খুঁজুন
সোমবার, ১৯ মে, ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

‘দেশত্যাগ নয় রাজপথে সংখ্যালঘুরা অধিকার আদায়ে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ’

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১১:১১ অপরাহ্ণ
‘দেশত্যাগ নয় রাজপথে সংখ্যালঘুরা অধিকার আদায়ে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ’

পাহাড়ে-সমতলে আদিবাসী ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীকে টার্গেট করে পরিচালিত সাম্প্রদায়িক সহিংসতাকে ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’ হিসেবে অভিহিত করে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতারা ৫ আগস্ট পরবর্তী ঘটনাবলীর সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের জন্যে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

নেতৃবৃন্দ গভীর ক্ষোভ ও দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, সরকার ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ প্রকৃত ঘটনাকে আড়াল করার জন্যে এসব ঘটনাকে ‘রাজনীতিকীকরণের’ অপচেষ্টা করছে। বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ও আদিবাসীরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। এহেন রাজনৈতিক অপকৌশলকে তারা কোনভাবেই মেনে নেবে না। সত্যকে মিথ্যা দিয়ে ঢাকার চেষ্টা থেকে বিরত থাকার জন্যে নেতৃবৃন্দের প্রতি তারা আহ্বান জানান।

আজ শনিবার ঢাকার জাতীয় প্রেস ক্লাব চত্বরে অধ্যাপক ড. নিমচন্দ্র ভৌমিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ মিছিলপূর্ব সমাবেশে ঐক্য পরিষদ নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন। সমাবেশে বক্তৃতা করেন সংগঠনের অন্যতম সভাপতি নির্মল রোজারিও, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য রঞ্জন কর্মকার, ভিক্ষু সুনন্দপ্রিয়, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবীন্দ্রনাথ বসু, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. দিপংকর ঘোষ, পদ্মাবতী দেবী, যুব বিষয়ক সহ-সম্পাদক বলরাম বাহাদুর, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি অতুল চন্দ্র মণ্ডল, যুব ঐক্য পরিষদের সভাপতি শিমুল সাহা, ছাত্র ঐক্য পরিষদের সমন্বয়ক সজীব সরকার প্রমুখ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, শাক দিয়ে মাছ ঢাকার আজ আর কোন অবকাশ নেই। অনতিবিলম্বে দেশব্যাপী চলমান সাম্প্রদায়িক সহিংসতার অবসানের পাশাপাশি সংখ্যালঘুরা তাদের অস্তিত্ব, স্বার্থ ও অধিকার রক্ষার দাবিতে রাজপথে নেমে এসেছে। এর মধ্যে কোনরূপ বিদেশী চক্রান্ত খোঁজা বিগত সময়ের মত অপকৌশল ও সত্যের অপলাপ মাত্র। তারা দেশত্যাগ নয় বরং রাজপথে ঐক্যবদ্ধভাবে মরনপণ লড়াই সংগ্রাম অব্যাহত রেখে তাদের অস্তিত্ব রক্ষায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এরা সুদূর অতীতকাল থেকেই রাজনীতি সচেতন।

ঐক্য পরিষদ নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সংখ্যালঘুদের অধিকার আদায়ের অগ্রসৈনিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট রাণা দাশগুপ্তের ‘কণ্ঠ’কে রুদ্ধ করার জন্যে তাঁকে ঢাকার দুটো থানায় রুজুকৃত হত্যা মামলায় আসামী করা হয়েছে। দেশের অন্যান্য বেশ কয়েকটি স্থানেও নেতৃবৃন্দের নামে অনুরূপ গায়েবী মামলা করা হয়েছে। রাণা দাশগুপ্তসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে আনীত মিথ্যা মামলা থেকে তাদের নাম প্রত্যাহারের জোর দাবি জানিয়ে তারা বলেন, নেতৃবৃন্দের নিঃশর্ত মুক্তি এবং চলমান সাম্প্রদায়িক সহিংসতার অবসান না হওয়া পর্যন্ত সংখ্যালঘুদের আন্দোলন চলবে।

