খুঁজুন
রবিবার, ৮ জুন, ২০২৫, ২৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

“অনলাইন ভিত্তিক মানবিক প্লাটফর্ম”

খন্দকার বদিউজ্জামান বুলবুল, মধুপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: রবিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১০:২৯ পূর্বাহ্ণ
“অনলাইন ভিত্তিক মানবিক প্লাটফর্ম”

“সেচ্ছায় রক্তদান মধুপুর ধনবাড়ি ঘাটাইল ও টাঙ্গাইল” মুলত অনলাইন ভিত্তিক অলাভজনক ও অরাজনৈতিক সেচ্ছাসেবী প্লাটফর্ম। ২০২১ সালে মানবসেবার মহৎ উদ্দেশ্য কে বুকে ধারন করে গুটিগুটি পায়ে এগিয়ে চলছে আর্ত মানবতার কল্যাণে।

সংগঠনের উদ্দ্যমী সেচ্ছাসেবী ইমরান হাসানের তত্ত্বাবধানে এবং কিছু মানবিক ও ত্যাগী স্বেচ্ছাসেবীদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও আন্তরিক প্রচেষ্ঠা সেই সাথে স্বেচ্ছায় রক্তদাতাসহ সকলের আন্তরিক ভালোবাসায় শুরু থেকে এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন হাজার ব্যাগ ব্লাড ডোনেট করা হয়েছে। সেই সাথে বেশ কয়েকটি ফ্রি ব্লাড গ্রুপ ক্যাম্পেইন করা হয়েছে। যে ক্যাম্পেইনের মুল উদ্দেশ্য জনসাধারণকে রক্তদানে উৎসাহ প্রদান ও বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করা।

বিভিন্ন দিবস উপলক্ষে বিশেষ করে বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ইত্যাদি কেন্দ্রীক বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন করে থাকে সংগঠনটি। এমন সব প্রোগ্রামে বৃক্ষরোপন, সমাজ সচেতনাতামুলক ক্যাম্পেইন কিংবা ফ্রি ব্লাড গ্রুপিং করা হয়ে থাকে। মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে পরিবেশের ইতিবাচক পরিবর্তন কিংবা সমাজের অসঙ্গতি বন্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে সমাজের কল্যাণে ভূমিকা পালনে সচেষ্ট সেচ্ছায় রক্তদান সংগঠনটি।

মানুষ সামাজিক জীব। মানবদেহের রক্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। বেঁচে থাকার জন্য রক্ত অপরিহার্য। কেমিক্যাল ল্যাব কিংবা মেডিক্যাল ল্যাবে বিজ্ঞানিদের নিরলস প্রচেষ্টার মাধ্যমে ও রক্তের কোন বিকল্প তৈরী সম্ভব হয় নি। এক ফোঁটা রক্ত তৈরী করা অসম্ভব ই নয় রীতিমতো দূর্সাধ্য ব্যাপার। রক্ত সার্বজনীন, যার মধ্যে ভেদাভেদ নেই কোন ধনী কিংবা দরিদ্রের মধ্যে। ভেদাভেদ নেই জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোত্রের মধ্যে। প্রয়োজনীয় শর্ত পূরন করে রক্তের গ্রুপ মিললেই এক জন সাদা বর্ণের ব্যক্তি একজন কালো বর্ণের ব্যক্তিকে যেমন রক্ত দিতে পারবে ঠিক তেমনি একজন দরিদ্র একজন ধনীকে রক্ত দান করে জীবন বাঁচাতে সহযোগিতা করতে পারে। এখানে নেই কোন ভেদাভেদ। সকল শ্রেণির রক্তের বর্ণ এক লাল। সেচ্ছায় রক্তদান উচ্চমানের মানবিক কাজ। আপনার এক ব্যাগ রক্তে হাসি ফুটতে পারে অপর জীর্ণ -শীর্ণ, মুমূর্ষু কোন প্রাণে।

যেকোন জরুরি রোগীর ক্ষেত্রে, দূর্ঘটনা পতিত ব্যক্তির জন্য ইমার্জেন্সি রক্তের প্রয়োজনে, রক্তশূণ্যতায়, সিজারের ক্ষেত্রে বা যেকোন অপারেশন পরবর্তী রক্তশূণ্যর ক্ষেত্রে। ক্যন্স্যার আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রে, থ্যালাসেমিয়া রোগীসহ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত ব্যাক্তির জন্য রক্তের যোগান দিতে সেচ্ছায় রক্তদান মধুপুর ধনবাড়ি ঘাটাইল ও টাঙ্গাইল সংগঠনটি সর্বাত্মক কাজ করে থাকে।

