খুঁজুন
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭ পৌষ, ১৪৩১

নজিরবিহীন সংকটে ১৪ দলের শরিকরা

সিনিয়র রিপোর্টার
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৩:৩৯ অপরাহ্ণ
নজিরবিহীন সংকটে ১৪ দলের শরিকরা

রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত সংকটপূর্ণ পরিস্থিতিতে রয়েছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট। জোটের শরিক দলগুলো রাজনৈতিকভাবে নিষ্প্রভ, নেতা-কর্মীরাও এক প্রকার সংশয়-দোলাচলের ভেতর দিয়ে যাচ্ছেন।

কেননা তারা কোনো ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচি করতে পারছেন না। পারবেন কি না, সেটাও তারা জানেন না।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পতন হয় আওয়ামী লীগের সরকারের। প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা। বিদেশে পালান আওয়ামী লীগের শীর্ষ অনেক নেতা ও পতিত সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা। অনেকে গা ঢাকা দেন।

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি ১৪ দলীয় জোটের শরিক দলগুলোর নেতা-কর্মীরাও আড়ালে চলে যান। প্রায় চার মাস পার হওয়ার পরও এই দলগুলোর নেতা-কর্মীদের আতঙ্ক কাটছে না। দলগুলো স্থবির, নিস্ক্রীয় ও অস্থিত্বহীন হয়ে আছে।

২০০৪ সালে তৎকালীন বিরোধীদল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গঠিত ১৪ দলে রয়েছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), গণতন্ত্রী পার্টি, সাম্যবাদী দল, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ), গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টি, গণ-আজাদী লীগ, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, জাতীয় পার্টি (জেপি) ও কমিউনিস্ট কেন্দ্র। এর মধ্যে গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টি, গণ-আজাদী লীগ, কমিউনিস্ট কেন্দ্র ছাড়া বাকি সবারই নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন রয়েছে।

রাজনৈতিক ‘সত্তা’ আলাদা হলেও ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ, তরিকত ফেডারেশনের মতো দলের শীর্ষ নেতারা অনেকটাই শেখ হাসিনার হুকুম তামিল করতেন। এমনকি জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সরকারকে কঠোর হওয়ার পরামর্শ দিয়ে পাশে থাকার আশ্বাসও দিয়েছিল ১৪ দল। আগস্টের প্রথম থেকে তারা কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামারও পরিকল্পনা নেয়। কিন্তু সরকার আর তার দল ও শরিকদের সব পরিকল্পনা উড়িয়ে দিয়ে অভ্যুত্থান ঘটে যায় ৫ আগস্ট।

সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগের পাশাপাশি ১৪ দলের শরিক দলের নেতাদের অনেকেই গ্রেপ্তার হয়েছেন। এর মধ্যে ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন ও জাসদের হাসানুল হক ইনু গ্রেপ্তার হয়েছেন সরকার পতনের প্রথম দিকেই।

‘সুসময়ে’ দলের শক্তি ও সামর্থ্য অনুসারে নানা কর্মসূচি দিয়ে রাজপথে অবস্থান জানান দিলেও গত ৫ আগস্টের পর থেকে এখন পর্যন্ত দলগুলোর কোনো নেতাকর্মী সক্রিয় কোনো কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারেননি। প্রকাশ্যে মাঠে নামতে তো পারছেই না, ঘরোয়াভাবেও কোনো সভা করার সুযোগও পাচ্ছে না দলগুলো। কেন্দ্র থেকে জেলা-উপজেলা পর্যন্ত সব জায়গায় একই অবস্থা বিরাজ করছে।

১৪ দলের বেশ কিছু নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নীতি-নির্ধারণী থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যায়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক বেড়ে গেছে। কেননা, হত্যা, বিস্ফোরকসহ বিভিন্ন মামলায় গত দেড় মাসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গ্রেপ্তার বেড়েছে। এজন্য পতিত সরকারের শরিক দলগুলোর নেতা-কর্মীরা নজরদারির মধ্যে রয়েছেন। দলের কার্যালয়গুলোয় প্রতিনিয়ত নজরদারি চলছে।

