খুঁজুন
বুধবার, ৪ জুন, ২০২৫, ২১ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

সিজার করাতে গিয়ে সন্তানসহ লাশ হয়ে ফিরলেন আফরোজা

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৪, ৮:৩৭ অপরাহ্ণ
সিজার করাতে গিয়ে সন্তানসহ লাশ হয়ে ফিরলেন আফরোজা

অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে নিয়ে পরিবারে সবার উল্লাস। ভূমিষ্ঠ হতে যাওয়া শিশু সন্তানকে নিয়ে পরিবারের সকলের এক এক পরিকল্পনা। সকল পরিকল্পনা ও স্বপ্নের সহায় হলো না গৃহবধূর সঙ্গে ঘটে যাওয়া বাস্তবতা। সিজার করতে গিয়ে ‘ডাক্তারের ভুলে’ ফিরলেন লাশ হয়ে।

১৪ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) ভোরে প্রসব বেদনা ওঠে অন্তঃসত্ত্বা আফরোজা বেগমের (৩৩)। তখনই তাকে নিয়ে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন তার স্বামী মাসুদুর রহমান।

সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে তাকে ভর্তি করা হয় কুড়িগ্রাম শহরের গ্রীন লাইফ জেনারেল হাসপাতালে। দায়িত্বরত ডাক্তার ও নার্সরা রোগীকে সিজারের জন্য অপারেশন থিয়েটারে নেয় সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে।

কিছুক্ষণ পরেই রোগীকে (আফরোজা বেগম) অপারেশন থিয়েটার থেকে বের করে দিয়ে বলা হয়,’রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক, আপনারা দ্রুত রংপুর নিয়ে যান। ‘পরে দ্রুত এম্বুল্যান্সে করে রংপুর নিয়ে যাওয়ার পথেই প্রাণ হারান আফরোজা বেগম। সেই সঙ্গে পেটে থাকা শিশুটিও মারা যায়।

রংপুরে প্রাইম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর রোগী ও সন্তানের পথেই মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন সেখানকার ডাক্তারেরা। পরে জানা যায়, সিজারের আগে এনেস্থিসিয়া দেয়ার ফলে রোগীর অবস্থা খারাপ হতে শুরু করে, পরে তৎক্ষনাৎ আইসিইউ সাপোর্ট না মেলায় রোগীকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।

বেলা ১২ টার দিকে রংপুর থেকে স্ত্রী ও তার পেটে থাকা সন্তানের লাশ নিয়ে কুড়িগ্রামের গ্রীন লাইফ জেনারেল হাসপাতালে ফিরে আসেন স্বামী মাসুদুর রহমান। দাবি করেন বিচারের। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের আশ্বাস মেলায় লাশ নিয়ে বিকেলে নিজ বাড়িতে ফিরে যান তিনি।

নিহত আফরোজা বেগমের বাড়ি কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের হিজলি গোপ পাড়া গ্রামে। ১ ছেলে, ১ মেয়ে ও স্বামীকে নিয়ে সুখের সংসার ছিল তার। আরেকটি সন্তান কামনা করাই যেন কাল হলো। তছনছ হলো সবকিছু।

নিহতের স্বামী মাসুদুর রহমান বলেন, আমি কখনই ভাবিনি আমার স্ত্রীর সাথে এমন কিছু হবে। ডাক্তার জাহাঙ্গীর আমার স্ত্রীকে এনেস্থিসিয়া দিয়েছিল। স্ত্রী ও পেটে থাকে সন্তানকে জীবিত রাখার জন্য রংপুরে নিয়ে যেতে দেরি করিনি। তাও তাদের বাঁচাতে পারলামনা। আমি লাশ নিয়ে আবারও গ্রীন লাইফে গিয়েছিলাম বিচারের জন্য। যাতে অন্য কারও সাথে এমনটা না হয়। এখন আমি সব হারালাম।

