খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ১২ জুন, ২০২৫, ২৯ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

দুদকের জালে সাবেক সেনাপ্রধান সহ ১০ সামরিক কর্মকর্তা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১০ জুন, ২০২৫, ১১:০৩ পূর্বাহ্ণ
দুদকের জালে সাবেক সেনাপ্রধান সহ ১০ সামরিক কর্মকর্তা

গত ৫ আগস্ট গণআন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান সাবেক স্বৈরাচারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকার পরিবর্তনের পর দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করে জোরালো অভিযান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এবার তাদের অভিযানের আওতায় এসেছে সামরিক বাহিনীর সাবেক ১০ জন শীর্ষ কর্মকর্তা। এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে ক্ষমতার অপব্যবহার, ঘুস গ্রহণ, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও বিপুল অঙ্কের অর্থপাচারের। এ ঘটনায় দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।

দুদক সূত্র জানায়, এসব অভিযোগের ভিত্তিতে ইতোমধ্যে অনুসন্ধান ও তদন্ত শুরু হয়েছে। কয়েকজনের ব্যাংক হিসাব ও সম্পদ জব্দ করা হয়েছে। অনেকের বিরুদ্ধে বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয়েছে।

দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বলেন, যেসব অভিযোগ এখন অনুসন্ধানাধীন, সেগুলোর কার্যক্রম নিয়মমাফিক এগোচ্ছে। অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তারা প্রয়োজনীয় রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করছেন। যাদের জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন, তাদের জিজ্ঞাসাবাদও করছেন।

সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ:
জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে সেনাপ্রধানের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি ২০১৮ সালের জুন থেকে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত সেনাপ্রধান ছিলেন। ২০১২-১৬ মেয়াদে বিজিবির মহাপরিচালক ছিলেন। সরকার পতনের পর তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং হুন্ডি ও ব্যাংক চ্যানেলের মাধ্যমে অর্থপাচার করে মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে ব্যবসা পরিচালনা ও বাড়ি কেনার অভিযোগ ওঠে। তার বিরুদ্ধে তদন্তের দায়িত্বভার পড়ছে দুদকের উপপরিচালক মো. জাকারিয়ার কাঁধে।

বিমানবাহিনীর সাবেক প্রধান শেখ আব্দুল হান্নান:
এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান ২০২১ সালের ১২ জুন বিমানবাহিনীর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন। মেয়াদ শেষ হয় ২০২৪ সালের ১১ জুন। রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয়, ঘুস ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তার ও স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব ও ফ্ল্যাটসহ কয়েক কোটি টাকার সম্পদ জব্দ করা হয়েছে। গত ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে তার বিরুদ্ধে চলা অনুসন্ধানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন দুদকের উপপরিচালক তানজীর সরকার।

মেজর জেনারেল টি এম জোবায়ের, সাবেক এনএসআই মহাপরিচালক:
তার বিরুদ্ধে চাকরিতে ঘুস গ্রহণ, ভয়ভীতি দেখিয়ে সম্পদ অর্জন এবং লন্ডনে অর্থপাচারের অভিযোগ রয়েছে। ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ এবং দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান:
ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে নিজ নামে এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের নামে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন– তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান পরিচালনার জন্য দুদকের পরিচালক আবুল হাসনাতকে প্রধান করে একটি তিন সদস্যের দল গঠন করা হয়েছে। অন্য দুই সদস্য হলেন- সহকারী পরিচালক বিষাণ ঘোষ ও উপসহকারী পরিচালক আফিয়া খাতুন।

মেজর জেনারেল (অব.) সালাউদ্দিন মিয়াজী, সাবেক সামরিক সচিব:
জমি দখল করে পার্ক নির্মাণ ও দুর্নীতির মাধ্যমে জমি অধিগ্রহণের অভিযোগে তাকে যশোর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। বর্তমানে তিনি জামিনে মুক্ত আছেন। সালাউদ্দিন মিয়াজী ২০১৫ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামরিক সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে এমপি হন।