বিশেষ করে জোট শরিক ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাসদের নেতা-কর্মীদের ওপর চাপ বেশি। ঢাকাসহ কয়েকটি জেলায় দলগুলোর নেতাদের পাশাপাশি বিভিন্ন মামলায় কর্মীদের নামও রয়েছে। কোনো কোনো জায়গায় আসামি নেতা-কর্মীদের বাড়িতে পুলিশ যাচ্ছে। যাদের নামে মামলা নেই তারাও অনেকে বাড়িতে থাকছেন না। যেসব মামলায় অজ্ঞাত আসামি রয়েছে সেসব মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে যেতে পারেন, এমন ধারণা করেও ১৪ দলের নেতা-কর্মীরা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

এই সংকটের মধ্যে ১৪ দলীয় জোট টিকবে কি না, তা নিয়েও সংশয়ে রয়েছেন জোটের শরিকদের অনেক নেতা-কর্মী। সরাসরি কেউ কিছু না বললেও তারা মনে করেন, ছাত্র আন্দোলনে দেড় সহস্রাধিক হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগের সঙ্গে এই জোট বজায় থাকলে তাদের নীতি অনুসরণ করেই চলতে হতে পারে। একই সঙ্গে তাদের মতো আইনি পরিস্থিতিরও মুখোমুখি হওয়া লাগতে পারে।

সাম্প্রতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে নাম না প্রকাশের শর্তে জাসদের এক কেন্দ্রীয় গুরুত্বপূর্ণ নেতা বলেন, গ্রেপ্তার বেড়ে যাওয়া, বাড়ি বাড়ি পুলিশ যাওয়া, থানা থেকে কল করে খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। দলের যারা নামে পরিচিত বা এলাকার মানুষ যাদের নামে চেনে তাদের সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। এতে নেতা-কর্মীরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। নানা চাপের মধ্যে হুমকিও বিদ্যমান। গত দেড় মাসে এ ধরনের সমস্যা আরও বেড়েছে। যাদের নামে মামলা নেই তারাও গ্রেপ্তারের ভয়ে আছেন। কত দিন এভাবে চলবে কোনো ধারণাই করা যাচ্ছে না।

ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরোর এক সদস্য বলেন, দল থেকে কোনো কর্মসূচি নেওয়া যাচ্ছে না। আমরাও প্রকাশ্য কোনো তৎপরতায় যেতে পারছি না। প্রচণ্ড চাপে রয়েছেন আমাদের সব পর্যায়ের নেতারা। কর্মীরাও ভীত। ১৪ দলের শরিক হয়ে সবাই কমবেশি সংকটে দিন পার করছে। ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাসদ বেশি সংকটে রয়েছে। ১৪ দলের কয়েকজন নেতার সঙ্গে মাঝে মধ্যে ফোনে কথা বলি। এভাবেই দিন কেটে যাচ্ছে আমাদের।

মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

মোঃ লিটন মিয়া, টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৬ অপরাহ্ণ
মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

টাঙ্গাইলে বাসাইলে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী-২০২৪ (এসএসসি ব্যাচ ১৯৯১-২০০০) অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় বর্নাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে পুনর্মিলনীর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।

এ উপলক্ষে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয় ও মাঠ প্রাঙ্গণ প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। একে অপরের সাথে প্রানের মিলনমেলায় অংশ গ্রহণ করে, স্মৃতিচারণ, শুভেচ্ছা বিনিময় করে।

কুমুদিনী সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন(১৯৯১) এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক জিতেন্দ্র লাল সরকার, বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান শিক্ষক মো. হায়দার আলী খান, প্রাক্তন শিক্ষক মো. এরশাদ আলী খান, মো. আরফান আলী খান, জিলমোহন সরকার, জগদীশ চন্দ্র কর্মকার, রহিদাশ কর্মকার, হানিব খান, শ্রীদাম চন্দ্র  গোস্বামী, সুস্তোষ কুমার সরকার।

