খুঁজুন
সোমবার, ১৯ মে, ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

নজিরবিহীন সংকটে ১৪ দলের শরিকরা

সিনিয়র রিপোর্টার
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৩:৩৯ অপরাহ্ণ
নজিরবিহীন সংকটে ১৪ দলের শরিকরা

রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত সংকটপূর্ণ পরিস্থিতিতে রয়েছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট। জোটের শরিক দলগুলো রাজনৈতিকভাবে নিষ্প্রভ, নেতা-কর্মীরাও এক প্রকার সংশয়-দোলাচলের ভেতর দিয়ে যাচ্ছেন।

কেননা তারা কোনো ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচি করতে পারছেন না। পারবেন কি না, সেটাও তারা জানেন না।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পতন হয় আওয়ামী লীগের সরকারের। প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা। বিদেশে পালান আওয়ামী লীগের শীর্ষ অনেক নেতা ও পতিত সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা। অনেকে গা ঢাকা দেন।

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি ১৪ দলীয় জোটের শরিক দলগুলোর নেতা-কর্মীরাও আড়ালে চলে যান। প্রায় চার মাস পার হওয়ার পরও এই দলগুলোর নেতা-কর্মীদের আতঙ্ক কাটছে না। দলগুলো স্থবির, নিস্ক্রীয় ও অস্থিত্বহীন হয়ে আছে।

২০০৪ সালে তৎকালীন বিরোধীদল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গঠিত ১৪ দলে রয়েছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), গণতন্ত্রী পার্টি, সাম্যবাদী দল, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ), গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টি, গণ-আজাদী লীগ, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, জাতীয় পার্টি (জেপি) ও কমিউনিস্ট কেন্দ্র। এর মধ্যে গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টি, গণ-আজাদী লীগ, কমিউনিস্ট কেন্দ্র ছাড়া বাকি সবারই নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন রয়েছে।

রাজনৈতিক ‘সত্তা’ আলাদা হলেও ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ, তরিকত ফেডারেশনের মতো দলের শীর্ষ নেতারা অনেকটাই শেখ হাসিনার হুকুম তামিল করতেন। এমনকি জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সরকারকে কঠোর হওয়ার পরামর্শ দিয়ে পাশে থাকার আশ্বাসও দিয়েছিল ১৪ দল। আগস্টের প্রথম থেকে তারা কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামারও পরিকল্পনা নেয়। কিন্তু সরকার আর তার দল ও শরিকদের সব পরিকল্পনা উড়িয়ে দিয়ে অভ্যুত্থান ঘটে যায় ৫ আগস্ট।

সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগের পাশাপাশি ১৪ দলের শরিক দলের নেতাদের অনেকেই গ্রেপ্তার হয়েছেন। এর মধ্যে ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন ও জাসদের হাসানুল হক ইনু গ্রেপ্তার হয়েছেন সরকার পতনের প্রথম দিকেই।

‘সুসময়ে’ দলের শক্তি ও সামর্থ্য অনুসারে নানা কর্মসূচি দিয়ে রাজপথে অবস্থান জানান দিলেও গত ৫ আগস্টের পর থেকে এখন পর্যন্ত দলগুলোর কোনো নেতাকর্মী সক্রিয় কোনো কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারেননি। প্রকাশ্যে মাঠে নামতে তো পারছেই না, ঘরোয়াভাবেও কোনো সভা করার সুযোগও পাচ্ছে না দলগুলো। কেন্দ্র থেকে জেলা-উপজেলা পর্যন্ত সব জায়গায় একই অবস্থা বিরাজ করছে।

১৪ দলের বেশ কিছু নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নীতি-নির্ধারণী থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যায়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক বেড়ে গেছে। কেননা, হত্যা, বিস্ফোরকসহ বিভিন্ন মামলায় গত দেড় মাসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গ্রেপ্তার বেড়েছে। এজন্য পতিত সরকারের শরিক দলগুলোর নেতা-কর্মীরা নজরদারির মধ্যে রয়েছেন। দলের কার্যালয়গুলোয় প্রতিনিয়ত নজরদারি চলছে।

বিশেষ করে জোট শরিক ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাসদের নেতা-কর্মীদের ওপর চাপ বেশি। ঢাকাসহ কয়েকটি জেলায় দলগুলোর নেতাদের পাশাপাশি বিভিন্ন মামলায় কর্মীদের নামও রয়েছে। কোনো কোনো জায়গায় আসামি নেতা-কর্মীদের বাড়িতে পুলিশ যাচ্ছে। যাদের নামে মামলা নেই তারাও অনেকে বাড়িতে থাকছেন না। যেসব মামলায় অজ্ঞাত আসামি রয়েছে সেসব মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে যেতে পারেন, এমন ধারণা করেও ১৪ দলের নেতা-কর্মীরা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

