খুঁজুন
শুক্রবার, ৯ মে, ২০২৫, ২৬ বৈশাখ, ১৪৩২

টাঙ্গাইলের ঘাটাইল

ভাটায় কয়লার বদলে পুড়ছে কাঠ, বিপর্যস্ত পরিবেশ

মোঃ খায়রুল ইসলাম, টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারি, ২০২৫, ১১:৩৯ পূর্বাহ্ণ
ভাটায় কয়লার বদলে পুড়ছে কাঠ, বিপর্যস্ত পরিবেশ

টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ৩৮টি ভাটায় শুরু হয়েছে ইট তৈরির কাজ। এসব ইটভাটার অধিকাংশেই পোড়ানো হচ্ছে কয়লার বদলে কাঠ। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রহীন এসব ইটভাটার অধিকাংশই গড়ে ওঠেছে আবাদি জমি ও লোকালয়ে। ফলে এসব ইটভাটার কালো ধোঁয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে পরিবেশ। কমছে কৃষি জমির পরিমাণ ও ফসল উৎপাদন। ভাটা মালিকরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে চাচ্ছে না। কেউ কেউ ঝামেলা থেকে নিজেদের রক্ষার জন্যই এমন জানিয়েছেন পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।
ভাটা মালিক সমিতির সূত্রে জানা গেছে, উজেলায় অর্ধশতাধিক ইটভাটা থাকলেও এ বছর ৩৮টি ভাটা ইট পুড়ছে। তার মধ্যে ২১টি ইট ভাটার নিবন্ধন আছে। ১৪টি ভাটা চলছে শুধু হাইকোর্টের রিট করে। অবশিষ্ট ৩টি ভাটা কোন আইনে চলছে তার কোন তথ্য নেই তাদের কাছে।
ইট পোড়ানো নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৯ অনুযায়ী, একটি ইটভাটা স্থাপনের আগে সরকারের ১০টি দপ্তর থেকে ছাড়পত্র নিতে হয়। এ আইনের উদ্দেশ্য ছিল ২০২০ সালের মধ্যে পোড়া ইট শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনা। তবে এ অঞ্চলে উল্টো প্রতি বছরই ভাটার সংখ্যা বাড়ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ভাটার চারপাশে থাকা ফসলি জমিতে বেড়ে ওঠা ধান, বিভিন্ন কৃষিপণ্যসহ বিভিন্ন রবিশস্য ঝুঁকিতে পড়েছে। ইট তৈরিতে ব্যবহৃত মাটির সবটাই যাচ্ছে ফসলি জমি থেকে। অথচ কৃষিজমি রক্ষায় কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ। নজরদারি নেই পরিবেশ অধিদপ্তরেরও।
উপজেলার উত্তর খিলগাতী গ্রামের কৃষক জামাল হোসেনের ভাষ্য, একটি ইটভাটা থেকে অন্যটির দূরত্ব বেশি নয়। সব ভাটা স্থাপন করা হয়েছে ফসলি জমির মাঝখানে। এতে ফসলের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত তিনি। এভাবে চলতে থাকলে একসময় অবৈধ ইটভাটার দাপটে ঘাটাইল উপজেলা মরুভূমিতে পরিণত হবে বলে মনে করেন একই গ্রামের কলেজছাত্র মোঃ শান্ত মিয়া।
সংগ্রামপুর ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায়, মানিকপুর মোড়ে গ্রাম সংলগ্ন তিন ফসলি জমিতে খুবই ছোট আকারের চিমনি দিয়ে ফরিদ নামে ভাটা স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে পাহাড়ের লাল মাটি ও গাছের বিশাল স্তূপ করে রাখা। যেখানে কৃষি জমির মাটি কাটা আইনগত একেবারেই নিষিদ্ধ, ভাটার মালিক মনসুর আলী দিন দুপুরে প্রকাশ্যে মাটি কাটছেন।
ধলাপাড়া বিল-জলঙ্গি বংশাই ইট ভাটায় গিয়ে দেখা যায়, ভাটার চারিপাশে গাছের স্তূপ। বিধি অনুযায়ী কয়লা দিয়ে ইট পোড়ানোর কথা থাকলেও আইন ও প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে ভাটার মালিক বনের কাঠ দিয়ে ইট পোড়াচ্ছেন। তাছাড়াও চলমান ৩৮ ভাটার মধ্যে ১৮টিই সংরক্ষিত বনের তিন কিলোমিটারের মধ্যে ও জনবসতিপূর্ন এলাকায়। এ ভাবে ৩৮টি ইটভাটার বিষাক্ত কালো ধোয়ায় যেমন পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে, অন্য দিকে ফসলি জমির মাটি গভীর করে কেটে নেওয়ায় জমির উর্বরতা নষ্ট হচ্ছে। যত্রতত্র ইট ভাটা গড়ে উঠায় হাইড্রলিক ও ট্রাকের চাপে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ছোট ছোট রাস্তা অল্পদিনেই ভেঙে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ছে।
ভাটায় বনের কাঠ পোড়ানোর বিষয়ে ধলাপাড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা ওয়াদুদুর রহমানের ভাষ্য, ‘এ বিষয়ে আমি সব ধরনের প্রয়োজনীয় ও কার্যকরি ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি শাহজাহান আলী বলেন, ‘পাহাড়ের লাল মাটি ও বনের কাঠ ইট ভাটায় না নিতে কড়া ভাষায় নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে। তার পরেও কেউ আইন অমান্য করলে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহনে আমাদের সমিতি সর্ব প্রকারের সহযোগিতা করবে।’
এ ব্যপারে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমিন ইসলাম বলেন, কয়লার বদলে যেখানে কাঠ পোড়ানো হচ্ছে সে সব ইটভাটার তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। অচিরেই সে সব ভাটার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবেও জানান তিনি।

