খুঁজুন
মঙ্গলবার, ১০ জুন, ২০২৫, ২৭ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

বিলাওয়াল ভুট্টোর দাবি

পাকিস্তানের টার্গেট ছিল ২০ ভারতীয় যুদ্ধবিমান, ভূপাতিত করে ৬

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১০ জুন, ২০২৫, ১১:১৮ পূর্বাহ্ণ
পাকিস্তানের টার্গেট ছিল ২০ ভারতীয় যুদ্ধবিমান, ভূপাতিত করে ৬

সাম্প্রতিক ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের প্রেক্ষাপটে ইসলামাবাদের অবস্থান তুলে ধরতে বিশ্বশক্তিগুলোর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি।

লন্ডনে একাধিক কূটনৈতিক বৈঠকে অংশ নিয়ে তিনি দাবি করেন, পাকিস্তান কৌশলগতভাবে ভারতকে পেছনে ফেলেছিল এবং চাইলেই আরও বড় ক্ষয়ক্ষতি ঘটাতে পারত, কিন্তু বিশ্বশান্তির স্বার্থে সংযম দেখিয়েছে।

লন্ডনে পাকিস্তানি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিলাওয়াল বলেন, সংঘাতের সময় আমরা ২০টি ভারতীয় যুদ্ধবিমানকে টার্গেট করেছিলাম, কিন্তু গুলি করে ভূপাতিত করেছি মাত্র ছয়টি। বিশ্ব দেখেছে, পাকিস্তান কেবল প্রতিরোধেই নয়, শান্তির ক্ষেত্রেও একটি দায়িত্বশীল রাষ্ট্র।

মঙ্গলবার (১০ জুন) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে জিও টিভি।

আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতার আহ্বান:
কাশ্মীরসহ ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্ব নিরসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সক্রিয় ভূমিকার আহ্বান জানিয়ে বিলাওয়াল বলেন, আমরা চাই আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান হোক—এর শুরু কাশ্মীর থেকে। সমস্যাগুলো আটকে আছে কারণ ভারত তা আলোচনায় আনতে রাজি নয়।

সাবেক এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, সাম্প্রতিক সংঘাতের সময় পাকিস্তান শান্তিপূর্ণ সমাধানের শর্তে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছিল। তিনি বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে জানিয়েছিলাম—ভবিষ্যতে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে সব ইস্যুতে আলোচনা হবে, সেই শর্তেই আমরা যুদ্ধবিরতিতে গিয়েছিলাম।

ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি:
বিলাওয়াল বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতার ভূমিকাকেও স্বীকৃতি দেন, যিনি দু’দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছিলেন। তিনি বলেন, তার প্রচেষ্টা প্রশংসনীয়।

পানি নিয়ে সতর্ক বার্তা:
লন্ডনের চ্যাথাম হাউস ও ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (আইআইএসএস)-এ বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিলাওয়াল ভারতের পদক্ষেপকে আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ সনদের লঙ্ঘন বলে আখ্যা দেন। বিশেষভাবে ইন্দাস জলচুক্তি একতরফাভাবে স্থগিতের সিদ্ধান্তকে পানিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের বিপজ্জনক দৃষ্টান্ত বলে উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি বলেন, পাকিস্তান একটি দায়িত্বশীল পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্র। পানি বন্ধ করা হলে আমরা তা যুদ্ধ ঘোষণার শামিল হিসেবে বিবেচনা করব।

তথ্য যুদ্ধে ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগ:
পেহেলগামে একটি সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার ঘটনায় ভারতের সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করার সমালোচনা করেন বিলাওয়াল। “ভারতের এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমরা বরং একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়েছিলাম,” বলেন তিনি।

তিনি অভিযোগ করেন, ভারতের সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে তথ্য ও বাস্তবতা বিকৃত করছে এবং বিশ্বমঞ্চে পাকিস্তানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে বিভ্রান্তিকর প্রচার চালাচ্ছে।

কূটনৈতিক প্রচার অভিযান:
বিলাওয়ালের নেতৃত্বে পাকিস্তানি প্রতিনিধি দল যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে একযোগে কূটনৈতিক প্রচার চালাচ্ছে। গত সপ্তাহে তারা ওয়াশিংটন ও নিউইয়র্কে মার্কিন কংগ্রেস সদস্য ও সিনেটরদের সঙ্গে ৫০টিরও বেশি বৈঠক করে। এরপর লন্ডনে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তর ও পার্লামেন্ট সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকেও পাকিস্তানের অবস্থান তুলে ধরা হয়।