ঐক্য পরিষদ নেতারা সংখ্যালঘুদের দিকে অহেতুক চোখ রাঙিয়ে বা প্রতারণার মাধ্যমে তাদের সাথে ছলচাতুরী না করার জন্যে সরকার ও রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের মানবাধিকার নেতা এ্যাডভোকেট রাণা দাশগুপ্তসহ বিভিন্ন জেলার সংখ্যালঘু নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, ৪ আগস্ট পরবর্তী সারাদেশে সংঘটিত সকল মানবতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক সহিংস ঘটনাবলীর সাথে যুক্ত দুষ্কৃতিকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান, পাহাড় ও সমতলে সংঘটিত সকল সাম্প্রদায়িক সহিংসতার জাতিসংঘের তত্ত¡াবধানে নিরপেক্ষভাবে তদন্ত ও অনতিবিলম্বে সংখ্যালঘুদের ৮ দফা দাবি বাস্তবায়নের দাবিতে রাজধানী ঢাকাসহ ময়মনসিংহ, সিরাজগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ,

মুন্সিগঞ্জ, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, ফেণী, কুমিল্লা, ঝিনাইদহ, রংপুর, যশোর, ফরিদপুর, দিনাজপুর, সাতক্ষিরা, বরিশাল, পটুয়াখালীসহ দেশের প্রায় ৫২টি জেলা ও মহানগরে প্রতিবাদ ও সমাবেশ কর্মসূচী পালিত হয়। যেখানে হাজার হাজার সংখ্যালঘু ও আদিবাসী নারী-পুরুষ, যুব, শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে ঘোষণা হয়, আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চলমান থাকবে।
প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে ঢাকায় একটি বিক্ষোভ মিছিল পল্টন মোড় ঘুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়।

বেলকুচিতে নিজের সন্তানকে পুকুরে ফেলে হত্যা করলো মা

রেজাউল করিম, স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: সোমবার, ১৯ মে, ২০২৫, ৬:৪৮ অপরাহ্ণ
বেলকুচিতে নিজের সন্তানকে পুকুরে ফেলে হত্যা করলো মা

সিরাজগঞ্জের বেলকুচির সুবর্ণসাড়া গ্রামে এক  মা নিজ শিশু সন্তান মোহাম্মদ আলী (৩ মাস বয়স) কে পাশ্ববর্তী পুকুরে ফেলে হত্যা করার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

রবিবার (১৮ মে) দিবাগর রাত থেকে মা ও শিশুকে খুঁজে পাওয়া না গেলে এলাকায় মাইকিং করা হয়। পরবর্তীতে খোঁজাখুজির একপর্যায়ে মা মনিজা খাতুনকে পৌরসভাস্থ মেসার্স আমেনা খাতুন ফিলিং স্টেশনের পাশে পাওয়া গেলে তার দেওয়া তথ্যানুযায়ী দুপুরে পুকুর থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে আত্মীয় স্বজনরা। আত্বীয় স্বজনরা বলেন শিশুটির মায়ের মাথায় অনেক বড় মানসিক সমস্যা রয়েছে বলে নিজ সন্তানকে এমন ভাবে হত্যা করতে পারলো।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, দেড় বছর পূর্বে তামাই কলিয়াপাড়া গ্রামের জান বক্সের ছেলে ইসহাক আলীর সাথে মনিজার বিবাহ হয়েছিল। সন্তান ডেলিভারির জন্য বাবার বাড়ি সুবর্ণা সাড়া এসেছিল তিনি। সন্তান ডেলিভারির পর অবধি পর্যন্ত বাবার বাড়ি ছিলেন। লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায় তার মাথায় বড় ধরনের মানসিক সমস্যা রয়েছে।

এ বিষয়ে বেলকুচি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: জাকেরিয়া হোসেন জানান নিহত শিশুটির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শিশুটির বাবা মো: ইছাহক আলী বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করার প্রক্রিয়াধীন আছে। তবে শিশুটির মায়ের মাথায় বড় ধরনের মানসিক সমস্যা আছে।

ফ্যাসিস্টের সহযোগী বলায় কাঠগড়ায় কাঁদলেন নুসরাত ফারিয়া

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১৯ মে, ২০২৫, ২:০০ অপরাহ্ণ
ফ্যাসিস্টের সহযোগী বলায় কাঠগড়ায় কাঁদলেন নুসরাত ফারিয়া

