খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ১২ জুন, ২০২৫, ২৯ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

পর্যটকরা আর ঘুরতে যেতে পারবেন না সুন্দরবন!

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১০ জুন, ২০২৫, ৭:৩০ অপরাহ্ণ
পর্যটকরা আর ঘুরতে যেতে পারবেন না সুন্দরবন!

সুন্দরবন ব্যাঘ্রপ্রকল্প এলাকায় ৩ মাসের জন্য পর্যটক নিষেধাজ্ঞার খবরে দুশ্চিন্তায় পড়ে যান পর্যটন ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে পর্যটনের উপর নির্ভরশীল মানুষজন। শোনা যাচ্ছে, তিন মাস যেতে পারবেন না সুন্দরবনে? ভরা বর্ষায় সুন্দরবনের ইলিশ উৎসব ও পশু-পাখি দর্শন থেকে বঞ্চিত হতে হবে পর্যটকদের? গত কয়েকদিনে এমনই নানা জল্পনা ছড়িয়েছে সমাজমাধ্যমে। আসলে প্রকৃত ঘটনা কি ?

বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন পর্যটন ব্যবসায়ীরাও। IATO-র (ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব ট্যুর অপারেটর) তরফে যোগাযোগ করা হয়েছিল সুন্দরবন ব্যাঘ্রপ্রকল্প কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। তাঁদের বক্তব্য, ‘আমরা স্পষ্ট করে জানাচ্ছি, সুন্দরবন ব্যাঘ্রপ্রকল্প পর্যটকদের জন্যে জুন থেকে সেপ্টেম্বর-সহ সারা বছরই খোলা থাকে। এই তিন মাসের জন্য এই ব্যাঘ্রপ্রকল্প বন্ধের ব্যাপারে সরকারিভাবে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ বা বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি।’

সাধারণত জুন থেকে অগস্ট মাস পর্যন্ত সুন্দরবনের বিভিন্ন বন্য প্রাণী ও মাছের প্রজননের সময়। এই সময়ে দেশের অন্যান্য জঙ্গল ও অভয়ারণ্যে পর্যটকদের প্রবেশের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। তবে সুন্দরবনের ক্ষেত্রে বিষয়টি ভিন্ন। সুন্দরবনের কোর এরিয়াতে পর্যটকদের প্রবেশ বন্ধ রাখা হয়। সুন্দরবনের জন্য এই নিয়ম শুধু এই তিন মাস নয়। সারা বছরেই সুন্দরবনের কোর এরিয়ায় (দুর্ভেদ্য জঙ্গল এলাকা) যাওয়ার জন্য বিশেষ অনুমতির প্রয়োজন হয় সাধারণ পর্যটকদের।

সুন্দরবন ব্যাঘ্রপ্রকল্প এলাকায় ৩ মাসের জন্য পর্যটক নিষেধাজ্ঞার খবরে দুশ্চিন্তায় পড়ে যান পর্যটন ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে পর্যটনের উপর নির্ভরশীল মানুষজন। বহু মানুষের জীবিকা নির্ভর করে পর্যটনের উপরেই। বর্ষার সময়ে সুন্দরবন ভ্রমণে বাড়তি আকর্ষণ থাকে পর্যটকদেরও। তবে, বন দপ্তরের তরফে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, তিন মাসের জন্য গোটা সুন্দরবন এলাকায় পর্যটক প্রবেশে নিষেধ করা হয়েছে — এমন কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি।

উল্লেখ্য, ইন্টিগ্রেটেড রিসোর্সেস ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান (IRMP)-এর সুপারিশ অনুযায়ী প্রজননের সময় বন্য প্রাণী সংরক্ষিত এলাকায় পর্যটকদের প্রবেশে নিষেধ করা হয়। এই তিন মাস নিষেধাজ্ঞা রয়েছে বনজ সম্পদ আহরণ এবং নদী-খালে মাছ ধরার উপরেও।

‘কালো জাদু’ নিয়ে ভয়াবহ অভিজ্ঞতা জানালেন মিষ্টি জান্নাত

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১২ জুন, ২০২৫, ১:৪৭ অপরাহ্ণ
‘কালো জাদু’ নিয়ে ভয়াবহ অভিজ্ঞতা জানালেন মিষ্টি জান্নাত

