খুঁজুন
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭ পৌষ, ১৪৩১

ভাত না রুটি, পুষ্টিগুণে কোনটা বেশি উপকারী ?

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৭ পূর্বাহ্ণ
ভাত না রুটি, পুষ্টিগুণে কোনটা বেশি উপকারী ?

যারা ডায়েট কন্ট্রোল করেন তারা ভাতের পরিবর্তে নিশ্চয় রুটিকে বেশি প্রাধান্য দেন। তবে পাস্তা, স্প্যাগেটি, স্যান্ডউইচকে স্ন্যাকস হিসেবে মেনে নিলেও দুপুর বা রাতের ভারী খাবার হিসেবে এগুলোকে মানতে অনেকেই নারাজ এখনো।

অনেকেই ভাবেন ভাতে যে পরিমাণ ক্যালরি রয়েছে, তা হয়তো রুটি বা স্প্যাগেটিতে নেই। ভাতের বদলে আটা বা ময়দার তৈরি এসব খাবার খেলে শরীরের চাহিদা অসম্পূর্ণ থেকে যাবে বলে মনে করেন তারা। তবে পুষ্টির দিক থেকে ভাত, আটা বা ময়দার গুণাগুণ প্রায় কাছাকাছিই।

পুষ্টি উপাদান:
গবেষণায় দেখা গেছে, ভাতের তুলনায় রুটিতে ক্যালরির পরিমাণ অনেক বেশি। এককাপ সিদ্ধ আটায় আছে ২২৮ ক্যালরি, যেখানে এককাপ ভাতে থাকে মাত্র ১৯৪ কিলোক্যালরি। একইসঙ্গে এক কাপ ভাত ও রুটিতে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ যথাক্রমে ৪১ ও ৫১ গ্রাম। এছাড়াও রুটি ভাতের তুলনায় অনেক বেশি প্রোটিনসমৃদ্ধ।

এককাপ সিদ্ধ আটায় আছে সাত গ্রামের মতো প্রোটিন, যেখানে এক কাপ ভাতে ৫ গ্রাম প্রোটিন থাকে। প্রোটিন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সুস্থ টিস্যু গঠনে সহায়তা করে। রুটির ওপর নির্ভরর্শীলতা মানে হৃৎপিণ্ডের উপযোগী ফাইবারের যোগান দেওয়া। এক কাপ ভাতে ফাইবারের পরিমাণ ১ দশমিক ৪ শতাংশ। অন্যদিকে প্রতি কাপ আটায় রয়েছে ৮ দশমিক ৫ গ্রাম ফাইবার।

যুক্তরাষ্ট্রের ইনস্টিটিউট অব মেডিসিনের নির্ধারণ অনুযায়ী, একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের শরীরে দৈনিক ফাইবারের প্রয়োজনীয়তা ২৩ শতাংশ ও নারীর ক্ষেত্রে ৩৩ শতাংশ।

ভিটামিন:
ফাইবার, প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেটের মতো ভাত ও রুটির ভিটামিনের দিক থেকেও তারতম্য রয়েছে। ভাত ভিটামিন বি-৯ এর ভালো উৎস। ভিটামিন বি-৯ প্রেটিন জাতীয় খাদ্য পরিপাকে সহায়তা করে ও স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এক কাপ ভাতে ২১৫ মাইক্রোগ্রাম বা ৫৪ শতাংশ ভিটামিন বি-৯ রয়েছে, যেখানে এক কাপ সিদ্ধ আটায় থাকে ২৮ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন বি-৯।

আবার গমে নিয়াসিন বা ভিটামিন বি-৩ এর পরিমাণ ভাতের চেয়ে একটু বেশি। ভিটামিন বি-৩ শরীরে শক্তি উৎপাদন করে ও ত্বকে পুষ্টি যোগায়। এক কাপ সিদ্ধ আটায় ৩ দশমিক ৬ মিলিগ্রাম নিয়াসিন (ভিটামিন বি৩) থাকে। যেখানে এক কাপ ভাতে থাকে ৩ দশমিক ২ মিলিগ্রাম নিয়াসিন। ইনস্টিটিউট অব মেডিসিনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দৈনিক একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের ২৩ শতাংশ ও নারীর ২৬ শতাংশ নিয়াসিন নেওয়া প্রয়োজন।

মিনারেল:
ভাত ও গম দুটোই কপার ও আয়রনের ভালো উৎস। তবে গম ভাতের চেয়ে অনেক বেশি জিংক সমৃদ্ধ। এক কাপ আটায় রয়েছে ২ দশমিক ৩ মিলিগ্রাম জিংক, যেখানে ভাতে জিংকের পরিমাণ শূন্য দশমিক ৬ মিলিগ্রাম।

ইনস্টিটিউট অব মেডিসিনের পরামর্শ অনুযায়ী নারীদের দৈনিক ২৯ শতাংশ ও পুরুষদের ক্ষেত্রে ২১ শতাংশ জিংকের প্রয়োজন। জিংক প্রোটিনের সঙ্গে সম্মিলিত হয়ে জিনের কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ও স্নায়বিক কার্যকলাপ অক্ষত রাখে।

মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

মোঃ লিটন মিয়া, টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৬ অপরাহ্ণ
মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

টাঙ্গাইলে বাসাইলে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী-২০২৪ (এসএসসি ব্যাচ ১৯৯১-২০০০) অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় বর্নাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে পুনর্মিলনীর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।

এ উপলক্ষে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয় ও মাঠ প্রাঙ্গণ প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। একে অপরের সাথে প্রানের মিলনমেলায় অংশ গ্রহণ করে, স্মৃতিচারণ, শুভেচ্ছা বিনিময় করে।

কুমুদিনী সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন(১৯৯১) এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক জিতেন্দ্র লাল সরকার, বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান শিক্ষক মো. হায়দার আলী খান, প্রাক্তন শিক্ষক মো. এরশাদ আলী খান, মো. আরফান আলী খান, জিলমোহন সরকার, জগদীশ চন্দ্র কর্মকার, রহিদাশ কর্মকার, হানিব খান, শ্রীদাম চন্দ্র  গোস্বামী, সুস্তোষ কুমার সরকার।

এসময উপস্থিতি ছিলেন ১৯৯১-২০০০ সালের এসএসসি ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ। পরে সন্ধ্যায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মোঃ আলম মৃধা, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৩ অপরাহ্ণ
নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় নুর মোহাম্মদ নামে এক টেক্সটাইল মালিককে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ (২১ ডিসেম্বর) হত্যার পর গুমের উদ্দেশ্যে লাশ ফেলতে গিয়ে স্থানীয় গ্রামবাসীদের হাতে আটক হয় অভিযুক্তরা। পরে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেয় স্থানীয়রা।

জানা যায়, অটককৃতরা হলো মাধবদী কাঠালিয়া গ্রামের রববানি মিয়ার ছেলে রবিন (২১), একই গ্রামের এবাদুলাল্লাহ হোসেনের ছেলে রুবেল (২২), কোলাতপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে আলামিন (৪২), একই এলাকার আব্দুল রশিদ এর ছেলে রকিব হোসেন (২১)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিন, রকিব, আলামিন ও রুবেলসহ বেশ কয়েকজন নুর মোহাম্মদের কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। তবে নিহত ব্যক্তি চাঁদা দিতে অস্বীকার করেন।
এ নিয়ে তাদের সাথে টেক্সটাইল মালিকের দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে গতকাল শুক্রবার রাতে নূর মোহাম্মদকে ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরে তাকে পাশের একটি বন্ধ কারখানায় নিয়ে যায়া। এক পর্যায়ে চাঁদা দাবিকারী রুবেল, রকিব, রবিন, আলামিনসহ অজ্ঞাত নামা ব্যক্তিরা নূর মোহাম্মদকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

হত্যার পর নিহত নূর মোহাম্মদের লাশ গুমের উদ্দেশ্যে ভোর রাতে বস্তাবন্দি করে নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজার সীমান্তে ফেলে দিতে যায়। লাশ ফেলার সময় স্থানীয় লোকজন দেখে ফেলে। পরে স্থানীয়রা তাদের আটক করে মাধবদী থানা পুলিশকে খবর দেয়। দুপুরে পুলিশ ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে ও ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়।

নিহত নুর মোহাম্মদ সদর উপজেলার মাধবদী কাঠালিয়া ইউনিয়নের কোলাতপুর গ্রামের আলকাস মিয়ার ছেলে।

এই হত্যার বিষয়ে জানতে মাধবদী মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ নজরুল ইসলামকে সরকারি মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলে ফোনটি রিসিভ করেননি।

রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

আব্দুল্লাহ আল মোত্তালিব, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮:৫১ অপরাহ্ণ
রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

রাজধানীর মগবাজার রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মোঃ আপন (২২)নিহত হয়েছে। নিহত আপন কুড়িগ্রাম নাগেশ্বরী উপজেলার মৃত গোলাম মোস্তফার ছেলে। বর্তমানে মগবাজার এলাকায় ভাড়া থাকতো।

শনিবার(২১ ডিসেম্বর)সন্ধ্যা সোয়া ৫টা নাগাদ অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী সোহাগ বলেন, আজ বিকেলের দিকে মগবাজার রেল ক্রসিং পারাপারের সময় কমলাপুরগামী একটি ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয় ওই যুবকটি।পরে দ্রুততাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান ওই যুবকটি আর বেঁচে নেই।

তিনি আরও বলে,
আমরা ওই যুবকের পকেটে থাকা কাগজে লেখা মোবাইল নাম্বারে তার পরিবারের সাথে কথা বলে তার নাম পরিচয় জানতে পেরেছি। পরিবারের সদস্যরা ঢাকা মেডিকেলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ ফারুক হোসেন, ওই যুবকের মরদেহ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। আমরা বিষয়টি ঢাকা রেলওয়ে থানা পুলিশকে জানিয়েছি।