ডিজিএফআইয়ের সাবেক প্রধান হামিদুল হক:
১৯৭০ সালে কক্সবাজারে জন্মগ্রহণ করেন হামিদুল হক। সেনাবাহিনীতে যোগ দেন ১৯৮৮ সালে। প্রশিক্ষণ শেষে ১৯৯০ সালের ২২ জুন সেনাবাহিনীর ইনফ্যান্ট্রি কোরে তিনি কমিশন পান। সবশেষ সিলেটে ১৭ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি এবং সিলেটের এরিয়া কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) হামিদুল হকের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ এবং নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করছে দুদক। এজন্য দুদকের উপপরিচালক আজিজুল হককে দলনেতা করে দুই সদস্যের অনুসন্ধান দল গঠন করা হয়েছে। দলের অপর সদস্য হলেন মো. মিজানুর রহমান।

এসএসএফের সাবেক ডিজি মুজিবুর রহমান:
ক্ষমতার পালাবদলের পর চাকরি খোয়ানো শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাদের অন্যতম মো. মজিবুর রহমান ও তার স্ত্রী তাসরিন মুজিবের ‘অবৈধ’ সম্পদের অনুসন্ধানে নামে দুদক। অনুসন্ধানে নেমে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাদের সম্পদ জব্দ করতে আদালতের অনুমতিও পেয়েছে দুদক। পাশাপাশি তাদের ১৬টি ব্যাংক হিসাবও অবরুদ্ধ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের অনুসন্ধানে দুদকের উপপরিচালক মোহাম্মদ সিরাজুল হককে দলনেতা হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, সাবেক এমপি:
মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে দুর্নীতি ও অবৈধ ব্যবসার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ১৬টি মামলা রয়েছে। তিনি ফেনীর সাবেক সংসদ সদস্য ছিলেন। মাসুদ উদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগের অনুসন্ধানে দুদকের উপপরিচালক মোহা. নূরুল হুদাকে দলনেতা হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তার সঙ্গে রয়েছেন উপপরিচালক ওমর ফারুক ও সহকারী পরিচালক মিনহাজ বিন ইসলাম।

মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান, সাবেক এনটিএমসি মহাপরিচালক:
১৯৯১ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন পাওয়া জিয়াউল সেনাবাহিনীর একজন প্রশিক্ষিত কমান্ডো ও প্যারাট্রুপার ছিলেন। ২০০৯ সালে মেজর থাকাকালে তিনি র‌্যাব-২-এর উপঅধিনায়ক হন। ওই বছরই তিনি পদোন্নতি পেয়ে লেফটেন্যান্ট কর্নেল হন এবং র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার পরিচালকের দায়িত্ব পান। র‌্যাবে দায়িত্ব পালনের সময় থেকেই জিয়াউল আহসান হয়ে উঠেছিলেন সংবাদমাধ্যমে পরিচিত নাম।

কর্নেল পদে পদোন্নতি পাওয়ার পর ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে অতিরিক্ত মহাপরিচালক করে তাকে র‌্যাবেই রেখে দেওয়া হয়। ২০১৬ সালে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হিসেবে পদোন্নতি দিয়ে জিয়াউল আহসানকে পাঠানো হয় জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) পরিচালকের দায়িত্বে। ৪০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং ৩৪২ কোটি টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগে দুদক তার বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছে। বিদেশে তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকার প্রমাণও মিলেছে। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।

বিজিবির সাবেক ডিজি সাফিনুল:
বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ এবং জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ খতিয়ে দেখছে দুদক।

‘কালো জাদু’ নিয়ে ভয়াবহ অভিজ্ঞতা জানালেন মিষ্টি জান্নাত

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১২ জুন, ২০২৫, ১:৪৭ অপরাহ্ণ
‘কালো জাদু’ নিয়ে ভয়াবহ অভিজ্ঞতা জানালেন মিষ্টি জান্নাত

চিত্রনায়িকা তানিন সুবহা গত ১০ জুন রাতে মারা গেছেন। এ অভিনেত্রীর অকাল মৃত্যুর পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে তার পুরোনো একটি স্ট্যাটাস। যেটিতে তিনি কালো জাদু নিয়ে কথা বলেছেন। এর মধ্যেই তানিন সুবহার অসুস্থতা এবং নিজের অসুস্থতার প্রসঙ্গ টেনে একটি পোস্ট দিয়েছেন চিত্রনায়িকা মিষ্টি জান্নাত। যেখানে তিনি ‘কালো জাদু’র মাধ্যমে বিশেষরকম অসুস্থ হয়েছিলেন বলে দাবি করেন।

