খুঁজুন
শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১২ পৌষ, ১৪৩১

‘২৮ অক্টোবরের সব খুনির বিচার করতে হবে’

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৪, ৯:৫২ অপরাহ্ণ
‘২৮ অক্টোবরের সব খুনির বিচার করতে হবে’

নারায়ণগঞ্জ মহানগরী জামায়াতের আমীর মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল জব্বার বলেছেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর লগি-বৈঠার নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে, লাশের ওপর দাঁড়িয়ে তাণ্ডব চালিয়ে, এদেশের মানুষের রক্তের বন্যার মধ্য দিয়ে নীল নকশা সাজিয়ে অবৈধভাবে ক্ষমতায় বসেছিল স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনার সরকার। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি, যারা লগি-বৈঠা নিয়ে মানুষ হত্যার নির্দেশদাতা এবং যারা খুনী প্রত্যেকের বিচার অতিদ্রুত কার্যকর করতে হবে।

শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সিদ্ধিরগঞ্জ পুল এলাকায় এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল জব্বার বলেন, এই সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকার চিটাগাং রোডে শহীদ আব্দুল্লাহ আল ফয়সালকে কীভাবে প্রকাশ্য দিবালোকে লগি-বৈঠার তাণ্ডব চালিয়ে খুন করা হয়েছিল, আপনারা তার জ্বলন্ত সাক্ষী। দীর্ঘ ১৬ বছর এই ফ্যাসিস্ট সরকার জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে অবৈধভাবে জনগণের ওপরে বসে থেকে দেশকে নরকে পরিণত করেছে। আর কোন খুনি যেন কোনো মায়ের বুক খালি করার দুঃসাহস দেখাতে না পারে তা নিশ্চিত করতে হবে। ঢাকাসহ সারা দেশে যে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ সংঘটিত করা হয়েছিল, শত শত মিডিয়ায় তা সরাসরি লাইভ প্রচার হয়েছে।

তিনি বলেন, ৫ আগস্টের আগে যদি কোনো প্রোগ্রামের অনুমতি চাইতাম তখন প্রশাসন আমাদের বলত যে, উপরের নির্দেশ অনুমতি দেওয়া যাবে না। তখন আল্লাহ তায়ালার দরবারের ফরিয়াদ করে বলতাম, হে আল্লাহ এই উপরের চাইতেও তো উপর আছে! আজকে ৫ আগস্ট নতুন করে আমাদের হৃদয়ের মধ্যে এ বিশ্বাস আরো মজবুত হয়েছে যে, এই দুনিয়ার শক্তি কোনো শক্তি নয় বরং আল্লাহ তায়ালার শক্তিই সবচেয়ে বড় শক্তি।

সিদ্ধিরগঞ্জ ১ নং ওয়ার্ড জামায়াতের উদ্যোগে সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগরী জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মুহাম্মদ জামাল হোসাইন। সিদ্ধিরগঞ্জ দক্ষিণ থানার আমীর কফিল আহমাদের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন সিদ্ধিরগঞ্জ পশ্চিম থানা আমীর মাহাবুব আলম, থানা সেক্রেটারি হাবিবুর রহমান, উত্তর থানা সেক্রেটারি সাইদুল হক, দক্ষিণ থানা সেক্রেটারি আবদুল গফুর, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা কর্ম পরিষদের সদস্য মাওলানা ইকবাল হোসাইন, মোহাম্মদ আলী, ডা. সাঈদ হোসেন, অধ্যাপক আবুল বাশার, মনির হোসেন হেলালী, আ. রহিমসহ অন্যান্য জামায়াত নেতৃবৃন্দ।

গাজায় হাসপাতালের কাছে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৫০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২:০৫ অপরাহ্ণ
গাজায় হাসপাতালের কাছে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৫০

ফিলিস্তিনের উত্তর গাজা উপত্যকায় কামাল আদওয়ান হাসপাতালের সদর দপ্তরের বিপরীতে একটি ভবনে ইসরায়েলি বিমান হামলায় প্রায় ৫০ জন নিহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) এ হামলা চালানো হয়। নিহতদের মধ্যে তিনজন চিকিৎসা কর্মী রয়েছেন।

হাসপাতালের পরিচালক হুসাম আবু সাফিয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইসরায়েলি বিমান হামলার পর বেইট লাহিয়া প্রজেক্ট এলাকায় কামাল আদওয়ান হাসপাতালের বিপরীতে একটি ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে আমাদের তিনজন মেডিকেল স্টাফসহ প্রায় ৫০ জন শহীদ হয়েছেন।

