খুঁজুন
শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৬ বৈশাখ, ১৪৩২

হকিতে বিশ্বকাপ, সর্বকনিষ্ঠ আইএম, সাগরের অলিম্পিক

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭:২৩ অপরাহ্ণ
হকিতে বিশ্বকাপ, সর্বকনিষ্ঠ আইএম, সাগরের অলিম্পিক

বেশিরভাগ সময় দেশের ফুটবল–ক্রিকেটই বছরজুড়ে আলোচনায় থাকে। এই দুই প্রধান খেলার বাইরে অন্য খেলাগুলোতেও থাকে অর্জন ও ব্যর্থতার গল্প। ২০২৪ সালে অন্য খেলা ও ফেডারেশনগুলোর নানা ঘটনা তুলে ধরেছেন সিনিয়র স্পোর্টস রিপোর্টার আরাফাত জোবায়ের।

সরাসরি অলিম্পিকে আরচ্যার সাগরের 

অলিম্পিক গেমসে পদক জয় বাংলাদেশের জন্য এখনও অলীক ভাবনাই। বাংলাদেশ বিশ্বের সর্ববৃহৎ ক্রীড়া আসরে অংশগ্রহণ করে ওয়াইল্ড কার্ডে। ২০১৬ সালে রিও অলিম্পিক থেকে একজন করে ক্রীড়াবিদ নিজ যোগ্যতায় অলিম্পিকে খেলছেন। গলফার সিদ্দিকের পর ২০২০ সালে সরাসরি অলিম্পিক খেলেন আরচ্যার রোমান সানা। এবার তুরস্কের আনাতোলিয়ায় প্যারিস অলিম্পিকের শেষ কোটা প্লেস টুর্নামেন্টে আরচ্যার সাগর ইসলাম নিজ যোগ্যতায় অলিম্পিক খেলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। সাগর এখনও বিকেএসপির শিক্ষার্থী। সিদ্দিক ও রোমানের চেয়ে কম বয়সে সরাসরি অলিম্পিক খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছেন তিনি। আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে বা সাফল্যে এটা তেমন বড় কোনো বিষয় না হলেও, বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও অর্থবহ।

প্যারিস অলিম্পিকে বাংলাদেশের পতাকা সাগরের হাতে

অলিম্পিকে অংশগ্রহণই ‘সান্ত্বনার’

বিশ্বের অন্যতম জনবহুল দেশ হলেও বাংলাদেশ এখনও অলিম্পিকে পদক জিততে পারেনি। ১৯৮৪ সাল থেকে এখনও যেন অংশগ্রহণই শেষ কথা! ২০২৪ প্যারিস অলিম্পিকে শ্যুটিং ও অ্যাথলেটিক্সে জাতীয় টাইমিং করতে পারেননি বাংলাদেশের অ্যাথলেটরা। উল্টো বাংলাদেশের দ্রুততম মানব তার দৌড় শেষে ইনজুরি নিয়েই অংশগ্রহণ এবং তিনি অংশ নিতে চাননি এমন বিস্ফোরক মন্তব্যও করেন। অলিম্পিকে একটি পদক সারাবিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বদলে দিতে পারে। এজন্য প্রয়োজন সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ও প্রশিক্ষণ। বাংলাদেশের ক্রীড়া নীতিনির্ধারক এ নিয়ে তেমন ভাবেন না!

সর্বকনিষ্ঠ আন্তর্জাতিক মাস্টার নীড়

বাংলাদেশের দাবায় সম্ভাবনাময় নাম মনন রেজা নীড়। হাঙ্গেরিতে তিনি আন্তর্জাতিক মাস্টার (আইএম) নর্ম পূরণ করেছেন। মাত্র ১৪ বছর ৫ মাস বয়সে তিনি এই খেতাব পান। যা বাংলাদেশি দাবাড়ুদের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুততম। নিয়াজ মোর্শেদের সর্বকনিষ্ঠ আন্তর্জাতিক মাস্টার হওয়ার ৪৩ বছরের পুরোনো রেকর্ড ভেঙে দেন নীড়। আন্তর্জাতিক মাস্টারের পাশাপাশি এই বছর নীড় জাতীয় চ্যাম্পিয়নও হয়েছেন। তবে সেখানে অবশ্য সর্বকনিষ্ঠ হতে পারেননি তিনি। এই রেকর্ড এখনও নিয়াজেরই দখলে।