সংগঠনের সেচ্ছাসেবীরা ব্যক্তিগত, পেশাগত কিংবা পড়াশোনা জনিত বিভিন্ন বিষয়ে ব্যস্ত থাকার পরেও, আর্ত মানবতার কল্যানে ও মানবিক মুল্যবোধ থেকে অসহায়, মুমূর্ষু রোগীদের মুখে হাসি ফুটাতে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে নিজেদের মুল্যমান সময় ও শ্রম দিয়ে বিভিন্ন মানুষের সাথে যোগাযোগ করে কাঙ্ক্ষিত গ্রুপের রক্ত সংগ্রহ করে থাকে। এতে অনেক সময় দেখা যায় সেচ্ছাসেবকদের নিজেদের অর্জিত অর্থ ব্যায় হয়ে যায়। অথচ তারা কোন পারিশ্রমিক নেন না, শুধুমাত্র সেচ্ছায় এ মানবিক কাজ সম্পাদনা করে থাকে।

সিংগারবাড়ী নবজাগরণ সমাজ সেবা সংঘের প্রতিষ্ঠাতা ও সেচ্ছায় রক্তদান মধুপুর ধনবাড়ি ঘাটাইল ও টাঙ্গাইলের সক্রিয় ও উদ্দ্যোমী সেচ্ছাসেবী খন্দকার বদিউজ্জামান বুলবুল জানান, আমাদের দেশের অনেকেই রক্ত দানে ভয় পায়। অনেকেই মনে করেন রক্তদানের ফলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হবে কিংবা রক্ত স্বল্পতা হবে। যার ফলে কিছু কুসংস্কার ও অজ্ঞতার ফলে অনেকেই রক্তদানে নিরুৎসাহিত হয়। তবে, রক্তদানে কোনো সমস্যা হয় না। কেননা একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের শরীরে পাঁচ-ছয় লিটার রক্ত থাকে। এর মধ্যে সাধারণত ২৫০ থেকে ৪০০ মিলিলিটার রক্ত দান করা হয়, যা শরীরে থাকা মোট রক্তের মাত্র ১০ ভাগের এক ভাগ। রক্তের মূল উপাদান পানি, যা ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পূরণ হয়।

• রক্তদান স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। রক্তদানের সঙ্গে সঙ্গে শরীরের ‘বোনম্যারো’ নতুন কণিকা তৈরির জন্য উদ্দীপ্ত হয়। দুই সপ্তাহের মধ্যে নতুন রক্তকণিকা জন্ম হয়, ঘাটতি পূরণ হয়।
• বছরে তিনবার রক্তদান শরীরে লোহিত কণিকাগুলোর প্রাণবন্ততা বাড়িয়ে তোলে ও নতুন কণিকা তৈরির হার বাড়ায়।
• নিয়মিত রক্তদানকারীর হার্ট ও লিভার ভালো থাকে।
• স্বেচ্ছায় রক্তদানের মাধ্যমে পাঁচটি পরীক্ষা সম্পূর্ণ বিনা খরচে করা হয়। এর মাধ্যমে জানা যায় শরীরে অন্য বড় কোনো রোগ আছে কি না। যেমন—হেপাটাইটিস-বি, হেপাটাইটিস-সি, ম্যালেরিয়া, সিফিলিস, এইচআইভি (এইডস) ইত্যাদি।
• রক্তদান অনেক ক্ষেত্রে ক্যান্সার প্রতিরোধেও সহায়তা করে।
• রক্তে কোলস্টেরলের উপস্থিতি কমাতে সাহায্য করে।
• শরীরে অতিরিক্ত আয়রনের উপস্থিতিকে বলে Hemochromatosis। নিয়মিত রক্তদান এই রোগ প্রতিরোধ করে।
• স্থূলদেহী মানুষের ওজন কমাতে রক্তদান সহায়ক।
• মুমূর্ষুকে রক্ত দিলে মানসিক তৃপ্তি মেলে।

রক্তদানে কোন ক্ষতি হয় না তবে রক্তদানের শর্তগুলো না মেনে রক্তদান করলে শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা আছে। তাই আমাদের রক্তদানের পূর্ব শর্তগুলো অবশ্যই জেনে রাখা উচিত। রক্তদানের শর্তগুলো হলো-