সিরাজগঞ্জে র‌্যাব-১২ অভিযানে কষ্টিপাথরসহ ৩ জন গ্রেফতার

রেজাউল করিম স্টাফ রিপোর্টাার,সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৯ মে, ২০২৫, ৮:০৫ অপরাহ্ণ
সিরাজগঞ্জে র‌্যাব-১২ অভিযানে কষ্টিপাথরসহ ৩ জন গ্রেফতার

সিরাজগঞ্জে র‌্যাব-১২, এর দিকনির্দেশনায় গত ০৮ মে,সন্ধ্যা ৭ ঘটিকায় র‌্যাব-১২, সদর কোম্পানির একটি চৌকস আভিযানিক দল ‘‘বগুড়া জেলার শেরপুর থানাধীন ১০নং শাহবন্দেগী ইউপির অন্তর্গত রাজবাড়ি মুকুন্দ গ্রামস্থ জনৈক মওলানা মোঃ আল-আমিন এর পুকুরের দক্ষিন পাশের্^ অবস্থিত মাছের খাবারের টিনের ঘরে ভিতর’’ একটি অভিযান পরিচালনা করে মহামূল্যবান কষ্টিপাথরের তৈরি বিষ্ণু মূর্তি উদ্ধার সহ ০৩ জন পাচারকারীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামিগণ ১। মোঃ  নাসিম উদ্দিন (২৮), পিতা- মোঃ আঃ সালাম, ২। মোঃ ফরিদ প্রামানিক (৩৫), পিতা- মৃত আলিমুদ্দিন প্রামানিক, উভয় সাং- রাজবাড়ি মুকুন্দ, ৩। মোঃ বুলবুল আহাম্মেদ (৪০), পিতা- মৃত রইস উদ্দিন, সাং- আড়ং শাইল, সর্ব থানা- শেরপুর, জেলা- বগুড়া।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, আসামিগণ মহামূল্যবান কষ্টিপাথরের তৈরি বিষ্ণু মূর্তি নিজ হেফাজতে রেখে বাংলাদেশ হইতে বিদেশে পাচারের কথা স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামিগণের বিরুদ্ধে বগুড়া জেলার শেরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

জার্সি পরেই যমুনার সামনে দায়িত্বে রমনার ডিসি মাসুদ আলম

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৯ মে, ২০২৫, ১২:৪৬ অপরাহ্ণ
জার্সি পরেই যমুনার সামনে দায়িত্বে রমনার ডিসি মাসুদ আলম

গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত ও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করছেন জতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি’র নেতাকর্মীরা। তবে পুরো এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রয়েছে সতর্ক অবস্থানে।