বুধবার (১১ জুন) সন্ধ্যা ৬টায় ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে কালো জাদু নিয়ে এক পোস্ট দিয়েছেন তিনি।

পোস্টে মিষ্টি জান্নাত লিখেছেন, ‘আমাকে ২০১৭ সালে কালো জাদু করা হয়েছিল। আমি জানি এটার ভয়াভহতা। আমি কলকাতার একটা হাসপাতালে আইসিইউতে ছিলাম ২২ দিন। আমার পুরো শরীরে পানি জমেছিল। তখন আমার মিডিয়াতে টপ হাইপ ছিল। একের পর এক সিনেমা ছিল। তারপর থেকে আমি সব কাজ কমিয়ে দিয়েছি।’

তিনি লেখেন, ‘আমাকে হুজুরের কাছে দেখানো হয়েছে অনেকবার। যখন আমি ভালো কিছু করতে যাই, একটা গ্রুপ আমার পেছনে পড়ে থাকে। তারা বারবার চায়, আমি যেন মরে যাই। এখন চাচ্ছে বিভিন্ন মানুষ দিয়ে বাজে কমেন্ট, নিউজ করিয়ে আমাকে মানসিকভাবে আঘাত করে সুইসাইড করাতে।’

এই নায়িকা আরও লেখেন, ‘আমি সুইসাইড করার মেয়ে না। আমার যদি কিছু হয়, তাহলে ওরা দায়ী থাকবে আবারও আমার পিছে লেগেছে ওরা।’

আর সব শেষ ব্যাকেটবন্দিতে লিখেছেন, ‘নামগুলো আমার ডায়েরিতে আছে।’

ট্রাম্পকে নিয়ে মন্তব্যে অনুতপ্ত ইলন মাস্ক, সম্পর্ক মেরামতের চেষ্টা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১২ জুন, ২০২৫, ১:৪১ অপরাহ্ণ
ট্রাম্পকে নিয়ে মন্তব্যে অনুতপ্ত ইলন মাস্ক, সম্পর্ক মেরামতের চেষ্টা

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বুধবার জানিয়েছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প টেসলার সিইও ইলন মাস্কের ক্ষমা প্রার্থনাকে স্বীকৃতি দিয়েছেন এবং বিষয়টি নিয়ে আর বাড়তি আলোচনায় না গিয়ে সরকার এখন আমেরিকান জনগণের স্বার্থেই মনোনিবেশ করছে।

বৃহস্পতিবার (১২ জুন) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে এনডিটিভি।

সংবাদ সম্মেলনে লেভিট বলেন, প্রেসিডেন্ট ইলনের আজকের বিবৃতিকে স্বীকৃতি দিয়েছেন এবং তার এই বক্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। আমরা এখন আমেরিকান জনগণের কাজের ওপর মনোযোগ দিচ্ছি।

এ সময় সাংবাদিকরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দেওয়া এক মন্তব্যের প্রসঙ্গ তোলেন, যেখানে তিনি বলেছিলেন, ইলন মাস্কের সঙ্গে সরকারের চুক্তিগুলো পর্যালোচনার কথা বিবেচনা করছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে লেভিট বলেন, এখন পর্যন্ত সে ধরনের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। আমার জানা মতে, সে বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ এখনো নেওয়া হয়নিভ

এর আগে বুধবার, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে ইলন মাস্ক লেখেন, গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে নিয়ে আমি কিছু পোস্ট করেছিলাম, যার জন্য আমি অনুতপ্ত। আমার মন্তব্যগুলো সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছিল।

সিএনএন-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোমবার রাতে ইলন মাস্ক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ফোন করেন এবং বুধবার ভোরে ক্ষমা প্রার্থনা জানান। যদিও ফোনালাপটি মাত্র কয়েক মুহূর্ত স্থায়ী হয়।

