খুঁজুন
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭ পৌষ, ১৪৩১

মিলছে না বোতলের সয়াবিন তেল, খোলা তেলে নৈরাজ্য

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১২:১১ অপরাহ্ণ
মিলছে না বোতলের সয়াবিন তেল, খোলা তেলে নৈরাজ্য

লিটারে ৮ টাকা বাড়িয়ে সয়াবিন তেলের নতুন দাম নির্ধারণ করেছে সরকার। এরপর এক সপ্তাহ চলে গেলেও বাজারে সয়াবিন তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি। রাজধানীর বিভিন্ন অঞ্চলের অধিকাংশ দোকানে বোতলের সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না। আর খোলা সয়াবিন তেল নিয়ে এক প্রকারের নৈরাজ্য চলছে। ব্যবসায়ীরা খোলা সয়াবিন তেলের দাম ইচ্ছামতো রাখছে। কোনো কোনো ব্যবসায়ী খোলা সয়াবিন তেল ২০০ টাকা কেজিতেও বিক্রি করছেন।

সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর রামপুরা, মালিবাগ, খিলগাঁও, শান্তিনগর, সেগুনবাগিচাসহ বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, যেসব প্রতিষ্ঠান বোতলের সয়াবিন তেল বাজারে ছাড়ে তারা দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে সরবরাহ বন্ধ রেখেছে। দাম বাড়ানোর পরও তারা তেল সরবরাহ করছে না। কবে বাজারে সয়াবিন তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক হবে সেই তথ্যও কোম্পানির লোক দিতে পারছে না।

বাজারে হঠাৎ করে বোতলের সয়াবিন তেল সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে গত ৯ ডিসেম্বর সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৮ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এই দাম বাড়ানোর ফলে এখন বোতলের এক লিটার সয়াবিনের দাম নির্ধারিত হয়েছে ১৭৫ টাকা। আর খোলা সয়াবিনের দাম নির্ধারিত হয়েছে ১৫৭ টাকা।

তবে এ দামে কোথাও সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না। বেশিরভাগ দোকানেই বোতলের সয়াবিন তেল নেই। দু-একটি দোকানে সীমিত পরিসরে বোতলের সয়াবিন তেল থাকলেও দাম রাখা হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯৫ টাকা পর্যন্ত। আর খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৮৫ থেকে ২০০ টাকা কেজি।

রামপুরায় ২০০ টাকা কেজি সয়াবিন তেল বিক্রি করা আলামিন বলেন, দুই সপ্তাহ ধরে কোম্পানির লোক বোতলের সয়াবিন তেল দিচ্ছে না। আমাদের কাছেও এখন বোতলের সয়াবিন তেল নেই। আর খোলা সয়াবিন তেল বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। তাই আমরাও বাড়তি দামে বিক্রি করছি। বোতলের তেল বাজারে এলে হয়তো দাম কিছুটা কমতে পারে। তবে কবে নাগাদ বোতলের সয়াবিন তেল আসবে সেই তথ্য কোম্পানির লোক দিতে পারছে না।

মালিবাগ হাজীপাড়ার ব্যবসায়ী মো. আফজাল বলেন, দাম বাড়ানোর আগে থেকেই বাজারে বোতলের সয়াবিন তেল নেই হয়ে গেছে। লিটারে ৮ টাকা দাম বাড়ানোর পরও কোম্পানি বোতলের তেল দিচ্ছে না। কোম্পানির লোকও এখন কম আসছে। তাদের কাছে প্রশ্ন করলে বলে, কোম্পানি থেকে সরবরাহ শুরু করলে তেল দিয়ে যাবে।

বোতলের সয়াবিন তেল বাজারে না থাকায় খোলা সয়াবিন তেলের দাম বেড়ে গেছে বলেও জানান এই ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, কিছুদিন আগে ১৬০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া খোলা সায়বিন এখন ১৮৫ থেকে ১৯৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। বাজারে দ্রুত বোতলের তেল না এলে দাম আরও বেড়ে যেতে পারে।

খিলগাঁওয়ের কয়েকটি দোকান ঘুরে একটি দোকানে ৪টি বোতলের সয়াবিন তেল দেখা যায়। সাইফুল ইসলাম নামের এই দোকানদার বলেন, আমার কাছে বোতলের যে সয়াবিন তেল রয়েছে, তা আগের কেনা। নতুন দামের সয়াবিন তেল কোম্পানি থেকে এখনো দেয়নি। আমরা বোতলের এক লিটার সয়াবিন তেল ১৯০ টাকা বিক্রি করছি। নতুন দামের তেল এলে, বোতলের গায়ে যে দাম লেখা থাকবে, সেই দামে বিক্রি করবো।

খোলা সয়াবিনের দাম সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, খোলা সয়াবিন তেল ১৯৫ টাকা কেজি বিক্রি করছি। সরকার তো খোলা সায়বিনের দাম ১৫৭ টাকা নির্ধারণ করেছে? এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, সরকার সয়াবিনের দাম নির্ধারণ করেছে লিটারে, আমরা বিক্রি করি কেজিতে। ১৯৫ টাকার কমে সয়াবিন তেল বিক্রি করা সম্ভব না। এই দামে যার ইচ্ছা নেবে, না নিলে না নেবে।