প্রতিনিধি দলে রয়েছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিনা রব্বানি খার, খুররম দস্তগীর, সিনেটর শেরি রেহমান, মুসাদিক মালিক, ফয়সাল সুবজারী ও বুশরা আনজুম বাট, এবং প্রবীণ কূটনীতিক জলিল আব্বাস জিলানি ও তেহমিনা জানজুয়া।

বিলাওয়াল বলেন, এই প্রচারাভিযানের মূল লক্ষ্য বিশ্বকে জানানো যে, পাকিস্তান সংঘাত চায় না—আমরা চাই ন্যায়ভিত্তিক, সম্মানজনক ও টেকসই শান্তি। তার শুরুটা হতে হবে কাশ্মীর ইস্যু সমাধানের মাধ্যমে।

মাদক নিয়ে কোন্দলের অভিযোগ

রাজধানীর পল্লবীতে পেপার সানিকে গলা কেটে হত্যা

মহানগর প্রতিনিধি, ঢাকা
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১০ জুন, ২০২৫, ৯:২২ অপরাহ্ণ
রাজধানীর পল্লবীতে পেপার সানিকে গলা কেটে হত্যা

রাজধানীর মিরপুরের পল্লবী এলাকায় রাকিবুল হাসান সানি ওরফে পেপার সানি (২৯) নামের এক যুবককে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। তাকে সকালে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মৃত হিসেবে পাওয়া যায়।

মঙ্গলবার (১০ জুন) সকালে পল্লবী মিল্লাত ক্যাম্পের তিন নম্বর লাইনের বি-ব্লকের ১১ নম্বর সেকশনে সানিকে হত্যা করা হয়। নিহত পেপার সানিকে অনেকেই ইয়াবা সানি নামেও জানতো। তবে এ নিয়ে নানা বিতর্কও রয়েছে।

জানা যায়, নিহত সানি কালশীর মোহাম্মদ সোহেলের ছেলে। তিনি স্ত্রীসহ মা-বাবার সঙ্গে ওই এলাকায় বসবাস করতেন।

নিহতের বাবা মোহাম্মদ সোহেল অভিযোগ করে বলেন, ‘সকালে জিন্দা ও টানা আকাশ নামে দুইজন আমার ছেলেকে মোবাইল ফোনে কল দিয়ে ডেকে নিয়ে যায়। পরে মিল্লাত ক্যাম্পের ১১ নম্বর সেকশনে নিয়ে তার সঙ্গে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তাকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়।

তিনি বলেন- জিন্দা, টানা আকাশ, রুবেল, বোমা কাল্লু, কাসরা সোহেলসহ কিশোর গ্যাং গ্রুপের সন্ত্রাসীরা তাকে হত্যা করেছে। পরে ঘটনাস্থলেই মরদেহ ফেলে পালিয়ে যায় ওরা।’

নিহতের বাবার দাবি, ওই কিশোর গ্যাং গ্রুপকে এলাকার সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক কারবারে বাধা দেওয়ার কারণে ওরা আমার ছেলেকে হত্যা করেছে।

তবে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাদক কারবার ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সানির সঙ্গে ওই কিশোর গ্যাংয়ের সন্ত্রাসীদের দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল। এই কারণে সকালে হত্যাকাণ্ডে ঘটনাটি ঘটায়। নিহত সানি দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা কারবারির সাথে জড়িত। সম্ভবত কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ এবং মাদক ব্যবসাকে কেন্দ্র করেই সে খুন হয়েছে। কারণ মিরপুরের প্রতিটি বিহারি ক্যাম্পেই মাদকের রমরমা ব্যবসা চলছে। এসব নিয়ে প্রকাশ্যে দ্বন্দ্ব নিত্যদিনের ঘটনা।

পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিউল আলম বলেন, হত্যার কারণ কি এবং কীভাবে ঘটনাটি ঘটেছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে। আইনি প্রক্রিয়ার শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

পর্যটকরা আর ঘুরতে যেতে পারবেন না সুন্দরবন!

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১০ জুন, ২০২৫, ৭:৩০ অপরাহ্ণ
পর্যটকরা আর ঘুরতে যেতে পারবেন না সুন্দরবন!

সুন্দরবন ব্যাঘ্রপ্রকল্প এলাকায় ৩ মাসের জন্য পর্যটক নিষেধাজ্ঞার খবরে দুশ্চিন্তায় পড়ে যান পর্যটন ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে পর্যটনের উপর নির্ভরশীল মানুষজন। শোনা যাচ্ছে, তিন মাস যেতে পারবেন না সুন্দরবনে? ভরা বর্ষায় সুন্দরবনের ইলিশ উৎসব ও পশু-পাখি দর্শন থেকে বঞ্চিত হতে হবে পর্যটকদের? গত কয়েকদিনে এমনই নানা জল্পনা ছড়িয়েছে সমাজমাধ্যমে। আসলে প্রকৃত ঘটনা কি ?

বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন পর্যটন ব্যবসায়ীরাও। IATO-র (ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব ট্যুর অপারেটর) তরফে যোগাযোগ করা হয়েছিল সুন্দরবন ব্যাঘ্রপ্রকল্প কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। তাঁদের বক্তব্য, ‘আমরা স্পষ্ট করে জানাচ্ছি, সুন্দরবন ব্যাঘ্রপ্রকল্প পর্যটকদের জন্যে জুন থেকে সেপ্টেম্বর-সহ সারা বছরই খোলা থাকে। এই তিন মাসের জন্য এই ব্যাঘ্রপ্রকল্প বন্ধের ব্যাপারে সরকারিভাবে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ বা বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি।’

সাধারণত জুন থেকে অগস্ট মাস পর্যন্ত সুন্দরবনের বিভিন্ন বন্য প্রাণী ও মাছের প্রজননের সময়। এই সময়ে দেশের অন্যান্য জঙ্গল ও অভয়ারণ্যে পর্যটকদের প্রবেশের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। তবে সুন্দরবনের ক্ষেত্রে বিষয়টি ভিন্ন। সুন্দরবনের কোর এরিয়াতে পর্যটকদের প্রবেশ বন্ধ রাখা হয়। সুন্দরবনের জন্য এই নিয়ম শুধু এই তিন মাস নয়। সারা বছরেই সুন্দরবনের কোর এরিয়ায় (দুর্ভেদ্য জঙ্গল এলাকা) যাওয়ার জন্য বিশেষ অনুমতির প্রয়োজন হয় সাধারণ পর্যটকদের।

সুন্দরবন ব্যাঘ্রপ্রকল্প এলাকায় ৩ মাসের জন্য পর্যটক নিষেধাজ্ঞার খবরে দুশ্চিন্তায় পড়ে যান পর্যটন ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে পর্যটনের উপর নির্ভরশীল মানুষজন। বহু মানুষের জীবিকা নির্ভর করে পর্যটনের উপরেই। বর্ষার সময়ে সুন্দরবন ভ্রমণে বাড়তি আকর্ষণ থাকে পর্যটকদেরও। তবে, বন দপ্তরের তরফে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, তিন মাসের জন্য গোটা সুন্দরবন এলাকায় পর্যটক প্রবেশে নিষেধ করা হয়েছে — এমন কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি।

উল্লেখ্য, ইন্টিগ্রেটেড রিসোর্সেস ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান (IRMP)-এর সুপারিশ অনুযায়ী প্রজননের সময় বন্য প্রাণী সংরক্ষিত এলাকায় পর্যটকদের প্রবেশে নিষেধ করা হয়। এই তিন মাস নিষেধাজ্ঞা রয়েছে বনজ সম্পদ আহরণ এবং নদী-খালে মাছ ধরার উপরেও।

ভারতে পালানোর সময় গোপালগঞ্জ জেলা আ’লীগের সেক্রেটারি গ্রেফতার

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১০ জুন, ২০২৫, ৬:১৬ অপরাহ্ণ
ভারতে পালানোর সময় গোপালগঞ্জ জেলা আ’লীগের সেক্রেটারি গ্রেফতার

বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জি.এম. শাহাবুদ্দিন আজমকে আটক করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ।

মঙ্গলবার (১০ জুন) বেলা ১১টার দিকে তাকে আটক করা হয়।

শাহাবুদ্দিন আজমকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস হোসেন মুন্সি।

তিনি জানান, আগেই তাদের কাছে তথ্য ছিল শাহাবুদ্দিন আজম ভারতে যেতে পারেন। সে অনুযায়ী ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের সতর্ক করা হয়। পরে তিনি ইমিগ্রেশনে পাসপোর্ট (নং B00073948) জমা দিলে যাচাই বাছাই শেষে তাকে আটক করা হয়।

শাহাবুদ্দিন আজমের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এরমধ্যে রয়েছে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় ২০২৪ সালের ২০ সেপ্টেম্বর দায়ের করা একটি হত্যা মামলা এবং গোপালগঞ্জ সদর থানায় ১৭ সেপ্টেম্বর দায়ের করা আরেকটি মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাসেল মিয়া বলেন, আসামিকে ইমিগ্রেশন থেকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে গোপালগঞ্জে মামলা থাকায় তাকে সেখানকার থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।