খুঁজুন
বুধবার, ২ এপ্রিল, ২০২৫, ১৯ চৈত্র, ১৪৩১

১৫ বছরে তার বিরুদ্ধে মামলা নেই একটিও

বিএনপি করেও আ.লীগ আমলে হয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১:০৫ পূর্বাহ্ণ
বিএনপি করেও আ.লীগ আমলে হয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা

বিএনপি আমলে একাধিক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন টাঙ্গাইলের লুতফুর রহমান খান আজাদ। বর্তমানে তিনি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন।

কিন্তু অবাক করার বিষয় হলো, বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের শাসনামলে যেখানে সারা দেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে লাখ লাখ মামলা হয়েছে, সেখানে লুৎফুর রহমান আজাদের বিরুদ্ধে একটি মামলাও হয়নি। এমনকি বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় গঠিত হয়। সে সময় মন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ওই সময় তিনি নিজেকে কখনো মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দাবি করেননি। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে আঁতাত করে গত ২১ জুন, ২০২২ সালে তিনি মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গেজেটপ্রাপ্ত হন। এ নিয়ে তার নির্বাচনি এলাকায় নানা ধরনের মুখরোচক আলোচনা-সমালোচনা রয়েছে। আওয়ামী লীগ আমলে মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে লুৎফুর রহমান খান আজাদ বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার কোনো চেষ্টা করিনি। ভেবেছিলাম এমনিতেই তালিকায় আমার নাম থাকবে। কিন্তু তখন মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় আমার নাম ওঠেনি। পরবর্তীতে নানা চড়াই-উতরাই পার হয়ে মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। বিএনপির নেতাকর্মীদের অভিযোগ, লুৎফর রহমান আজাদ বিগত সময়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করে নিজে মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট নিয়েছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিএনপি করার অপরাধে অনেক প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার গেজট বাতিল করা হয়েছে। ঘাটাইল পৌরসভা বিএনপি সভাপতি আব্দুল বাসেত করিম একজন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা হওয়া সত্ত্বেও শুধুমাত্র বিএনপির রাজনীতি করার কারণে তার মুক্তিযোদ্ধার ভাতা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সেখানে বিএনপির রাজনীতি করেও আওয়ামী লীগ আমলে লুৎফুর রহমান আজাদ কীভাবে মুক্তিযোদ্ধার সনদ নিয়েছেন। বিগত আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনামলে সারা দেশের নেতাকর্মীরা মামলার জালে বন্দি থাকলেও লুৎফুর রহমান আজাদের বিরুদ্ধে একটিও মামলা হয়নি। শুধু তা-ই নয়, লুতফুর রহমান আজাদ ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে টাঙ্গাইল-৮ (ঘাটাইল) আসন থেকে মনোনয়ন পেয়েছিলেন। অভিযোগ রয়েছে, মনোনয়ন পেয়েও নির্বাচনি আসনে যাননি তিনি। বরং তার চাচাত ভাই আতাউর রহমান খানকে মাঠ ছেড়ে দিয়ে ওয়াকওভার দিয়েছেন। আতাউর রহমান খান টাঙ্গাইলের চিহ্নিত সন্ত্রাসী আমানুর রহমান খান রানার বাবা। সম্পর্কে লুৎফুর রহমান খান আজাদ ও আতাউর রহমান খান চাচাতো ভাই। এ নিয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ । বিএনপি নেতাকর্মীদের মতে, বিএনপির রাজনীতি করেও লুৎফুর রহমান আজাদ আওয়ামী লীগ সরকারের সময় নানা সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন।
ওয়ান-ইলেভেনের সময়ও লুৎফুর রহমান আজাদ বিএনপির সংস্কারপন্থি হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ১/১১ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় বিএনপির বহু নেতার নামে মামলা হলেও তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়নি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওয়ান- ইলেভেনের কুশীলব মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ হওয়ায় ওই সময় তাকে মামলার ঝামেলায় পড়তে হয়নি। বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, বিগত ১৫ বছরে সরকারবিরোধী আন্দোলন-সংগ্রামে কোথাও অংশগ্রহণ করেননি লুৎফুর রহমান খান আজাদ। রাজনীতিতে সব সময় তিনি সুবিধাবাদী জায়গায় অবস্থান করেছেন। ওয়ান-ইলেভেনের সময় সংস্কারপন্থি হিসেবে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছ থেকে বিভিন্ন সুবিধা নিয়েছেন। আবার বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরেও তাদের সঙ্গে আঁতাত করে চলেছেন।
জানা গেছে, ২০১৩ সালে টাঙ্গাইল জেলা বিএনপি থেকে কয়েকজন নেতার পদ স্থগিত করায় ২০১৩ সালে লুৎফুর রহমান খান আজাদকে টাঙ্গাইলে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছিল। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনে দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হলে আবারও টাঙ্গাইলের রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছেন লুৎফুর রহমান খান আজাদ। কিন্তু তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা তার ডাকে খুব একটা সাড়া দিচ্ছেন না। বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে লুৎফুর রহমান আজাদ তার নির্বাচনি এলাকায় সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছেন। আন্দোলন- সংগ্রামে না থাকা ও বিপদে নেতাকর্মীদের পাশে না দাঁড়ানোয় তার কর্মকাণ্ড তৃণমূল নেতাকর্মীরা খুব একটা পছন্দ করছেন না।

