খুঁজুন
বুধবার, ১১ জুন, ২০২৫, ২৮ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

পদত্যাগ করেছেন কুয়েটের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৫, ১:০৯ অপরাহ্ণ
পদত্যাগ করেছেন কুয়েটের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস কে শরীফুল আলম পদত্যাগ করেছেন।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাতে তারা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এ পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন। মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের বৃত্তি এবং প্রকৌশল শাখার এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, সরকার সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার পরও যখন বিষয়টা সুরাহা হচ্ছিল না, তখন উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যকে বিষয়টি বিবেচনার জন্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়। এরপর তারা পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন।

ওই কর্মকর্তা বলেন, নিয়ম অনুযায়ী এ পদত্যাগপত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতির দপ্তরে পাঠানো হবে। তিনি পদত্যাগপত্র গ্রহণ করলে তা কার্যকর হবে।

এর আগে বুধবার দিনগত রাত ১টার দিকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মামুন অর রশিদের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কুয়েটে সাম্প্রতিক ঘটনাবলির পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভূত সংকট নিরসন এবং শিক্ষা কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্যকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। অনতিবিলম্বে একটি সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে এ দুটি পদে নতুন নিয়োগ দেওয়া হবে।

এতে আরও বলা হয়, এই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত কার্যক্রম চালু রাখার স্বার্থে জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকদের মধ্য থেকে একজনকে সাময়িকভাবে উপাচার্যের দায়িত্ব দেওয়া হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্রদল-যুবদলের সঙ্গে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহত হন। এ ঘটনার পর ২৫ ফেব্রুয়ারি সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম ও আবাসিক হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে গত ১৩ এপ্রিল বন্ধ থাকা কুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।

এরপর ১৪ এপ্রিল রাতে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০১তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় কুয়েটে ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারির সহিংসতার ঘটনায় ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এসব ঘটনায় কুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদকে অপসারণের এক দফা দাবিতে ২২ এপ্রিল বিকেল ৪টা থেকে আমরণ অনশনে বসেছেন আন্দোলনরত ২৯ শিক্ষার্থী।

মাদক নিয়ে কোন্দলের অভিযোগ

রাজধানীর পল্লবীতে পেপার সানিকে গলা কেটে হত্যা

মহানগর প্রতিনিধি, ঢাকা
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১০ জুন, ২০২৫, ৯:২২ অপরাহ্ণ
রাজধানীর পল্লবীতে পেপার সানিকে গলা কেটে হত্যা

রাজধানীর মিরপুরের পল্লবী এলাকায় রাকিবুল হাসান সানি ওরফে পেপার সানি (২৯) নামের এক যুবককে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। তাকে সকালে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মৃত হিসেবে পাওয়া যায়।

মঙ্গলবার (১০ জুন) সকালে পল্লবী মিল্লাত ক্যাম্পের তিন নম্বর লাইনের বি-ব্লকের ১১ নম্বর সেকশনে সানিকে হত্যা করা হয়। নিহত পেপার সানিকে অনেকেই ইয়াবা সানি নামেও জানতো। তবে এ নিয়ে নানা বিতর্কও রয়েছে।

জানা যায়, নিহত সানি কালশীর মোহাম্মদ সোহেলের ছেলে। তিনি স্ত্রীসহ মা-বাবার সঙ্গে ওই এলাকায় বসবাস করতেন।

নিহতের বাবা মোহাম্মদ সোহেল অভিযোগ করে বলেন, ‘সকালে জিন্দা ও টানা আকাশ নামে দুইজন আমার ছেলেকে মোবাইল ফোনে কল দিয়ে ডেকে নিয়ে যায়। পরে মিল্লাত ক্যাম্পের ১১ নম্বর সেকশনে নিয়ে তার সঙ্গে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তাকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়।

তিনি বলেন- জিন্দা, টানা আকাশ, রুবেল, বোমা কাল্লু, কাসরা সোহেলসহ কিশোর গ্যাং গ্রুপের সন্ত্রাসীরা তাকে হত্যা করেছে। পরে ঘটনাস্থলেই মরদেহ ফেলে পালিয়ে যায় ওরা।’

নিহতের বাবার দাবি, ওই কিশোর গ্যাং গ্রুপকে এলাকার সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক কারবারে বাধা দেওয়ার কারণে ওরা আমার ছেলেকে হত্যা করেছে।

তবে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাদক কারবার ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সানির সঙ্গে ওই কিশোর গ্যাংয়ের সন্ত্রাসীদের দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল। এই কারণে সকালে হত্যাকাণ্ডে ঘটনাটি ঘটায়। নিহত সানি দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা কারবারির সাথে জড়িত। সম্ভবত কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ এবং মাদক ব্যবসাকে কেন্দ্র করেই সে খুন হয়েছে। কারণ মিরপুরের প্রতিটি বিহারি ক্যাম্পেই মাদকের রমরমা ব্যবসা চলছে। এসব নিয়ে প্রকাশ্যে দ্বন্দ্ব নিত্যদিনের ঘটনা।

পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিউল আলম বলেন, হত্যার কারণ কি এবং কীভাবে ঘটনাটি ঘটেছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে। আইনি প্রক্রিয়ার শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

পর্যটকরা আর ঘুরতে যেতে পারবেন না সুন্দরবন!