ইউক্রেনের গ্র্যান্ডমাস্টারকে রুখলেন নীড়

আন্তর্জাতিক মাস্টার ফাহাদ রহমান এই বছর একটি গ্র্যান্ডমাস্টার নর্ম পেয়েছেন। দীর্ঘদিন চেষ্টার পর এই বছর একটি নর্ম অর্জন করেছেন তিনি। আরও দুটি নর্ম ও ২৫০০ রেটিং স্পর্শ করলে ফাহাদ গ্র্যান্ডমাস্টার হতে পারবেন।

খেলতে খেলতে চলে গেলেন জিয়া

বাংলাদেশের দ্বিতীয় গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমান জাতীয় দাবায় খেলতে খেলতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন গত ৫ জুলাই। দাবা ফেডারেশন থেকে মাত্র ১৫-২০ মিনিটের মধ্যে জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হলেও তাকে বাঁচানো যায়নি। জিয়ার মৃত্যু বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে বড় ধাক্কা। মৃত্যুর আগেই অবশ্য জিয়া দাবা অলিম্পিয়াড নিশ্চিত করেছিলেন। তার মৃত্যুর পর সেই স্থানে যান ছেলে তাহসিন তাজওয়ার জিয়া। জিয়ার অকালে চলে যাওয়া দাবাঙ্গনের জন্য বড় শূন্যতা।

দাবা খেলতে খেলতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়া

স্থানীয় ক্রীড়া কমিটির বিলুপ্তি, ৪২ ফেডারেশনের সভাপতি অপসারণ

৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে ক্রীড়াঙ্গনে ব্যাপক রদবদল হয়েছে। ফুটবল-ক্রিকেট ছাড়া বাকি সব ফেডারেশনের সভাপতি সরকার মনোনীত। খেলাধুলার সঙ্গে সম্পৃক্ত না থাকা অনেকেই রাজনৈতিক ও নানা প্রভাবে বিভিন্ন ফেডারেশনের সভাপতি ছিলেন। তাই সংস্কারের লক্ষ্যে ৫ আগস্ট যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ একযোগে ৪২ ফেডারেশনের সভাপতিকে অব্যাহতি দেয়। বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে একযোগে এত সভাপতি বাদ দেওয়ার ঘটনা রেকর্ডগড়া পদক্ষেপ। সভাপতি বাদ দেওয়ার পাশাপাশি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) তাদের বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারিকেও ফেডারেশনগুলো কমিটি থেকে বাদ দিয়েছে। এনএসসি কর্মকর্তাদের কারও বদলি, কেউবা সাময়িক বরখাস্তও হয়েছেন।

পরবর্তীতে ২১ আগস্ট যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জেলা-বিভাগীয় ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থাও বিলুপ্ত করে। ফেডারেশন সভাপতিদের মতো স্থানীয় ক্রীড়া প্রশাসনেও রাজনৈতিক ব্যক্তিরা দায়িত্বে ছিলেন। সেই ভাবনায় ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সকল জেলা-বিভাগের কমিটি বিলুপ্ত করে দেয়। চার মাস পেরিয়ে গেলেও সেই কমিটি এখনও গঠন হয়নি। ফলে ক্রীড়াঙ্গনের তৃণমূল পর্যায়ে চলছে স্থবিরতা।

