খুঁজুন
বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫, ৩ বৈশাখ, ১৪৩২

‘জুনের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৭-৮ শতাংশে নেমে আসবে’

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৫, ২:৩০ অপরাহ্ণ
‘জুনের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৭-৮ শতাংশে নেমে আসবে’

চলতি অর্থবছরের শেষ মাস জুনের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৭ থেকে ৮ শতাংশে নেমে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।

শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের চট্টগ্রাম কার্যালয়ে অর্থপাচার প্রতিরোধ ও সমসাময়িক ব্যাংকিং ইস্যু নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ আশা প্রকাশ করেন তিনি।

বিগত সময়ে মূল্যস্ফীতির তথ্য কমিয়ে দেখানো হতো উল্লেখ করে গভর্নর বলেন, মূল্যস্ফীতির বিষয়ে আমরা বলবো- আমাদের প্রচেষ্টা আংশিক সফল হয়েছে। আগে তথ্যটাকে কমিয়ে দেখানো হতো। ফলে মূল্যস্ফীতি ৯, সাড়ে ৯ এর উপরে উঠতো না। গত আগস্ট মাসে যখন নতুন তথ্য আসলো, খাদ্যে মূল্যস্ফীতি তখন সাড়ে ১৪ শতাংশ। গত মাসে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি ছিল সাড়ে ৮ শতাংশের মতো। খাদ্যের মূল্যস্ফীতি আমরা ৫-৬ শতাংশ কমিয়ে ফেলেছি, যা সন্তোষজনক।

তিনি বলেন, খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ততটা কমেনি, তবে কিছুটা কমেছে। যেটা আগে সাড়ে ১২ শতাংশ ছিল, সেটা এখন ৯ শতাংশের কিছুটা উপরে আছে। এতে ৩ শতাংশ কমেছে। আমি আশাবাদী, সামনে এটা আরও কমবে। কারণ আমাদের মতো দেশে খাদ্যমূল্যটা যখন বাড়ে, তখন খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি দুই-তিন শতাংশ বাড়ে। কমার ক্ষেত্রেও একই চিত্র দেখা যায়। সামগ্রিকভাগে আমরা একটি স্বস্তির জায়গায় যেতে চাই।

আহসান এইচ মনসুর বলেন, আশা করছি মূল্যস্ফীতি ৭ থেকে ৮ শতাংশের মতো পাবো জুনের শেষে। জুলাই মাসে যে ডেটা পাবো, তখন হয়তো সে চিত্রটা আমরা পাবো। ইনশাল্লাহ আগামী বছরের দিকে ৫ শতাংশ কিংবা তারও নিচে নামিয়ে আনার চেষ্টা করবো। মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনা গেলে ইন্টারেস্ট রেটও আমরা কমিয়ে আনতে পারবো। ইন্টারেস্ট রেট আমরা ১০ শতাংশ রেখেছি।

মূল্যস্ফীতি কমাতে গেলে পলিসি রেট পজিটিভ রাখতে হবে জানিয়ে গভর্নর বলেন, পৃথিবীর সবদেশেই মূল্যস্ফীতির পলিসি রেট বেশি, অর্থাৎ পজিটিভ। কিন্তু আমাদের দেশে এটা ছিল না। আমাদের দেশে মূল্যস্ফীতি ছিল ১৪, পলিসি রেট ছিল সাড়ে ৮। বিশাল একটা গ্যাপ ছিল। আমি আসার পরে এটাকে বাড়িয়ে ১০ করা হয়েছে। ইনশাআল্লাহ ১০ থেকে কমবে। যখন মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশের নিচে আসবে, তখন আমরা ইন্টারেস্ট রেট কমিয়ে আনবো। আমাদের পলিসি এখন সঠিকভাবে কাজ করছে।

অর্থপাচারে বাংলাদেশ একটি বড় ভিকটিম দাবি করে তিনি বলেন, কতিপয় পরিবার বা গোষ্ঠী ব্যাংকিং খাতের বড় একটি অংশ অর্থপাচারের মাধ্যমে দেশের সম্পদ বাইরে নিয়ে গেছে। সেই সম্পদ ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক কাজ করছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর সঙ্গে কাজ করছি।

রোগ সারানোর চেয়ে রোগ প্রতিরোধকে অগ্রাধিকার দেওয়া প্রয়োজন উল্লেখ করে আহসান এইচ মনসুর বলেন, চুরি (অর্থপাচার) হওয়ার পরেই বুদ্ধি বাড়িয়ে লাভ নেই, চুরি হওয়ার আগেই ঠেকানোর ব্যবস্থা করতে হবে। যা গেছে তা ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা আমরা নেবো। ভবিষ্যতে যাতে অর্থপাচার না হয়, অর্থপাচার রোধ করা যায়, সে ব্যবস্থাও আমরা নেবো।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে আমার মূল দায়িত্ব হলো দেশের অর্থনীতিতে সামগ্রিক ভারসাম্য ফিরিয়ে আনা। এরই মধ্যে আমরা বেশ কিছু সাফল্য অর্জন করেছি, পুরোপুরিভাবে হয়নি, আরও হবে আশা করি। আমাদের ব্যালেন্স অব পেমেন্টের ঘাটতি এখন আর নেই, একসময়ে বিশাল অংকের ঘাটতি ছিল, সেটা আমরা মিটিয়ে ফেলেছি। এখন স্থিতিশীল অবস্থায় আছে। আমাদের রিজার্ভটাও স্থিতিশীল অবস্থায় আছে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে আছে।

