খুঁজুন
বুধবার, ৪ জুন, ২০২৫, ২১ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

ঢামেকে ১০ ঘন্টা অস্ত্রপচারে আলাদা করা হলো বুকে পেটে জোড়া লাগানো শিফা-রিফা

আব্দুল্লাহ আল মোত্তালিব
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১২:৪৯ পূর্বাহ্ণ
ঢামেকে ১০ ঘন্টা অস্ত্রপচারে আলাদা করা হলো বুকে পেটে জোড়া লাগানো শিফা-রিফা

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পেটে বুকে জোড়া লাগানোর শিফা ও রিফার অস্ত্রপচার সফল হয়েছে। ১০ ঘণ্টার অপারেশনে শিফা ও রিফাকে আলাদা করা হয়। প্রায় দেড় বছর বয়সী শিফা ভালো থাকলেও ভালো নেই রিফা। এবং কার্ডিয়াক এ‍্যারেষ্ট হওয়ায় রিফা পিআইসিইউতে নেওয়া হয়েছে।

আজ সোমবার(২৩ সেপ্টেঃ)সকাল ১১ টাই ঢামেকের হাসপাতালের প্রশাসনিক ব্লকের সভা কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান পেডিয়েট্রিক সার্জারি বিভাগের প্রফেসর ডা.শাহানূর ইসলাম।

তিনি বলেন বরগুনা জেলার বেতাগী থানার মাহমুদা ২০২৩ সালের ৭ জুন বুক-ফেটে জোড়া লাগানো অবস্থায় জমজ কন্যা শিশুর জন্ম দেন।পরে চলতি বছরের ১৪ জুন আমাদের পেডিয়েট্রিক সার্জারি বিভাগে যোগাযোগ করেন।পরে চলতি বছরের ২১ জুন ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মেডিকেল বোর্ড একমাস পরে তাদেরকে আবার আসতে বলেন।এক মাস পর ভর্তি করা হয় এবং পুষ্টি জনিত সমাধান দিয়ে একমাস পর পুনরায় দেখা করতে বলা হয়। এরপর ছয় মাস পর অপারেশনের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়। তাদের শরীরে সকল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ঠিক থাকলেও বুক ফেটে জোড়া লাগানো অবস্থায় রয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যায় দুজনের হৃদপিণ্ডের পর্দা, সাধারণ যকৃত নালী, পোর্টাল শিরা,ক্ষুদ্রান্ত্রের কিছু অংশ এক অন্যের সাথে জোড়া লাগানো রয়েছে। একজন খেলে মোটা হয় আরেকজন। ৩ আগস্ট দুজনের বুকে পেটে জোড়া লাগানো তাই অপারেশনের পরে শরীরের চামড়া স্বল্পতা যাতে না হয় তার জন্য টিস্যু এক্সপান্ডার বসানো হয়। টিস্যু বর্ধিতকরণের পর মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত ৭ সেপ্টেম্বর ১০ ঘন্টা ব্যাপী সফল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। অপারেশন শেষে দুজনকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের(আইসিই)ভেন্টিলেশন দিয়ে রাখা হয়। ৮ সেপ্টেম্বর রিফাকে ভেন্টিলেটর থেকে বের করা হয়। ৯ সেপ্টেম্বর শিফাকেও ভেন্টিলেটর থেকে বের করা হয়। পরে ১১ সেপ্টেম্বর সকালে শিফার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলে কার্ডিয়াক এম্বুলেন্সে করে তাকে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে ভর্তি করা হয়। তবে তার অবস্থা বর্তমানে উন্নতি হওয়ায় আজকেই কেবিনে দেওয়া হতে পারে।

ডা.শাহানূর ইসলাম আরও বলেন,
আমাদের এই অপারেশনে ৮০ জনের একটি টিম ছিল। পরিবারটি অনেক গরিব তাই তাদের চিকিৎসা ব্যয় বহন করা সম্ভব হচ্ছিল না। চিকিৎসার খরচ বহন করে ঢামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, সমাজসেবা অধিদপ্তর, ঢাকা মেডিকেল কলেজ,আকিজ গ্রুপ, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট, বিএসএমএমইউ, বারেডেম, ট্র্যান্সফিউশন মেডিসিন ও ল্যাবরেটরি মেডিসিন।