গ্রীন লাইফ জেনারেল হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারম্যান ডা. অমিত কুমার বসু এ বিষয়ে বলেন, রোগীর পরিবারের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাদের ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে। পরবর্তীতে যাতে এটা না হয় সে ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

গালি দিতে দিতে বাংলাদেশে ঢুকে পড়লো মদ্যপ বিএসএফ সদস্য, অতঃপর…

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ৪ জুন, ২০২৫, ৮:১৯ অপরাহ্ণ
গালি দিতে দিতে বাংলাদেশে ঢুকে পড়লো মদ্যপ বিএসএফ সদস্য, অতঃপর…

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের জহুরপুর সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) এক সদস্যকে আটক করেছে স্থানীয় জনতা। মদ্যপ অবস্থায় গালি দিতে দিতে বাংলাদেশ সীমান্তে ঢুকে পড়ে ওই বিএসএফ সদস্য। পরে তাকে বিজিবির হাতে সোপর্দ করা হয়।

বুধবার (৪ জুন) সকালে এ ঘটনা ঘটে। আটক বিএসএফ সদস্য শ্রী গণেশ ভারতের নুরপুর ৭১ বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্য।

বিএসএফ সদস্যকে আটকের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা যায়, বিএসএফের ওই সদস্যকে আটকে রেখে অনুপ্রবেশের কারণ জানতে চাচ্ছে গ্রামবাসী। এ সময় বিএসএফ সদস্য বলেন, আমি ভয় দেখাতে ঢুকেছি। তখন ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক তরুণ বলে ওঠেন, তুই কি ডন, তুই কি হিরো, দেখ আজকে তোকে কি অবস্থা করি।

স্থানীয় গ্রামবাসী ও নারায়ণপুর ইউপি চেয়ারম্যান নাজির আহম্মেদ জানান, জহুরপুর পিলার ১৯-এর সাবপিলার ৫-এর সামনে সাতরশিয়া এলাকায় গরু ও ছাগল চরানো অবস্থায় বিএসএফ সদস্য বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন এবং পশু ধাওয়া করেন। এ ঘটনায় স্থানীয়রা তাকে আটক করে বিজিবির হাতে তুলে দেন।

৫৩ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফাহাদ মাহমুদ রিংকু জানান, আটক সদস্যকে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে এবং সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

নওফেলের স্ত্রী এমা ক্লেয়ারের বিরুদ্ধে মামলা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ৪ জুন, ২০২৫, ৮:১৫ অপরাহ্ণ
নওফেলের স্ত্রী এমা ক্লেয়ারের বিরুদ্ধে মামলা

জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের স্ত্রী এমা ক্লেয়ার বার্টনের বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (৪ জুন) দুদকের উপপরিচালক আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।

দুদকের এ সংক্রান্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এমা ক্লেয়ার বার্টনের বিরুদ্ধে ৮৪ লাখ ৩৫ হাজার ১২৮ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর নওফেল ও তার প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন ব্যাংকের ৪১টি হিসাব থেকে ১১৩ কোটি ৮৯ লাখ টাকা জমা এবং ৯৭ কোটি ৩০ লাখ টাকা উত্তোলনের তথ্য পাওয়ার কথা জানায় দুদক। বিপুল পরিমাণ সন্দেহজনক লেনদেন ও দুই কোটি ৯৪ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ওইদিন নওফেলের নামে মামলা করে দুদক।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দুদক জানায়, নওফেলের স্ত্রী এমা ক্লেয়ার বার্টনের বিরুদ্ধে ৮৪ লাখ ৩৫ হাজার ১২৮ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হওয়ায় তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(১) ধারা মোতাবেক সম্পদ বিবরণী দাখিলের আদেশ জারির সুপারিশ করা হয়।