এই সংকটের মধ্যে ১৪ দলীয় জোট টিকবে কি না, তা নিয়েও সংশয়ে রয়েছেন জোটের শরিকদের অনেক নেতা-কর্মী। সরাসরি কেউ কিছু না বললেও তারা মনে করেন, ছাত্র আন্দোলনে দেড় সহস্রাধিক হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগের সঙ্গে এই জোট বজায় থাকলে তাদের নীতি অনুসরণ করেই চলতে হতে পারে। একই সঙ্গে তাদের মতো আইনি পরিস্থিতিরও মুখোমুখি হওয়া লাগতে পারে।

সাম্প্রতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে নাম না প্রকাশের শর্তে জাসদের এক কেন্দ্রীয় গুরুত্বপূর্ণ নেতা বলেন, গ্রেপ্তার বেড়ে যাওয়া, বাড়ি বাড়ি পুলিশ যাওয়া, থানা থেকে কল করে খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। দলের যারা নামে পরিচিত বা এলাকার মানুষ যাদের নামে চেনে তাদের সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। এতে নেতা-কর্মীরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। নানা চাপের মধ্যে হুমকিও বিদ্যমান। গত দেড় মাসে এ ধরনের সমস্যা আরও বেড়েছে। যাদের নামে মামলা নেই তারাও গ্রেপ্তারের ভয়ে আছেন। কত দিন এভাবে চলবে কোনো ধারণাই করা যাচ্ছে না।

ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরোর এক সদস্য বলেন, দল থেকে কোনো কর্মসূচি নেওয়া যাচ্ছে না। আমরাও প্রকাশ্য কোনো তৎপরতায় যেতে পারছি না। প্রচণ্ড চাপে রয়েছেন আমাদের সব পর্যায়ের নেতারা। কর্মীরাও ভীত। ১৪ দলের শরিক হয়ে সবাই কমবেশি সংকটে দিন পার করছে। ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাসদ বেশি সংকটে রয়েছে। ১৪ দলের কয়েকজন নেতার সঙ্গে মাঝে মধ্যে ফোনে কথা বলি। এভাবেই দিন কেটে যাচ্ছে আমাদের।

ঢাবি ক্যাম্পাস থেকে ভাসমান ও ভবঘুরে উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫, ১১:৩২ অপরাহ্ণ
ঢাবি ক্যাম্পাস থেকে ভাসমান ও ভবঘুরে উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে নানা আলোচনার মধ্যেই ক্যাম্পাস থেকে ভাসমান ও ভবঘুরে লোকদের উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

আজ রবিবার (১৮ মে) বিকেলে ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে উপাচার্যের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান সভায় সভাপতিত্ব করেন।

এসময়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মো. জিল্লুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী কাজী মো. আক্রাম হোসেন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. মেরাজ উদ্দিন (সার্কেল-১), মো. আহসান হাবিব (বিদ্যুৎ, জোন-১/ক), রমনা কালী মন্দির পূজা উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অপর্না রায় দাসসহ কালী মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে কালী মন্দির ও সংলগ্ন এলাকায় পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা স্থাপন এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ভাসমান ও ভবঘুরে লোকদের উচ্ছেদে তল্লাশি জোরদার করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। একইসঙ্গে কবি সুফিয়া কামাল হল সংলগ্ন ফুট ওভারব্রীজে ওঠা-নামার সিঁড়ি রাস্তা থেকে সরিয়ে এক প্রান্ত হলের অভ্যন্তরে এবং অপর প্রান্ত কার্জন হলের অভ্যন্তরে স্থাপনের বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে অনুরোধ জানানো হয়। শিগগিরই এ বিষয়টি বাস্তবায়ন করা হবে বলে নিশ্চিত করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন।

এর আগে, দুপুরে শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার দ্রুত সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বকস চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. হোসনে আরা বেগম, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ, নিহত সাম্যের বন্ধু ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আশরাফুল আলম রাফি ও সাম্যের আরেক বন্ধু এস এম নাহিয়ান ইসলাম।

এবিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, সাম্য হত্যার সুষ্ঠু বিচার আমরা চাই। এই বিচার ত্বরান্বিত করার জন্য আমাদের ধারাবাহিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে আজ (রবিবার) স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। সাম্য হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচার দ্রুত শেষ করতে উপদেষ্টার সহায়তা চেয়েছি।

উপাচার্য আরও বলেন, এই হত্যা মামলা ডিবিতে হস্তান্তর করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। এছাড়া, অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতারে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

মিছিলের সময় আওয়ামী লীগের ১১ নেতাকর্মী আটক

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫, ১১:২৮ অপরাহ্ণ
মিছিলের সময় আওয়ামী লীগের ১১ নেতাকর্মী আটক