শান্তিনগর বাজার ঘুরেও বোতলের সয়াবিন তেল খুব একটা চোখে পড়েনি। আর খোলা সয়াবিন দোকান ভেদে ১৯০ থেকে ২০০ টাকা কেজি বিক্রি হতে দেখা যায়। মো. আলম নামের শান্তিনগরের এক ব্যবসায়ী বলেন, সরবরাহ না থাকায় সরকার সয়াবিন তেলের দাম বাড়িয়েছে। কিন্তু বাজারে কার্যকর তদারকি নেই। যে কারণে দাম বাড়ানোর পর এক সপ্তাহ চলে গেলেও বোতলের সয়াবিন তেল বাজারে আসছে না। আর খোলা সয়াবিন যারা পাইকারি বিক্রি করে তারাও বাড়তি দাম রাখছে। ফলে আমাদের বাড়তি দামে সয়াবিন বিক্রি করতে হচ্ছে।

মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

মোঃ লিটন মিয়া, টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৬ অপরাহ্ণ
মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের “পুনর্মিলনী”

টাঙ্গাইলে বাসাইলে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী-২০২৪ (এসএসসি ব্যাচ ১৯৯১-২০০০) অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় বর্নাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে পুনর্মিলনীর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।

এ উপলক্ষে মিরিকপুর গঙ্গাচরণ তপশিলী উচ্চ বিদ্যালয় ও মাঠ প্রাঙ্গণ প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। একে অপরের সাথে প্রানের মিলনমেলায় অংশ গ্রহণ করে, স্মৃতিচারণ, শুভেচ্ছা বিনিময় করে।

কুমুদিনী সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোয়াজ্জেম হোসেন(১৯৯১) এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক জিতেন্দ্র লাল সরকার, বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান শিক্ষক মো. হায়দার আলী খান, প্রাক্তন শিক্ষক মো. এরশাদ আলী খান, মো. আরফান আলী খান, জিলমোহন সরকার, জগদীশ চন্দ্র কর্মকার, রহিদাশ কর্মকার, হানিব খান, শ্রীদাম চন্দ্র  গোস্বামী, সুস্তোষ কুমার সরকার।

এসময উপস্থিতি ছিলেন ১৯৯১-২০০০ সালের এসএসসি ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ। পরে সন্ধ্যায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মোঃ আলম মৃধা, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:৫৩ অপরাহ্ণ
নরসিংদীর মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় নুর মোহাম্মদ নামে এক টেক্সটাইল মালিককে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ (২১ ডিসেম্বর) হত্যার পর গুমের উদ্দেশ্যে লাশ ফেলতে গিয়ে স্থানীয় গ্রামবাসীদের হাতে আটক হয় অভিযুক্তরা। পরে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেয় স্থানীয়রা।

জানা যায়, অটককৃতরা হলো মাধবদী কাঠালিয়া গ্রামের রববানি মিয়ার ছেলে রবিন (২১), একই গ্রামের এবাদুলাল্লাহ হোসেনের ছেলে রুবেল (২২), কোলাতপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে আলামিন (৪২), একই এলাকার আব্দুল রশিদ এর ছেলে রকিব হোসেন (২১)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিন, রকিব, আলামিন ও রুবেলসহ বেশ কয়েকজন নুর মোহাম্মদের কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। তবে নিহত ব্যক্তি চাঁদা দিতে অস্বীকার করেন।
এ নিয়ে তাদের সাথে টেক্সটাইল মালিকের দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে গতকাল শুক্রবার রাতে নূর মোহাম্মদকে ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরে তাকে পাশের একটি বন্ধ কারখানায় নিয়ে যায়া। এক পর্যায়ে চাঁদা দাবিকারী রুবেল, রকিব, রবিন, আলামিনসহ অজ্ঞাত নামা ব্যক্তিরা নূর মোহাম্মদকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

হত্যার পর নিহত নূর মোহাম্মদের লাশ গুমের উদ্দেশ্যে ভোর রাতে বস্তাবন্দি করে নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজার সীমান্তে ফেলে দিতে যায়। লাশ ফেলার সময় স্থানীয় লোকজন দেখে ফেলে। পরে স্থানীয়রা তাদের আটক করে মাধবদী থানা পুলিশকে খবর দেয়। দুপুরে পুলিশ ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে ও ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়।

নিহত নুর মোহাম্মদ সদর উপজেলার মাধবদী কাঠালিয়া ইউনিয়নের কোলাতপুর গ্রামের আলকাস মিয়ার ছেলে।

এই হত্যার বিষয়ে জানতে মাধবদী মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ নজরুল ইসলামকে সরকারি মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলে ফোনটি রিসিভ করেননি।

রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

আব্দুল্লাহ আল মোত্তালিব, স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮:৫১ অপরাহ্ণ
রাজধানীর মগবাজারে ট্রেনের ধাক্কাই এক যুবকের মৃত্যু

রাজধানীর মগবাজার রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মোঃ আপন (২২)নিহত হয়েছে। নিহত আপন কুড়িগ্রাম নাগেশ্বরী উপজেলার মৃত গোলাম মোস্তফার ছেলে। বর্তমানে মগবাজার এলাকায় ভাড়া থাকতো।

শনিবার(২১ ডিসেম্বর)সন্ধ্যা সোয়া ৫টা নাগাদ অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী সোহাগ বলেন, আজ বিকেলের দিকে মগবাজার রেল ক্রসিং পারাপারের সময় কমলাপুরগামী একটি ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয় ওই যুবকটি।পরে দ্রুততাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান ওই যুবকটি আর বেঁচে নেই।

তিনি আরও বলে,
আমরা ওই যুবকের পকেটে থাকা কাগজে লেখা মোবাইল নাম্বারে তার পরিবারের সাথে কথা বলে তার নাম পরিচয় জানতে পেরেছি। পরিবারের সদস্যরা ঢাকা মেডিকেলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ ফারুক হোসেন, ওই যুবকের মরদেহ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। আমরা বিষয়টি ঢাকা রেলওয়ে থানা পুলিশকে জানিয়েছি।