খুঁজুন
বুধবার, ৪ জুন, ২০২৫, ২১ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

ডাক্তার নাম ব্যবহার করে চিকিৎসা দিচ্ছেন উপসহকারী মেডিকেল অফিসার রবিউল ইসলাম

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৪, ১১:২৩ অপরাহ্ণ
ডাক্তার নাম ব্যবহার করে চিকিৎসা দিচ্ছেন উপসহকারী মেডিকেল অফিসার রবিউল ইসলাম

ঝিনাইদহের সদর উপজেলা ডাকবাংলা বাজার সহ বিভিন্ন উপজেলায় নামে-বেনামে চেম্বার খুলে ডাক্তার এবং অভিজ্ঞ ডাক্তার সাইনবোর্ড লাগিয়ে, প্যাড-ভিজিটিং কার্ডে ডাক্তার নাম ব্যাবহার করছেন যারা তাদের অনেকেই ডাক্তারই নন।

সরেজমিন অনুসন্ধানে দেখা যায়, ঝিনাইদহের ডাকবাংলা বাজারে ‘নুর জাহান মেমোরিয়াল মেডিক্যাল সেন্টারে’ প্রতিদিন বিকাল ৪টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত যিনি রোগী দেখছেন এবং তিনি যে প্রেসক্রিপশন বা ব্যবস্থাপত্র লিখেছেন, সেখানে তিনার পরিচয় লেখা আছে ডাক্তার মোঃ রবিউল ইসলাম। নামের নিচে ডিগ্রি লেখা,ডিএমএফ (ঢাকা) সিএম এফ (আল্ট্রা), তার নিচে লেখা,বাত ব্যাথা, মেডিসিন, মা ও শিশু রোগের চিকিৎসক।

ডাক্তার না হয়েও ডাক্তার পরিচয় দিয়ে দিনে দুপুরে প্রকাশ্যে জনগণের সাথে প্রতারণা করে চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন এই মোঃ রবিউল ইমলাম, তিনি মুলত হরিনাকুন্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর একজন উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার।

বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল অ্যাক্ট ২০ডিসেম্বর-২০১০-এ প্রকাশিত গেজেট এর ধারা ২২এর (১) ও ২৯এর (১) এর আওতায় এমবিবিএস ও বিডিএস ডিগ্রি বাদে অন্য যারা বিভিন্ন ভাবে চিকিৎসাসেবার সাথে যুক্ত আছেন তিনারা নামের আগে ডাক্তার পদবী ও নামের পরে ডিগ্রি ব্যবহার করলে তা অপরাধ ও প্রতারণা বলে গণ্য হবে।

তবে,বিকল্প ধারার চিকিৎসা পদ্ধতির পেশাধারীরা নামের পূর্বে: ইন্টিগ্রেটেড ফিজিশিয়ান, কমপ্লিমেন্টারি ফিজিশিয়ান, ইন্টিগ্রেটেড মেডিসিন প্র্যাকটিশনার, কমপ্লিমেন্টারি মেডিসিন প্র্যাকটিশনার- পদবী ব্যবহার করতে পারেন কিন্তু তারা কোনো ভাবেই নামের আগে ডাক্তার পদবি লিখতে পারেন না ও নামের পরে ডিগ্রি লিখতে পারবেন না। যদি কেউ আইন অমান্য করে তা করেন তবে সেটা অবশ্যই অপরাধ বা প্রতারণা বলে গণ্য হবে। অর্থাৎ ভূয়া ডাক্তার হিসাবে গণ্য হবে।

প্রকৃত ডাক্তার না হয়েও নিজের নামের সাথে ডাক্তার সংযুক্ত করে কিভাবে চিকিৎসা দিচ্ছেন, এই বিষয়ে কথা হয় হরিনাকুন্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার মো:রবিউল ইসলামের সাথে,তিনি সাংবাদিকদের বলেন আমরা নামের আগের ডাক্তার লিখতে পারবো,আমার মতো অনেকেই আছেন যিনারা ডাক্তার পরিচয়ে চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন। তাছাড়া আমি সারা দিন চাকরি করে বিকাল থেকে ওখানে রুগী দেখি, খুব বেশি রুগী আমান হয় না। আর যদি সম্ভব হয় তাহলে নিইজটা করার দরকার নাই।

