খুঁজুন
শনিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৫, ১৩ বৈশাখ, ১৪৩২

সরকারি ব্যাংকে ষষ্ঠ-নবম-দশম গ্রেডে বড় নিয়োগ, পদ ৬০৮টি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৫, ৮:৫১ অপরাহ্ণ
সরকারি ব্যাংকে ষষ্ঠ-নবম-দশম গ্রেডে বড় নিয়োগ, পদ ৬০৮টি

বড় পরিসরে জনবল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রতিষ্ঠানটি ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির সদস্যভুক্ত সমন্বিত ৬ ব্যাংক ও ১ আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আইটি খাতে ষষ্ঠ, নবম ও দশম গ্রেডে ৭ পদে ৬০৮ কর্মকর্তা নিয়োগে ২১ এপ্রিল প্রকাশ করেছে এ বিজ্ঞপ্তি। আগ্রহী প্রার্থীরা আগামী ২১ মে রাত ১১টা ৫৯ মিনিটের মধ্যে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

প্রতিষ্ঠানের নাম: বাংলাদেশ ব্যাংক (ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি);

১. পদের নাম: প্রোগ্রামার:

পদসংখ্যা: ২টি;

ব্যাংক: বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক;

বেতন: ৩৫,৫০০-৬৭,০১০ টাকা (গ্রেড-৬);

আবেদনের যোগ্যতা: কম্পিউটার সায়েন্স/কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং/ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং/ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অন্যূন দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ ৪ বছরের স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে;

২. পদের নাম: সিনিয়র অফিসার (আইটি):

পদসংখ্যা: ১৬৬টি;

ব্যাংক: সোনালী ব্যাংক;

বেতন: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা (গ্রেড-৯);

আবেদনের যোগ্যতা: কম্পিউটার সায়েন্স/ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং/কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং/ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি/ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং/সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং/ইনফরমেশন টেকনোলজি/কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং/কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে;

৩. পদের নাম: অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রোগ্রামার:

পদসংখ্যা: ৩৫টি;

ব্যাংক: সোনালী ব্যাংকে ৩১টি, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকে ২টি, বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনে ১টি ও কর্মসংস্থান ব্যাংকে ১টি;

বেতন: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা (গ্রেড-৯);

আবেদনের যোগ্যতা: কম্পিউটার সায়েন্স/কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং/ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং/ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি/ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং/সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং/ইনফরমেশন টেকনোলজি/কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং/কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে;

৪. পদের নাম: অ্যাসিস্ট্যান্ট মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার/অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার (আইটি):

পদসংখ্যা: ৬৯টি;

ব্যাংক: সোনালী ব্যাংকে ৪৭টি, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকে ২টি ও প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে ২টি;

বেতন: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা (গ্রেড-৯);

আবেদনের যোগ্যতা: কম্পিউটার সায়েন্স/কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং/ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি/ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং/সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং/ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং/ইনফরমেশন টেকনোলজি/কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং/কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ন্যূনতম স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে;

৫. পদের নাম: অ্যাসিস্ট্যান্ট ডাটাবেজ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর:

পদসংখ্যা: ২টি;

ব্যাংক: সোনালী ব্যাংক;

বেতন: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা (গ্রেড-৯);

আবেদনের যোগ্যতা: কম্পিউটার সায়েন্স/কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং/ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং/ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি/ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং/সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং/ইনফরমেশন টেকনোলজি/কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং/কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ন্যূনতম স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে;

৬. পদের নাম: অফিসার (আইটি):

পদসংখ্যা: ৩৩২টি;

ব্যাংক: সোনালী ব্যাংকে ১৮৩টি, জনতা ব্যাংকে ১০০টি, অগ্রণী ব্যাংকে ৪৩টি, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে ৬টি;

বেতন: ১৬,০০০-৩৮,৬৪০ টাকা (গ্রেড-১০);

আবেদনের যোগ্যতা: কম্পিউটারসায়েন্স/ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং/কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং/ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি/ ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং/ সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং/ইনফরমেশন টেকনোলজি/ কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং/কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ন্যূনতম স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে;

৭. পদের নাম: অ্যাসিস্ট্যান্ট নেটওয়ার্ক সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার:

পদসংখ্যা: ২টি;

ব্যাংক: রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক;

বেতন: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা (গ্রেড-৯);

