০ লাখ মোটরসাইকেল প্রতিদিন জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে চলাচল করছে। এছাড়াও মহাসড়কের পাশে পশুরহাট, পশুবাহী ট্রাক চলাচলের কারণে যানবাহন দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাসের গতি কমানোর পাশাপাশি যানজটের সৃষ্টি করছে। এসব যানবাহন জাতীয় মহাসড়ক থেকে জরুরি ভিত্তিতে উচ্ছেদ করতে হবে। সড়ক-মহাসড়কের প্রতি ইঞ্চি বেদখলমুক্ত করে বাধাহীন যানবাহন চলাচলে উদ্যোগ নিতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা, পুলিশ, সেনাবাহিনীসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে।

এ ছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ আনফিট নৌযানের চলাচল বন্ধ করা, প্রতিটি নৌযানের লোডলাইন অনুযায়ী অতিরিক্ত যাত্রীবহন কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে। সবপথের প্রতিটি রুটে যাত্রীসাধারণের নিরাপত্তা বিধান করা, বাস টার্মিনাল, লঞ্চ টার্মিনাল, ও রেলস্টেশনে অপেক্ষমান যাত্রীদের বসার ব্যবস্থা করা, ব্যবহার উপযোগী প্রয়োজনীয় শৌচাগারের ব্যবস্থা করা, পর্যাপ্ত নিরাপত্তার বিধান নিশ্চিত করা জরুরি। বাসা থেকে বের হলেই পথে পথে ছিনতাই, অজ্ঞানপাটি, মলমপাটি, টানাপাটিসহ যে কোনও দুষ্কৃতিকারীদের নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর তৎপরতা বাড়ানো, গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা, পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার দাবি জানানো হচ্ছে।