চিত্রনায়িকা তানিন সুবহা গত ১০ জুন রাতে মারা গেছেন। এ অভিনেত্রীর অকাল মৃত্যুর পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে তার পুরোনো একটি স্ট্যাটাস। যেটিতে তিনি কালো জাদু নিয়ে কথা বলেছেন। এর মধ্যেই তানিন সুবহার অসুস্থতা এবং নিজের অসুস্থতার প্রসঙ্গ টেনে একটি পোস্ট দিয়েছেন চিত্রনায়িকা মিষ্টি জান্নাত। যেখানে তিনি ‘কালো জাদু’র মাধ্যমে বিশেষরকম অসুস্থ হয়েছিলেন বলে দাবি করেন।

বুধবার (১১ জুন) সন্ধ্যা ৬টায় ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে কালো জাদু নিয়ে এক পোস্ট দিয়েছেন তিনি।

পোস্টে মিষ্টি জান্নাত লিখেছেন, ‘আমাকে ২০১৭ সালে কালো জাদু করা হয়েছিল। আমি জানি এটার ভয়াভহতা। আমি কলকাতার একটা হাসপাতালে আইসিইউতে ছিলাম ২২ দিন। আমার পুরো শরীরে পানি জমেছিল। তখন আমার মিডিয়াতে টপ হাইপ ছিল। একের পর এক সিনেমা ছিল। তারপর থেকে আমি সব কাজ কমিয়ে দিয়েছি।’

তিনি লেখেন, ‘আমাকে হুজুরের কাছে দেখানো হয়েছে অনেকবার। যখন আমি ভালো কিছু করতে যাই, একটা গ্রুপ আমার পেছনে পড়ে থাকে। তারা বারবার চায়, আমি যেন মরে যাই। এখন চাচ্ছে বিভিন্ন মানুষ দিয়ে বাজে কমেন্ট, নিউজ করিয়ে আমাকে মানসিকভাবে আঘাত করে সুইসাইড করাতে।’

এই নায়িকা আরও লেখেন, ‘আমি সুইসাইড করার মেয়ে না। আমার যদি কিছু হয়, তাহলে ওরা দায়ী থাকবে আবারও আমার পিছে লেগেছে ওরা।’

আর সব শেষ ব্যাকেটবন্দিতে লিখেছেন, ‘নামগুলো আমার ডায়েরিতে আছে।’

ট্রাম্পকে নিয়ে মন্তব্যে অনুতপ্ত ইলন মাস্ক, সম্পর্ক মেরামতের চেষ্টা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১২ জুন, ২০২৫, ১:৪১ অপরাহ্ণ
ট্রাম্পকে নিয়ে মন্তব্যে অনুতপ্ত ইলন মাস্ক, সম্পর্ক মেরামতের চেষ্টা

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বুধবার জানিয়েছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প টেসলার সিইও ইলন মাস্কের ক্ষমা প্রার্থনাকে স্বীকৃতি দিয়েছেন এবং বিষয়টি নিয়ে আর বাড়তি আলোচনায় না গিয়ে সরকার এখন আমেরিকান জনগণের স্বার্থেই মনোনিবেশ করছে।

বৃহস্পতিবার (১২ জুন) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে এনডিটিভি।

সংবাদ সম্মেলনে লেভিট বলেন, প্রেসিডেন্ট ইলনের আজকের বিবৃতিকে স্বীকৃতি দিয়েছেন এবং তার এই বক্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। আমরা এখন আমেরিকান জনগণের কাজের ওপর মনোযোগ দিচ্ছি।

এ সময় সাংবাদিকরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দেওয়া এক মন্তব্যের প্রসঙ্গ তোলেন, যেখানে তিনি বলেছিলেন, ইলন মাস্কের সঙ্গে সরকারের চুক্তিগুলো পর্যালোচনার কথা বিবেচনা করছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে লেভিট বলেন, এখন পর্যন্ত সে ধরনের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। আমার জানা মতে, সে বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ এখনো নেওয়া হয়নিভ

এর আগে বুধবার, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে ইলন মাস্ক লেখেন, গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে নিয়ে আমি কিছু পোস্ট করেছিলাম, যার জন্য আমি অনুতপ্ত। আমার মন্তব্যগুলো সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছিল।

সিএনএন-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোমবার রাতে ইলন মাস্ক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ফোন করেন এবং বুধবার ভোরে ক্ষমা প্রার্থনা জানান। যদিও ফোনালাপটি মাত্র কয়েক মুহূর্ত স্থায়ী হয়।

