খুঁজুন
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭ পৌষ, ১৪৩১

ডাক্তার নাম ব্যবহার করে চিকিৎসা দিচ্ছেন উপসহকারী মেডিকেল অফিসার রবিউল ইসলাম

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৪, ১১:২৩ অপরাহ্ণ
ডাক্তার নাম ব্যবহার করে চিকিৎসা দিচ্ছেন উপসহকারী মেডিকেল অফিসার রবিউল ইসলাম

ঝিনাইদহের সদর উপজেলা ডাকবাংলা বাজার সহ বিভিন্ন উপজেলায় নামে-বেনামে চেম্বার খুলে ডাক্তার এবং অভিজ্ঞ ডাক্তার সাইনবোর্ড লাগিয়ে, প্যাড-ভিজিটিং কার্ডে ডাক্তার নাম ব্যাবহার করছেন যারা তাদের অনেকেই ডাক্তারই নন।

সরেজমিন অনুসন্ধানে দেখা যায়, ঝিনাইদহের ডাকবাংলা বাজারে ‘নুর জাহান মেমোরিয়াল মেডিক্যাল সেন্টারে’ প্রতিদিন বিকাল ৪টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত যিনি রোগী দেখছেন এবং তিনি যে প্রেসক্রিপশন বা ব্যবস্থাপত্র লিখেছেন, সেখানে তিনার পরিচয় লেখা আছে ডাক্তার মোঃ রবিউল ইসলাম। নামের নিচে ডিগ্রি লেখা,ডিএমএফ (ঢাকা) সিএম এফ (আল্ট্রা), তার নিচে লেখা,বাত ব্যাথা, মেডিসিন, মা ও শিশু রোগের চিকিৎসক।

ডাক্তার না হয়েও ডাক্তার পরিচয় দিয়ে দিনে দুপুরে প্রকাশ্যে জনগণের সাথে প্রতারণা করে চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন এই মোঃ রবিউল ইমলাম, তিনি মুলত হরিনাকুন্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর একজন উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার।

বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল অ্যাক্ট ২০ডিসেম্বর-২০১০-এ প্রকাশিত গেজেট এর ধারা ২২এর (১) ও ২৯এর (১) এর আওতায় এমবিবিএস ও বিডিএস ডিগ্রি বাদে অন্য যারা বিভিন্ন ভাবে চিকিৎসাসেবার সাথে যুক্ত আছেন তিনারা নামের আগে ডাক্তার পদবী ও নামের পরে ডিগ্রি ব্যবহার করলে তা অপরাধ ও প্রতারণা বলে গণ্য হবে।

তবে,বিকল্প ধারার চিকিৎসা পদ্ধতির পেশাধারীরা নামের পূর্বে: ইন্টিগ্রেটেড ফিজিশিয়ান, কমপ্লিমেন্টারি ফিজিশিয়ান, ইন্টিগ্রেটেড মেডিসিন প্র্যাকটিশনার, কমপ্লিমেন্টারি মেডিসিন প্র্যাকটিশনার- পদবী ব্যবহার করতে পারেন কিন্তু তারা কোনো ভাবেই নামের আগে ডাক্তার পদবি লিখতে পারেন না ও নামের পরে ডিগ্রি লিখতে পারবেন না। যদি কেউ আইন অমান্য করে তা করেন তবে সেটা অবশ্যই অপরাধ বা প্রতারণা বলে গণ্য হবে। অর্থাৎ ভূয়া ডাক্তার হিসাবে গণ্য হবে।

প্রকৃত ডাক্তার না হয়েও নিজের নামের সাথে ডাক্তার সংযুক্ত করে কিভাবে চিকিৎসা দিচ্ছেন, এই বিষয়ে কথা হয় হরিনাকুন্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার মো:রবিউল ইসলামের সাথে,তিনি সাংবাদিকদের বলেন আমরা নামের আগের ডাক্তার লিখতে পারবো,আমার মতো অনেকেই আছেন যিনারা ডাক্তার পরিচয়ে চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন। তাছাড়া আমি সারা দিন চাকরি করে বিকাল থেকে ওখানে রুগী দেখি, খুব বেশি রুগী আমান হয় না। আর যদি সম্ভব হয় তাহলে নিইজটা করার দরকার নাই।

এবিষয়ে ঝিনাইদহের বিভিন্ন তৃনমুল পর্যায়ের সাধারণ ভুক্তভোগী জনগণের সাথে কথা বলে জানাযায়, তারা চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন বিভিন্ন লোকাল ক্লিনিক, চেম্বার বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সেখানে বড়ো করে ডাক্তার লেখা থাকে, প্যাডে ডাক্তার লেখা থাকে, ভিজিটিং কার্ডে ডাক্তার লেখা থাকে, তাহলে আমরা কিভাবে বুঝবো কারা ডাক্তার আর কারা ছদ্মবেশী।

সাধারণ জনগণের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার দ্বায়িত্ব জেলা সিভিল সার্জন,উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসনের হাতে তারাই যদি সব জেনে শুনে অদৃশ্য কোনো নিয়ন্ত্রনে নিরব ভুমিকায় থাকেন তবে এই ধরনের ভূয়া ডাক্তারের ছড়াছড়ি হয়ে যাবে। সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হবে সাধারণ জনগণ।

