খুঁজুন
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭ পৌষ, ১৪৩১

‘দেশত্যাগ নয় রাজপথে সংখ্যালঘুরা অধিকার আদায়ে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ’

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১১:১১ অপরাহ্ণ
‘দেশত্যাগ নয় রাজপথে সংখ্যালঘুরা অধিকার আদায়ে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ’

পাহাড়ে-সমতলে আদিবাসী ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীকে টার্গেট করে পরিচালিত সাম্প্রদায়িক সহিংসতাকে ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’ হিসেবে অভিহিত করে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতারা ৫ আগস্ট পরবর্তী ঘটনাবলীর সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের জন্যে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

নেতৃবৃন্দ গভীর ক্ষোভ ও দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, সরকার ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ প্রকৃত ঘটনাকে আড়াল করার জন্যে এসব ঘটনাকে ‘রাজনীতিকীকরণের’ অপচেষ্টা করছে। বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ও আদিবাসীরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। এহেন রাজনৈতিক অপকৌশলকে তারা কোনভাবেই মেনে নেবে না। সত্যকে মিথ্যা দিয়ে ঢাকার চেষ্টা থেকে বিরত থাকার জন্যে নেতৃবৃন্দের প্রতি তারা আহ্বান জানান।

আজ শনিবার ঢাকার জাতীয় প্রেস ক্লাব চত্বরে অধ্যাপক ড. নিমচন্দ্র ভৌমিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ মিছিলপূর্ব সমাবেশে ঐক্য পরিষদ নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন। সমাবেশে বক্তৃতা করেন সংগঠনের অন্যতম সভাপতি নির্মল রোজারিও, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য রঞ্জন কর্মকার, ভিক্ষু সুনন্দপ্রিয়, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবীন্দ্রনাথ বসু, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. দিপংকর ঘোষ, পদ্মাবতী দেবী, যুব বিষয়ক সহ-সম্পাদক বলরাম বাহাদুর, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি অতুল চন্দ্র মণ্ডল, যুব ঐক্য পরিষদের সভাপতি শিমুল সাহা, ছাত্র ঐক্য পরিষদের সমন্বয়ক সজীব সরকার প্রমুখ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, শাক দিয়ে মাছ ঢাকার আজ আর কোন অবকাশ নেই। অনতিবিলম্বে দেশব্যাপী চলমান সাম্প্রদায়িক সহিংসতার অবসানের পাশাপাশি সংখ্যালঘুরা তাদের অস্তিত্ব, স্বার্থ ও অধিকার রক্ষার দাবিতে রাজপথে নেমে এসেছে। এর মধ্যে কোনরূপ বিদেশী চক্রান্ত খোঁজা বিগত সময়ের মত অপকৌশল ও সত্যের অপলাপ মাত্র। তারা দেশত্যাগ নয় বরং রাজপথে ঐক্যবদ্ধভাবে মরনপণ লড়াই সংগ্রাম অব্যাহত রেখে তাদের অস্তিত্ব রক্ষায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এরা সুদূর অতীতকাল থেকেই রাজনীতি সচেতন।

ঐক্য পরিষদ নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সংখ্যালঘুদের অধিকার আদায়ের অগ্রসৈনিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট রাণা দাশগুপ্তের ‘কণ্ঠ’কে রুদ্ধ করার জন্যে তাঁকে ঢাকার দুটো থানায় রুজুকৃত হত্যা মামলায় আসামী করা হয়েছে। দেশের অন্যান্য বেশ কয়েকটি স্থানেও নেতৃবৃন্দের নামে অনুরূপ গায়েবী মামলা করা হয়েছে। রাণা দাশগুপ্তসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে আনীত মিথ্যা মামলা থেকে তাদের নাম প্রত্যাহারের জোর দাবি জানিয়ে তারা বলেন, নেতৃবৃন্দের নিঃশর্ত মুক্তি এবং চলমান সাম্প্রদায়িক সহিংসতার অবসান না হওয়া পর্যন্ত সংখ্যালঘুদের আন্দোলন চলবে।

ঐক্য পরিষদ নেতারা সংখ্যালঘুদের দিকে অহেতুক চোখ রাঙিয়ে বা প্রতারণার মাধ্যমে তাদের সাথে ছলচাতুরী না করার জন্যে সরকার ও রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের মানবাধিকার নেতা এ্যাডভোকেট রাণা দাশগুপ্তসহ বিভিন্ন জেলার সংখ্যালঘু নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, ৪ আগস্ট পরবর্তী সারাদেশে সংঘটিত সকল মানবতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক সহিংস ঘটনাবলীর সাথে যুক্ত দুষ্কৃতিকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান, পাহাড় ও সমতলে সংঘটিত সকল সাম্প্রদায়িক সহিংসতার জাতিসংঘের তত্ত¡াবধানে নিরপেক্ষভাবে তদন্ত ও অনতিবিলম্বে সংখ্যালঘুদের ৮ দফা দাবি বাস্তবায়নের দাবিতে রাজধানী ঢাকাসহ ময়মনসিংহ, সিরাজগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ,