৪০ দিনের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব, হামাসকে যে শর্ত দিল ইসরাইল

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১ এপ্রিল, ২০২৫, ৭:৩৩ অপরাহ্ণ
৪০ দিনের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব, হামাসকে যে শর্ত দিল ইসরাইল

৫০ দিনের নয়, দখলদার ইসরাইল গাজায় ৪০ দিনের যুদ্ধবিরতির একটি নতুন প্রস্তাব দিয়েছে। যার মাধ্যমে ১১ জন জীবিত ইসরাইলি বন্দিকে মুক্ত করার পাশাপাশি ১৬টি মরদেহও ফেরত পাওয়ার চেষ্টা করছে নেতানিয়াহুর সরকার।

Advertisement

বিপরীতে ইসরাইলের কারাগার থেকে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তি দেওয়া হবে।

সোমবার ইসরাইলি প্রভাবশালী দৈনিক হারেৎজ এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতায় ইসরাইল ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের কাছে এই প্রস্তাব পাঠিয়েছে।

প্রস্তাবের প্রধান শর্তগুলো হলো:

৪০ দিনের যুদ্ধবিরতি;
হামাসের কাছ থেকে ১১ জন জীবিত বন্দির মুক্তি ও ১৬টি মরদেহ ফেরত;
ইসরাইলের কারাগার থেকে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তি;
যুদ্ধবিরতির ৫ম দিনে হামাসের কাছে বাকি বন্দিদের তথ্য চাওয়া;
১০ম দিনে ১৬ জনের মরদেহ হস্তান্তরের অনুরোধ।
পক্ষগুলোর প্রতিক্রিয়া

যদিও এই প্রতিবেদনের বিষয়ে ইসরাইল, হামাস বা মধ্যস্থতাকারীদের কেউই এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি।

বর্তমান পরিস্থিতি

নেতানিয়াহুর সরকার মনে করে যে, গাজায় হামাসের হাতে এখনো ৫৯ জন ইসরাইলি বন্দি রয়েছে। যাদের মধ্যে অন্তত ২৪ জন জীবিত।

অন্যদিকে, ইসরাইলি কারাগারে ৯,৫০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি বন্দি রয়েছেন। যাদের ওপর চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন, নির্যাতন ও চিকিৎসা অবহেলার অভিযোগ রয়েছে।

ইসরাইল চলতি বছরের জানুয়ারিতে হওয়া একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গাজায় গত ১৮ মার্চ থেকে নতুন বিমান হামলা চালিয়েছে। গত ১৫ দিন ধরে অব্যাহতভাবে চালানো এই হামলায় ১,০০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং ২,৫০০-এর বেশি মানুষ আহত হয়েছে।

এ নিয়ে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরাইলের হামলায় সবমিলিয়ে ৬৩,০০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া

আইসিসি (International Criminal Court) গত বছর ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে।

অন্যদিকে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (ICJ) ইসরাইলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলা চলমান।সূত্র: আনাদোলু

নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনটি ‘উদ্বেগজনক ও বিভ্রান্তিকর’