সিএনএন জানায়, গত শুক্রবার ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ও হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ সুজি ওয়াইলস ইলন মাস্কের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। তখন তারা ট্রাম্প ও মাস্কের মধ্যে চলমান দ্বন্দ্ব নিয়ে আলোচনা করেন বলে দুইটি সূত্র জানিয়েছে।

গত এক সপ্তাহে রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা ও ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্ররা মাস্কের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মীমাংসা করতে এবং তার প্রস্তাবিত ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ সমর্থনে আহ্বান জানিয়েছেন।

ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন ইলন মাস্ককে অনেকেই ‘ফার্স্ট বাডি’ হিসেবে অভিহিত করতেন। সেই সময় প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টারা মাস্কের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক গড়ে তোলেন, যা এখন কাজে লাগিয়ে তারা এই বিবাদ মেটানোর চেষ্টা করছেন।

টেক্সট মেসেজ ও ফোনালাপের মাধ্যমে ট্রাম্প-ঘনিষ্ঠরা মাস্ককে বোঝানোর চেষ্টা করছেন কেন ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ গুরুত্বপূর্ণ, যদিও এ বিল সিনেটে এখনও প্রতিবন্ধকতার মুখে রয়েছে। সূত্র জানায়, মাস্ক আলোচনায় সহানুভূতিশীল হলেও বিলটিতে পর্যাপ্ত ব্যয়সংকোচ না থাকায় কিছু বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছেন।

ভারত থেকে সরে যেতে পারে এশিয়া কাপ

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১২ জুন, ২০২৫, ১:৩৯ অপরাহ্ণ
ভারত থেকে সরে যেতে পারে এশিয়া কাপ

২০২৩ সালের এশিয়া কাপ থেকে শুরু, এখনও চলছে। পাকিস্তানে দল পাঠাতে চায় না ভারত। বিসিসিআইয়ের এমন আবেদন হাইব্রিড মডেলে বসে এশিয়া কাপ। এ বছরে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতেও পাকিস্তানে যায়নি ভারত। খেলেছে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে। তার আগে আইসিসির মধ্যস্থতায় চুক্তি হয়—তিন বছর পর্যন্ত দুদলের কেউ কারও দেশে গিয়ে খেলবে না।

অর্থাৎ, আইসিসি বা এসিসির কোনো টুর্নামেন্টে পাকিস্তান বা ভারত খেলবে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে। সেপ্টেম্বরে আসন্ন এশিয়া কাপে তেমন কিছুরই সম্ভাবনা জোরালো হচ্ছিল। নিরপেক্ষ মাঠ হিসেবে শ্রীলংকাকে বেছে নেওয়া হয়েছিল। তবে জল্পনা বাড়িয়ে দিয়েছে সামা টিভি। পাকিস্তানের গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, ভারত থেকেই সরে যেতে পারে টুর্নামেন্টটি।

সূত্রের বরাতে সামা টিভি জানিয়েছে, ২০২৫ সালের এশিয়া কাপ আয়োজন ভারতের হাতে থাকলেও সেটি নিজেদের দেশে করতে পারবে না। ভারত থেকে সেটি সরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে হওয়ার সম্ভাবনা জোরালো। তবে সূচি অনুযায়ী সেপ্টেম্বরে নির্ধারিত সময়েই হতে যাচ্ছে এবারের আসর।

যদিও এই তথ্যের নিশ্চয়তা এখনও এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি), আইসিসি বা ভারত-পাকিস্তানের কোনো বোর্ড নিশ্চিত করেনি। তবে পাকিস্তানের গণমাধ্যমটির সূত্র বলছে, খুব দ্রুতই এ নিয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে যাচ্ছে এসিসি।

এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইটি নিয়ে অবশ্য জলঘোলা কম হচ্ছে না। ভারতের গণমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে উল্টো খবর। তারা প্রতিবেদনে বলেছে, এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলকে আসরে না খেলার কথা জানিয়ে দিয়েছে ভারতীয় বোর্ড। শুধু পুরুষদের এশিয়া কাপ নয়, নারীদের ইমার্জিং এশিয়া কাপ থেকেও নাম তুলে নেবে ভারত। তবে এমন হুমকিরও আনুষ্ঠানিক বার্তা আসেনি।

বলা চলে, পেন্ডুলামের মতো দুলছে এশিয়া কাপের ভাগ্য!