খুঁজুন
রবিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৫, ২ চৈত্র, ১৪৩১

তিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৪, ৬:০৩ অপরাহ্ণ
তিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক

ঢাকাস্থ তিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

রবিবার (৬ অক্টোবর) সকাল ৯টা ২০ মিনিটে গুলশান সুইডিশ রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে এ বৈঠক হয়।

বৈঠকে সুইডিশ রাষ্ট্রদূত নিকোলাস লিনাস রাগনার উইকস, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হ্যাকন আরালড গুলব্র্যান্ডসেন এবং ড্যানিশ দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন অ্যান্ডার্স বি কার্লসেন উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ ও আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা ছাড়লেন জাতিসংঘ মহাসচিব

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৫, ১২:৫৯ অপরাহ্ণ
ঢাকা ছাড়লেন জাতিসংঘ মহাসচিব

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস চার দিনের সফর শেষে ঢাকা ত্যাগ করেছেন। তিনি আজ রোববার (১৬ মার্চ) সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে ঢাকা ত্যাগ করেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং রোহিঙ্গা সংকট বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টার উচ্চ প্রতিনিধি খলিলুর রহমান হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানান।

যাওয়ার আগে, জাতিসংঘ মহাসচিব প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন এবং বিদায়ী শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সফরকালে জাতিসংঘ মহাসচিব প্রধান উপদেষ্টা এবং অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে রমজান সংহতি ইফতার ভাগাভাগি করার জন্য রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেন।

গুতেরেস জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের সদস্য, রাজনৈতিক নেতা, বাংলাদেশি যুবক এবং সুশীল সমাজের সদস্যদের সঙ্গে গোলটেবিল আলোচনায়ও অংশ দেন।

আবরার হত্যার দায় শাহবাগীদেরও, বিচার দাবি মির্জা গালিবের

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৫, ১২:৫৪ অপরাহ্ণ
আবরার হত্যার দায় শাহবাগীদেরও, বিচার দাবি মির্জা গালিবের

বাংলাদেশে বহুল আলোচিত বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার দায় কেবল আওয়ামী লীগের নয়, এর সঙ্গে শাহবাগীদেরও সম্পর্ক আছে জানিয়ে বিচার চেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. মির্জা গালিব। তিনি ইতোপূর্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতিও ছিলেন।

হাইকোর্টে আজ (১৬ মার্চ) আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার আসামিদের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন), জেল আপিল ও আপিলের ওপর রায় ঘোষণা হওয়ার কথা। যা নিয়ে প্রকাশিত একটি দৈনিক পত্রিকার খবর নিজের টাইমলাইনে শেয়ার করে তাতে নিজের মত জানিয়েছেন মির্জা গালিব।

যেখানে তিনি লিখেছেন, ‘আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদ আর ভারতীয় আধিপত্যবাদ শুধু আওয়ামী লীগের দলীয় রাজনৈতিক প্রজেক্ট ছিল না, এই প্রজেক্টে আলো বাতাস দিয়েছে সমাজের আরও বহু লোক। এই সকল শাহবাগীদেরও আইনগতভাবে বিচারের এবং সামাজিকভাবে দায়বদ্ধতার মুখোমুখি করতে হবে।’

এর আগে, ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হল থেকে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আবরারের বাবা চকবাজার থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে বুয়েটের ২৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। এতে বলা হয়, ‘আসামিরা পরস্পর যোগসাজশ করে ছাত্রশিবিরের কর্মী সন্দেহে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে আবরারকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেন।’ অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

ওই মামলায় ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর রায় দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১। রায়ে ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আসামিদের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের (ডেথ রেফারেন্স) জন্য বিচারিক আদালতের রায়সহ নথিপত্র ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় পৌঁছায়, যেটি ডেথ রেফারেন্স হিসাবে নথিভুক্ত হয়।

বুয়েট ছাত্র আবরার হত্যায় ২০ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল

অনলাইন নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৫, ১২:৪২ অপরাহ্ণ
বুয়েট ছাত্র আবরার হত্যায় ২০ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতের রায় বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। আজ রোববার (১৬ মার্চ) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের বেঞ্চ এ রায় দেন।

এর আগে ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের করা আপিলের শুনানি শেষ হয় গত ২৫ ফেব্রুয়ারি। শুনানি শেষে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়।

ডেথ রেফারেন্স অনুমোদন ও আসামিদের করা আপিল খারিজ করে আজ এ রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।

এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. জসিম সরকার ও নূর মুহাম্মদ আজমী। আসামিপক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান, আজিজুর রহমান দুলু, মাসুদ হাসান চৌধুরী ও মোহাম্মদ শিশির মনির প্রমুখ।

আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর রায় দেন বিচারিক আদালত। রায়ে ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে বিচারিক আদালতের রায়সহ নথিপত্র ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এসে পৌঁছায়। অন্যদিকে রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা জেল আপিল ও নিয়মিত আপিল করেন।

২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বুয়েটের শিক্ষার্থীরা ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শেরেবাংলা হলের প্রথম তলার সিঁড়িতে আবরারের (২২) প্রাণহীন দেহ পড়ে থাকতে দেখে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসকেরা ৭ অক্টোবর (২০১৯) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় আবরারের বাবা চকবাজার থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে বুয়েটের ২৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ; যাঁদের সবাই বর্তমানে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা–কর্মী।

২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর ঘোষিত রায়ে ছাত্রলীগের বুয়েট শাখার বিভিন্ন স্তরের ২০ নেতা–কর্মীকে মৃত্যুদণ্ড দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান। রায়ে বাকি ৫ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন:
মেহেদী হাসান রাসেল, অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মেহেদী হাসান রবিন, মেফতাহুল ইসলাম জিওন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, মুজাহিদুর রহমান, মনিরুজ্জামান মনির, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মাজেদুর রহমান, শামীম বিল্লাহ, এ এস এম নাজমুস সাদাত, মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত, মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম, এস এম মাহমুদ সেতু, মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মোস্তবা রাফিদ। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শেষ তিনজন পলাতক রয়েছেন।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিতরা হলেন:
আকাশ হোসেন, মোয়াজ আবু হুরায়রা, ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, অমিত সাহা ও মুহতাসিম ফুয়াদ।