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১ এপ্রিল, ২০২৫, ৭:৩১ অপরাহ্ণ
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনটি ‘উদ্বেগজনক ও বিভ্রান্তিকর’

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, বাংলাদেশে ইসলামিস্টদের উত্থান নিয়ে নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনটি উদ্বেগজনক এবং বিভ্রান্তিকর।

মঙ্গলবার সিএ প্রেস উইং থেকে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিউইয়র্ক টাইমসের নিবন্ধটি ইঙ্গিত দেয় যে বাংলাদেশে ধর্মীয় চরমপন্থা উত্থানের দ্বারপ্রান্তে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এটি বাংলাদেশের ভুল চিত্র তুলে ধরেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিভ্রান্তিকর এ চিত্রায়ন কেবল দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক গতিশীলতাকে অতি সরলীকৃত করে না বরং ১৮ কোটি মানুষের একটি সমগ্র জাতিকে অন্যায়ভাবে কলঙ্কিত করার ঝুঁকিও তৈরি করে।

নিউইয়র্ক টাইমস প্রকাশিত নিবন্ধে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ যখন নিজেকে পুনরুজ্জীবিত করছে, তখন কট্টরপন্থি ইসলামিস্টরা একটি সুযোগ দেখতে পাচ্ছে। তবে এ বক্তব্যকে প্রত্যাখ্যান করে প্রেস উইং বলছে, নিউইয়র্ক টাইমসের নিবন্ধটি বাংলাদেশ সম্পর্কে একটি উদ্বেগজনক এবং একপেশে দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছে।

সিএ প্রেস উইংয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রকাশ করার জন্য সুনির্দিষ্টভাবে উসকানিমূলক নিবন্ধের ওপর নির্ভর করার পরিবর্তে বাংলাদেশের অগ্রগতিকে স্বীকৃতি দেওয়া বেশি গুরুত্বপূর্ণ। বছর ধরে বাংলাদেশ যে অগ্রগতি করেছে সেটাকে এবং পরিস্থিতির জটিলতাকে স্বীকার করা উচিত।

আরও বলছে, যদিও নিবন্ধটি ধর্মীয় উত্তেজনা এবং রক্ষণশীল আন্দোলনের কিছু ঘটনা তুলে ধরেছে, তবে এটি অগ্রগতির বৃহত্তর প্রেক্ষাপটকে উপেক্ষা করেছে। বাংলাদেশ নারীদের অবস্থার উন্নতিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তাদের সুরক্ষা এবং কল্যাণের জন্য বিশেষভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এটি এমন একটি সরকার যা নারীর অধিকার এবং সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। অথচ নিবন্ধে এর উলটোটা বলা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের মতো একটি দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং ধর্মীয় সহিংসতার মধ্যে পার্থক্য করা গুরুত্বপূর্ণ। শেখ হাসিনার বিদায়ের পর এবং তার পর থেকে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘটিত অনেক সংঘর্ষকে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা হিসেবে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যদিও বাস্তবে এসব ঘটনা ঘটেছিল রাজনৈতিক কারণে। রাজনৈতিক দলগুলি প্রায়শই সমর্থন জোগাড় করার জন্য ধর্মকে ব্যবহার করে। যা বিষয়টিকে জটিল করে তোলে এবং রাজনৈতিক অস্থিরতাকে ধর্মীয় নিপীড়নের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার ঝুঁকি তৈরি করে। সুতরাং পুরো পরিস্থিতিকে সাম্প্রদায়িক সংঘাত হিসেবে উপস্থাপন করা বিভ্রান্তিকর। এটি প্রকৃত রাজনৈতিক এবং আর্থ-সামাজিক বিষয়গুলিকে উপেক্ষা করে।

প্রেস উইং জানিয়েছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সমস্ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে রক্ষা করার জন্য তার প্রতিশ্রুতি স্পষ্ট করেছে এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও সন্ত্রাসবাদ দমন প্রচেষ্টার সাথে তার চলমান কাজ এই প্রতিশ্রুতিকে আরও জোরদার করে। সামাজিক সংস্কার এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে চরমপন্থা মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রচেষ্টা ভুল তথ্যের বিস্তারের দ্বারা ম্লান হওয়া উচিত নয়।

চলছে ষড়যন্ত্র, মূল মাস্টারমাইন্ড চিহ্নিত

জয় বাংলা ব্রিগেড প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশে গৃহযুদ্ধের পরিকল্পনা !