এমা ক্লেয়ার বার্টন বরাবর সম্পদ বিবরণী দাখিলের আদেশ জারির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সম্পদ বিবরণীটি অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা তার পক্ষে কেউ গ্রহণ না করায় আদেশসহ মূল সম্পদ বিবরণী গত ২৩ মার্চ লটকিয়ে জারি করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্পদ বিবরণী লটকিয়ে জারির পর অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেননি এবং সময় বাড়ানোর কোনো আবেদনও পাওয়া যায়নি। যেহেতু নির্ধারিত ২১ কার্যদিবসে অর্থাৎ ২৯ এপ্রিলের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেননি সেহেতু এটি দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

এতে আরও বলা হয়, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল না করায় এবং ৮৪ লাখ ৩৫ হাজার ১২৮ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এমার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

শিশু শাফায়েতকে বাঁচাতে মায়ের আকুতি

মোঃ কুরবান আলী, নাটোর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বুধবার, ৪ জুন, ২০২৫, ৫:৩৮ অপরাহ্ণ
শিশু শাফায়েতকে বাঁচাতে মায়ের আকুতি

হার্নিয়া রোগে আক্রান্ত ছোট্ট শিশু শাফায়েত বাঁচতে চায়। মাত্র ১ বছর ২ মাস বয়সে অসুস্থতা যেন তাকে কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে। জন্ম থেকেই হার্নিয়া ও অন্যান্য বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ছোট্ট শিশু শাফায়েত।

নাটোরের সিংড়া উপজেলার তাজপুর ইউনিয়নের কয়রাবাড়ি গ্রামের মো. বেল্লাল হোসেন ও শহর বানু দম্পতির তিন ছেলের মধ্যে ছোট শাফায়েত। অন্যের বাড়িতে দিনমজুরি করে কোনো রকমে তিন ছেলে নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে বেল্লাল হোসেন। এদিকে ছোট শিশু শাফায়েত এর চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা। সংসারের এমন পরিস্থিতিতে মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়েছে বেল্লাল হোসেনের।

শিশুটি জন্মের পর থেকে চিকিৎসা করাতে গিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে। এখন আবার অপারেশন করতে হবে। দরিদ্র বাবার পক্ষে এতো টাকা জোগাড় করাও সম্ভব নয়। তাই শিশু সন্তানকে বাঁচাতে সরকার ও বিত্তবানদের সাহায্য কামনা করেছেন শাফায়েত এর মা শহর বানু।

অসুস্থ শিশু শাফায়েত এর খালাতো ভাই গোলাম রাব্বী বলেন, আমার খালার পরিবার খুবই দরিদ্র। শাফায়েতকে চিকিৎসা করাতে পরিবারটি নিঃস্ব হয়ে গেছে। দেশবাসীর কাছে আবেদন সামর্থ্য অনুযায়ী সকলে চিকিৎসার জন্য এগিয়ে আসুন।

অসুস্থ শিশু শাফায়েত এর মা শহর বানু বলেন, শাফায়েত জন্মের পর থেকেই হার্নিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। সবসময় শুধু কান্না করে। কোনো কিছু খেলে সাথে সাথে বমি করে। জন্মের পর কান্না আর বমি দেখে নাটোরে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে রাজশাহীতে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। পরবর্তীতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক (শিশু সার্জারী) ডাঃ এস এম আহ্সান শহীদ জানিয়েছেন শিশু শাফায়েতের হার্নিয়া রোগ হয়েছে।

তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ছেলের অপারেশন করতে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা লাগবে। অভাবের সংসার, স্বামী অন্যের বাড়িতে দিনমজুরি করে সংসার চালায়। ছেলের অপারেশনের জন্য সরকার এবং বিত্তবানদের নিকট আর্থিক সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

তাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. আবু হানিফ বলেন, শিশুটির পরিবার খুবই দরিদ্র ও অসহায়। সরকার ও সামর্থ্যবানরা এগিয়ে আসলে চিকিৎসা করানো সম্ভব হবে।

অসুস্থ শিশু শাফায়েতকে আর্থিক সহায়তা পাঠাতে যোগাযোগ করুন- ০১৮৭২২২১৪১০ (বিকাশ) শাফায়েত এর খালাতো ভাই গোলাম রাব্বি।