এবিষয়ে ঝিনাইদহের বিভিন্ন তৃনমুল পর্যায়ের সাধারণ ভুক্তভোগী জনগণের সাথে কথা বলে জানাযায়, তারা চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন বিভিন্ন লোকাল ক্লিনিক, চেম্বার বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সেখানে বড়ো করে ডাক্তার লেখা থাকে, প্যাডে ডাক্তার লেখা থাকে, ভিজিটিং কার্ডে ডাক্তার লেখা থাকে, তাহলে আমরা কিভাবে বুঝবো কারা ডাক্তার আর কারা ছদ্মবেশী।

সাধারণ জনগণের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার দ্বায়িত্ব জেলা সিভিল সার্জন,উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসনের হাতে তারাই যদি সব জেনে শুনে অদৃশ্য কোনো নিয়ন্ত্রনে নিরব ভুমিকায় থাকেন তবে এই ধরনের ভূয়া ডাক্তারের ছড়াছড়ি হয়ে যাবে। সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হবে সাধারণ জনগণ।

রবিউলের ডাক্তার পরিচয়ে চিকিৎসা বানিজ্যের বিষয়ে কথা হয় ঝিনাইদহ সদর উপজেলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাক্তার মিথিলা ইসলামের সাথে,তিনি সাংবাদিকদের কাছ থেক রবিউলের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করেন এবং তিনি বিষয়টি খোজ নিয়ে ব্যাবস্থা নেবার আশ্বাস দেন।

গালি দিতে দিতে বাংলাদেশে ঢুকে পড়লো মদ্যপ বিএসএফ সদস্য, অতঃপর…

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ৪ জুন, ২০২৫, ৮:১৯ অপরাহ্ণ
গালি দিতে দিতে বাংলাদেশে ঢুকে পড়লো মদ্যপ বিএসএফ সদস্য, অতঃপর…

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের জহুরপুর সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) এক সদস্যকে আটক করেছে স্থানীয় জনতা। মদ্যপ অবস্থায় গালি দিতে দিতে বাংলাদেশ সীমান্তে ঢুকে পড়ে ওই বিএসএফ সদস্য। পরে তাকে বিজিবির হাতে সোপর্দ করা হয়।

বুধবার (৪ জুন) সকালে এ ঘটনা ঘটে। আটক বিএসএফ সদস্য শ্রী গণেশ ভারতের নুরপুর ৭১ বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্য।

বিএসএফ সদস্যকে আটকের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা যায়, বিএসএফের ওই সদস্যকে আটকে রেখে অনুপ্রবেশের কারণ জানতে চাচ্ছে গ্রামবাসী। এ সময় বিএসএফ সদস্য বলেন, আমি ভয় দেখাতে ঢুকেছি। তখন ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক তরুণ বলে ওঠেন, তুই কি ডন, তুই কি হিরো, দেখ আজকে তোকে কি অবস্থা করি।

স্থানীয় গ্রামবাসী ও নারায়ণপুর ইউপি চেয়ারম্যান নাজির আহম্মেদ জানান, জহুরপুর পিলার ১৯-এর সাবপিলার ৫-এর সামনে সাতরশিয়া এলাকায় গরু ও ছাগল চরানো অবস্থায় বিএসএফ সদস্য বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন এবং পশু ধাওয়া করেন। এ ঘটনায় স্থানীয়রা তাকে আটক করে বিজিবির হাতে তুলে দেন।

৫৩ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফাহাদ মাহমুদ রিংকু জানান, আটক সদস্যকে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে এবং সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

নওফেলের স্ত্রী এমা ক্লেয়ারের বিরুদ্ধে মামলা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ৪ জুন, ২০২৫, ৮:১৫ অপরাহ্ণ
নওফেলের স্ত্রী এমা ক্লেয়ারের বিরুদ্ধে মামলা

জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের স্ত্রী এমা ক্লেয়ার বার্টনের বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (৪ জুন) দুদকের উপপরিচালক আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।

দুদকের এ সংক্রান্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এমা ক্লেয়ার বার্টনের বিরুদ্ধে ৮৪ লাখ ৩৫ হাজার ১২৮ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর নওফেল ও তার প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন ব্যাংকের ৪১টি হিসাব থেকে ১১৩ কোটি ৮৯ লাখ টাকা জমা এবং ৯৭ কোটি ৩০ লাখ টাকা উত্তোলনের তথ্য পাওয়ার কথা জানায় দুদক। বিপুল পরিমাণ সন্দেহজনক লেনদেন ও দুই কোটি ৯৪ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ওইদিন নওফেলের নামে মামলা করে দুদক।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দুদক জানায়, নওফেলের স্ত্রী এমা ক্লেয়ার বার্টনের বিরুদ্ধে ৮৪ লাখ ৩৫ হাজার ১২৮ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হওয়ায় তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(১) ধারা মোতাবেক সম্পদ বিবরণী দাখিলের আদেশ জারির সুপারিশ করা হয়।