মুন্সিগঞ্জ, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, ফেণী, কুমিল্লা, ঝিনাইদহ, রংপুর, যশোর, ফরিদপুর, দিনাজপুর, সাতক্ষিরা, বরিশাল, পটুয়াখালীসহ দেশের প্রায় ৫২টি জেলা ও মহানগরে প্রতিবাদ ও সমাবেশ কর্মসূচী পালিত হয়। যেখানে হাজার হাজার সংখ্যালঘু ও আদিবাসী নারী-পুরুষ, যুব, শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে ঘোষণা হয়, আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চলমান থাকবে।
প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে ঢাকায় একটি বিক্ষোভ মিছিল পল্টন মোড় ঘুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়।

মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

মোঃ লিটন মিয়া, টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৬ অপরাহ্ণ
মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

টাঙ্গাইলে বাসাইলে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী-২০২৪ (এসএসসি ব্যাচ ১৯৯১-২০০০) অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় বর্নাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে পুনর্মিলনীর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।

এ উপলক্ষে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয় ও মাঠ প্রাঙ্গণ প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। একে অপরের সাথে প্রানের মিলনমেলায় অংশ গ্রহণ করে, স্মৃতিচারণ, শুভেচ্ছা বিনিময় করে।

কুমুদিনী সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন(১৯৯১) এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক জিতেন্দ্র লাল সরকার, বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান শিক্ষক মো. হায়দার আলী খান, প্রাক্তন শিক্ষক মো. এরশাদ আলী খান, মো. আরফান আলী খান, জিলমোহন সরকার, জগদীশ চন্দ্র কর্মকার, রহিদাশ কর্মকার, হানিব খান, শ্রীদাম চন্দ্র  গোস্বামী, সুস্তোষ কুমার সরকার।

এসময উপস্থিতি ছিলেন ১৯৯১-২০০০ সালের এসএসসি ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ। পরে সন্ধ্যায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মোঃ আলম মৃধা, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৩ অপরাহ্ণ
নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় নুর মোহাম্মদ নামে এক টেক্সটাইল মালিককে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ (২১ ডিসেম্বর) হত্যার পর গুমের উদ্দেশ্যে লাশ ফেলতে গিয়ে স্থানীয় গ্রামবাসীদের হাতে আটক হয় অভিযুক্তরা। পরে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেয় স্থানীয়রা।

জানা যায়, অটককৃতরা হলো মাধবদী কাঠালিয়া গ্রামের রববানি মিয়ার ছেলে রবিন (২১), একই গ্রামের এবাদুলাল্লাহ হোসেনের ছেলে রুবেল (২২), কোলাতপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে আলামিন (৪২), একই এলাকার আব্দুল রশিদ এর ছেলে রকিব হোসেন (২১)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিন, রকিব, আলামিন ও রুবেলসহ বেশ কয়েকজন নুর মোহাম্মদের কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। তবে নিহত ব্যক্তি চাঁদা দিতে অস্বীকার করেন।
এ নিয়ে তাদের সাথে টেক্সটাইল মালিকের দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে গতকাল শুক্রবার রাতে নূর মোহাম্মদকে ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরে তাকে পাশের একটি বন্ধ কারখানায় নিয়ে যায়া। এক পর্যায়ে চাঁদা দাবিকারী রুবেল, রকিব, রবিন, আলামিনসহ অজ্ঞাত নামা ব্যক্তিরা নূর মোহাম্মদকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

হত্যার পর নিহত নূর মোহাম্মদের লাশ গুমের উদ্দেশ্যে ভোর রাতে বস্তাবন্দি করে নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজার সীমান্তে ফেলে দিতে যায়। লাশ ফেলার সময় স্থানীয় লোকজন দেখে ফেলে। পরে স্থানীয়রা তাদের আটক করে মাধবদী থানা পুলিশকে খবর দেয়। দুপুরে পুলিশ ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে ও ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়।

নিহত নুর মোহাম্মদ সদর উপজেলার মাধবদী কাঠালিয়া ইউনিয়নের কোলাতপুর গ্রামের আলকাস মিয়ার ছেলে।

এই হত্যার বিষয়ে জানতে মাধবদী মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ নজরুল ইসলামকে সরকারি মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলে ফোনটি রিসিভ করেননি।

রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

আব্দুল্লাহ আল মোত্তালিব, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮:৫১ অপরাহ্ণ
রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

রাজধানীর মগবাজার রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মোঃ আপন (২২)নিহত হয়েছে। নিহত আপন কুড়িগ্রাম নাগেশ্বরী উপজেলার মৃত গোলাম মোস্তফার ছেলে। বর্তমানে মগবাজার এলাকায় ভাড়া থাকতো।

শনিবার(২১ ডিসেম্বর)সন্ধ্যা সোয়া ৫টা নাগাদ অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী সোহাগ বলেন, আজ বিকেলের দিকে মগবাজার রেল ক্রসিং পারাপারের সময় কমলাপুরগামী একটি ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয় ওই যুবকটি।পরে দ্রুততাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান ওই যুবকটি আর বেঁচে নেই।

তিনি আরও বলে,
আমরা ওই যুবকের পকেটে থাকা কাগজে লেখা মোবাইল নাম্বারে তার পরিবারের সাথে কথা বলে তার নাম পরিচয় জানতে পেরেছি। পরিবারের সদস্যরা ঢাকা মেডিকেলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ ফারুক হোসেন, ওই যুবকের মরদেহ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। আমরা বিষয়টি ঢাকা রেলওয়ে থানা পুলিশকে জানিয়েছি।