• রক্তদাতাকে সুস্থ থাকতে হবে এবং ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী ৫০ কেজি ওজনের যেকোনো মানুষ রক্তদান করতে পারে।
• দাতার রক্তের স্ক্রিনিং টেস্ট বা রক্ত নিরাপদ কি না তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা।
• ভরপেটে খাওয়ার চার ঘণ্টা পর রক্ত দেওয়া শ্রেয়।
• কোনো রূপ এনার্জি ড্রিংক রক্তদানের আগে সেবন না করাই ভালো।
• যাঁদের ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে তাঁরা চিকিৎসকের পরামর্শে রক্তদান করতে পারেন।

যেসকল ব্যাক্তিরা চাইলেও রক্তদান করতে পারবেন না। অথাৎ যাঁদের রক্তদান করা নিষেধ-
• ক্যান্সার, হিমোফিলিয়া, ম্যালেরিয়াসহ জীবাণুঘটিত কোনো রোগী।
• এইচআইভি বা এইডস আক্রান্ত রোগী।
• মাদক সেবনকারী।
• হেপাটাইটিস-বি ও সি-র এন্টিজেন পজিটিভ যাঁদের। পরবর্তী সময় তা নেগেটিভ হলেও রক্ত দেওয়া যাবে না।
• গর্ভবতী মহিলারা।
• যাঁদের অতিরিক্ত শ্বাসকষ্ট হয়।
• যাঁরা বারবার ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হন।
• গত তিন মাসের মধ্যে রক্তদান করেছেন এমন মানুষ।
• যাঁদের শরীরের কোনো স্থানের গ্ল্যান্ড (লিম্ফনোড) ফুলে গেছে। বিশেষ করে ঘাড়, গলায়, হাতের নিচের গ্লান্ড।

রক্তদান মানবিক ও নৈতিক কাজ। দেশে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ রক্তের প্রয়োজন হয়। প্রয়োজন পূরণে বহুলাংশে চাহিদার যোগান দিয়ে চলেছে অনলাইন ভিত্তিক ব্লাড সংগঠনগুলো। স্বেচ্ছায় রক্তদান মধুপুর ধনবাড়ি ঘাটাইল ও টাঙ্গাইল এদের অন্যতম। সেচ্ছায় মানবিক সংগঠনগুলোর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রচেষ্টার মাধ্যমে অসহায়, মুমূর্ষ মানুষের মুখে হাসি ফুটুক এ আশা ব্যক্ত করছি।

অর্থনীতিতে স্বস্তির বার্তা

৩ দিনে দেশে আসে সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৮ জুন, ২০২৫, ১১:৪৪ পূর্বাহ্ণ
৩ দিনে দেশে আসে সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা

ঈদ-উল-আজহার আগে মাত্র তিনদিনে ৬০ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২৩ টাকা ধরে) যার পরিমাণ দাঁড়ায় ৭ হাজার ৪২৯ কোটি টাকার বেশি। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, চলতি জুন মাসের প্রথম তিন দিনে (১-৩ জুন) রেমিট্যান্স এসেছে ৬০ কোটি ৪০ লাখ ডলার। কোরবানির ঈদ সামনে থাকায় প্রবাসীরা পশু কেনা, পোশাক, উপহার এবং পারিবারিক খরচের জন্য স্বজনদের কাছে অতিরিক্ত অর্থ পাঠাচ্ছেন। ফলে জুনের শুরুতেই প্রবাসী আয়ের জোয়ার দেখা যাচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, এই প্রবাহ কেবল ঈদকেন্দ্রিক নয়; বরং সরকারের প্রণোদনা, বৈধ পথে অর্থ পাঠাতে উৎসাহ এবং হুন্ডি প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের ফলেই ধারাবাহিকভাবে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ছে।

এ বছরের মে মাসে দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বাধিক রেমিট্যান্স এসেছে। যার পরিমাণ ২৯৭ কোটি মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে) যার পরিমাণ ৩৬ হাজার ২৩৪ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে টানা প্রতি মাসেই দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স আসছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে মে পর্যন্ত (১১ মাসে) দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২৭ হাজার ৫০৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (২৭.৫০৭ বিলিয়ন), যেখানে আগের অর্থবছরের একই সময়ে এ অঙ্ক ছিল ২১ হাজার ৩৭৪ মিলিয়ন (২১.৩৭৪ বিলিয়ন) ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও গ্যারান্টিতে ঋণের টাকা শোধ করতে হবে ১৫ অক্টোবরের মধ্যে

ধারের টাকা ফেরত দিতে ব্যর্থ হলে একীভূতকরণ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৮ জুন, ২০২৫, ১১:৩৯ পূর্বাহ্ণ
ধারের টাকা ফেরত দিতে ব্যর্থ হলে একীভূতকরণ

