খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারি, ২০২৫, ১৮ পৌষ, ১৪৩১

তিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৪, ৬:০৩ অপরাহ্ণ
তিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক

ঢাকাস্থ তিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

রবিবার (৬ অক্টোবর) সকাল ৯টা ২০ মিনিটে গুলশান সুইডিশ রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে এ বৈঠক হয়।

বৈঠকে সুইডিশ রাষ্ট্রদূত নিকোলাস লিনাস রাগনার উইকস, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হ্যাকন আরালড গুলব্র্যান্ডসেন এবং ড্যানিশ দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন অ্যান্ডার্স বি কার্লসেন উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ ও আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল উপস্থিত ছিলেন।

জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে যা বললেন রিজওয়ানা হাসান

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারি, ২০২৫, ৯:৪৫ অপরাহ্ণ
জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে যা বললেন রিজওয়ানা হাসান

জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে সবার সঙ্গে কথা বলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। বুধবার বিকেলে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

রিজওয়ানা হাসান বলেন, শিক্ষার্থীরা ‘জুলাই প্রোক্লেমেশন’ ঘোষণা করতে সরকারকে ১৫ দিন সময় দিলেও এর খসড়া তৈরির কাজ এখনও শুরু হয়নি। খসড়া তৈরির প্রক্রিয়ায় সব পক্ষকেই অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এ নিয়ে মতভেদ হওয়ার কোনো শঙ্কা নেই।

তিনি বলেন, ১৫ জানুয়ারির মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র জারির আহ্বান জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা। এই সময়ের মধ্যে আমরা বিষয়টি অবশ্যই ইতিবাচকভাবে দেখব। এটা অসম্ভব কোনো কিছু না।

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, নতুন বছরে সরকারের প্রধান কার্যক্রম হবে জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার এবং সংস্কার শেষ করে নির্বাচনের স্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা। আমরা নির্বাচন ও সংস্কার দুটোকেই প্রাধান্য দিচ্ছি।

শেখ হাসিনার বিচারের বিষয়ে তিনি বলেন, সরকার চায় শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে তার বিচার হবে। সেটি করা না গেলে যে প্রক্রিয়ায় বিচার হবার কথা সেভাবেই হবে।

রিজওয়ানা হাসান বলেন, দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। এ ছাড়া নির্বাচনে কোন দল অংশগ্রহণ করবে আর কোন দল করবে না, এটাতো আমরা বলে দেব না।

বাধ্যতামূলক অবসরে পুলিশের ৩ অতিরিক্ত আইজি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারি, ২০২৫, ৯:৪৩ অপরাহ্ণ
বাধ্যতামূলক অবসরে পুলিশের ৩ অতিরিক্ত আইজি

পুলিশের তিনজন অতিরিক্ত মহাপরিদর্শককে (অতিরিক্ত আইজিপি) বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। তারা হলেন– মল্লিক ফখরুল ইসলাম, ওয়াই এম বেলালুর রহমান ও সেলিম মো. জাহাঙ্গীর।

বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব নাসিমুল গনির সই করা পৃথক তিনটি প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের কর্মকর্তা মল্লিক ফখরুল ইসলাম, ওয়াই এম বেলালুর রহমান এবং সেলিম মো. জাহাঙ্গীরকে সরকারি চাকরি আইন ২০১৮ এর ৪৫ ধারা অনুযায়ী জনস্বার্থে সরকারি চাকরি থেকে অবসর দেওয়া হলো।

তবে তারা বিধি অনুযায়ী অবসরজনিত সুবিধা পাবেন। জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

অতিরিক্ত আইজিপি মল্লিক ফখরুল ইসলাম ঢাকায় পুলিশ স্টাফ কলেজের রেক্টর, সেলিম মো. জাহাঙ্গীর পুলিশ অধিদপ্তর ও ওয়াই এম বেলালুর রহমান পুলিশ টেলিকমে কর্মরত ছিলেন।

এবার রেমিট্যান্সে দুই রেকর্ড

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারি, ২০২৫, ৯:৪১ অপরাহ্ণ
এবার রেমিট্যান্সে দুই রেকর্ড

বিদায়ী বছরে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ে নতুন দুটি রেকর্ড তৈরি হয়েছে। প্রবাসীরা ২০২৪ সালে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ব্যাংকিং চ্যানেলে বৈধভাবে দুই হাজার ৬৮৯ কোটি ডলার (২৬ দশমিক ৮৯ বিলিয়ন) সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা পাঠিয়েছেন।

