খুঁজুন
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭ পৌষ, ১৪৩১

জয় দিয়ে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশন শুরু

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৪, ৩:৩৯ অপরাহ্ণ
জয় দিয়ে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশন শুরু

এক ম্যাচেই বেশ কিছু মাইলফলক ছুঁয়েছে বাংলাদেশ। নিগার সুলতানা জ্যোতির জন্য ম্যাচটি ছিল শততম। এদিনই নাহিদা আক্তার বাংলাদেশের প্রথম নারী বোলার হিসেবে পেয়েছেন ১০০ টি-টোয়েন্টি উইকেট। এর আগে ব্যাটারদের কয়েকজনও রান পান। বাংলাদেশ দীর্ঘ অপেক্ষার পর পায় জয়।

বৃহস্পতিবার নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচে স্কটল্যান্ডকে ১৬ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। শুরুতে ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে ১১৯ রান করে টাইগ্রেসরা। রান তাড়ায় নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ১০২ রান করে স্কটল্যান্ড। ২০১৪ সালে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ ম্যাচ জিতেছিল বাংলাদেশ। এর ১০ বছর ও ১৬ ম্যাচ পর এলো এই জয়।

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৪৩ রানের উদ্বোধনী জুটি পায় বাংলাদেশ। ‌১৪ বলে ১২ রান করে মিড অনে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান মুর্শিদা খাতুন, ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। এরপর সোবহানা মোস্তারির সঙ্গে ৪৬ রানের জুটি গড়েন ওপেনার সাথী রাণী।

তাদের জুটিতে ভর করে দলীয় পঞ্চাশ পেরোয় বাংলাদেশ। ৩২ বলে ২৯ রান করে ফ্রেসারের বলেই ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে যান সাথী। অনেকদিন ধরে রান খরায় ভোগা সোবহানা হাফ সেঞ্চুরি অবশ্য পাননি।

৩৮ বলে ৩৬ রান করে স্টাম্পিংয়ের শিকার হয়ে যান সোবহানা। এরপর দলের হয়ে বাকি দায়িত্ব কাঁধে নেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। এক বল বাকি থাকতে আউট হন তিনি, ১৮ বলে করেন ১৮ রান।

রান তাড়ায় নামা স্কটল্যান্ডের প্রথম উইকেট তৃতীয় ওভারে নেয় বাংলাদেশ। ফাহিমা খাতুনের বলে স্টাম্পিংয়ের শিকার হন সাসকিয়া হোর্লে। ১২ বলে ৮ রান করেছিলেন তিনি। এরপরও পাওয়ার প্লেটা ভালোই কাটছিল স্কটিশ মেয়েদের।

ছয় ওভারে তারা তোলে ৩১ রান। যদিও মারুফার করা পাওয়ার প্লের শেষ বলে বোল্ড হন ক্যাথরিন ব্রাইস। ১১ বলে ১১ রান আসে এই ব্যাটারের ব্যাট থেকে। এরপর নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারিয়েছে স্কটিশরা।

দলটির পক্ষে পুরো সময় প্রায় একই লড়েন ওপেনার সারাহ ব্রাইস। এর মধ্যে ফ্রেসারকে ফিরিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে নিজের শততম উইকেট পান নাহিদা আক্তার। প্রথম বাংলাদেশি নারী ক্রিকেটার হিসেবে এই মাইলফলক ছুঁয়েছেন তিনি।

সারাহর লড়াই এরপর কাজে আসেনি। ৫২ বলে ৪৯ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। বাংলাদেশের হয়ে ৪ ওভারে ‌১৫ রান দিয়ে দুই উইকেট নিয়েছেন রিতু মণি।

মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

মোঃ লিটন মিয়া, টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৬ অপরাহ্ণ
মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

টাঙ্গাইলে বাসাইলে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী-২০২৪ (এসএসসি ব্যাচ ১৯৯১-২০০০) অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় বর্নাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে পুনর্মিলনীর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।

এ উপলক্ষে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয় ও মাঠ প্রাঙ্গণ প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। একে অপরের সাথে প্রানের মিলনমেলায় অংশ গ্রহণ করে, স্মৃতিচারণ, শুভেচ্ছা বিনিময় করে।