ক্রীড়া মন্ত্রণালয় গত ২৯ আগস্ট ক্রীড়াঙ্গন সংস্কারের লক্ষ্যে সার্চ কমিটি গঠন করে। ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির আহ্বায়ক জোবায়েদুর রহমান রানাকে নিয়ে শুরুর দিকে কিছুটা সমালোচনা হয়েছিল। পরবর্তীতে কমিটির সদস্য মহিউদ্দিন বুলবুল বাফুফের নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করায় ক্রীড়া মন্ত্রণালয় তাকে শোকজ করে এবং পরবর্তীতে অব্যাহতি প্রদান করে বিকেএসপির ডিজিকে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করে। প্রায় চার মাসের বেশি সময় কাজ করছে ওই কমিটি। কিন্তু এখনও দৃশ্যমান সংস্কার দেখা যায়নি। ১৪ নভেম্বর নয়টি ফেডারেশনে অ্যাডহক কমিটি প্রকাশ পেয়েছে। আরও কয়েকটি কমিটির সুপারিশ তারা করলেও সেটি এখনও প্রকাশিত হয়নি। এ ছাড়া ক্রীড়াঙ্গন সংস্কারের লক্ষ্যে গঠনতন্ত্র পর্যালোচনা করছে এই কমিটি।

ইনডোর অ্যাথলেটিক্সে সাফল্য

২০২৩ সালে অ্যাথলেটিক্সে এশিয়ান পর্যায়ে প্রথম সাফল্য এনেছিলেন বাংলাদেশের দ্রুততম মানব ইমরানুর রহমান। এই বছর এশিয়ান ইনডোর অ্যাথলেটিক্সে ইমরান সফল হননি। তিনি না পারলেও ইরান থেকে দুটি পদক এসেছে বাংলাদেশের। স্প্রিন্টার জহির রৌপ্য ও হাই-জাম্পার মাহফুজ ব্রোঞ্জ জেতেন। এর আগে স্বর্ণ জেতায় ফেডারেশন ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে আর্থিক পুরস্কার পেয়েছিলেন ইমরান। সেই তুলনায় জহির ও মাহফুজ তেমন পুরস্কার পাননি।

হকি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ, ‘স্বপ্ন নয়–সত্যি ও বাস্তব’

হকিতে যুব বিশ্বকাপ

বছরের শেষ মাসে এসে হকির ইতিহাসে সেরা সুখবর এসেছে। ওমানে অনূর্ধ্ব-২১ এশিয়া কাপ হকিতে বাংলাদেশ পঞ্চম স্থান অর্জন করে। এতে আগামী বছর ডিসেম্বরে ভারতে অনুষ্ঠিতব্য যুব বিশ্বকাপ নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের। দেশের হকির ইতিহাসে কোনো পর্যায়ে এটাই প্রথম বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ। হকি খেলোয়াড়রা নানা সীমাবদ্ধতায় থাকেন। মাত্র ৪০০ টাকা দৈনিক ভাতা পেয়ে অনুশীলন করা খেলোয়াড়রা বিশ্বকাপে বাংলাদেশের নাম লিখিয়েছেন।

ব্যাডমিন্টনে অলিম্পিয়ান শাটলার

৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে ফুটবল-ক্রিকেট ছাড়া অন্য কোনো ফেডারেশন দেশে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা আয়োজন করেনি। ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন আয়োজিত আন্তর্জাতিক ব্যাডমিন্টনে ১৫টিরও বেশি দেশের শাটলাররা অংশগ্রহণ করেছে। এতে অংশ নিয়েছেন প্যারিস অলিম্পিকে খেলা ইউক্রেনিয়ান শাটলার পলিনা। তিনি মহিলা এককে চ্যাম্পিয়নও হয়েছেন।

শ্যুটিংয়ে আতিক ও সাদিয়ার চলে যাওয়া

চলতি বছর শ্যুটিংয়ের জন্য অনেক বেদনার। কমনওয়েলথ গেমসে স্বর্ণজয়ী শ্যুটার আতিকুর রহমান জুলাই মাসে মৃত্যুবরণ করেন। অবশ্য দীর্ঘদিন ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন তিনি। বছরের শেষ দিকে এসএ গেমসে স্বর্ণপদক প্রাপ্ত শ্যুটার সাদিয়া সুলতানাও মৃত্যুবরণ করেন। তিনি অবশ্য অবসাদ ও নানা কারণে শ্যুটিং থেকে দূরে ছিলেন এক দশকেরও বেশি সময়।