রবিউলের ডাক্তার পরিচয়ে চিকিৎসা বানিজ্যের বিষয়ে কথা হয় ঝিনাইদহ সদর উপজেলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাক্তার মিথিলা ইসলামের সাথে,তিনি সাংবাদিকদের কাছ থেক রবিউলের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করেন এবং তিনি বিষয়টি খোজ নিয়ে ব্যাবস্থা নেবার আশ্বাস দেন।

মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

মোঃ লিটন মিয়া, টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৬ অপরাহ্ণ
মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

টাঙ্গাইলে বাসাইলে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী-২০২৪ (এসএসসি ব্যাচ ১৯৯১-২০০০) অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় বর্নাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে পুনর্মিলনীর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।

এ উপলক্ষে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয় ও মাঠ প্রাঙ্গণ প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। একে অপরের সাথে প্রানের মিলনমেলায় অংশ গ্রহণ করে, স্মৃতিচারণ, শুভেচ্ছা বিনিময় করে।

কুমুদিনী সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন(১৯৯১) এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক জিতেন্দ্র লাল সরকার, বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান শিক্ষক মো. হায়দার আলী খান, প্রাক্তন শিক্ষক মো. এরশাদ আলী খান, মো. আরফান আলী খান, জিলমোহন সরকার, জগদীশ চন্দ্র কর্মকার, রহিদাশ কর্মকার, হানিব খান, শ্রীদাম চন্দ্র  গোস্বামী, সুস্তোষ কুমার সরকার।

এসময উপস্থিতি ছিলেন ১৯৯১-২০০০ সালের এসএসসি ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ। পরে সন্ধ্যায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মোঃ আলম মৃধা, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৩ অপরাহ্ণ
নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় নুর মোহাম্মদ নামে এক টেক্সটাইল মালিককে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ (২১ ডিসেম্বর) হত্যার পর গুমের উদ্দেশ্যে লাশ ফেলতে গিয়ে স্থানীয় গ্রামবাসীদের হাতে আটক হয় অভিযুক্তরা। পরে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেয় স্থানীয়রা।

জানা যায়, অটককৃতরা হলো মাধবদী কাঠালিয়া গ্রামের রববানি মিয়ার ছেলে রবিন (২১), একই গ্রামের এবাদুলাল্লাহ হোসেনের ছেলে রুবেল (২২), কোলাতপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে আলামিন (৪২), একই এলাকার আব্দুল রশিদ এর ছেলে রকিব হোসেন (২১)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিন, রকিব, আলামিন ও রুবেলসহ বেশ কয়েকজন নুর মোহাম্মদের কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। তবে নিহত ব্যক্তি চাঁদা দিতে অস্বীকার করেন।
এ নিয়ে তাদের সাথে টেক্সটাইল মালিকের দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে গতকাল শুক্রবার রাতে নূর মোহাম্মদকে ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরে তাকে পাশের একটি বন্ধ কারখানায় নিয়ে যায়া। এক পর্যায়ে চাঁদা দাবিকারী রুবেল, রকিব, রবিন, আলামিনসহ অজ্ঞাত নামা ব্যক্তিরা নূর মোহাম্মদকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

হত্যার পর নিহত নূর মোহাম্মদের লাশ গুমের উদ্দেশ্যে ভোর রাতে বস্তাবন্দি করে নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজার সীমান্তে ফেলে দিতে যায়। লাশ ফেলার সময় স্থানীয় লোকজন দেখে ফেলে। পরে স্থানীয়রা তাদের আটক করে মাধবদী থানা পুলিশকে খবর দেয়। দুপুরে পুলিশ ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে ও ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়।

নিহত নুর মোহাম্মদ সদর উপজেলার মাধবদী কাঠালিয়া ইউনিয়নের কোলাতপুর গ্রামের আলকাস মিয়ার ছেলে।

এই হত্যার বিষয়ে জানতে মাধবদী মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ নজরুল ইসলামকে সরকারি মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলে ফোনটি রিসিভ করেননি।

রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

আব্দুল্লাহ আল মোত্তালিব, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮:৫১ অপরাহ্ণ
রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

রাজধানীর মগবাজার রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মোঃ আপন (২২)নিহত হয়েছে। নিহত আপন কুড়িগ্রাম নাগেশ্বরী উপজেলার মৃত গোলাম মোস্তফার ছেলে। বর্তমানে মগবাজার এলাকায় ভাড়া থাকতো।

শনিবার(২১ ডিসেম্বর)সন্ধ্যা সোয়া ৫টা নাগাদ অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী সোহাগ বলেন, আজ বিকেলের দিকে মগবাজার রেল ক্রসিং পারাপারের সময় কমলাপুরগামী একটি ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয় ওই যুবকটি।পরে দ্রুততাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান ওই যুবকটি আর বেঁচে নেই।

তিনি আরও বলে,
আমরা ওই যুবকের পকেটে থাকা কাগজে লেখা মোবাইল নাম্বারে তার পরিবারের সাথে কথা বলে তার নাম পরিচয় জানতে পেরেছি। পরিবারের সদস্যরা ঢাকা মেডিকেলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ ফারুক হোসেন, ওই যুবকের মরদেহ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। আমরা বিষয়টি ঢাকা রেলওয়ে থানা পুলিশকে জানিয়েছি।