আবেদনের যোগ্যতা: কম্পিউটার সায়েন্স/কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং/ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং/ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড কমিউনিকেশনস ইঞ্জিনিয়ারিং/ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ন্যূনতম স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে;

আবেদন যেভাবে:
আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইন আবেদন অপশনে ক্লিক করে ফরম পূরণের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন;

আবেদন ফি:
ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের পেমেন্ট গেটওয়ে রকেটের মাধ্যমে পরীক্ষার ফি বাবদ ২০০ টাকা প্রদান করতে হবে। অনগ্রসর গোষ্ঠীর নাগরিকদের জন্য আবেদন ফি ৫০ টাকা;

আবেদনের শেষ সময়: আগামী ২১ মে ২০২৫, রাত ১১টা ৫৯ মিনিট;

আবেদনপদ্ধতিসহ অন্যান্য বিষয়ে বিস্তারিত জানতে সাইটে ক্লিক করুন।

সূত্র: বাংলাদেশ ব্যাংকের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট।

৯৬ শতাংশ শিক্ষার্থী ডাকসু নির্বাচন চায়: জরিপ

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:৫৬ অপরাহ্ণ
৯৬ শতাংশ শিক্ষার্থী ডাকসু নির্বাচন চায়: জরিপ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) এবং হল সংসদ নির্বাচনকে প্রয়োজনীয় মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৬ শতাংশ শিক্ষার্থী। বাকি ৪ শতাংশ শিক্ষার্থীর মতে, এই নির্বাচন অপ্রয়োজনীয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গঠিত ‘পরামর্শক কমিটি’ পরিচালিত এক জরিপে শিক্ষার্থীরা এই মতামত দিয়েছেন।

জরিপে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের ৭৫ শতাংশ মনে করেন, চলতি বছরের জুন মাসের মধ্যেই নির্বাচন আয়োজন করলে সেটি সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ এবং গ্রহণযোগ্য হবে। অন্যদিকে ১৬ শতাংশ শিক্ষার্থী সেপ্টেম্বরের মধ্যে এবং ৯ শতাংশ শিক্ষার্থী মনে করেন, আরও এক বছর বা তারও পরে নির্বাচন হলে সেটিও গ্রহণযোগ্য হবে।

এই জরিপ কার্যক্রমটি শুরু হয় গত ২৩ মার্চ, যা পরিচালনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেল। জরিপের ফলাফল গত ৬ এপ্রিল পরামর্শক কমিটির কাছে জমা দেওয়া হয়। এতে মোট ১,৭৪৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন, যারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল ব্যবহার করে নিজ নিজ প্রোফাইলের মাধ্যমে উত্তর দিয়েছেন।

জরিপে শিক্ষার্থীদের কাছে ডাকসু সংক্রান্ত মোট ৮টি প্রশ্নের উত্তর চাওয়া হয়। শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে ৫২ শতাংশ শিক্ষার্থী প্রশাসনের কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার ওপর জোর দিয়েছেন। প্রায় ১৮ শতাংশ শিক্ষার্থী ভোট গ্রহণ ও গণনা সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে করার পক্ষে মত দিয়েছেন। এ ছাড়া ১৪ শতাংশ শিক্ষার্থী নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা, ছাত্র সংগঠনগুলোর পূর্ব সম্মতি ও সংলাপের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন।

ভোটকেন্দ্র স্থাপন সংক্রান্ত প্রশ্নে, ৫০ শতাংশ শিক্ষার্থী বেছে নিয়েছেন কিছু নির্দিষ্ট একাডেমিক ভবন—যেমন কার্জন হল, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ও কলা অনুষদ। ২৩ শতাংশ শিক্ষার্থী হল ও একাডেমিক ভবন মিলিয়ে উভয় জায়গায় ভোটকেন্দ্র স্থাপনের পক্ষে, আর ১৭ শতাংশ শুধুমাত্র হলের মধ্যে ভোট গ্রহণের পক্ষে মত দিয়েছেন।

প্রার্থিতার যোগ্যতা নির্ধারণে ৪২ শতাংশ শিক্ষার্থী মত দিয়েছেন, প্রার্থিতা দাখিলের দিন থেকে কমপক্ষে এক বছর বৈধ ছাত্রত্ব থাকা আবশ্যক। অন্যান্য শিক্ষার্থীরা সিজিপিএ, নির্দিষ্ট বয়সসীমা এবং ফৌজদারি বা শৃঙ্খলা সংক্রান্ত অপরাধে অভিযুক্ত না থাকার মতো শর্ত আরোপের পক্ষে মত দিয়েছেন।

নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রক্রিয়া নিয়ে করা প্রশ্নে প্রায় ৬০ শতাংশ শিক্ষার্থী ছাত্র-শিক্ষক যৌথভাবে নির্বাচন কমিশন নির্ধারণের পক্ষে মত দেন। অন্যদের মধ্যে কেউ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক কমিশন নির্ধারণ এবং কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে থেকে কমিশন গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন।

পরামর্শক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ডাকসু নির্বাচন নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভাবনা জরুরি বলে মনে হওয়ায় আমরা এ জরিপটি করি। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সার্বিক মতামত নেওয়ার চেষ্টা করেছি। এখানে বেশকিছু ইন্টারেস্টিং তথ্য উঠে এসেছে। আমরা এসব তথ্য নিয়ে যারা ডাকসু নির্বাচন বাস্তবায়নের কাজে যে ইলেকবশন কমিশন থাকবে তাদেরকে এই রিপোর্ট আমরা দিয়ে দেব যেন তারা এখান থেকে যেসব পরামর্শ নেওয়ার উপযোগী তা নিতে পারেন।

১৪ ব্যাংকে ২৩৮ কোটি টাকা স্থানান্তর বিসিবির

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:৫২ অপরাহ্ণ
১৪ ব্যাংকে ২৩৮ কোটি টাকা স্থানান্তর বিসিবির

জাতীয় দলের হতশ্রী পারফরম্যান্সের কারণে এমনিতেই চাপে আছে বিসিবি। তার ওপর নতুন করে বিসিবির ফিক্সড ডিপোজিটের টাকা অন্য ব্যাংকে স্থানান্তর নিয়ে নতুন করে সমালোচনার মুখে পড়েছেন বিসিবিপ্রধান ফারুক আহমেদ। জানা গেছে, ১৪ ব্যাংকে ২৩৮ কোটি টাকা স্থানান্তর করেছে বিসিবি। যা নিয়ে গত দুদিন ধরেই উত্তাল দেশের ক্রিকেট। এই অবস্থায় মুখ খুলেছেন বিসিবিপ্রধান।

বোর্ড পরিচালক হওয়ার পর থেকেই অন্য পরিচালকদের সঙ্গে দূরত্ব, বিপিএল আয়োজনে পেশাদারিত্বের অভাব, টিকিট বিক্রির টাকা, ডিপিএলে বিতর্কিত কাণ্ড, দর্শকদের ক্ষোভ, দলের বাজে পারফরম্যান্স সবমিলিয়ে বেশ চাপেই আছেন ফারুক। এবার তার বিরুদ্ধে ফিক্সড ডিপোজিটের টাকা অন্য ব্যাংকে সরিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে একটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে।

যেখানে বলা হয়েছে, ফিক্সড ডিপোজিট হিসেবে ১৪টি ব্যাংকে মোট আড়াইশ কোটি টাকা স্থানান্তর করেছে বিসিবি।

তবে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, গত আগস্ট থেকে বিসিবির এফডিআর স্টেটমেন্ট অনুযায়ী এই স্থানান্তর প্রক্রিয়ায় লাভ হবে ক্রিকেট বোর্ডেরই। প্রথম ধাপে, আইএফআইসি আর মিডল্যান্ডের মতো হলুদ তালিকাভুক্ত ব্যাংক থেকে ১২ কোটি টাকা সরিয়ে নেয়া হয়েছে মধুমতী ব্যাংকে। তবে ঐ দুই ব্যাংকের চেয়ে মধুমতী ব্যাংক থেকে ইন্টারেস্টের হার বেশি থাকায়, আয় বাড়বে বিসিবির।

দ্বিতীয় ধাপে নেয়া হয়েছে আরো ১০ কোটি, এবারো একই ইন্টারেস্ট হার। এরপর যথাক্রমে আরো বেশ কয়েক ধাপে, কখনো হলুদ, কিংবা কখনো ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে লাল তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলো থেকে নতুন ১৪ ব্যাংকে নেয়া হয়েছে মোট ২৫০ কোটি টাকা।