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: সোমবার, ৩১ মার্চ, ২০২৫, ১:০৮ পূর্বাহ্ণ
জয় বাংলা ব্রিগেড প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশে গৃহযুদ্ধের পরিকল্পনা !

গেল ৫ আগস্ট ছাত্রজনতার গণআন্দোলনের মুখে পতন হয় স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারের। তারপর থেকেই দলটির সভানেত্রী শেখ হাসিনাসহ অনেকেই ভারতে পলাতক রয়েছে। আর সেই ভারত থেকেই চলছে বাংলাদেশকে নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র। বিভিন্ন গণমাধ্যমেও উঠে আসছে বাংলাদেশে গৃহযুদ্ধের মহাষড়যন্ত্র চলছে। সম্প্রতি ফাঁস হয়েছে এমন এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের পলাতক নেতাদের বিরুদ্ধে গৃহযুদ্ধের পরিকল্পনা ও সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনেছে। এরই মধ্যে শেখ হাসিনাসহ ৭৩ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়ের করা হয়েছে।

অভিযোগ আরও ঘনীভূত হয়েছে কলকাতায় আয়োজিত এক ইফতার পার্টিতে সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার পরিকল্পনার তথ্য প্রকাশের পর।

একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি কলকাতার রাজারহাটে এক ইফতার পার্টিতে অংশ নেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, জাহাঙ্গীর কবির নানক, নাসিম, মেয়র জাহাঙ্গীর, সম্রাটসহ শতাধিক আওয়ামী ঘনিষ্ঠ পলাতক নেতা। উপস্থিত ছিলেন শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি ও তার স্ত্রী।

পরদিন একই স্থানে ছাত্রলীগের শতাধিক পলাতক নেতার আরেকটি ইফতার অনুষ্ঠিত হয়। ওই অনুষ্ঠানে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল স্পষ্টভাবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে যে কোনো মূল্যে উৎখাতের নির্দেশ দেন এবং তথ্যসূত্রের দাবি অনুযায়ী, তিনি নেতাকর্মীদের আশ্বস্ত করেন যে অস্ত্র ও অর্থের অভাব হবে না।

২০২৪ সালের ১৯ ডিসেম্বর “জয়বাংলা ব্রিগেড” নামে একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মের বৈঠকে বাংলাদেশে গৃহযুদ্ধের পরিকল্পনা এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্র করা হয় বলে সিআইডির তদন্তে উঠে এসেছে।

সেখানে শেখ হাসিনা পুনরায় ক্ষমতায় ফেরার লক্ষ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার উৎখাতের রূপরেখা ও প্রয়োজনে গৃহযুদ্ধের ডাক দেন বলে অভিযোগ। ওই বৈঠকে দেশ-বিদেশের ৫৭৭ জন অংশ নেন।

এর মধ্যে ৭৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে, এবং বাকি ৫০০ জনকে চিহ্নিত করার কাজ চলছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও দুবাইতে পালিয়ে থাকা আওয়ামী ঘনিষ্ঠ নেতারাও একই এজেন্ডা বাস্তবায়নে সক্রিয়। কলকাতা, দিল্লি, আগরতলা ও মেঘালয়ের মাটিও নির্বিঘ্নে ব্যবহার করছেন তারা।

গঠিত হয়েছে বিভিন্ন গ্রুপ। গঠিত হয়েছে কোর গ্রুপ। মধ্য রমজান থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত পাঁচটি বৈঠকের তথ্য গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে।

যদিও শেখ হাসিনা এখনও সরাসরি কোনো বিবৃতি দেননি, তবে সিআইডির দাবি অনুযায়ী, ষড়যন্ত্রের মাস্টারমাইন্ড হিসেবে তাকে মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ইতোমধ্যে জানিয়েছেন, রাষ্ট্রদ্রোহিতার বিরুদ্ধে “জিরো টলারেন্স” নীতি অনুসরণ করা হবে। দেশের ভেতর ও বাইরে সক্রিয় নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে অভিযুক্তদের।

সূত্র: https://www.facebook.com/watch/?v=625675083619141&rdid=ezVPoexOrUH9TrsP