দেশের ইতিহাসে এটি এক বছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স। এছাড়া এ বছরের ডিসেম্বরে এসেছে ২৬৪ কোটি ডলার রেমিট্যান্স, যা একক মাস হিসেবে সর্বোচ্চ আয়ের রেকর্ড। বুধবার (১ জানুয়ারি) এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বিদায়ী বছরে রেমিট্যান্স আগের বছরের চেয়ে প্রায় ৫০০ কোটি ডলার বা ২০ দশমিক ৫০ শতাংশ বেড়েছে। ২০২৩ সালের ১২ মাসে প্রবাসী আয় এসেছিল ২ হাজার ১৯২ কোটি (২১ দশমিক ৯২ বিলিয়ন) ডলার।

বিদায়ী বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ২৬৪ কোটি ডলার। একক মাসে এত বেশি রেমিট্যান্স সাম্প্রতিক সময়ে আসেনি। এর আগে ২০২০ সালের জুলাই মাসে ২৬০ কোটি ডলার এসেছিল। হিসাব অনুসারে, সেটাই ছিল একক মাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়। এরপর থেকে প্রবাসী আয় বাড়তে থাকে, যা বছরের শেষ মাস পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। এ সময় প্রতি মাসেই ২০০ কোটি ডলারের বেশি প্রবাসী আয় এসেছে। এর ফলে গোটা বছরের হিসাবে রেকর্ড পরিমাণ প্রবাসী আয় এসেছে।

রেমিট্যান্সকে দায়হীন বৈদেশিক মুদ্রার আয় বলা হয়। যে কারণে প্রবাসী আয় যাই-ই আসে, দেশের বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেনে ইতিবাচক সাড়া ফেলে। এর জন্য কোনো টাকা খরচ করতে হয় না। একই সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের অন্যতম প্রধান উপাদান হলো এ প্রবাসী আয়। যা ব্যাংকগুলো সংগ্রহ করার পর নিজেদের দৈনন্দিন খরচ ছাড়াও একটি নির্দিষ্ট অংশ বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে বিক্রি করে। যা বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভে যোগ হয়। রেমিট্যান্স বৃদ্ধি মানে বৈদেশিক মুদ্রার হ্রাস বন্ধের পাশাপাশি বৃদ্ধি ঘটে।

২০২৪ সাল শেষে প্রবাসী আয়ের নতুন রেকর্ডের পাশাপাশি নিট রিজার্ভও ২১ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে।

বছরে মাসভিত্তিক রেমিট্যান্স:
২০২৪ সালের প্রথম মাস জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স আসে ২১১ কোটি ডলার, ফেব্রুয়ারিতে ২১৬ কোটি ডলার, মার্চে ১৯৮ কোটি, এপ্রিলে ২০৪ কোটি, মে মাসে ২২৫ কোটি, জুনে ২৫৩ কোটি, জুলাইয়ে দেশে এসেছে ১৯১ কোটি ডলার। শেখ হাসিনার বিদায়ের মাস আগস্টে আসে ২২২ কোটি ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি, অক্টোবরে ২৪০ কোটি, ন‌ভেম্ব‌রে ২২০ কোটি এবং সর্বশেষ ডিসেম্বর মাসে এসেছে ২৬৪ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।

বছরভিত্তিক প্রবাসী আয়:
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে বৈধপথে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স এসেছে দুই হাজার ৬৮৯ কোটি ডলার। ২০২৩ সালে এসেছিল দুই হাজার ১৯২ কোটি ডলার। তার আগে ২০২২ সালে আসে দুই হাজার ১২৯ কোটি, ২০২১ সালে দুই হাজার ২০৭ কোটি ডলার। ২০২০ সালে রেমিট্যান্স আসে দুই হাজার ১৭৪ কোটি ডলার। ২০১৯ সালে আসে এক হাজার ৮৩৩ কোটি ডলার।

২০১৮ সালে রেমিট্যান্স এসেছিল এক হাজার ৫৫৫ কোটি ডলার। ২০১৭ সালে এসেছিল এক হাজার ৩৫৩ কোটি ডলার। তার আগের বছর ২০১৬ সালে আসে এক হাজার ৩৬১ কোটি ডলার। ২০১৫ সালে এসেছে এক হাজার ৫৩১ কোটি ডলার আর ২০১৪ সালে রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল এক হাজার ৪৯২ কোটি ডলার।