বেসরকারি খাতের দুর্বল পাঁচটি ইসলামী ব্যাংক একীভূত করে একটি ইসলামী ধারার ব্যাংক করার সিন্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আগামী জুলাই থেকে একীভূতকরণের পদক্ষেপ শুরু করে ১৫ অক্টোবর এই সাড়ে তিন মাসের মধ্যে প্রাথমিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। এ বিষয়ে একটি রোডম্যাপ তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এই সময়ের মধ্যে ব্যাংকগুলোকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। পাশাপাশি ব্যাংকগুলোর আর্থিক তথ্য যাচাই করা হবে। এর মধ্যে কোন ব্যাংক যদি কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গ্যারান্টিতে ধার করা টাকা ফেরৎ দিতে পারে তবে সেই ব্যাংককে আর একীভূত করা হবে না। সেটিকে তার স্বকীয়ভাবে চলতে দেওয়া হবে। আর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ধারের টাকা ফেলৎ দিতে ব্যর্থ হলে একীভূতকরণ করা হবে। এ বিষয়গুলো তদারকি করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পাঁচটি টিম গঠণ করবে। টিমে ব্যাংকগুলো থেকেও লোক নেওয়া হবে।

গত বুধবার আলোচ্য পাঁচ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের সঙ্গে বৈঠক করে এ সিন্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। বৈঠকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সংশ্লিস্ট ব্যাংকগুলোর শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

এবার একীভূত করার ব্যাংকগুলোর যে তালিকা করা হয়েছে সেগুলো হচ্ছে, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক ও এক্সিম ব্যাংক। এসব ব্যাংকের মধ্যে আগামী ১৫ অক্টোবরের মধ্যে যেসব ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ছাপানো টাকায় দেওয়া ঋণ ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গ্যারান্টিতে বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে দেওয়া ঋণ পরিশোধ করতে পারবে এবং আর্থিক দুর্বল সূচকগুলোতে উন্নতি করতে পারবে সেগুলোকে একীভূত করার আওতায় থেকে বের করে দেওয়া হবে। ওইসব ব্যাংক স্বকীয় মর্যার্দা নিয়ে চলতে পারবে।

এর আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর জানিয়েছিলেন দুর্বল ৬টি ব্যাংককে আগামী জুলাইয়ের মধ্যে একীভূত করা হবে। এর মধ্যে ন্যাশনাল ব্যাংকের নামও ছিল। পরবর্তীতে ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।

তারা বলেছে, ন্যাশনাল ব্যাংক ইসলামী ধারার ব্যাংক নয়, সে কারণে ওইসব ইসলামী ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হতে পারে না। এছাড়া ব্যাংকটি নতুন ব্যবস্থাপনায় আর্থিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। এসব কারণে তারা একীভ’ত হতে চাচ্ছে না। ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকও একীভূতকরনের তালিকা থেকে ন্যাশনাল ব্যাংকের নাম বাদ দেয়।

বিদেশি মালিকানায় পরিচালিত আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকও একীভূতকরণের আলোচনায় ছিল। তবে ব্যাংকটিতে বিদেশি মালিকানা থাকায় এ তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। মালিকপক্ষ ব্যাংকটিতে নতুন করে তহবিল জোগান দিতে চায়। কিন্তু সাবেক মালিক ওরিয়ন গ্রুপের পক্ষে একটি মামলা করায় বিদেশি মালিক পক্ষ ব্যাংকে মূলধন জোগান দিতে পারছে না। এর আগে ওরিয়ন গ্রুপ ব্যাংকটি ব্যাপক লুটপাট করেছে। ফলে তাদের শেয়ার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

বৈঠকে বলা হয়, একীভূতকরণের প্রথম ধাপ শেষে ব্যাংকগুলোকে সাময়িকভাবে সরকারি মালিকানায় নেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে প্রথমেই ব্যাংকগুলোর এমডিদের চুক্তি বাতিল হবে। আর বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের বাছাই করা সদস্যসহ বিভিন্ন খাতের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে পর্ষদ গঠন করা হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্বিক দিক নির্দেশনায় ব্যাংকগুলো পরিচালিত হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক গত জানুয়ারিতে এসব ব্যাংকের সম্পদের প্রকৃত অবস্থা যাচাইয়ের (একিউআর) জন্য দুটি আন্তর্জাতিক অডিটর নিয়োগ দেয়। সেই কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এটি হলে ব্যাংকগুলোর প্রকৃত অবস্থা জানা যাবে।

সত্যি নাকি গোপন কৌশল ?