আর এমন পরিস্থিতি সামাল দিতে খেলার মাঠ থেকে দায়িত্ব পালন করতে জার্সি পরেই যমুনার সামনে ছুটে আসেন ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম।

এরই মধ্যে জার্সি পরা এই কর্মকর্তার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। নেটিজেনরা এই পুলিশ কর্মকর্তার দায়িত্বের প্রতি নিষ্ঠা দেখে প্রশংসা করছেন। একইসঙ্গে বিভিন্ন মন্তব্য করে উৎসাহ দিচ্ছেন।

ছড়িয়ে পড়া ওই ছবিতে দেখা যায়, ডিসি মাসুদ আলম সবুজ-হলুদ রঙের জার্সি ও লাল রঙের হাফ প্যান্ট পড়ে যমুনার সামনে দায়িত্ব পালন করছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছেন তিনি।

ডিসির ছবিটি নিজের ফেসবুকে ওয়ালে পোস্ট করে একজন লিখেছেন, রমনা জোনের ডিসি। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ছাত্র-জনতা হঠাৎ করে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ‘যমুনা’ ঘেরাও করলে বেচারা খেলার মাঠ থেকে সরাসরি ডিউটিতে!

এর আগে, এনসিপি’র মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করার ঘোষণা দেন। এ অবস্থান কর্মসূচি ঘিরে যমুনার সামনে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাত সাড়ে ১০টা থেকে যমুনার সামনে ডিউটিরত পুলিশের পাশাপাশি অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে।

যমুনার সামনে পুলিশ, সেনাবাহিনী, র‍্যাব ও এপিবিনের সদস্যরা মোতায়েন রয়েছেন। তারা কড়া অবস্থান নিয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে যমুনার সামনে অতিরিক্ত পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আ’লীগকে কারা নিষিদ্ধ চায় আজকের সমাবেশেই বোঝা যাবে: হাসনাত

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ৯ মে, ২০২৫, ১২:০০ অপরাহ্ণ
আ’লীগকে কারা নিষিদ্ধ চায় আজকের সমাবেশেই বোঝা যাবে: হাসনাত

রাজনৈতিক দল হিসেবে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে কারা নিষিদ্ধ করতে চায় সেটি আজকের সমাবেশ থেকেই বোঝা যাবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।

শুক্রবার (৯ মে) সকাল সাড়ে আটটার দিকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে সমাবেশের ঘোষণা দেওয়ার সময় তিনি এ মন্তব্য করেন।

হাসনাত বলেন, ফোয়ারার সামনে মঞ্চ নির্মাণের কাজ চলছে। বাদ জুমা জনসমুদ্র হবে সেখানে। আজকে সবাই বুঝতে পারবেন কারা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চায়।

দলমত নির্বিশেষে সবাইকে সমাবেশে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, যতক্ষণ না পর্যন্ত ফ্যাসিস্ট গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা দিয়ে নিবন্ধন বাতিল করে নিষিদ্ধ করা হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছেড়ে যাবো না।

এ সময় হাসনাত বলেন, ‘ফোয়ারার সামনে থেকে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের যে রাস্তা রয়েছে, যেই রাস্তা বাংলামোটর পর্যন্ত গিয়েছে, পুরো রাস্তা আজকে জনসমুদ্রে পরিণত করব।’

সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়কারী নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, ‘জুমার পর ছাত্রজনতা ফোয়ারার সামনে অবস্থান নেবে। ফয়সালা করেই আমরা ঘরে ফিরব। কারা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চায় আর কারা চায় না তা আজ ফয়সালা হবে।’ বাদ জুমা সব নাগরিকদের ঐক্যবদ্ধভাবে জমায়েত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে সারাদেশের জনগণকে জুলাই আন্দোলনের মতো রাজপথে নেমে আসার আহ্বানও জানান হাসনাত। পরে ফেসবুক পোস্টেও সেই কর্মসূচির কথা জানান হাসনাত।

হাসনাত তার পোস্টে লিখেছেন, বাদ জুমা যমুনার সামনে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচী অব্যাহত থাকবে।’

উল্লেখ্য, শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের শাসন আমলে টানা দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করা আবদুল হামিদের দেশত্যাগের সংবাদ প্রচারিত হওয়ার পর থেকেই উত্তাল দেশের রাজনীতি। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে বিক্ষোভ চলছে।