এই স্থানান্তর প্রক্রিয়ায় কেবল যে ইন্টারেস্ট রেট বেড়েছে এমন নয়, নতুন ব্যাংকগুলো থেকে পাওয়া যাচ্ছে স্পন্সরশিপ। এ ছাড়াও আছে ২৫ কোটি টাকার অবকাঠামোগত ইনভেস্টমেন্ট পাবার কমিটমেন্ট।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আরো একটি গুঞ্জন, বোর্ড পরিচালকদের অনুমতি ছাড়া একাই টাকা সরিয়ে নিয়েছেন ফারুক। তবে এই গুঞ্জনও সত্যি নয়। মূলত বিসিবির ফাইনান্স কমিটির প্রধান ও আরো একজন প্রভাবশালী বোর্ড পরিচালক পুরো প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

এ প্রসঙ্গে বিসিবি সভাপতি সেই গণমাধ্যমকে বলেন, ‘২৩৮ কোটি টাকা। আমি কোথাও সাইন করি না। টাকাগুলো যে গেছে ওখানে, একটা নিউজ আসছে কেউ জানে না এটা হলো ওটার অ্যানসার। আর এখানে সবগুলা ২-৫% বেশি ইন্টারেস্ট রেটে দেয়া হয়েছে।’

টাকা অন্য ব্যাংকে সরিয়ে নেওয়ার পেছনে যুক্তি দেখিয়ে বিসিবিপ্রধান বলেন, ‘রেড জোন থেকে গ্রিন আর ইয়োলো জোনের ব্যাংকে নিয়ে গেছি টাকা। স্ট্যানডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে আছে ১২ কোটি টাকা। মোট আড়াইশ কোটি। এদের থেকে আমি স্পন্সর পেয়েছি ১২ কোটি টাকার কাছাকাছি, আর প্রতিশ্রুতি পেয়েছি আরও ২৫ কোটি টাকার ইনফ্রাস্ট্রাকচার বানায় দিবে।’

গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত আরও ৮৪ ফিলিস্তিনি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৫, ১১:২৫ পূর্বাহ্ণ
গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত আরও ৮৪ ফিলিস্তিনি

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) বিমান হামলায় গাজায় একদিনে আরও ৮৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত চালানো এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৬৮ জন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

তবে নিহত ও আহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “অনেকে ধ্বংস্তূপের তলায় চাপা পড়ে আছেন। তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। নিহত ও আহতের হিসেব সংক্রান্ত গণনাতেও তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।”

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় অভিযান শুরু করে আইডিএফ। শুক্রবারের অভিযানের পর গত দেড় বছরে উপত্যকায় মোট নিহত ও আহতের সংখ্যা পৌঁছেছে যথাক্রমে ৫১ হাজার ৪০০ জন এবং ১ লাখ ১৬ হাজার ৪১৬ জনে। এই নিহত এবং আহতদের ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালায় গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যার পাশাপাশি ২৫১ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় তারা।

জিম্মিদের মুক্ত করতে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে টানা অভিযান চালানোর পর যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যস্থতাকারী অন্যান্য দেশগুলোর চাপে বাধ্য হয়ে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে ইসরায়েল। তবে বিরতির দু’মাস শেষ হওয়ার আগেই জিম্মিদের মুক্তি এবং তার বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগারে অন্তরীণ ফিলিস্তিনিদের ছেড়ে দেওয়া নিয়ে মতানৈক্য দেখা দেওয়ায় গত ১৮ মার্চ থেকে ফের গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে আইডিএফ।

দ্বিতীয় দফার এই অভিযানে গত ৩৮ দিনে গাজায় নিহত হয়েছেন ২ হাজার ৬০ জন এবং আহত হয়েছেন ৫ হাজার ৩৭৫ জন ফিলিস্তিনি।

যে ২৫১ জন জিম্মিকে হামাসের যোদ্ধারা ধরে নিয়ে গিয়েছিল, তাদের মধ্যে এখনও অন্তত ৩৫ জন জীবিত রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আইডিএফ ঘোষণা দিয়েছে, সামরিক অভিযানের মাধ্যমে তাদের উদ্ধার করা হবে।

এদিকে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধের জন্য একাধিকবার আহ্বান জানানো হয়েছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে। ইতোমধ্যে জাতিসংঘের আদালত নামে পরিচিত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে একটি মামলাও দায়ের করা হয়েছে।

তবে নেতানিয়াহু স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন, হামাসকে পুরোপুরি দুর্বল ও অকার্যকর করা এবং জিম্মিদের মুক্ত করাই এই অভিযানের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত গাজায় অভিযান অব্যাহত থাকবে।

সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি