খুঁজুন
শুক্রবার, ১৩ জুন, ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

ট্রাম্পকে নিয়ে মন্তব্যে অনুতপ্ত ইলন মাস্ক, সম্পর্ক মেরামতের চেষ্টা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১২ জুন, ২০২৫, ১:৪১ অপরাহ্ণ
ট্রাম্পকে নিয়ে মন্তব্যে অনুতপ্ত ইলন মাস্ক, সম্পর্ক মেরামতের চেষ্টা

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বুধবার জানিয়েছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প টেসলার সিইও ইলন মাস্কের ক্ষমা প্রার্থনাকে স্বীকৃতি দিয়েছেন এবং বিষয়টি নিয়ে আর বাড়তি আলোচনায় না গিয়ে সরকার এখন আমেরিকান জনগণের স্বার্থেই মনোনিবেশ করছে।

বৃহস্পতিবার (১২ জুন) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে এনডিটিভি।

সংবাদ সম্মেলনে লেভিট বলেন, প্রেসিডেন্ট ইলনের আজকের বিবৃতিকে স্বীকৃতি দিয়েছেন এবং তার এই বক্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। আমরা এখন আমেরিকান জনগণের কাজের ওপর মনোযোগ দিচ্ছি।

এ সময় সাংবাদিকরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দেওয়া এক মন্তব্যের প্রসঙ্গ তোলেন, যেখানে তিনি বলেছিলেন, ইলন মাস্কের সঙ্গে সরকারের চুক্তিগুলো পর্যালোচনার কথা বিবেচনা করছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে লেভিট বলেন, এখন পর্যন্ত সে ধরনের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। আমার জানা মতে, সে বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ এখনো নেওয়া হয়নিভ

এর আগে বুধবার, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে ইলন মাস্ক লেখেন, গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে নিয়ে আমি কিছু পোস্ট করেছিলাম, যার জন্য আমি অনুতপ্ত। আমার মন্তব্যগুলো সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছিল।

সিএনএন-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোমবার রাতে ইলন মাস্ক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ফোন করেন এবং বুধবার ভোরে ক্ষমা প্রার্থনা জানান। যদিও ফোনালাপটি মাত্র কয়েক মুহূর্ত স্থায়ী হয়।

সিএনএন জানায়, গত শুক্রবার ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ও হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ সুজি ওয়াইলস ইলন মাস্কের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। তখন তারা ট্রাম্প ও মাস্কের মধ্যে চলমান দ্বন্দ্ব নিয়ে আলোচনা করেন বলে দুইটি সূত্র জানিয়েছে।

গত এক সপ্তাহে রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা ও ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্ররা মাস্কের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মীমাংসা করতে এবং তার প্রস্তাবিত ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ সমর্থনে আহ্বান জানিয়েছেন।

ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন ইলন মাস্ককে অনেকেই ‘ফার্স্ট বাডি’ হিসেবে অভিহিত করতেন। সেই সময় প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টারা মাস্কের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক গড়ে তোলেন, যা এখন কাজে লাগিয়ে তারা এই বিবাদ মেটানোর চেষ্টা করছেন।

টেক্সট মেসেজ ও ফোনালাপের মাধ্যমে ট্রাম্প-ঘনিষ্ঠরা মাস্ককে বোঝানোর চেষ্টা করছেন কেন ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ গুরুত্বপূর্ণ, যদিও এ বিল সিনেটে এখনও প্রতিবন্ধকতার মুখে রয়েছে। সূত্র জানায়, মাস্ক আলোচনায় সহানুভূতিশীল হলেও বিলটিতে পর্যাপ্ত ব্যয়সংকোচ না থাকায় কিছু বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছেন।

খোলামেলা পোশাকে নিয়মিত বিতর্ক

হাডসন নদীর পাড়ে রুনা খানের অশ্লীল ছবি ভাইরাল

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৩ জুন, ২০২৫, ২:০৭ অপরাহ্ণ
হাডসন নদীর পাড়ে রুনা খানের অশ্লীল ছবি ভাইরাল

ছোট পর্দার অভিনেত্রী রুনা খানের সাম্প্রতিক খোলামেলা পোশাকের কারণে শুরু হয়েছে তুমুল সমালোচনা, ভক্তদের অনেকেই দিচ্ছেন গালি। আবার একশ্রেণী বলেন, সাহসী অবতারে ধরা দিতে রুনা খানের জুড়ি নেই। পর্দায় কিংবা বাস্তবে, বরাবরই স্পষ্টবাদী এই অভিনেত্রী। হরহামেশাই নো মেকআপ লুকে ছবি তুলে সেগুলো ভক্তদের সঙ্গে শেয়ার করে নেন তিনি। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত হাডসন নদীর তীরে অশ্লীল ড্রেসেই দেখা মিলল অভিনেত্রীর। তবে সেখানেও অশ্লীলতার অভিযোগে ক্ষুব্ধ দর্শক।