কুমুদিনী সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন(১৯৯১) এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক জিতেন্দ্র লাল সরকার, বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান শিক্ষক মো. হায়দার আলী খান, প্রাক্তন শিক্ষক মো. এরশাদ আলী খান, মো. আরফান আলী খান, জিলমোহন সরকার, জগদীশ চন্দ্র কর্মকার, রহিদাশ কর্মকার, হানিব খান, শ্রীদাম চন্দ্র  গোস্বামী, সুস্তোষ কুমার সরকার।

এসময উপস্থিতি ছিলেন ১৯৯১-২০০০ সালের এসএসসি ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ। পরে সন্ধ্যায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মোঃ আলম মৃধা, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৩ অপরাহ্ণ
নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় নুর মোহাম্মদ নামে এক টেক্সটাইল মালিককে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ (২১ ডিসেম্বর) হত্যার পর গুমের উদ্দেশ্যে লাশ ফেলতে গিয়ে স্থানীয় গ্রামবাসীদের হাতে আটক হয় অভিযুক্তরা। পরে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেয় স্থানীয়রা।

জানা যায়, অটককৃতরা হলো মাধবদী কাঠালিয়া গ্রামের রববানি মিয়ার ছেলে রবিন (২১), একই গ্রামের এবাদুলাল্লাহ হোসেনের ছেলে রুবেল (২২), কোলাতপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে আলামিন (৪২), একই এলাকার আব্দুল রশিদ এর ছেলে রকিব হোসেন (২১)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিন, রকিব, আলামিন ও রুবেলসহ বেশ কয়েকজন নুর মোহাম্মদের কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। তবে নিহত ব্যক্তি চাঁদা দিতে অস্বীকার করেন।
এ নিয়ে তাদের সাথে টেক্সটাইল মালিকের দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে গতকাল শুক্রবার রাতে নূর মোহাম্মদকে ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরে তাকে পাশের একটি বন্ধ কারখানায় নিয়ে যায়া। এক পর্যায়ে চাঁদা দাবিকারী রুবেল, রকিব, রবিন, আলামিনসহ অজ্ঞাত নামা ব্যক্তিরা নূর মোহাম্মদকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

হত্যার পর নিহত নূর মোহাম্মদের লাশ গুমের উদ্দেশ্যে ভোর রাতে বস্তাবন্দি করে নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজার সীমান্তে ফেলে দিতে যায়। লাশ ফেলার সময় স্থানীয় লোকজন দেখে ফেলে। পরে স্থানীয়রা তাদের আটক করে মাধবদী থানা পুলিশকে খবর দেয়। দুপুরে পুলিশ ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে ও ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়।

নিহত নুর মোহাম্মদ সদর উপজেলার মাধবদী কাঠালিয়া ইউনিয়নের কোলাতপুর গ্রামের আলকাস মিয়ার ছেলে।

এই হত্যার বিষয়ে জানতে মাধবদী মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ নজরুল ইসলামকে সরকারি মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলে ফোনটি রিসিভ করেননি।

রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

আব্দুল্লাহ আল মোত্তালিব, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮:৫১ অপরাহ্ণ
রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

রাজধানীর মগবাজার রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মোঃ আপন (২২)নিহত হয়েছে। নিহত আপন কুড়িগ্রাম নাগেশ্বরী উপজেলার মৃত গোলাম মোস্তফার ছেলে। বর্তমানে মগবাজার এলাকায় ভাড়া থাকতো।

শনিবার(২১ ডিসেম্বর)সন্ধ্যা সোয়া ৫টা নাগাদ অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী সোহাগ বলেন, আজ বিকেলের দিকে মগবাজার রেল ক্রসিং পারাপারের সময় কমলাপুরগামী একটি ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয় ওই যুবকটি।পরে দ্রুততাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান ওই যুবকটি আর বেঁচে নেই।

তিনি আরও বলে,
আমরা ওই যুবকের পকেটে থাকা কাগজে লেখা মোবাইল নাম্বারে তার পরিবারের সাথে কথা বলে তার নাম পরিচয় জানতে পেরেছি। পরিবারের সদস্যরা ঢাকা মেডিকেলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ ফারুক হোসেন, ওই যুবকের মরদেহ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। আমরা বিষয়টি ঢাকা রেলওয়ে থানা পুলিশকে জানিয়েছি।