এমা ক্লেয়ার বার্টন বরাবর সম্পদ বিবরণী দাখিলের আদেশ জারির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সম্পদ বিবরণীটি অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা তার পক্ষে কেউ গ্রহণ না করায় আদেশসহ মূল সম্পদ বিবরণী গত ২৩ মার্চ লটকিয়ে জারি করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্পদ বিবরণী লটকিয়ে জারির পর অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেননি এবং সময় বাড়ানোর কোনো আবেদনও পাওয়া যায়নি। যেহেতু নির্ধারিত ২১ কার্যদিবসে অর্থাৎ ২৯ এপ্রিলের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেননি সেহেতু এটি দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

এতে আরও বলা হয়, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল না করায় এবং ৮৪ লাখ ৩৫ হাজার ১২৮ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এমার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

শিশু শাফায়েতকে বাঁচাতে মায়ের আকুতি

মোঃ কুরবান আলী, নাটোর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বুধবার, ৪ জুন, ২০২৫, ৫:৩৮ অপরাহ্ণ
শিশু শাফায়েতকে বাঁচাতে মায়ের আকুতি

হার্নিয়া রোগে আক্রান্ত ছোট্ট শিশু শাফায়েত বাঁচতে চায়। মাত্র ১ বছর ২ মাস বয়সে অসুস্থতা যেন তাকে কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে। জন্ম থেকেই হার্নিয়া ও অন্যান্য বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ছোট্ট শিশু শাফায়েত।

নাটোরের সিংড়া উপজেলার তাজপুর ইউনিয়নের কয়রাবাড়ি গ্রামের মো. বেল্লাল হোসেন ও শহর বানু দম্পতির তিন ছেলের মধ্যে ছোট শাফায়েত। অন্যের বাড়িতে দিনমজুরি করে কোনো রকমে তিন ছেলে নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে বেল্লাল হোসেন। এদিকে ছোট শিশু শাফায়েত এর চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা। সংসারের এমন পরিস্থিতিতে মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়েছে বেল্লাল হোসেনের।

শিশুটি জন্মের পর থেকে চিকিৎসা করাতে গিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে। এখন আবার অপারেশন করতে হবে। দরিদ্র বাবার পক্ষে এতো টাকা জোগাড় করাও সম্ভব নয়। তাই শিশু সন্তানকে বাঁচাতে সরকার ও বিত্তবানদের সাহায্য কামনা করেছেন শাফায়েত এর মা শহর বানু।

অসুস্থ শিশু শাফায়েত এর খালাতো ভাই গোলাম রাব্বী বলেন, আমার খালার পরিবার খুবই দরিদ্র। শাফায়েতকে চিকিৎসা করাতে পরিবারটি নিঃস্ব হয়ে গেছে। দেশবাসীর কাছে আবেদন সামর্থ্য অনুযায়ী সকলে চিকিৎসার জন্য এগিয়ে আসুন।

অসুস্থ শিশু শাফায়েত এর মা শহর বানু বলেন, শাফায়েত জন্মের পর থেকেই হার্নিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। সবসময় শুধু কান্না করে। কোনো কিছু খেলে সাথে সাথে বমি করে। জন্মের পর কান্না আর বমি দেখে নাটোরে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে রাজশাহীতে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। পরবর্তীতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক (শিশু সার্জারী) ডাঃ এস এম আহ্সান শহীদ জানিয়েছেন শিশু শাফায়েতের হার্নিয়া রোগ হয়েছে।

তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ছেলের অপারেশন করতে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা লাগবে। অভাবের সংসার, স্বামী অন্যের বাড়িতে দিনমজুরি করে সংসার চালায়। ছেলের অপারেশনের জন্য সরকার এবং বিত্তবানদের নিকট আর্থিক সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

তাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. আবু হানিফ বলেন, শিশুটির পরিবার খুবই দরিদ্র ও অসহায়। সরকার ও সামর্থ্যবানরা এগিয়ে আসলে চিকিৎসা করানো সম্ভব হবে।

অসুস্থ শিশু শাফায়েতকে আর্থিক সহায়তা পাঠাতে যোগাযোগ করুন- ০১৮৭২২২১৪১০ (বিকাশ) শাফায়েত এর খালাতো ভাই গোলাম রাব্বি।