জানা যায়, ঈদের আগেই যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছেন রুনা। সেখানে পরিবার নিয়ে সময় কাটাচ্ছেন অভিনেত্রী। বছরজুড়ে কাজের ব্যস্ততায় ডুবে থাকলেও এখন যেন একটু অবকাশের দেখা মিলেছে। তবে সেখানেও নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন তিনি।

বুধবার (১১ জুন) নিজের ফেইসবুক প্রোফাইলে একগুচ্ছ ছবি শেয়ার করেছেন রুনা খান। ছবিগুলোতে দেখা যাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের হাডসন নদীর পাড়ে একটি শর্ট প্যান্ট ও টি-শার্টে দাঁড়িয়ে আছেন অভিনেত্রী। হাস্যোজ্জ্বল রুনা সাধারণ লুকেই নজর কেড়েছেন ভক্তদের। কিন্তু অশ্লীল ধাঁচের টি-শার্ট ও ছোট্ট প্যান্টের কারণে বিশ্রী ভাষায় গালি দিচ্ছেন হাজারো ভক্ত।

সবশেষ ঈদে মুক্তি পেয়েছে অমিতাভ রেজার ওয়েব সিরিজ ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’, যেখানে রুনা খানের অভিনয় বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে। এছাড়া ওয়েব সিরিজ ‘পাপ কাহিনী’ ও সিনেমা ‘নীলপদ্ম’তেও দেখো মিলেছে তার। ভালো অভিনয় যেমন প্রসংশা পান, তেমনি অশ্লীল দৃশ্য ও সাহসের নামে খোলামেলা পোশাকে ব্যাপক গালি শুনতে হয় তাকে। অবশ্য অনেকেই বলছেন, বর্তমানে সাহসী চরিত্রের নামে নষ্টামি একটা ফ্যাশনে পরিনত হয়েছে।

আরিফিন শুভকে বিয়ে করা সম্ভব না: মন্দিরা

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৩ জুন, ২০২৫, ১:৫৫ অপরাহ্ণ
আরিফিন শুভকে বিয়ে করা সম্ভব না: মন্দিরা

অভিনেত্রী মন্দিরা চক্রবর্তী সম্প্রতি এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে জানান, দর্শকরা তাদের বিয়ে করার জন্য অনুরোধ করছে। তিনি বলেন, “দর্শকরা বলছে, ‘আপনারা বিয়ে করে ফেলুন।’ কিন্তু এটা কি তারা সত্যিই চায়? মানে, নায়ক-নায়িকা যদি একসাথে বিয়ে করে, তাহলে দর্শক কি এটা চায়?

আসলে আমি এই ধরনের পরিস্থিতি আগে কখনোই ফেস করিনি। তবে, প্রথম থেকেই আমি খুব আশাবাদী ছিলাম। কারণ, দীর্ঘ সময় পর আমাদের আরেফিন শুভ ভাইয়ের কামব্যাক এবং আমরা যে গল্প নিয়ে এসেছি, তা একেবারে ভিন্ন ধরনের এবং এই প্রজন্মের গল্প। আমি আশা করছিলাম যে, দর্শক এই গল্প পছন্দ করবে।”

মন্দিরা আরও বলেন, “কিছু মানুষ বলছিলেন, ঈদে সিনেমা মুক্তি দেওয়া হয়েছে, এটা কি চলবে? তবে এখন, দর্শকরা এমনভাবে প্রতিক্রিয়া দিচ্ছে যে, শো বাড়ানো হয়েছে এবং প্রতিটি শো হাউসফুল যাচ্ছে। একজন আর্টিস্ট হিসেবে এর চেয়ে ভালো অনুভূতি আর কিছু হতে পারে না। আমি এখনো নিজেকে নতুন মনে করি, কারণ এটা আমার দ্বিতীয় সিনেমা, এবং আমি এত ভালোবাসা পাচ্ছি, দর্শক আমাদের কাজ এবং চরিত্রকে এতটা ভালোবাসছে, যা সত্যিই আনন্দদায়ক।”

তিনি আরও বলেন, “আমাদের সিনেমাতে অনেক হাস্যরসাত্মক এবং ইমোশনাল সিন রয়েছে। দর্শকরা সেই সিনগুলোর সাথে খুব ভালোভাবে কানেক্ট করতে পারছে। কখনো হাসছে, আবার কখনো চোখে পানি নিয়ে সিনেমা দেখছে। আমাদের রোমান্টিক গান ‘যেতে যেতে’ও দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। এটি তাদের মনে অনেকদিন পর মেলোডিক গান ফিরে এসেছে।”

এছাড়াও, মন্দিরা জানিয়েছেন যে, সিনেমার প্রচারের সময় অনেক দর্শক তাদের জুটির প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “দর্শকরা আমাদের জুটিকে এতটাই পছন্দ করেছে যে তারা চাচ্ছে আমরা বাস্তবেও একসাথে হয়ে যাই। যদিও এটা সম্ভব নয়, তারপরও এই ধরনের প্রতিক্রিয়া সত্যিই হৃদয়গ্রাহী।”

এছাড়াও, মন্দিরা তার সহঅভিনেতা আরেফিন শুভ এবং মিঠু মীরের সম্পর্কে কিছু কথা বলেন। তিনি জানান, “আরেফিন শুভ ভাই আমাদের সঙ্গে প্রচারে উপস্থিত ছিলেন এবং তার প্রতিক্রিয়া খুবই উৎসাহজনক ছিল। তিনি সিনেমা মুক্তির আগে থেকেই দর্শকের কাছে আসছিলেন, তাদের সঙ্গে কথা বলছিলেন, এবং প্রতিটি প্রিমিয়ার শোতে উপস্থিত ছিলেন। এটা দেখে মনে হয়েছে, তিনি নিজেও এই সিনেমার সফলতা নিয়ে খুবই আশাবাদী।”

মন্দিরা আরও জানান, “মিঠু ভাইকে আমরা প্রচারে দেখতে পাইনি কারণ তিনি অসুস্থ ছিলেন। গত তিন দিন ধরে তার ১০২ ডিগ্রি জ্বর ছিল, তাই তিনি শো-এ উপস্থিত হতে পারেননি। কিন্তু সিনেমার প্রচারের জন্য যতটুকু সম্ভব চেষ্টা করা হয়েছে, এবং আমরা সব শো-এ প্রচুর দর্শকপ্রতি প্রতিক্রিয়া পাচ্ছি।”

মন্দিরা শেষ করতে গিয়ে বলেন, “এটা সত্যিই আমার জন্য নতুন এবং আমি একেবারে কৃতজ্ঞ। আমি জানি না কেন মিঠু ভাই আসতে পারেনি, তবে যে পরিস্থিতি ঘটেছে তা সবার জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। দর্শকরা আমাদের কাজকে ভালোবাসছে এবং এটি আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় পুরস্কার।”

আলীকদমে আরেক পর্যটকের লাশ উদ্ধার, আরও একজন নিখোঁজ

ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৩ জুন, ২০২৫, ১:৪৮ অপরাহ্ণ
আলীকদমে আরেক পর্যটকের লাশ উদ্ধার, আরও একজন নিখোঁজ

বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার দুর্গম তৈনখালের উজানে ভ্রমণে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া তিন পর্যটকের মধ্যে আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (১৩ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তৈনখালের আমতলী নৌঘাট এলাকা থেকে স্মৃতি নামের এক নারী পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার ভোরে নিখোঁজ পর্যটক নড়াইলের শেখ জুবাইরুল ইসলামের মরদেহ মাতামুহুরি নদী থেকে উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে গত দুই দিনে দুটি মরদেহ উদ্ধার হলো। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন হাসান চৌধুরী নামে এক পর্যটক।

স্থানীয়রা জানান, সকালে তৈনখালের পানিতে মরদেহ ভাসতে দেখে তারা পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

আলীকদম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মির্জা জহির উদ্দিন বলেন, আজ সকালে আরও একজন নারী পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ হাসান চৌধুরীর সন্ধানে অভিযান চলছে। দুর্গম ও নেটওয়ার্কবিহীন এলাকায় অভিযান চালাতে কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে। উদ্ধারকৃত মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বান্দরবান সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় ট্যুর গাইড ও পুলিশের তথ্যমতে, ‘ট্যুর এক্সপার্ট’ নামের একটি ট্যুর গ্রুপের ৩৩ সদস্যের একটি দল বুধবার বর্ষা নামের একজন অ্যাডমিনের নেতৃত্বে আলীকদমে পৌঁছায়। দলের কো-হোস্ট ছিলেন হাসান চৌধুরী এবং স্থানীয় গাইড হিসেবে ছিলেন সিদ্ধার্থ তঞ্চঙ্গ্যা।

তাদের উদ্দেশ্য ছিল আলীকদম উপজেলার ক্রিসতং পাহাড় ও থানচির লিমান লিবলু এবং সাকাহাফং চূড়া জয় করা। ভ্রমণকারী দলটি দুই ভাগে বিভক্ত হয়। এক দলে ২২ জন এবং অন্য দলে ১১ জন ছিলেন।

বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ও রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির জেলা সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম রিমন জানান, আমি ঘটনাস্থলে রয়েছি। আজ উদ্ধার হওয়া মরদেহ নিখোঁজ দুই পর্যটকের মধ্যে একজন।