আ’লীগের মিছিল প্রতিরোধে পুলিশ নিষ্ক্রিয় থাকলেই ব্যবস্থা: উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, ২:৩০ অপরাহ্ণ
আ’লীগের মিছিল প্রতিরোধে পুলিশ নিষ্ক্রিয় থাকলেই ব্যবস্থা: উপদেষ্টা

আওয়ামী লীগের মিছিল প্রতিরোধে পুলিশ নিষ্ক্রিয় থাকলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) রাজধানীতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নত করার লক্ষ্যে ধাপে ধাপে বিভিন্ন থানার কার্যক্রম পরিদর্শন করছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। এরই অংশ হিসেবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের আওতাধীন বিমানবন্দর থানা পরিদর্শনে যান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। বেলা ১১টা ১০মিনিট নাগাদ রাজধানীর বিমানবন্দর থানা পরিদর্শনে যান তিনি।
পরে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘যেহেতু মিছিল হয়েছে, এটার ভেতর কারো কোনো সন্দেহ নাই। মিছিলটা যাতে ভবিষ্যতে না হতে পারে সে জন্য পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যদি তারা এটা ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে তবে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘আপনাদের অরগানাইজ করতেই দেখেন কত কষ্ট হয়। সেখানে পুরা দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে যে কি পরিমান কষ্ট তা আপনারাও বুঝতে পারবেন। তবে আমরা চেষ্টা করতেছি যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও উন্নতির দিকে যায়।’

এদিকে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আজ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের আওতাধীন চারটি থানা পর্যায়ক্রমে পরিদর্শন করবেন বলে জানা গেছে। এগুলো হলো, বিমানবন্দর, উত্তরা পশ্চিম, তুরাগ ও উত্তরা পূর্ব থানা।

‘যখন-তখন ক্রিকেটাররা আমাকে ন্যুড পাঠাত’

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, ২:২৫ অপরাহ্ণ
‘যখন-তখন ক্রিকেটাররা আমাকে ন্যুড পাঠাত’

ভারতীয় সাবেক ক্রিকেটার ও কোচ সঞ্জয় বঙ্গারের কন্যা সন্তান অনন্যা বঙ্গার। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ক্রিকেটারদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন অন্যন্যা। এক সময় অনেক ক্রিকেটার মোবাইল ফোনে ন্যুড ছবি পাঠাতেন বলে অভিযোগ করেছেন সঞ্জয় বঙ্গারের কন্যা।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর হরমোন প্রতিস্থাপন থেরাপি ও লিঙ্গ নিশ্চিতকরণে অস্ত্রোপচার করেছেন অনন্যা। রূপান্তরের এই যাত্রার অনেক অভিজ্ঞতা সম্প্রতি শেয়ার করেছেন তিনি।

অনন্যা আগে আরিয়ান নামে পরিচিত ছিলেন। তিনি একজন ক্রীড়াবিদ এবং সঞ্জয় বঙ্গারের পদাঙ্ক অনুসরণ করে বয়সভিত্তিক ক্রিকেট খেলেছেন। তবে অনন্যা জানিয়েছেন, লিঙ্গ নিশ্চিতকরণ অস্ত্রোপচারের পর ক্রিকেট ক্যারিয়ার ধরে রাখতে গিয়ে তাকে নানা বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। অনন্যা বর্তমানে যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন।

লল্লানটপ পডকাস্টে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অনন্যা বলেন, ‘আমি মুশির খান, সরফরাজ খান, যশস্বী জয়সওয়ালের মতো এখনকার কিছু পরিচিত ক্রিকেটারের সঙ্গে খেলেছি। আমাকে আমার পরিচয় গোপন রাখতে হয়েছিল, কারণ বাবা একজন সুপরিচিত ব্যক্তিত্ব। ক্রিকেট বিশ্ব নিরাপত্তাহীনতা ও পুরুষালি বিষাক্ততায় পূর্ণ!’