রাজধানীর গুলিস্তান থেকে মিছিলের সময় আওয়ামী লীগের ১১ নেতাকর্মীকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।

রোববার (১৮ মে) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ডিসি জানান, রাজধানীর গুলিস্তান থেকে মিছিলের সময় আওয়ামী লীগের ১১ নেতাকর্মীকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি।

উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার নয় মাসের মাথায় গত ১২ মে দলটি, এর সব অঙ্গ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে গত ১২ মে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের যে কোনো ধরনের প্রকাশনা, গণমাধ্যম, অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে কোনো ধরনের প্রচারণা, মিছিল, সভা-সমাবেশ, সম্মেলন আয়োজনসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো।

মিথ্যা মামলা দিয়ে সম্পত্তি দখলের অভিযোগ

মহানগর প্রতিনিধি, ঢাকা
প্রকাশিত: রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫, ১০:৩২ অপরাহ্ণ
মিথ্যা মামলা দিয়ে সম্পত্তি দখলের অভিযোগ

মিথ্যা মামলা দিয়ে সম্পত্তি দখলের অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী এক নারী। তার পৈতৃক সম্পদ দখল নিতে চাচা, স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাদের একটি অংশ ঐ নারীকে হয়রানি করছে, এমনটাই অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী।

রোববার সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা আকরম খাঁ হলে নিশাত জাহান নামে ঐ নারী এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি নিশাত জাহান ও আমার স্বামী বিপ্লব হোসেন, তেজগাঁও থানাধীন পশ্চিম নাখালপাড়ার আমি স্থায়ী বাসিন্দা। ২০১৮ সাল হতে এই পর্যন্ত আমি আওয়ামী দোসরদের হাতে অত্যাচারিত এবং নিপীড়িত। পশ্চিম নাখালপাড়ায় আমার একটি ফ্ল্যাট আছে সেখানে আমি পরিবারসহ বসবাস করছি। আমার ফ্ল্যাটটি দখলের জন্য আওয়ামী দোসররা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে আসছে। বিগত স্বৈরাচারী আওয়ামী শাসন আমলে তারা দিনের পর দিন জুলুম-নির্যাতন করেছে।

নিশাত জাহান বলেন, তারা ৮-৯ জন মিলে আমাদের উপরে ২০১৮ সাল থেকে ১৬-১৭ বার হত্যার উদ্দেশ্যে আমাদের উপর আক্রমন করে। আমরা প্রশাসন বা স্থানীয় পর্যায়ে কারো কোন সহায়তা পায়নি কারণ সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান এবং তার সহকারী শফিক তাদের দলের লোক বিধায় তাদের জন্য থানা পর্যায়ে এবং স্থানীয় পর্যায়ে আমাদের কোন সহায়তা পেতে দেয়নি। স্বৈরাচারীদের পক্ষ হয়ে আমাদেরকে দখলচ্যুত করতে চেয়েছে।

তিনি বলেন, আমি স্বৈরাচারী শাসন আমল থাকার কারণে কারও সহায়তা পাইনি। বর্তমানে সময়ে সেই স্বৈরাচারীর, জুলুমকারী শ্রমিক লীগ নেতা সামিউন বাছির (শফিকের বন্ধু, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পিও), হুমায়ুন সবির, মজিবুর ঢালী, কাজল, আসলাম এবং বিএনপির কিছু অর্থলোভী, পদ-ব্যবসায়ী বর্তমান তেজগাঁও থানা বিএনপির আহ্বায়ক-ইঞ্জিনিয়ার মিরাজ উদ্দিন হায়দার আরজু, হাফিজুর রহমান কবির (১ নং যুগ্ম আহ্বায়ক) এবং তপন গাজী। বর্তমানে এদের পৃষ্ঠপোষকতায় উপরোল্লোখিত এবং নাম না জানা আওয়ামী সন্ত্রাসীরা তেজগাঁও এলাকায় তাদের চাঁদাবাজী, লুটতরাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তার প্রতিবাদ করতে গেলে মিথ্যা মামলা ও হয়রানির স্বীকার হতে হয়।

তার অন্যতম উদাহরণ- আমি এবং আমার স্বামী  যারা বর্তমানে বৈষম্যবিরোধী এবং মিথ্যা হত্যা মামলার স্বীকার। যা তেজগাঁও এলাকায় সুষ্ঠ তদন্ত সৎ ব্যক্তি দ্বারা পরিচালিত করলে উঠে আসবে। আমি বিনীতভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করতেছি, যেন প্রধান উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মহোদয়গণের, তাঁরা যেন আমার এবং আমার স্বামীর উপর আরোপকৃত মিথ্যা মামলা নিষ্পত্তি করার ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।