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকেন্দ্রিক রাজধানীর ভাটারা থানার হত্যাচেষ্টা মামলায় দুই বাংলায় অশ্লীলতার জন্য বিতর্কিত নায়িকা নুসরাত ফারিয়াকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (১৯ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ ফারজানা হক। এদিন সকালে তাকে ঢাকার সিএমএম আদালতের হাজতখানায় আনা হয়। বেলা ১০টার পর তাকে আদালতের এজলাসে হাজির করা হয়।

এ সময় তাকে এজলাসের কাঠগড়ায় রাখা হয়। শুনানি চলাকালে কাঠগড়ায় নীরবে দাঁড়িয়ে ছিলেন নুসরাত ফারিয়া। পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী নুসরাত ফারিয়াকে ফ্যাসিস্টের দোসর আখ্যা দিয়ে আদালতে শুনানি করেন। শুনানি চলাকালে চোখ মুছতে দেখা যায় নুসরাত ফারিয়াকে।

এ সময় তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। অন্যদিকে নুসরাত ফারিয়ার জামিন চেয়ে আবেদন করে তার আইনজীবীরা। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামির জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একইসঙ্গে তার জামিন বিষয়ে আরও শুনানির জন্য আগামী ২২ মে দিন ধার্য করেন।

এর আগে গতকাল রোববার (১৮ মে) দুপুরে থাইল্যান্ড যাওয়ার সময় রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে নুসরাত ফারিয়াকে আটক করে ইমিগ্রেশন পুলিশ। পরে তাকে ভাটারা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা। এরপর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাজধানীর ভাটারা থানার একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় নুসরাত ফারিয়াকে।

এর আগে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালীন রাজধানী ঢাকার ভাটারা থানা এলাকায় হওয়া এক হত্যাচেষ্টা মামলায় ঢাকাই চলচ্চিত্রের চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া, অপু বিশ্বাস, নিপুণ আক্তার, আশনা হাবিব ভাবনা, চিত্রনায়ক জায়েদ খানসহ ১৭ অভিনয় শিল্পীকে আসামি করা হয়।

গত ২৮ এপ্রিল আদালতের আদেশের পরদিন ভাটারা থানায় মামলাটি নথিভুক্ত হয়। মামলায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে আওয়ামী লীগের অর্থ যোগানদাতা হিসেবে আসামি করা হয়েছে নুসরাত ফারিয়াকে।

রেডিও জকি (আরজে) হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন নুসরাত ফারিয়া। এরপর ২০১৩ সালে নাম লেখান উপস্থাপক হিসেবে। কয়েকটি নাটকেও অভিনয় করেন। ২০১৫ সালে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনার আশিকী সিনেমায় বড়পর্দায় অভিষেক হয় তার। প্রথম সিনেমাতেই সাড়া ফেলে দেন তিনি। এরপর ঢালিউড ও টালিউড মিলিয়ে প্রায় ২০টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন।

দেশ ছাড়লেন পার্থর স্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১৯ মে, ২০২৫, ১:৫৬ অপরাহ্ণ
দেশ ছাড়লেন পার্থর স্ত্রী

অবশেষে বিদেশ গেলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থর স্ত্রী শেখ শাইরা শারমিন। সঙ্গে রয়েছেন তার ছোট মেয়ে মদিনা বিনতে আন্দালিব।

রোববার দুপুরে টিজি-৩২২ ফ্লাইটে চিকিৎসার জন্য তিনি ব্যাংকক যান।

এর আগে মঙ্গলবার ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ তার গতিরোধ করেছিল।

তবে কী কারণে তাকে সেদিন যেতে দেয়া হয়নি তা এখনো স্পষ্ট নয়। ধারণা করা হচ্ছে, শেখ পরিবারের সদস্য শেখ হেলালের মেয়ে হওয়ার কারণেই হয়তো তাকে আটকে দেয়া হয়েছিল।

এ ব্যাপারে আন্দালিব রহমান পার্থ বলেন, আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, এটা আগেও বলেছি। আইন মেনেই আমার পরিবারের সদস্যরা ব্যাংকক গেছে।