খুঁজুন
বুধবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৪, ২৪ আশ্বিন, ১৪৩১

১৫ বছরে তার বিরুদ্ধে মামলা নেই একটিও

বিএনপি করেও আ.লীগ আমলে হয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১:০৫ পূর্বাহ্ণ
বিএনপি করেও আ.লীগ আমলে হয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা

বিএনপি আমলে একাধিক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন টাঙ্গাইলের লুতফুর রহমান খান আজাদ। বর্তমানে তিনি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন।

কিন্তু অবাক করার বিষয় হলো, বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের শাসনামলে যেখানে সারা দেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে লাখ লাখ মামলা হয়েছে, সেখানে লুৎফুর রহমান আজাদের বিরুদ্ধে একটি মামলাও হয়নি। এমনকি বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় গঠিত হয়। সে সময় মন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ওই সময় তিনি নিজেকে কখনো মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দাবি করেননি। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে আঁতাত করে গত ২১ জুন, ২০২২ সালে তিনি মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গেজেটপ্রাপ্ত হন। এ নিয়ে তার নির্বাচনি এলাকায় নানা ধরনের মুখরোচক আলোচনা-সমালোচনা রয়েছে। আওয়ামী লীগ আমলে মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে লুৎফুর রহমান খান আজাদ বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার কোনো চেষ্টা করিনি। ভেবেছিলাম এমনিতেই তালিকায় আমার নাম থাকবে। কিন্তু তখন মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় আমার নাম ওঠেনি। পরবর্তীতে নানা চড়াই-উতরাই পার হয়ে মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। বিএনপির নেতাকর্মীদের অভিযোগ, লুৎফর রহমান আজাদ বিগত সময়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করে নিজে মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট নিয়েছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিএনপি করার অপরাধে অনেক প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার গেজট বাতিল করা হয়েছে। ঘাটাইল পৌরসভা বিএনপি সভাপতি আব্দুল বাসেত করিম একজন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা হওয়া সত্ত্বেও শুধুমাত্র বিএনপির রাজনীতি করার কারণে তার মুক্তিযোদ্ধার ভাতা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সেখানে বিএনপির রাজনীতি করেও আওয়ামী লীগ আমলে লুৎফুর রহমান আজাদ কীভাবে মুক্তিযোদ্ধার সনদ নিয়েছেন। বিগত আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনামলে সারা দেশের নেতাকর্মীরা মামলার জালে বন্দি থাকলেও লুৎফুর রহমান আজাদের বিরুদ্ধে একটিও মামলা হয়নি। শুধু তা-ই নয়, লুতফুর রহমান আজাদ ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে টাঙ্গাইল-৮ (ঘাটাইল) আসন থেকে মনোনয়ন পেয়েছিলেন। অভিযোগ রয়েছে, মনোনয়ন পেয়েও নির্বাচনি আসনে যাননি তিনি। বরং তার চাচাত ভাই আতাউর রহমান খানকে মাঠ ছেড়ে দিয়ে ওয়াকওভার দিয়েছেন। আতাউর রহমান খান টাঙ্গাইলের চিহ্নিত সন্ত্রাসী আমানুর রহমান খান রানার বাবা। সম্পর্কে লুৎফুর রহমান খান আজাদ ও আতাউর রহমান খান চাচাতো ভাই। এ নিয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ । বিএনপি নেতাকর্মীদের মতে, বিএনপির রাজনীতি করেও লুৎফুর রহমান আজাদ আওয়ামী লীগ সরকারের সময় নানা সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন।
ওয়ান-ইলেভেনের সময়ও লুৎফুর রহমান আজাদ বিএনপির সংস্কারপন্থি হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ১/১১ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় বিএনপির বহু নেতার নামে মামলা হলেও তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়নি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওয়ান- ইলেভেনের কুশীলব মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ হওয়ায় ওই সময় তাকে মামলার ঝামেলায় পড়তে হয়নি। বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, বিগত ১৫ বছরে সরকারবিরোধী আন্দোলন-সংগ্রামে কোথাও অংশগ্রহণ করেননি লুৎফুর রহমান খান আজাদ। রাজনীতিতে সব সময় তিনি সুবিধাবাদী জায়গায় অবস্থান করেছেন। ওয়ান-ইলেভেনের সময় সংস্কারপন্থি হিসেবে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছ থেকে বিভিন্ন সুবিধা নিয়েছেন। আবার বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরেও তাদের সঙ্গে আঁতাত করে চলেছেন।
জানা গেছে, ২০১৩ সালে টাঙ্গাইল জেলা বিএনপি থেকে কয়েকজন নেতার পদ স্থগিত করায় ২০১৩ সালে লুৎফুর রহমান খান আজাদকে টাঙ্গাইলে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছিল। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনে দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হলে আবারও টাঙ্গাইলের রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছেন লুৎফুর রহমান খান আজাদ। কিন্তু তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা তার ডাকে খুব একটা সাড়া দিচ্ছেন না। বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে লুৎফুর রহমান আজাদ তার নির্বাচনি এলাকায় সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছেন। আন্দোলন- সংগ্রামে না থাকা ও বিপদে নেতাকর্মীদের পাশে না দাঁড়ানোয় তার কর্মকাণ্ড তৃণমূল নেতাকর্মীরা খুব একটা পছন্দ করছেন না।

হারুনসহ ৩ অতিরিক্ত আইজিপিকে বাধ্যতামূলক অবসর

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৪, ৪:১১ অপরাহ্ণ
হারুনসহ ৩ অতিরিক্ত আইজিপিকে বাধ্যতামূলক অবসর