হাসপাতালে চিকিৎসার বিষয়ে শিফা ও রিফার বাবা বাদশা বলেন,
আমার জোড়া লাগানো মেয়েদের চিকিৎসায় সকল ধরনের সেবা আমি ফ্রি পেয়েছি। এক বছর ধরে শাহানুর ম্যাডাম নিজের পকেট থেকে অনেক টাকা পয়সা খরচ করেছেন এবং আমার মেয়েদের চিকিৎসা করে যাচ্ছেন। আমার মেয়েকে যারা চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন আমি সবাইকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই।

এ সময় হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, ১৫ জুলাই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে চিকিৎসা সেবা নিয়ে আমি অনেক ব্যস্ত ছিলাম। তার মধ্যেও শিফা ও রিফার চিকিৎসার বিষয় নিয়ে আমার সাথে সবসময় যোগাযোগ পেডিয়াট্রিক সার্জারি বিভাগের প্রফেসর ডা শাহানূর ইসলাম। আমি ধন্যবাদ জানাই শিফা এবং রেফার অস্ত্র প্রচারে যেসব চিকিৎসক জড়িত ছিলেন এবং যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের সকলকে।এই অপারেশনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চিকিৎসা সেবায় উন্নত বিশ্বের মত এক ধাপ এগিয়ে গেল।এর আগেও ঢাকা মেডিকেলে জোড়া লাগানোর তোফা তহুরা লাবিবা ও লামিসার সফল অস্ত্র পাচার এই ঢাকা মেডিকেলেই করা হয়েছে।

এই জটিল এবং দীর্ঘমেয়াদী অপারেশনে ছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডাঃ মো মোজাফফর হোসেন, অধ্যাপক ডাঃ শুব্রত কুমার মন্ডল, সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ মোসলেমা বেগম, সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ সিদ্দিকুর রহমান, ঢাকা শিশু হাসপাতাল থেকে সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডাঃ মোঃ মকবুল হোসেন, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন থেকে সহকারী অধ্যাপক ডাঃ শামীম উল হাসনাইন ও অন্যান্য। বার্ণ, প্লাষ্টিক ও রিকনস্ট্রাকটিভ সার্জন হিসেবে ছিলেন জাতীয় বার্ণ ইনস্টিটিউট থেকে অধ্যাপক ডাঃ মোহাম্মদ নোয়াজেস খান, সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ কাজী ইমরান, সহকারী অধ্যাপক ডাঃ মাজহারুল হক ইমরান, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ডা: বিধান সরকার, বিভাগীয় প্রধান, হেপাটোবিলিয়ারী সার্জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে অধ্যাপক ডাঃ নূর হোসেন ভুইয়া, সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ এইচ এ নাজমুল হাকিম, সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ শাওন শাহরিয়ার, কার্ডিয়াক সার্জন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন থেকে প্রধান কার্ডিয়াক সার্জন অধ্যাপক শরিফুজ্জামান, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডাঃ ইসতিয়াক, আহমেদ দিপু, ভাস্কুলার সার্জন ন্যাশনাল হৃদরোগ ইন্সটিটিউট থেকে বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডাঃ আবুল হাসান মুহাম্মদ বাসার, সহকারী অধ্যাপক ডাঃ মো মোকলেসুর রহমান, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে আবাসিক সার্জন ডা: রওনক খুরশিদ, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে থোরাসিক সার্জন অধ্যক্ষ ডাঃ মো কামরুল আলম,

সহকারী অধ্যাপক ডাঃ ওসমান গনি, আবাসিক সার্জন ডাঃ গোলাম মুরসালিন, শিশু সার্জারি থেকে অধ্যাপক ও ইউনিট প্রধান ডা: সাহনূর ইসলাম (টীম লীডার), সহকারী অধ্যাপক ডাঃ এ কে এম খায়রুল বাশার,আবাসিক

সার্জন ডা: কামরুন্নাহার, সহকারী রেজিস্ট্রার ডা: এন এ এম নাহিদুজ্জামান, ডা: তাসনিয়া তারান্নুম এবং অন্যান্য,

রেডিওলজী এবং ইমেজিং-এ বারডেম থেকে অধ্যাপক ডা: নুসরাত গফুর, বিএসএমএমইউ থেকে সহযোগী অধ্যাপক ডা: ফারজানা আলম, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে অধ্যাপক ডা: সাহারা হক জেরিন, সহকারী অধ্যাপক ডাঃ সাজিদা নাহিদ, নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন থেকে সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান

ডা: নূরুল আকতার হাসান, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা: অমিত সোম, ডা: মাসুরা মোশাররফ, ট্রান্সফিউশান মেডিসিন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডাঃ কাসফিয়া আলম, ল্যাবরেটরি মেডিসিন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসিনিয়র ক্লিনিক্যাল প্যাথলজিষ্ট শায়লা সারমিন, মাইক্রোবায়োলজিষ্ট ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে অধ্যাপক সাজ্জাদ বিন শাহিদ, কার্ডিওলজিষ্ট ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা: আজিজুল হক, নার্সবৃন্দ ও অন‍্যান‍্যরা।

গালি দিতে দিতে বাংলাদেশে ঢুকে পড়লো মদ্যপ বিএসএফ সদস্য, অতঃপর…

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ৪ জুন, ২০২৫, ৮:১৯ অপরাহ্ণ
গালি দিতে দিতে বাংলাদেশে ঢুকে পড়লো মদ্যপ বিএসএফ সদস্য, অতঃপর…

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের জহুরপুর সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) এক সদস্যকে আটক করেছে স্থানীয় জনতা। মদ্যপ অবস্থায় গালি দিতে দিতে বাংলাদেশ সীমান্তে ঢুকে পড়ে ওই বিএসএফ সদস্য। পরে তাকে বিজিবির হাতে সোপর্দ করা হয়।

বুধবার (৪ জুন) সকালে এ ঘটনা ঘটে। আটক বিএসএফ সদস্য শ্রী গণেশ ভারতের নুরপুর ৭১ বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্য।

বিএসএফ সদস্যকে আটকের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা যায়, বিএসএফের ওই সদস্যকে আটকে রেখে অনুপ্রবেশের কারণ জানতে চাচ্ছে গ্রামবাসী। এ সময় বিএসএফ সদস্য বলেন, আমি ভয় দেখাতে ঢুকেছি। তখন ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক তরুণ বলে ওঠেন, তুই কি ডন, তুই কি হিরো, দেখ আজকে তোকে কি অবস্থা করি।

স্থানীয় গ্রামবাসী ও নারায়ণপুর ইউপি চেয়ারম্যান নাজির আহম্মেদ জানান, জহুরপুর পিলার ১৯-এর সাবপিলার ৫-এর সামনে সাতরশিয়া এলাকায় গরু ও ছাগল চরানো অবস্থায় বিএসএফ সদস্য বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন এবং পশু ধাওয়া করেন। এ ঘটনায় স্থানীয়রা তাকে আটক করে বিজিবির হাতে তুলে দেন।

৫৩ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফাহাদ মাহমুদ রিংকু জানান, আটক সদস্যকে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে এবং সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

নওফেলের স্ত্রী এমা ক্লেয়ারের বিরুদ্ধে মামলা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ৪ জুন, ২০২৫, ৮:১৫ অপরাহ্ণ
নওফেলের স্ত্রী এমা ক্লেয়ারের বিরুদ্ধে মামলা

জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের স্ত্রী এমা ক্লেয়ার বার্টনের বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (৪ জুন) দুদকের উপপরিচালক আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।

দুদকের এ সংক্রান্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এমা ক্লেয়ার বার্টনের বিরুদ্ধে ৮৪ লাখ ৩৫ হাজার ১২৮ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর নওফেল ও তার প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন ব্যাংকের ৪১টি হিসাব থেকে ১১৩ কোটি ৮৯ লাখ টাকা জমা এবং ৯৭ কোটি ৩০ লাখ টাকা উত্তোলনের তথ্য পাওয়ার কথা জানায় দুদক। বিপুল পরিমাণ সন্দেহজনক লেনদেন ও দুই কোটি ৯৪ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ওইদিন নওফেলের নামে মামলা করে দুদক।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দুদক জানায়, নওফেলের স্ত্রী এমা ক্লেয়ার বার্টনের বিরুদ্ধে ৮৪ লাখ ৩৫ হাজার ১২৮ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হওয়ায় তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(১) ধারা মোতাবেক সম্পদ বিবরণী দাখিলের আদেশ জারির সুপারিশ করা হয়।