গভর্নর আরও বলেন, আমাদের রপ্তানি বাড়ছে। বিগত সময়ে বিভিন্ন রকমের আন্দোলন সত্ত্বেও রপ্তানি কিন্তু মুখ থুবড়ে পড়েনি। গত ৮-৯ মাসের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখতে পেয়েছি ডাবল ডিজিট গ্রোফ আমরা এখন দেখতে পারছি না। তবে রেমিট্যান্সের অবস্থা খুবই উৎসাহব্যঞ্জক, ২৬-২৭ শতাংশে রয়েছে। সবমিলিয়ে ম্যাক্রো ইকোনোমিক্সে আমরা একটি স্বস্তির জায়গা চলে আসছি। কোনো ধরনের ক্রাইসিস আছে এবং হবে বলে আমরা মনে করি না। আমরা একটি সুদৃঢ় অবস্থানে আছি।

পাচার হওয়া অর্থ ফেরতের বিষয়ে তিনি বলেন, অর্থ ফেরত আনার বিষয়টি বাংলাদেশের জন্য একেবারেই নতুন। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সংযোগ তৈরি করছি। যে দেশে পাচার হয়েছে, সে দেশের আইনের সঙ্গে সংগতি রেখে পাচার হওয়ার টাকা ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে হবে। বিভিন্ন দেশের ল’ ফার্মের সহযোগিতা নেওয়া হচ্ছে। বিদেশ থেকে পাচার হওয়ার সম্পদের বিষয়ে সঠিক তথ্য নিয়ে আসতে হবে। আমরা বিদেশিদের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছি। তারপরও বিষয়টি সহজ নয়, সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। আমাদের লক্ষ্য হলো আগামী ছয় মাসের মধ্যে বেশ কয়েকটি দেশে পাচার হওয়া সম্পদ যদি ফ্রিজ করতে পারি, তাহলে এটি হবে আমাদের প্রাথমিক অর্জন।

গভর্নর বলেন, চট্টগ্রামেরই বড় গ্রুপ সোয়া লাখ কোটি টাকা পাচার করেছে, এসব নিয়েছে ব্যাংকিং খাত থেকে। আরও কিছু আছে, বেক্সিমকো ৫০ হাজার, আরও অনেকগুলো ৩০ হাজার, ৪০ হাজার, ৫০ হাজার, ২০ হাজার কোটি টাকা নিয়েছে। সবমিলিয়ে বড় প্রতিষ্ঠানগুলোতে আড়াই থেকে তিন লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। ছোটগুলো আমরা ধরছি না।

মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. জামাল উদ্দিন, বিএফআইইউয়ের পরিচালক মো. আনিসুর রহমান, চট্টগ্রাম অফিসের পরিচালক মো. সালাহ উদ্দীন, মো. আরিফুজ্জামান, মো. আশিকুর রহমান, স্বরুপ কুমার চৌধুরী প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের উপ-পরিচালক মো. জোবাইর হোসেন।

নাটোরের বড়াইগ্রামে ভুট্টা ক্ষেতে পাওয়া গেল ৮ বছরের শিশুর লাশ

মোঃ সাইফুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:৩৭ পূর্বাহ্ণ
নাটোরের বড়াইগ্রামে ভুট্টা ক্ষেতে পাওয়া গেল ৮ বছরের শিশুর লাশ

নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলার চান্দাই ইউনিয়নের গাড়ফা গ্রামে ৭ বছরের শিশু আকলিমা আক্তার জুইয়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে তার দাদী। নিখোঁজের ১৭ ঘণ্টা পর স্থানীয় একটি ভুট্টা ক্ষেতে শিশুটির মৃতদেহ পাওয়া যায়।

জানা যায়, আকলিমা আক্তার জুই বড়াইগ্রাম উপজেলার গাড়ফা গ্রামের বাসিন্দা। তার পিতার নাম জাইরুল ইসলাম (মালেয়শিয়া প্রবাসি) ও মাতা মোমেনা বেগম। আকলিমা আক্তার জুঁই নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে সুন্দর করে সাজগোজ করে বাবার সাথে ভিডিও কলে কথা বলেন কিছু সময় পরে শিশুটি হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে গেলে পরিবারের পক্ষ থেকে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়।

১৫ এপ্রিল সকালে পাবনার চাটমোহরের রামপুর বিলে এক কৃষক ভুট্টা ক্ষেতে খুঁজে পান পোড়া মুখ, বিবস্ত্র এক ছোট্ট মৃতদেহ,গলায় প্যাঁচানো প্যান্ট, মুখে আগুনের দগদগে দাগ, শিশুটিকে আর চেনার উপায় ছিল না।