সিএনএন জানায়, গত শুক্রবার ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ও হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ সুজি ওয়াইলস ইলন মাস্কের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। তখন তারা ট্রাম্প ও মাস্কের মধ্যে চলমান দ্বন্দ্ব নিয়ে আলোচনা করেন বলে দুইটি সূত্র জানিয়েছে।

গত এক সপ্তাহে রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা ও ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্ররা মাস্কের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মীমাংসা করতে এবং তার প্রস্তাবিত ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ সমর্থনে আহ্বান জানিয়েছেন।

ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন ইলন মাস্ককে অনেকেই ‘ফার্স্ট বাডি’ হিসেবে অভিহিত করতেন। সেই সময় প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টারা মাস্কের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক গড়ে তোলেন, যা এখন কাজে লাগিয়ে তারা এই বিবাদ মেটানোর চেষ্টা করছেন।

টেক্সট মেসেজ ও ফোনালাপের মাধ্যমে ট্রাম্প-ঘনিষ্ঠরা মাস্ককে বোঝানোর চেষ্টা করছেন কেন ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ গুরুত্বপূর্ণ, যদিও এ বিল সিনেটে এখনও প্রতিবন্ধকতার মুখে রয়েছে। সূত্র জানায়, মাস্ক আলোচনায় সহানুভূতিশীল হলেও বিলটিতে পর্যাপ্ত ব্যয়সংকোচ না থাকায় কিছু বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছেন।

ভারত থেকে সরে যেতে পারে এশিয়া কাপ

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১২ জুন, ২০২৫, ১:৩৯ অপরাহ্ণ
ভারত থেকে সরে যেতে পারে এশিয়া কাপ

২০২৩ সালের এশিয়া কাপ থেকে শুরু, এখনও চলছে। পাকিস্তানে দল পাঠাতে চায় না ভারত। বিসিসিআইয়ের এমন আবেদন হাইব্রিড মডেলে বসে এশিয়া কাপ। এ বছরে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতেও পাকিস্তানে যায়নি ভারত। খেলেছে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে। তার আগে আইসিসির মধ্যস্থতায় চুক্তি হয়—তিন বছর পর্যন্ত দুদলের কেউ কারও দেশে গিয়ে খেলবে না।

অর্থাৎ, আইসিসি বা এসিসির কোনো টুর্নামেন্টে পাকিস্তান বা ভারত খেলবে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে। সেপ্টেম্বরে আসন্ন এশিয়া কাপে তেমন কিছুরই সম্ভাবনা জোরালো হচ্ছিল। নিরপেক্ষ মাঠ হিসেবে শ্রীলংকাকে বেছে নেওয়া হয়েছিল। তবে জল্পনা বাড়িয়ে দিয়েছে সামা টিভি। পাকিস্তানের গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, ভারত থেকেই সরে যেতে পারে টুর্নামেন্টটি।

সূত্রের বরাতে সামা টিভি জানিয়েছে, ২০২৫ সালের এশিয়া কাপ আয়োজন ভারতের হাতে থাকলেও সেটি নিজেদের দেশে করতে পারবে না। ভারত থেকে সেটি সরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে হওয়ার সম্ভাবনা জোরালো। তবে সূচি অনুযায়ী সেপ্টেম্বরে নির্ধারিত সময়েই হতে যাচ্ছে এবারের আসর।

যদিও এই তথ্যের নিশ্চয়তা এখনও এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি), আইসিসি বা ভারত-পাকিস্তানের কোনো বোর্ড নিশ্চিত করেনি। তবে পাকিস্তানের গণমাধ্যমটির সূত্র বলছে, খুব দ্রুতই এ নিয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে যাচ্ছে এসিসি।

এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইটি নিয়ে অবশ্য জলঘোলা কম হচ্ছে না। ভারতের গণমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে উল্টো খবর। তারা প্রতিবেদনে বলেছে, এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলকে আসরে না খেলার কথা জানিয়ে দিয়েছে ভারতীয় বোর্ড। শুধু পুরুষদের এশিয়া কাপ নয়, নারীদের ইমার্জিং এশিয়া কাপ থেকেও নাম তুলে নেবে ভারত। তবে এমন হুমকিরও আনুষ্ঠানিক বার্তা আসেনি।

বলা চলে, পেন্ডুলামের মতো দুলছে এশিয়া কাপের ভাগ্য!