এমা ক্লেয়ার বার্টন বরাবর সম্পদ বিবরণী দাখিলের আদেশ জারির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সম্পদ বিবরণীটি অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা তার পক্ষে কেউ গ্রহণ না করায় আদেশসহ মূল সম্পদ বিবরণী গত ২৩ মার্চ লটকিয়ে জারি করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্পদ বিবরণী লটকিয়ে জারির পর অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেননি এবং সময় বাড়ানোর কোনো আবেদনও পাওয়া যায়নি। যেহেতু নির্ধারিত ২১ কার্যদিবসে অর্থাৎ ২৯ এপ্রিলের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেননি সেহেতু এটি দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

এতে আরও বলা হয়, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল না করায় এবং ৮৪ লাখ ৩৫ হাজার ১২৮ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এমার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

শিশু শাফায়েতকে বাঁচাতে মায়ের আকুতি

মোঃ কুরবান আলী, নাটোর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বুধবার, ৪ জুন, ২০২৫, ৫:৩৮ অপরাহ্ণ
শিশু শাফায়েতকে বাঁচাতে মায়ের আকুতি

হার্নিয়া রোগে আক্রান্ত ছোট্ট শিশু শাফায়েত বাঁচতে চায়। মাত্র ১ বছর ২ মাস বয়সে অসুস্থতা যেন তাকে কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে। জন্ম থেকেই হার্নিয়া ও অন্যান্য বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ছোট্ট শিশু শাফায়েত।

নাটোরের সিংড়া উপজেলার তাজপুর ইউনিয়নের কয়রাবাড়ি গ্রামের মো. বেল্লাল হোসেন ও শহর বানু দম্পতির তিন ছেলের মধ্যে ছোট শাফায়েত। অন্যের বাড়িতে দিনমজুরি করে কোনো রকমে তিন ছেলে নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে বেল্লাল হোসেন। এদিকে ছোট শিশু শাফায়েত এর চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা। সংসারের এমন পরিস্থিতিতে মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়েছে বেল্লাল হোসেনের।

শিশুটি জন্মের পর থেকে চিকিৎসা করাতে গিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে। এখন আবার অপারেশন করতে হবে। দরিদ্র বাবার পক্ষে এতো টাকা জোগাড় করাও সম্ভব নয়। তাই শিশু সন্তানকে বাঁচাতে সরকার ও বিত্তবানদের সাহায্য কামনা করেছেন শাফায়েত এর মা শহর বানু।

অসুস্থ শিশু শাফায়েত এর খালাতো ভাই গোলাম রাব্বী বলেন, আমার খালার পরিবার খুবই দরিদ্র। শাফায়েতকে চিকিৎসা করাতে পরিবারটি নিঃস্ব হয়ে গেছে। দেশবাসীর কাছে আবেদন সামর্থ্য অনুযায়ী সকলে চিকিৎসার জন্য এগিয়ে আসুন।

অসুস্থ শিশু শাফায়েত এর মা শহর বানু বলেন, শাফায়েত জন্মের পর থেকেই হার্নিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। সবসময় শুধু কান্না করে। কোনো কিছু খেলে সাথে সাথে বমি করে। জন্মের পর কান্না আর বমি দেখে নাটোরে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে রাজশাহীতে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। পরবর্তীতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক (শিশু সার্জারী) ডাঃ এস এম আহ্সান শহীদ জানিয়েছেন শিশু শাফায়েতের হার্নিয়া রোগ হয়েছে।

তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ছেলের অপারেশন করতে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা লাগবে। অভাবের সংসার, স্বামী অন্যের বাড়িতে দিনমজুরি করে সংসার চালায়। ছেলের অপারেশনের জন্য সরকার এবং বিত্তবানদের নিকট আর্থিক সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

তাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. আবু হানিফ বলেন, শিশুটির পরিবার খুবই দরিদ্র ও অসহায়। সরকার ও সামর্থ্যবানরা এগিয়ে আসলে চিকিৎসা করানো সম্ভব হবে।

অসুস্থ শিশু শাফায়েতকে আর্থিক সহায়তা পাঠাতে যোগাযোগ করুন- ০১৮৭২২২১৪১০ (বিকাশ) শাফায়েত এর খালাতো ভাই গোলাম রাব্বি।