সম্পর্ক ছিন্ন করলেন ট্রাম্প, নতুন দল করছেন মাস্ক!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৮ জুন, ২০২৫, ১১:৩৩ পূর্বাহ্ণ
সম্পর্ক ছিন্ন করলেন ট্রাম্প, নতুন দল করছেন মাস্ক!

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তীব্র বাকযুদ্ধে জড়িয়েছেন মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক। পাল্টাপাল্টি ব্যক্তিগত আক্রমণের মধ্যেই এবার নিজস্ব রাজনৈতিক দল গঠনের আভাস দিলেন টেসলা সিইও।

শুক্রবার নিজের নতুন রাজনৈতিক দলের নাম ঘোষণা করেন মাস্ক। দলের নাম ‘দ্য আমেরিকা পার্টি’। তবে এর আগের দিন বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জনমত যাচাই করতে একটি ভোটের আয়োজন করেন তিনি।

সেখানে মাস্ক জানতে চান—যুক্তরাষ্ট্রে একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠন জরুরি কি না। ভোটে অংশ নেওয়া ৮০ শতাংশ মানুষ তাতে সম্মতি জানান।

এর পরই মাস্ক পোস্ট করেন, “জনতা রায় দিয়েছে। নতুন একটি পার্টির প্রয়োজন আছে যা ৮০ শতাংশ মানুষের প্রতিনিধিত্ব করবে। এটাই নিয়তি।”

যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক সাময়িকী দ্য হিল জানিয়েছে, ভোটের ফলাফল শেয়ার করে মাস্ক তার দলের নামও জানিয়ে দেন। যদিও দল গঠনের বিষয়ে স্পষ্ট কিছু না বললেও এ ঘোষণাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে আলোচনা।

অনেকে বলছেন, মাস্ক সত্যিই রাজনীতিতে আসছেন, না কি এটি তার কৌশলগত চমক—তা এখনই বলা যাচ্ছে না।

দীর্ঘদিনের দ্বিদলীয় রাজনৈতিক কাঠামোয় তৃতীয় শক্তি হিসেবে কতটা প্রভাব ফেলতে পারবেন, তা নিয়েও সন্দিহান বিশ্লেষকরা। যুক্তরাষ্ট্রে মূলত রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটদের মধ্যেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। এর বাইরে গিয়ে মাস্ক কীভাবে রাজনীতিতে পা রাখবেন, সেটি পরিষ্কার নয়।

তবে মাস্কের এমন ঘোষণায় যুক্তরাষ্ট্রে আলোচনা তুঙ্গে।

২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পকে সমর্থন দিতে গিয়ে মাস্ক ব্যয় করেছিলেন প্রায় ২৭ কোটি ডলার। ট্রাম্পও নির্বাচনের পর তাকে পুরস্কৃত করেন একটি নতুন দপ্তর দিয়ে—‘ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি (ডিওজিই)’। এর কাজ ছিল প্রশাসনের অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমিয়ে সাশ্রয় নিশ্চিত করা।

তবে মাসখানেক আগে কর ও ব্যয় সংক্রান্ত একটি বিল নিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে মতবিরোধে জড়ান মাস্ক। বিলটি পাস হওয়ার পর ট্রাম্প একে ‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল অ্যাক্ট’ নাম দেন। পরে সেটিকে মাস্ক ‘জঘন্য’ বলে আখ্যা দিয়ে পদত্যাগ করেন।

এরপরই দুইজনের মধ্যে প্রকাশ্যে বিবাদ শুরু হয়।

ট্রাম্প দাবি করেন, তিনি বন্ধু ইলন মাস্ককে বহু উপকার করেছেন। মাস্ক পাল্টা বলেন, তার সহায়তা ছাড়া ট্রাম্প কখনো প্রেসিডেন্ট হতে পারতেন না।

তীব্র হয় বিবাদ। ট্রাম্প হুমকি দেন, মাস্কের প্রতিষ্ঠান টেসলা যেন আর সরকারি ভর্তুকি না পায়। পাশাপাশি আর্থিকভাবে অবরোধ করার ইঙ্গিতও দেন।

অন্যদিকে মাস্কও রুখে দাঁড়ান। ট্রাম্পের বিলকে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হুমকি আখ্যা দিয়ে বলেন, দেশকে দেউলিয়া করে দিতে পারে এই পদক্ষেপ। এমনকি ট্রাম্পকে অভিশংসনের প্রস্তাবও দেন মাস্ক।