স্থানীয়দের ধারণা, শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে এবং মুখমণ্ডলে এসিড ঢেলে তার পরিচয় মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। এমন নির্মম ঘটনায় গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

ঘটনার পরপরই এলাকাবাসী প্রশাসনের প্রতি দ্রুত তদন্ত করে সঠিক বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে

এনায়েতপুরে ছাত্রদল নেতা হত্যায় মামলায় যুবদলের আহবায়কসহ দুইজন গ্রেফতার

রেজাউল করিম স্টাফ রিপোর্টার,সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:৩৩ পূর্বাহ্ণ
এনায়েতপুরে ছাত্রদল নেতা হত্যায় মামলায় যুবদলের আহবায়কসহ দুইজন গ্রেফতার

সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে ছাত্রদল নেতা কবির হোসেন (২৮) হত্যা মামলায় বিএনপি ও যুবদলের দুই নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- এনায়েতপুর থানা যুবদলের আহ্বায়ক জাহিদ হোসেন জহুরুল (৪৬) ও এনায়েতপুরের সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়ন বিএনপির ৪নং ওয়ার্ডের সাবেক সাধারন সম্পাদক জামাল মীর (৫৫)।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরের দিকে এনায়েতপুর থানার ওসি রওশন ইয়াজদানী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গ্রেফতারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এছাড়া মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এজাহার নামীয় ৪নং আসামী যুবদলের আহ্বায়ক জহুরুলকে সোমবার সন্ধ্যার দিকে ঢাকার বসুন্ধরা এলাকা থেক র‌্যাব-২ ও মঙ্গলবার সকালে এনায়েতপুর গ্রাম থেকে ২৫ নং আসামী বিএনপি নেতা জামাল মীরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও মামলা সুত্রে জানা যায়, ১৮ মার্চ বিকেলের দিকে ইফতার মাহফিলকে কেন্দ্র করে সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়নের চাঁদপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে
বিএনপির দুপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

এসময় সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাধারন সম্পাদক কবির হোসেন (২৮) গুরুত্বর আহত হয়। প্রথমে খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হলে অবস্থার অবনতি হয়। পরবর্তীতে ঢাকার ক্রেটিক্যাল কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (১৯ মার্চ) সন্ধ্যার  টার দিকে মারা যান।

২২ মার্চ রাতে এনায়েতপুর থানায় নিহতের বড় ভাই হযরত আলী হাফিজ বাদী হয়ে এনায়েতপুর থানা বিএনপির সদ্য সাবেক সদস্য সচিব মনজুর রহমান মঞ্জু শিকদার, সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মিঠু মীর, সদস্য সচিব কালাম শিকদার, এনায়েতপুর থানা যুবদলের আহবায়ক জাহিদ হোসেন জহুরুল ও থানা ছাত্রদলের আহবায়ক কামরুল হাসান সোহাগ শিকদার সহ ২৮ জনের নাম উল্লেখ ও ৮০-৯০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।

বেলকুচিতে সড়ক দুর্ঘটনায় এক হজ্জ যাত্রীর মৃত্যু

রেজাউল করিম স্টাফ রিপোর্টার,সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:৩২ পূর্বাহ্ণ
বেলকুচিতে সড়ক দুর্ঘটনায় এক হজ্জ যাত্রীর মৃত্যু

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে সড়ক দুর্ঘটনায় চম্পা খাতুন  ৬৫ নামে এক হজ্জ যাত্রীর মৃত্যু।এলাকাবাসি জানায় মৃত্যু ব্যক্তি আগামীকাল অর্থাৎ ১৬ এপ্রিল ওমরা হজে যাওয়ার ফ্লাইট ছিল কিন্তু তার সে আশা পূরণ হলো না।

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে ১৫-০৪-২০২৫ রোজ (মঙ্গলবার) আঞ্চলিক মহাসড়কের সমেসপুর ১১:৪৫ মিনিটে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার কারণ সমূহ জানা যায় দ্রুতগতির একটি ঘাতক প্রাইভেট কার তাকে সজরে ধাক্কা দিলে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে সে ঘটনাস্থলে মৃত্যুবরণ করে।তিনি বেলকুচির ভাতুড়িয়া গ্রামের একজন স্থায়ী বাসিন্দা।

ঘটনাস্থলে সবাইকে প্রশ্ন করলে তারা জানায় একটি দ্রুতগতির প্রাইভেট কার তাকে সজোরে ধাক্কা দিলে সে সঙ্গে সঙ্গে মারা যায়। ঘাতক প্রাইভেট কার আটক করা যায়নি। সে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

এ বিষয়ে বেলকুচি থানার  অফিসার ইনচার্জ  (ওসি)  আব্দুল বারিক  বলেন দুর্ঘটনার সাথে সাথে  আমরা ঘটনা স্থলে পৌঁছাই। ঘাতক প্রাইভেট কারকে আমরা আটক করতে পারিনি।লাশ উদ্ধার করে আত্মীয়-স্বজনদের সাথে কথা বলে তাদের কাছে লাশ বুঝিয়ে দেই।দুর্ঘটনার কারণে কেউ বাদী হয়ে থানায় মামলা করেনি।