এসময উপস্থিতি ছিলেন ১৯৯১-২০০০ সালের এসএসসি ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ। পরে সন্ধ্যায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মোঃ আলম মৃধা, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৩ অপরাহ্ণ
নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় নুর মোহাম্মদ নামে এক টেক্সটাইল মালিককে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ (২১ ডিসেম্বর) হত্যার পর গুমের উদ্দেশ্যে লাশ ফেলতে গিয়ে স্থানীয় গ্রামবাসীদের হাতে আটক হয় অভিযুক্তরা। পরে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেয় স্থানীয়রা।

জানা যায়, অটককৃতরা হলো মাধবদী কাঠালিয়া গ্রামের রববানি মিয়ার ছেলে রবিন (২১), একই গ্রামের এবাদুলাল্লাহ হোসেনের ছেলে রুবেল (২২), কোলাতপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে আলামিন (৪২), একই এলাকার আব্দুল রশিদ এর ছেলে রকিব হোসেন (২১)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিন, রকিব, আলামিন ও রুবেলসহ বেশ কয়েকজন নুর মোহাম্মদের কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। তবে নিহত ব্যক্তি চাঁদা দিতে অস্বীকার করেন।
এ নিয়ে তাদের সাথে টেক্সটাইল মালিকের দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে গতকাল শুক্রবার রাতে নূর মোহাম্মদকে ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরে তাকে পাশের একটি বন্ধ কারখানায় নিয়ে যায়া। এক পর্যায়ে চাঁদা দাবিকারী রুবেল, রকিব, রবিন, আলামিনসহ অজ্ঞাত নামা ব্যক্তিরা নূর মোহাম্মদকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

হত্যার পর নিহত নূর মোহাম্মদের লাশ গুমের উদ্দেশ্যে ভোর রাতে বস্তাবন্দি করে নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজার সীমান্তে ফেলে দিতে যায়। লাশ ফেলার সময় স্থানীয় লোকজন দেখে ফেলে। পরে স্থানীয়রা তাদের আটক করে মাধবদী থানা পুলিশকে খবর দেয়। দুপুরে পুলিশ ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে ও ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়।

নিহত নুর মোহাম্মদ সদর উপজেলার মাধবদী কাঠালিয়া ইউনিয়নের কোলাতপুর গ্রামের আলকাস মিয়ার ছেলে।

এই হত্যার বিষয়ে জানতে মাধবদী মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ নজরুল ইসলামকে সরকারি মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলে ফোনটি রিসিভ করেননি।

রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

আব্দুল্লাহ আল মোত্তালিব, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮:৫১ অপরাহ্ণ
রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

রাজধানীর মগবাজার রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মোঃ আপন (২২)নিহত হয়েছে। নিহত আপন কুড়িগ্রাম নাগেশ্বরী উপজেলার মৃত গোলাম মোস্তফার ছেলে। বর্তমানে মগবাজার এলাকায় ভাড়া থাকতো।

শনিবার(২১ ডিসেম্বর)সন্ধ্যা সোয়া ৫টা নাগাদ অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী সোহাগ বলেন, আজ বিকেলের দিকে মগবাজার রেল ক্রসিং পারাপারের সময় কমলাপুরগামী একটি ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয় ওই যুবকটি।পরে দ্রুততাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান ওই যুবকটি আর বেঁচে নেই।

তিনি আরও বলে,
আমরা ওই যুবকের পকেটে থাকা কাগজে লেখা মোবাইল নাম্বারে তার পরিবারের সাথে কথা বলে তার নাম পরিচয় জানতে পেরেছি। পরিবারের সদস্যরা ঢাকা মেডিকেলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ ফারুক হোসেন, ওই যুবকের মরদেহ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। আমরা বিষয়টি ঢাকা রেলওয়ে থানা পুলিশকে জানিয়েছি।