র‍্যাবের সদ্য সাবেক মহাপরিচালক পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত আইজিপি ব্যারিস্টার মো. হারুন অর রশিদসহ ৩ অতিরিক্ত আইজিপিকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার।

বাকি দুই কর্মকর্তা হলেন- হাইওয়ে পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. শাহাবুদ্দিন খান ও ডিএমপির সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার বর্তমানে ট্যুরিস্ট পুলিশে কর্মরত ড. খ. মহিদ উদ্দিন।

বুধবার (৯ অক্টোবর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পৃথক তিনটি প্রজ্ঞাপনে এ তিন কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন প্রজ্ঞাপন তিনটিতে সই করেন।

জামিন পেলেন সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বুধবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৪, ৪:০৮ অপরাহ্ণ
জামিন পেলেন সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান

সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। তবে জামিন শুনানির সময় বাদী পক্ষের আইনজীবীরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।

বুধবার সুনামগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক হেমায়েত উদ্দিন তার জামিন মঞ্জুরের এ আদেশ দেন। জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসামি পক্ষের আইনজীবী আব্দুল হামিদ।

আব্দুল হামিদ বলেন, ‘অসুস্থতা ও বয়স বিবেচনায় আদালত এম এ মান্নানের জামিন দিয়েছেন। আদালতের রায়ে আমরা খুশি।’

এর আগে বেলা ১১ টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিন শুনানির পূর্বে বিএনপি ও আওয়ামী লীগপন্থি আইনজীবীদের হট্টগোলের কারণে শুনানি না করে এজলাস ছাড়েন বিচারক মো. হেমায়েত উদ্দিন।

পরে আদালত আজ বেলা আড়াইটাই মামলার জামিন শুনানির সময় নির্ধারণ করে দেন।

বাদী পক্ষের আইনজীবী মাসুক আলম বলেন, নির্ধারিত আদালতে জামিন না পেয়ে গতকাল মঙ্গলবার জেলা জজ আদালতে জামিন আবেদন করে আসামিপক্ষ। এ জাতীয় মিস কেসের ক্ষেত্রে এক সপ্তাহ পরে শুনানির জন্য তারিখ দেওয়া হলেও এখানে অস্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় শুনানির তারিখ দেওয়া হয়েছে। আদালতে আমরা এর প্রতিবাদ করেছি। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে হট্টগোল হয়েছে।

জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেরেনূর আলী বলেন, পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনায় আমাদের মনে হয়েছে বাদীপক্ষ ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পরবর্তী শুনানিতে বাদীপক্ষ অংশ নেবে কি না আলোচনা করে জানাব।

আসামি পক্ষের আইনজীবী শফিকুল ইসলাম বলেন, জামিন পাওয়া আসামির অধিকার। কিন্তু বাদীপক্ষ আদালতে হট্টগোল করেছেন। আমরা শুনানিতে অংশ নিয়ে জামিন চাইব।

উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগের একদফা দাবিতে সুনামগঞ্জে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার উপর হামলা, গুলি, টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এতে শতাধিক ছাত্র-জনতা আহত হন। ওই ঘটনায় নির্দেশদাতা হিসেবে এমএ মান্নানসহ ৯৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন গুলিবিদ্ধ জহুর আহমদের ছোটভাই হাফিজুর রহমান। দ্রুত বিচার আইনে দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার করা হয় এমএ মান্নানকে।

চিনি আমদানিতে শুল্ক কমাল এনবিআর

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৪, ৪:০৫ অপরাহ্ণ
চিনি আমদানিতে শুল্ক কমাল এনবিআর

চিনির বাজারদর সহনীয় ও স্থিতিশীল রাখতে অপরিশোধিত ও পরিশোধিত চিনির ওপর বিদ্যমান রেগুলেটরি ডিউটি ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। বুধবার (৯ অক্টোবর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈশ্বিক যুদ্ধ এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার ফলে বাংলাদেশি মুদ্রার ব্যাপক অবমূল্যায়ন, সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান এবং বন্যা পরিস্থিতির কারণে শিশু খাদ্যসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেড়েছে। এতে বিভিন্ন পণ্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সার্বিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে কর ছাড়ের মাধ্যমে চিনির বাজার দর সহনীয় ও স্থিতিশীল রাখার উদ্যোগ নিয়েছে।

অপরিশোধিত ও পরিশোধিত চিনির ওপর বিদ্যমান রেগুলেটরি ডিউটি ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে উল্লেখ করে এনবিআর জানায়, রেগুলেটরি ডিউটি ১৫ শতাংশ কমানোর মাধ্যমে আমদানি পর্যায়ে প্রতি কেজি অপরিশোধিত চিনির ওপর শুল্ক কর ১১ দশমিক ১৮ টাকা এবং পরিশোধিত চিনির ওপর শুল্ক কর ১৪ দশমিক ২৬ টাকা কমানো হয়েছে। এতে কেজি প্রতি চিনির দাম কমপক্ষে শুল্ক হ্রাসের সমপরিমাণ কমে আসবে।

এর আগে গত ৬ অক্টোবর এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খানের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন রমজানের আগে দেশের বাজারে দাম স্থিতিশীল রাখতে চিনি আমদানির ওপর আরোপ করা নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক (আরডি) অর্ধেক করার সুপারিশ করেছিল। পাশাপাশি চিনি চোরাচালান বন্ধে সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বাড়ানোর পরামর্শও দিয়েছিল সংস্থাটি।