আবু সাফিয়া আরও বলেন, চিকিৎসা কর্মী ও অন্যান্য কর্মীরা তাদের পরিবারের স্বজনদের নিয়ে ওই ভবনে অবস্থান করছিলেন। নিহতদের মধ্যে আহমেদ সামুর একজন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ, ইসরা একজন ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ান এবং ফারেস হাসপাতালের একজন রক্ষণাবেক্ষণ প্রযুক্তিবিদ।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গত বছর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৫ হাজার ৩৯৯ জনে।

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের একটি প্রস্তাবে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো সত্ত্বেও গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর থেকে গাজায় গণহত্যা শুরু হয়।

এদিকে গত মাসে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।

তথ্যসূত্র: আনাদোলু এজেন্সি।

নববর্ষে আতশবাজি ও পটকা ফোটানো থেকে বিরত থাকার নির্দেশ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২:০৩ অপরাহ্ণ
নববর্ষে আতশবাজি ও পটকা ফোটানো থেকে বিরত থাকার নির্দেশ

ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে থার্টি ফার্স্ট নাইটে জনস্বাস্থ্য ও জীববৈচিত্র্যের জন্য ক্ষতিকর এ ধরনের বিধিবহির্ভূত কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।

শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, থার্টি ফার্স্ট নাইটে দেশব্যাপী আতশবাজি ও পটকা ফোটানো হয়ে থাকে, যা বিদ্যমান শব্দদূষণ ও বায়ুদূষণে ভিন্ন মাত্রা যোগ করে। ইতোপূর্বে থার্টি ফার্স্ট নাইটে আতশবাজির শব্দে ভয় পেয়ে হৃদরোগে ভুগতে থাকা এক শিশুর মৃত্যু হয় বলে খবরে প্রকাশিত হয়েছে।

এছাড়াও অতিরিক্ত শব্দের কারণে শ্রবণশক্তি ও স্মরণশক্তি হ্রাস, ঘুমের ব্যাঘাত, দুশ্চিন্তা, উগ্রতা, উচ্চ রক্তচাপ, কান ভোঁ ভোঁ করা, মাথা ঘোরা, হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়া, মানসিক অস্থিরতা, স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়াসহ মানুষের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে বলে জানানো হয়।

শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০০৬-এর ৭ বিধি লঙ্ঘন করে অননুমোদিতভাবে ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনের সময় আতশবাজি ও পটকা ফোটালে তা বিধিমালার ১৮ বিধি অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।

এ আইনের ব্যত্যয় হলে বা ভঙ্গ করলে প্রথম অপরাধের জন্য অনধিক এক মাস কারাদণ্ড বা অনধিক পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ড এবং পরবর্তী অপরাধের জন্য অনধিক ছয় মাস কারাদণ্ড বা অনধিক ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ড প্রদানের বিধান রয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

মারা গেছেন ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১:৩২ পূর্বাহ্ণ
মারা গেছেন ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং

ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং মারা গেছেন। দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস হাসপাতালে (এআইআইএমএস) চিকিৎসাধীন রাত ৯ টা ৫১মিনিটে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।

এক বিবৃতিতে এআইআইএমএস বলেছে, কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা মনমোহন সিংকে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেসে ভর্তি করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার হঠাৎ করেই নিজ বাড়িতে চেতনা হারিয়ে ফেলেছিলেন তিনি। হাসপাতালে আনার পর চিকিৎসকদের সকল প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তার চেতনা ফেরানো যায়নি। হাসপাতালের চিকিৎসকরা রাত ৯ টা ৫১মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এর আগে দিল্লির একাধিক সূত্র বলেছে, শারীরিক অবস্থার আকস্মিক অবনতি হওয়ায় ৯২ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়।

কিন্তু যখন হাসপাতালে আনা হয়, তখনই শ্বাসকষ্ট গুরুতর সমস্যা হয়ে উঠেছিল বলে জানা যায়। তড়িঘড়ি আইসিইউতে ভর্তি করা হয় তাকে। কিন্তু শেষরক্ষা হল না।

১৯৩২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর অবিভক্ত পঞ্জাবের গাহ্-তে শিখ পরিবারে জন্ম মনমোহনের, যা বর্তমানে পাকিস্তানের অংশ। ছোট বয়সে মাকে হারান। ঠাকুমার কাছেই মানুষ মনমোহন। প্রথমে উর্দু মিডিয়াম স্কুলে শিক্ষা। গুরুমুখী, পাঞ্জাবিও জানতেন। দেশভাগের পর ভারতের অমৃতসরে চলে আসে মনমোহনের পরিবার।

মনমোহন সিং ১৯৭১ সালে ভারত সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অর্থনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবে প্রথম যোগদান করেন। পরে তিনি ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত ভারতের অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালে তিনি ভারতের ১৪তম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন।

চলতি বছরের শুরুর দিক পর্যন্ত রাজ্যসভার সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। গত এপ্রিলে রাজ্যসভা থেকে অবসরে যান তিনি।