অনন্যাকে এরপর জিজ্ঞেস করা হয়, লিঙ্গ নিশ্চিতকরণ অস্ত্রোপচারের পর তাঁর সতীর্থ ক্রিকেটারদের প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল। অনন্যা বলেন, ‘সমর্থনও ছিল, আবার কিছু হয়রানিও ছিল।’

কী ধরনের হয়রানি করা হতো উপস্থাপকের এমন প্রশ্নে অনন্যা বলেন, ‘কিছু ক্রিকেটার আমাকে যখন-তখন তাদের নগ্ন ছবি পাঠিয়েছে।’

এরপর অনন্যা নাম প্রকাশ না করে একজনের কথা বলেন, যিনি মৌখিকভাবে হেনস্তাও করেছেন তাকে। তিনি বলেন, ‘সেই ব্যক্তি সবার সামনে খারাপ ভাষা ব্যবহার করত। সেই একই ব্যক্তি এরপর আমার পাশে এসে বসত এবং আমার ছবি চাইত। আরেকটি ঘটনা ছিল, যখন আমি ভারতে ছিলাম, তখন একজন পুরোনো (প্রবীণ) ক্রিকেটারকে আমার পরিস্থিতির কথা বলেছিলাম। তিনি আমাকে বলেছিলেন, চলো গাড়িতে যাই, আমি তোমার সঙ্গে ঘুমোতে চাই।’

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হলেন সাংবাদিক মুহাম্মদ আবু আবিদ

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৫, ৭:৫৪ অপরাহ্ণ
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হলেন সাংবাদিক মুহাম্মদ আবু আবিদ

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র (গনমাধ্যম ও সোশাল মিডিয়া) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মুহাম্মদ আবু আবিদ।

গত ১৫ই এপ্রিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এর প্রশাসন-১ শাখা থেকে সিনিয়র সহকারী সচিব মোঃ সাইফ উদ্দিন গিয়াস স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, মুহাম্মদ আবু আবিদ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সরকারের কার্যক্রম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুলে ধরা এবং অস্তিত্বহীন তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে অপপ্রচার রোধে কার্যকর ব্যবস্থা উদ্যোগ গ্রহন করবেন।

এই নিয়োগের শর্তসমূহ উক্ত নিয়োগপত্র দ্বারা নির্ধারিত বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।

সমাজ পরিবর্তনের লক্ষ্যে মুহাম্মদ আবু আবিদ প্রতিষ্ঠা করেছেন দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন। দীর্ঘ ৮ বছর সাংবাদিকতার জীবনে জাতীয় ও আঞ্চলিক বহু গণমাধ্যমে তিনি কাজ করেছেন।

বর্তমানে তিনি ঢাকা থেকে প্রকাশিত মিডিয়াভুক্ত একটি পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ও অনলাইন চীফ, টেলিভিশন রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ট্র্যাব)-এর মুখপাত্র ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটির মুখপাত্র ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক।

মুহাম্মদ আবু আবিদ এর জন্ম চট্টগ্রাম হলেও তার পৈত্রিক নিবাস পটুয়াখালীতে। ইতিমধ্যেই তার সামাজিক কাজ অনলাইন জগৎ এ ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছে।

এছাড়াও সামাজিক কাজে ইউনিক আইডিয়া গ্রহন ও বাস্তবায়নের জন্য আন্তর্জাতিক ও জাতীয় নানা সম্মাননায় তিনি ভূষিত হয়েছেন।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নিয়োগে তার এই সংগ্রামী ও মানবিক পথচলা এবং তারুণ্যে উদ্দীপ্ত অনলাইন সম্পর্কিত জ্ঞান ও গণমাধ্যম সমন্বয়ের গুন, সব মিলিয়ে যুগান্তকারী এক পরিবর্তন আনবে, এটাই সবার প্রত্যাশা।