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১০ জুন, ২০২৫, ৭:৩০ অপরাহ্ণ
পর্যটকরা আর ঘুরতে যেতে পারবেন না সুন্দরবন!

সুন্দরবন ব্যাঘ্রপ্রকল্প এলাকায় ৩ মাসের জন্য পর্যটক নিষেধাজ্ঞার খবরে দুশ্চিন্তায় পড়ে যান পর্যটন ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে পর্যটনের উপর নির্ভরশীল মানুষজন। শোনা যাচ্ছে, তিন মাস যেতে পারবেন না সুন্দরবনে? ভরা বর্ষায় সুন্দরবনের ইলিশ উৎসব ও পশু-পাখি দর্শন থেকে বঞ্চিত হতে হবে পর্যটকদের? গত কয়েকদিনে এমনই নানা জল্পনা ছড়িয়েছে সমাজমাধ্যমে। আসলে প্রকৃত ঘটনা কি ?

বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন পর্যটন ব্যবসায়ীরাও। IATO-র (ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব ট্যুর অপারেটর) তরফে যোগাযোগ করা হয়েছিল সুন্দরবন ব্যাঘ্রপ্রকল্প কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। তাঁদের বক্তব্য, ‘আমরা স্পষ্ট করে জানাচ্ছি, সুন্দরবন ব্যাঘ্রপ্রকল্প পর্যটকদের জন্যে জুন থেকে সেপ্টেম্বর-সহ সারা বছরই খোলা থাকে। এই তিন মাসের জন্য এই ব্যাঘ্রপ্রকল্প বন্ধের ব্যাপারে সরকারিভাবে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ বা বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি।’

সাধারণত জুন থেকে অগস্ট মাস পর্যন্ত সুন্দরবনের বিভিন্ন বন্য প্রাণী ও মাছের প্রজননের সময়। এই সময়ে দেশের অন্যান্য জঙ্গল ও অভয়ারণ্যে পর্যটকদের প্রবেশের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। তবে সুন্দরবনের ক্ষেত্রে বিষয়টি ভিন্ন। সুন্দরবনের কোর এরিয়াতে পর্যটকদের প্রবেশ বন্ধ রাখা হয়। সুন্দরবনের জন্য এই নিয়ম শুধু এই তিন মাস নয়। সারা বছরেই সুন্দরবনের কোর এরিয়ায় (দুর্ভেদ্য জঙ্গল এলাকা) যাওয়ার জন্য বিশেষ অনুমতির প্রয়োজন হয় সাধারণ পর্যটকদের।

সুন্দরবন ব্যাঘ্রপ্রকল্প এলাকায় ৩ মাসের জন্য পর্যটক নিষেধাজ্ঞার খবরে দুশ্চিন্তায় পড়ে যান পর্যটন ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে পর্যটনের উপর নির্ভরশীল মানুষজন। বহু মানুষের জীবিকা নির্ভর করে পর্যটনের উপরেই। বর্ষার সময়ে সুন্দরবন ভ্রমণে বাড়তি আকর্ষণ থাকে পর্যটকদেরও। তবে, বন দপ্তরের তরফে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, তিন মাসের জন্য গোটা সুন্দরবন এলাকায় পর্যটক প্রবেশে নিষেধ করা হয়েছে — এমন কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি।

উল্লেখ্য, ইন্টিগ্রেটেড রিসোর্সেস ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান (IRMP)-এর সুপারিশ অনুযায়ী প্রজননের সময় বন্য প্রাণী সংরক্ষিত এলাকায় পর্যটকদের প্রবেশে নিষেধ করা হয়। এই তিন মাস নিষেধাজ্ঞা রয়েছে বনজ সম্পদ আহরণ এবং নদী-খালে মাছ ধরার উপরেও।

ভারতে পালানোর সময় গোপালগঞ্জ জেলা আ’লীগের সেক্রেটারি গ্রেফতার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১০ জুন, ২০২৫, ৬:১৬ অপরাহ্ণ
ভারতে পালানোর সময় গোপালগঞ্জ জেলা আ’লীগের সেক্রেটারি গ্রেফতার

বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জি.এম. শাহাবুদ্দিন আজমকে আটক করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ।

মঙ্গলবার (১০ জুন) বেলা ১১টার দিকে তাকে আটক করা হয়।

শাহাবুদ্দিন আজমকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস হোসেন মুন্সি।

তিনি জানান, আগেই তাদের কাছে তথ্য ছিল শাহাবুদ্দিন আজম ভারতে যেতে পারেন। সে অনুযায়ী ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের সতর্ক করা হয়। পরে তিনি ইমিগ্রেশনে পাসপোর্ট (নং B00073948) জমা দিলে যাচাই বাছাই শেষে তাকে আটক করা হয়।

শাহাবুদ্দিন আজমের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এরমধ্যে রয়েছে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় ২০২৪ সালের ২০ সেপ্টেম্বর দায়ের করা একটি হত্যা মামলা এবং গোপালগঞ্জ সদর থানায় ১৭ সেপ্টেম্বর দায়ের করা আরেকটি মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাসেল মিয়া বলেন, আসামিকে ইমিগ্রেশন থেকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে গোপালগঞ্জে মামলা থাকায় তাকে সেখানকার থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।